নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\n

মা.হাসান

মা.হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

চির যৌবন ধরিয়া রাখিবার রহস্য

২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫২



সতর্কিকরণঃ এই পোস্টর শুরুতে ১০ লাইনের একটি পদ্য আছে (তবে ইহা কবিতা পোস্ট নহে) ।



কোন বৃক্ষের খাইলে রস
বিবি থাকেন চির বশ ।।
কোন গাছের রস করলে পান
বৃদ্ধ ব্যক্তি হয় জোয়ান ।।
কোন গাছের এমন মধু
খাইলে ভালোবাসে বধূ ।।
কোন গাছটি হয় রসের রাজা রাজা
*** যুগ* রাখে তাজা ।।
জানতে হলে পড়ুন এইবেলা
নতুন রসে পুরান খেলা।।

কলেজের ছাত্র থাকা কালিন সময়ে নিয়মিত রেলওয়ে বুক স্টলে নতুন কি বই আসিলো জনিতে ঢু মারিতাম। সে সময় নিয়মিত ভাবে দিকানের কোনে বইয়ের ঢিপিতে লতা পাতার গুন, প্রেম পত্র লেখা শিক্ষা, গরিবের প্রেম এই জাতীয় বইগুলি দেখিতে পাইতাম। দোকানের মালিককে একদিন জিজ্ঞাসা করিলাম--- বিক্রি হয় না, অনেকদিন ধরিয়া পড়িয়া আছে এই রূপ বই দোকানে রাখেন কেন? সের দরে বেচিয়া দিলেও তো কিছু জায়গা বাহির হয়। দোকানদার জানাইলো এই বইগুলি তাহাদের বহুল বিক্রিত বই এর স্তুপ, স্টক কয়েকদিনেই শেষ হইয়া যায়, আবার স্টকে আনা হয়। এই জন্য নিয়মিত ঐ একই জাতীয় বইয়ের স্তুপ দেখিতে পাই। কি ধরণের সাধারণ জ্ঞান হইতে বঞ্চিত হইতেছি জানিবার জন্য দোকানদারের কথায় অনুপ্রাণিত হইয়া এক খানা পুস্তিকা ক্রয় করি -- নাম ''নতুন রসে পুরান খেলা'', লেখক - সোলায়মান খোয়াজপুর। উপরের পদ্যখানি ঐ বইয়ের প্রচ্ছদ হইতে টুকলি করা। পুস্তিকা পাঠে অনেক কিছুর সহিত ইহাও জানিতে পারিলাম --মসুর ডাল এবং কিসমিস বরফ গলা জলে পিশিয়া পুলটিস বানাইলে কি কাজে লাগে ইত্যাদি।




যৌবন ধরিয়া রাখার আগ্রহ শুধু বাংলাদেশের লোকদের মধ্যে আছে এমন নহে। পৃথিবী জুড়িয়া সকল সময়েই এই রূপ ব্যক্তির অভাব ছিল না যাহারা অনন্ত যৌবন প্রাপ্ত হইতে চাহিয়াছিলেন। হেরোডোটাস এর লেখা হইতে আমরা ফাউন্টেন অফ ইউথের কথা জানিতে পারি। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ইহার সন্ধানে অনেক অভিযান হইয়াছে। পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান মুভির একটা উল্লেখ যোগ্য অংশ এই ফাউন্টেন অফ ইউথ কে কেন্দ্র করে আবর্তিত। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশে অভিযাত্রী পনস ডি লিওন এর নামে শহরও আছে । ইসলাম ধর্মাবলম্বিদের মাঝেও ও খিজির আলাই হিস সালাম এবং আবে হায়াত লইয়া কিছু ঘটনার বর্ণনা আছে।

যৌবন ধরিয়া রাখিবার আগ্রহে আমি কোন অন্যায় দেখি না। তবে যৌবন ধরিয়া রাখিবার জন্য বিভিন্নজন বিভিন্ন সময়ে যে পন্থা অবলম্বন করিয়াছেন তাহার মধ্যে কিছু পৈশাচিক (এলিজাবেথ বাথোরি), কিছু অমানবিক, কিছু বিষয় চিন্তার খোরাক যোগায়, আবার কিছু বিষয় হাস্যকর। সম্প্রতি কিছু গুরুত্বপূর্ণ মানুষের যৌবন ধরিয়া রাখিবার প্রয়াস আমার ক্ষুদ্র মগজে চিন্তার উদ্রেক করিয়াছে। বিশিষ্ট স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তি এবং চেতনাবিদ জনাব ওমর ফারুক চৌধুরী ৭১ বছর বয়সেও যৌবন ধরিয়া রাখিয়াছেন। সম্প্রতি উনি আংগুল চোষার অভ্যাস শুরু করায় প্রতিয়মান হইতেছিল ওনার যৌবন শিশুত্বের দিকে যাত্রা শুরু করিতেছে। উনার জীবনী বিশ্লেষণ করিয়া দেখিতে পাইলাম উনি আদিতে টেন্ডু পাতার ব্যবসা করিতেন। আজ হইতে প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে উনি মিয়ানমার হইতে টেন্ডু পাতা আনিয়া বাংলাদেশে বিক্রয় করিয়াছেন। এই কারণে প্রথম অবস্থায় আমি অনুমান করিয়াছিলাম চিরযৌবনা এই ব্যক্তির যৌবনের রহস্য হয়তো টেন্ডু পাতা। কিন্তু আরো অগ্রসর হইয়া দেখিলাম যে আরো অনেকেই টেন্ডু পাতার ব্যবসা করে, অনেকই খায়, কিন্তু কেহই ওনার মতো চিরযৌবন প্রাপ্ত হন নাই। বিধায় এই তত্ত্ব পরিত্যাগ করিতে হইল।

আমার পরবর্তী অনুমান ছিল ওনার স্ত্রী ভাগ্য। উনি বিশিষ্ট পীর বংশে বিবাহ করিয়াছেন। ওনার স্ত্রী ইয়েমেনি (বা আরো সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে বাগদাদী) পীরের বংশধর। কিন্তু ভালোভাবে চিন্তা করিয়া দেখিলাম আরো অনেক পীর আছে যাহাদের বাবা- মা উভয়েই পীরের বংশধর- পীরের সিলসিলা, পীরের খানদান। কিন্তু ঐ সব পীরানে পীরদের চুলদাড়ি সাদা হইয়া গিয়াছে, ওনারা বৃদ্ধ হইয়া গিয়াছেন এবং কেহ কেহ স্বর্গবাসী হই্য়া গিয়াছেন। কাজেই এই থিওরিও পরিত্যাগ করিতে হইল

অবশেষে আমার চক্ষু খুলিয়া দিলেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, চিন্তাবিদ জগন্নাথ বেশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি জনাব মিজানুর রহমান চেতনাবাদি । ৬১ বছর বয়স্ক মিজানুর রহমান বলিয়াছেন তিনি বিচি হইতে চান না, তাহার প্রাণ প্রিয় সংগঠন যুবলীগের দায়িত্ব পাইলে তাহার জগতে চাহিবার আর কিছু থাকিবে না। ৬১ বছর বয়সে নব যৌবন প্রাপ্ত হইয়া দেশের যুবসমাজকে তিনি হেদায়েত করিতে চান। এক্ষণে বোঝা গেল যৌবনের রহস্যের চাবিকাঠি হইলো ''যুবলীগ''।

**যাহাদের বয়স পঞ্চাশের কম তাহারা ইনফ্যান্ট লীগে যোগদান করিয়া লেবেনচুশ চুশিতে পারেন। মা-জননী দের প্রতি অনুরোধ, আপনারা যুবতি লীগে জয়েন না করিয়া লরিয়েল এবং গার্নিয়েরএর উপর আস্থা রাখুন। কখনো কোন নরাধম যদি ইঙ্গিত করে আপনার বয়স ১৮ বছরের একদিন ও বেশি তবে নিশ্চিত জানিয়া রাখিবেন সেই ব্যাটা অতিশয় অভদ্র , দুরাচার এবং সর্বাবস্থায় পরিত্যাজ্য।

**প্রথম ছবিটি দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকা হইতে চুরি করা। দ্বিতীয় ছবি Fountain of Youth Archaeological Park এর ওয়েব সাইট হইতে চুরি করা।

মন্তব্য ৭৫ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৭৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথম পাতায় আপনার নামের পোষ্টে কবিতা দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। পরে ভাবলাম, নিশ্চয়ই কোন কাহিনী আছে.....খুলেই দেখি না কেন প্যান্ডোরার বাক্সটা। যাক, হতাশ করেন নাই!

বয়স হয়ে যাচ্ছে, যৌবন ধরে রাখা নিয়ে আমিও কিন্চিত চিন্তিত। ভাবছি দেশে এসে যুবলীগে যোগদান করবো কিনা। নিদেনপক্ষে লন্ডনে একটা শাখা খুলে আমি সভাপতি, আর ব্লগার ল কে সাধারন সম্পাদক বানাইলে কেমন হয়? অবশ্য ভয় আছে, সভাপতির পদ নিয়ে আবার তুলকালাম কিছু হয়ে যায় কিনা!! :P

আপনার মুল্যবান মতামত দিবেন।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩৭

মা.হাসান বলেছেন: যেই বাক্যের অর্থ মনুষ্য বোধগম্য তাহাকে কবিতা বলিলে কবিদের অপমান করা হয়। উহাকে ছড়া বড়জোর পদ্য বলা যায়।



যুবলীগের পক্ষে আপনার বা লতিফ ভাইয়ের বয়স কিছুটা কম হইয়া যায় বলিয়া মনে হয়। তারপরেও চিন্তা ভাবনা করিয়া দেখুন। তুলকালাম কিছু না হইবার নিদান আছে - লন্ডনে দুতাবাস ভবনটি বিক্রয়ের জন্য একজন ভালো খরিদ্দার দেখুন, এবং অন্যত্র "সুন্দর" জায়গায় "শোভন" দামে একটি নতুন দুতাবাস ভবন ক্রয়ের জন্য খোঁজ লাগান।
গরিব লোকের কাছে সবই মূল্যবান। /:)

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:২৯

বলেছেন:

মধু কই কই বিষ খাওয়াইলা
কোন কারণে ভালবাসার দাম ন দিলা
কোন দোষ হন পাই
ভালবাসার দাম ন দিলা।
আশায় আছিল তোয়ারে লই
বান্ধুইম একখান সুখেরই ঘর
সুখের বদল দুঃখ দিলা কোন
কারণে ভালবাসার দাম ন দিলা।
কোন দোষ হন পাই ভালবাসার দাম ন
দিলা।
প্রেম নদীতে অনর টান
আরে কেন পেলাই গেলা
এন করে ক্যান ভুল বুঝিলা?
কোন কারণে ভালবাসার দাম ন দিলা
কোন দোষ হন পাই ভালবাসার দাম ন
দিলা।
মধু কই কই বিষ খাওয়াইলা
কোন কারণে ভালবাসার দাম ন দিলা
কোন দোষ হন পাই ভালবাসার দাম ন
দিলা....



সিগারেট কই কই আরে গাঞ্জা খাওয়াইলা - মধু কই কই আরে বিষ খাওয়াইলা-

২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১৭

মা.হাসান বলেছেন: চরকি কই কই আমায় রুলেৎ খেলাইলা
সম্রাট কই কই আমায় চুর বানাইলা


গাঞ্জা-সিগারেট ভালো নয়, টেন্ডু পাতা চলিতে পারে।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতি। বিচিদের সামনে এই মুহূর্তে প্রভূত সমস্যা।
তবে আজকের চমক ছিল পোস্টের শুরুতেই আপনার কবিতা। যে মিরাক্কেল দেখতে পোস্ট ক্লিক করতেই যবে থেকে বেরিয়ে পড়ল আপনার বাহারি পোস্ট। আপাতত এই পর্যন্ত সময় পেলে আবার আসছি।

শুভকামনা প্রিয় মা. হাসান ভাইকে।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:২৪

মা.হাসান বলেছেন: বিচিরা মানবিক ব্যক্তিদের সহিত বিদেশ ভ্রমন করিতেছেন, কেহ কেহ রাষ্ট্রদূত হইবার খোয়াব দেখিতেছেন, কেহ টকশোতে যাইয়া জাতিকে হেডায়েত করিতেছেন। সকল সমস্যা তুড়ি মারিয়া এনারা উড়াইয়া দিতে পারেন।
১ নম্বর মন্তব্যের জবাবে যেমন বলিয়াছি, উহা কবিতা বলিয়া কবিদের অপমান করিবেন না।
আপনার পুনরাগমনের অপেক্ষায় থাকিবো।

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩২

আনমোনা বলেছেন: ভুয়া মফিজের মত আমিও পদ্য দেখে এড়িয়ে যেতে চেয়েছিলাম। তারপরে ভাবলাম পরেই দেখি।
চিরখোকাদের দেখছি। সিনিয়র সিটিজেন খুঁজে পাইনা।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৩২

মা.হাসান বলেছেন: আপনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা যে পদ্য শব্দ ব্যবহার করিলেন, কবিটা বলিলেন না।

ইহারা চির খোকা, চির সবুজ, চির নবীন। আমরা ইহাদের ল্যাজ ধরিয়া (বিশ্বাস করুন, কাহারো কাহারো সাথে কথা বলিবার সময়ে ইহারা ল্যাজ নাড়ান, প্যান্টের ভিতর থাকায় টের কম পাওয়া যায় ) সবুজাভ হইবার চেষ্টায় রত। এখানে সিনিয়র কাহাকেও পাইবেন না।

৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪১

ইসিয়াক বলেছেন: কবিতাটি খুবই আকর্ষণীয় এবং তাৎপর্য পূর্ণও বটে ।
এমন কবিতা লিখিতে পারিলে মন্দ হইতো না !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪২

মা.হাসান বলেছেন: ইস্তিয়াক ভাই, পিলিচ, উহাকে কবিতা বলিবেন না; নচেৎ কবিদের ইজ্জত নষ্ট করিবার দায়ে মডু আমাকে হাজত বাস করাইতে পারে।

পুস্তিকা তথা পদ্য লেখকের নাম সোলায়মান খোয়াজপুর। মাদারিপুর সদরে খোয়াজপুর নামে একটি ইউনিয়ন আছে, অনুমান করি উনি ওখানকার বাসিন্দা ছিলেন। প্রায় ত্রিশ বছর আগের কথা। উনি এখন বাঁচিয়া আছেন কি না জানা নাই, তবে যশোহর হইতে দূরে নয় বিধায় আপনি যাইয়া খবর নিতে পারেন। ওনাকে পাইলে পদ্যের পাশাপাশি পিঁপড়ার মাটি দিয়া কি করা যায় এই সব গূহ্য বিদ্যাও লাভ করিতে পারিবেন। নিরন্তর শুভ কামনা।

৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: মা.হাসান,





প্রথম পাতায় কবিতাটুক দেখে ভাবছিলুম বলবো, "কবে থেইক্যা আপনে "কলিকাতা হার্বাল"এর ক্যানভাসার হৈলেন ?" ;)
কিন্তু ভেতরে ঢুকে লা-জওয়াব। :(

২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৫৬

মা.হাসান বলেছেন: আমি কলিকাতা হারবাল এর পুরাতন রুগী, পুরান কাস্টোমার হিসাবে এরা আমাকে একখান গেঞ্জি উপহার দিছে ।


এইটা দেইখা অনেকে ভাবে আমি মনে হয় হ্যাগোর ক্যানভাসার, কিন্তু আসল ঘটনা হইলো এইটা। আপনে আমার গেঞ্জির খবর ক্যামতে জানলেন?

আপনে বাক্যহারা শুইনা আমি দিশাহারা। একখানা লেবেনচুশ খাইয়া দেখেন বাক্য ফোটে কি না। তয় এই দেশে কইলাম বাক্যহারা হইতে পারলেই ভালা।

৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:৫৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: সত্যি বলতে কি বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের বৃ্দ্ধ বয়সে যৌবন রহস্য আমারো জানতে ইচ্ছা করে। যেই বয়সে আমরা আমাদের পিতা মাতা, আত্মীয় স্বজনদের দেখি যে সারাক্ষন নানান ব্যথ্যা বেদনায় কাহিল, চলাফেরা করিতে কষ্ট সেই একই বয়সে দেখি রাজনীতিবিদেরা জোয়ানদের মত ছুটাছুটি করিয়া বেড়াইতেছেন। খালি এক খালেদা জিয়ারই শুনি যে নানানা স্বাস্থ সমস্যা, বাকি সব দারুন ফিট।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯

মা.হাসান বলেছেন: খালেদা জিয়ার জেল খানার ভাত সহ্য হইতেছে না, বাহিরে থাকিলে উনি এই কয় দিনে কয়েকবার হজ-ওমরাহ করিয়া লইতেন। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের যৌবনের রহস্য লইয়া গবেষনা হওয়া দরকার। আপনি নতুন চিন্তা ঢুকাইয়া দিলেন।

৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:২৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদদের মধ্যে যারা লেজেহোমো এরশাদের সাথে এক কাতারে গা ঘেঁষাঘেষি করিয়া রাজনীতি করিয়াছেন তাহাদের সবাই চিরযৌবনের ঝরণার সন্ধান লাভ করিয়াছেন | আর যারা লেজে হোমোর বিরোধিতা করিয়াছেন তাদের অধিকাংশই অতিবার্ধক্যের অভিশাপে পতিত হইয়াছেন | ;)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩

মা.হাসান বলেছেন: লেজে(অপ)হোমো এশ্শাদের গা ঘেষাঘেষি করিয়া দাড়ানো নিরাপদ ছিল না।
অনেক স্বামীজীকেও যৌবন ধরিয়া রাখিতে দেখি। ;)
"আর যারা লেজে হোমোর বিরোধিতা করিয়াছেন তাদের অধিকাংশই অতিবার্ধক্যের অভিশাপে পতিত হইয়াছেন |"
বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে চরম সত্য।

৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৩০

জগতারন বলেছেন:
আমার বাড়ী মাদারিপুর।
খোয়াজ পুরও আমি চিনি।
কিন্তু এই ভন্ড কবি বা কবিরাজের নাম কোনদিন শুনি নাই।
তবে মাদারিপুর-এর কালকেনি থানার গোপাল পুর গ্রামে এক কবর পূজারী ছিল।
"সেই কবরের মাটি এনে গায়ে মাখলে সব অসুখ ভালো হয়ে যায়।"
পরে সে ধরা খেয়ে উধাও হয়েছিল।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪

মা.হাসান বলেছেন: জগতারন ভাই, অনেক ধন্যবাদ খোয়াজপুরের বিষয়টি পরিস্কার করার জন্য। আশির দশকের শেষ বা নব্বই দশকের শুরুতে বইটি পড়েছিলাম। বইয়ের প্রচ্ছদে ওনার যে ছবিটি দেয়া ছিল তা থেকে অনুমান করি সে সময় ওনার বয়স ৬০ বা আরো বেশি। ওনার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম। পরিবারের সদস্য কেউ থাকলে হয়তো ওনার ব্যবসা কন্টিনিউ করছে।
বাংলাদেশের অনেক জায়গারই মাজার/কবর ব্যবসা চালু আছে। আমার দেখা হিসাবে চট্টগ্রাম ও বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলে মাজার বেশি। ব্যবসা বেশি ফরিদপুর অঞ্চলে । তবে সোলায়মান সাহেবের বইয়ে লতা-পাতা ইত্যাদির (যেমন পাথরকুচির শিকড়ের রস, লজ্জ্বাবতির পাতার রস) বর্ননাই বেশি ছিল।

১০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন তো ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ভাই।

১১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: দ্বিতীয় মেয়াদে পুনরায় ভোট পেয়ে নির্বাচিত হলেন কানাডার Justin Trudeau

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই, ওনার সাথে দেখা হলে আমার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়েন।

১২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৩২

নীল আকাশ বলেছেন: আমার ব্লগীয় জীবনে এত আশ্চর্যজনক ঘটনা আমি আগে দেখিনাই।
ম হাসান ভাই কবিতা প্রসব করেছে তাও আবার সামুতে।
এই কবিতা পরে মাথায় ইলেক্ট্রন ফ্লো ইমব্যালান্স হয়ে গেছে।
আগে সেগুলি সুস্থির হোক তারপর আবার ফিরে আসছি।

@ লতিফ ভাই, গানটার লিরিক্স দেবার জন্য ধন্যবাদ। অনেকদিন ধরে খুজছিলাম।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১১

মা.হাসান বলেছেন: নীল আকাশ ভাই, ইহাকে কবিতা বলিলে তৌহিদী কবিরা কবিতার অবমাননার দায়ে আমায় শহীদ করিবে। আমি শহীদ হইলে যদি ব্লগ কবিতা মুক্ত হয় তবে শহীদ হইতে আমার কিন্তু আপত্তি নাই।
ইলক্ট্রন ফ্লো এর ব্যালান্স ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত বিটিভির খবর দেখিবেন।

১৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৯

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি অযথাই একজন অতি সম্মানিত ব্যক্তিকে দোষারপ করছেন। বাংলার বাণী নামক পত্রিকা থেকে প্রাপ্ত নিউজে জানা গেছে উনি এখান থেকে চিকিতসা নিয়েছেন।
কলিকাতা হারবাল কেয়ার
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ামুক্ত সর্বাধুনিক, সফল আয়ুর্বেদিক ও হারবাল চিকিত্সা কেন্দ্র।

কলিকাতা হারবাল ডাক্তার শুধুমাত্র রেজিস্ট্রার্ড ও ভেরিফাইড চিকিৎসকদের জন্য ভার্চুয়াল একটি চেম্বার।
যে কোন সমস্যায় সরাসরি ফোনে কথা বলতে ইনবক্স করুন। আজ সারা দিন আপনাদের সেবায় আছি।
স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য আধুনিক স্বাস্থ্য তথ্য সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে অনলাইনে স্বাস্থ্য সেবা তথ্য বৃহত্তর শ্লোগানকে সামনে রেখে কলিকাতা হারবাল সাস্থ্য সেবা শুরু হয়েছে।

প্রশ্ন উত্তর বাংলা ভাষাভাষীদের এবং প্রবাসী ভাই বোনদের জন্য সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় প্রথম অনলাইন স্বাস্থ্য চিকিৎসা ফোরাম চালু হয়েছে এখানে আপনি আপনার যে কোন রোগ বিষয়ে স্বাস্থ্য তথ্য যেকোন প্রশ্ন যে কোন রোগ বিষয়ে সরাসরি ফোন করে প্রশ্ন করতে পারেন ? এবং আপনার পরিচয় গোপন রেখে আপনি সরাসরি ফোন করতে পারেন অল্প সময়ের ভিতর আমাদের ডাক্তারগণ আপনার প্রশ্নের উত্তর দিবে যথারীতি খুব কম সময়ের মধ্যে আপনাকে সঠিক সমাধানের ব্যবস্থা করে দিবে ইনশাআল্লাহ । আমরা সদা সর্বসময় রাতদিন 24 ঘন্টা আপনাদের সেবায় নিয়োজিত আছি এবং পাশে আছি।

ডাঃ মোঃ মাহাবুবুর রহমান পরামর্শ দিবেন, “সকল জটিল ও কঠিন গোপন রোগ এর বিষয়ে।
এই রোগ সম্পর্কে তথ্য জানতে এখনই কমেন্টস বক্সে প্রশ্ন করুন, আর জেনে নিন আপনার রোগ সমস্যা দূর করার উপায় ” যেই রোগের প্রভাব বর্তমানে বেশী। জেনে নিন রোগ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য। সরাসরি যোগাযোগের ঠিকানা: মোহাম্মদপুর বি.আর.টি.সি বাসস্ট্যান্ড আল্লাহ্ করিম মসজিদ মার্কেট ২য় তলা মোহাম্মদপুর ঢাকা-১২০৭
হট লাইন-01763663333
ডাঃ মোঃ মাহাবুবুর রহমান
ইমু নাম্বার 01971198888
http://www.kolikataherbalcare.com/2882

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৯

মা.হাসান বলেছেন:

বাজারে অনেক কলিকাতা হারবাল আছে, নকল দেখিয়া প্রতারিত হইবেন না।
আপনি অবশ্য আসলটারই ঠিকানা দিয়েছেন, আমি ওখানকার চিকিৎসা নেই ১২ বছর, আপনার কত দিন হলো? B-) গেঞ্জি জাঙ্গিয়া কিছু পাইছেন?






কলিকাতা হারবাল লিমিটেড, কলিকাতা হারবাল কেয়ার, কলিকাতা হারবাল বিডি, কলিকাতা হারবাল মেডিসিন, কলিকাতা হারবাল মেডিক্যাল- সবগুলির মাঝে মোহাম্মদপুর বি.আর.টি.সি বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত কলিকাতা হারবাল কেয়ারই অরিজিনাল।

১৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০০

আখেনাটেন বলেছেন: শুরুতেই মহাকাব্য পড়িয়া মাথা আউলাঝাউলা। B-))


২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০

মা.হাসান বলেছেন: মিশরে কি লোকে আঙুল চোষে ? না কি লেবেনচুশ পাওয়া যায়?
ওখানেও কি এরকম রাস্তা-ঘাটে কবি গিজ গিজ করে?
যদি এখানে এত কবি না থাকে তবে ওখানে চলে গেলে হয়তো কবি এবং কবিতা থেকে বাঁচতে পারবো।

মাথা বেশি আউলাঝাউলা হইলে চেতনার বালিশ মাথায় দিয়া বিশ্রাম নিন :P

১৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বিচি কিতা বা

হাহাহাহা

শুরুতেই মহাকাব্য পড়িয়া মাথা আউলাঝাউলা। B-)) -২

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫২

মা.হাসান বলেছেন: বিচি হইলো উরি আর ফরাশ।
আরো জানিতে ভুয়া মফিজ ভাইয়ের গতকাল সকালের পোস্ট পড়ুন।
-২ এর কারন কি?!!

১৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪১

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা কানাডায় লীগ এর আতিপাতি কিছু করলে আওয়াজ দিয়েন ভাইজান। বয়স না হলে কিছু আগে পিছু  করে দিবো

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২০

মা.হাসান বলেছেন: তোবা তোবা , আপনি খুকি লীগ কেন করিবেন? কানাডায় কি ওলেই, নিউট্রোজেনা পাওয়া যায় না?
দুলাভাইকে খোকা লীগের সভাপতি বানাইয়া কমিটি ঘোষনা করুন। অভিষেক অনুষ্ঠানে যাইয়া কানাডা ঘুরিয়া আসিবো (অথবা আর আসিবো না :-B )।

১৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই, ওনার সাথে দেখা হলে আমার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়েন।

দেখা হবার সম্ভবনা কম। যদি দেখা হয় অবশ্যই বলব। যদি বলেন তো একটা অটোগ্রাফ নিয়ে নিব আপনার জন্য।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩২

মা.হাসান বলেছেন: রাজীব ভাই ধন্যবাদ, অবশ্যই অটোগ্রাফ নিয়ে নেবেন। খুব ভালো হয় যদি ট্রাম্পের অটোগ্রাফ পাওয়া যায়। B-))

১৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

অসাধারণ তত্ত্ব ভায়া!
মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যেও সেইরাম ভাললাগা

ওরে নীল দরিয়া
দেরে দে যুবলীগ বানাইয়া
অমর যৈবন লইয়া আমি থাকবোরে বাঁচিয়া!!!!!!!!!!!!!! :P =p~ =p~ =p~

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০৪

মা.হাসান বলেছেন: ওরে সেলিম ভাইয়া
আমার ক্যাসিনো দে ফিরাইয়া...

আপনার ভালোলাগায় আমি আনন্দিত।

এই গান হোক আমাদের দলীয় সঙ্গিত
অসাধারণ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



যেমন জ্ঞানগর্ভ পোস্ট ততোধিক মজাদার মন্তব্য প্রতিমন্তব্য। অসাধারণ তত্ত্ব এবং তথ্যবহুল পোস্টে অভিনন্দন। জটিলসব গবেষনার বিষয়। আপনি পারেনও।

শুভকামনা সবসময়।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৪

মা.হাসান বলেছেন: নকিব ভাই, সিনেমার কমেডিয়ানরা রাজনীতিবাদদের ভাড়ামির কারনে চাকরি হারিয়ে বেকার।
মন্তব্যকারীরা সবাই সেরের উপর সোয়া সের।
আমি নিয়মিত হতে পারছি না, আপনাকেও মনে হয় সব সময় দেখতে পাই না। আপনাকে দেখে ভালো লাগলো। সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:১১

আরোগ্য বলেছেন: প্রথম দিনই পোস্ট পড়েছি কিন্তু ইদানীং সময় করতে পারছি না তাই আবারও বিলম্ব হয়ে গেল।

প্রথম পাতায় কবিতা দেখে ভাবলুম মা হাসান ভাই কি মোগো ক্ষুধাতুর পেটে লাথ মারিবার পরিকল্পনা করিলো। না, তা কিবায় হয়। ফষ্টেতো যৌবন ধরিবার গুপ্ত রহস্য উদঘাটন করিয়াছেন। বেশ ভালা তবে মুই কইলাম শিশুলীগে যোগ দিতাম। কিতা কন?

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৫

মা.হাসান বলেছেন: ঢাবিয়ানের মন্তব্য থেকে জানলাম আপনি হৃদয় ঘটিত ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, খুব ভালো কথা। প্রেম-ভালোবাসা শিশু কাল থেকে করাই ভালো, বড় হলে দেখবেন নো ভ্যাকেন্সি।
শিশুলীগের সিরিয়ালে মুই কিন্তু কইলাম আগে।

তয় সিরিয়াল যে রহম লাগতে আছে, ২০৪১ সালে যাইয়া কিন্তু কইলাম মায়ের প্যাটের ভিতরে থাকনের সম ই সিরিয়াল দেয়ন লাগবো। জয় ছিছু লীগ।

২১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: রেলওয়ে স্টেশনটার নাম কি ছিল?
কৈশোর এবং কৈশোরোত্তর জীবনে আমাকে রেলওয়েতেই বেশী যাতায়াত করতে হতো। আসা যাওয়ার লম্বা পথে বেশ কয়েকটি রেলওয়ে জাংশনে ট্রেন অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতো। চা খেয়ে ঘুরতে ঘুরতে এরকম কয়েকটি জাংশনের বুকস্টলে দাঁড়িয়ে আমিও এটা ওটা বইএর পৃষ্ঠা উল্টে পাল্টে দেখতাম। আপনার গদ্যের প্রথম লাইনটা পড়েই সে কথাটা মনে পড়ে গেল।
বাকী কথায় আবারো আসছি।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩

মা.হাসান বলেছেন: ব্যক্তিগত ব্যস্ততা বৃদ্ধির কারনে ব্লগে কম আসতে পারছি, আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে বিলম্ব ঘটায় আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

ওটা সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন ছিল। সৈয়দপুরে একটা সেনানিবাস থাকায় কর্মসূত্রে তা আপনার পরিচিত শহর হবার সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয়।

আমার শৈশবের একটা মধুর সময় কেটেছে সৈয়দপুরে। ওখানে সে সময় সেনানিবাসের স্ট্যাটাস ছিলো স্টেশন। আর্মি স্কুল অফ এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এশিয়া) এর স্কুল এবং ইএমই সেন্টার ও স্কুলের সম্ভবত সদর দফতর ছিলো। এশিয়ার বর্তমান অবস্থা জানি না, তবে জানা মতে ইএমই সেন্টার এখন আগের চেয়ে বড় হয়েছে। দুই স্কুলের প্রধান ছিলেন দুজন কর্নেল, সিনিয়র যিনি তিনি স্টেশন কমান্ডার হতেন। আমি যখন প্রথম যাই তখন কর্নেল আবরার সাহেব ওখানকার স্টেশন কমান্ড্যান্ট। ওনার দু ছেলে মইনুল, এহসানুল আর আমি সহপাঠী ছিলাম। কর্নেল আবরার যতটুকু মনে পড়ে খুব সজ্জন ছিলেন। ওনার পরে কর্নেল সাকলায়েন সাহেব কমান্ড্যান্ট হয়ে আসেন। স্কুলের শিক্ষকরা ওনাকে অতটা পছন্দ করতো না। আমি যখন সৈয়দপুর ত্যাগ করি তখন ওটা একটা ব্রিগেড, এখন রংপুর ডিভিশনের আন্ডারে পাঁচটা ব্রিগেড, হয়তো সৈয়দপুরও অদূর ভবিষ্যতে ডিভিশন হয়ে যাবে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে ছিলো রেল ওয়ে বুক ডিপো, আর জি আর পি থানার পাশে ছিলো নিউজ কেবিন। দুই দোকানের মালিক এক জনই ছিলেন। আমার যাওয়া পড়তো নিউজ কেবিনে বেশি। তবে স্টেশনের পাশে আতিয়ার কলোনি, বা ইংলিশ স্কুলের দিকে কিছু বন্ধুর বাসা থাকায় রেলওয়ে বুক স্টলেও যাওয়া পড়তো।
নিউজ কেবিনের মালিক বহু দিন গত হয়েছেন। এখন ওনার দুই ছেলে বইয়ের দোকান দুটো সামলায়। সৈয়দপুরে এখনো মাঝে সাঝে যাই, পুরাতন বন্ধুদের সাথে সাক্ষাৎ করতে- বছর-দু বছরে একবার। গেলে ঐ দুটো দোকানে একবার ঢু মারতে ভুলি না।

আপনার প্রশ্নের জবাব এক কথায় না দিয়ে একটু বেশি বলে ফেললাম, বাচালতা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো, একটু স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে ছিলাম।

২২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: এখন কি ব্লগে আপনাকে কিছুটা কম দেখতে পাচ্ছি? আশাকরি ভাল আছেন।
রঙ্গরসের মাধ্যমে একটি সিরিয়াস বিষয়কে সবাই সহজ করে উপস্থাপন করতে পারেনা, আপনি পারেন।
এসব বিচিদেরকে যে কে বা কারা বিচি বানায়, কিংবা নিদেনপক্ষে শিক্ষকের আসনে বসায়, তা ভেবে অবাক হই। আবার সে বিস্ময় হাওয়ায় মিলিয়ে যায়, যখন দেখি আমেরিকার জনগণও তো ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট বানায়!!!

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৫

মা.হাসান বলেছেন: আপনার আন্তরিকতা পূর্ণ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আল্লাহর কৃপায় শারীরিক ভাবে সুস্থ, কিন্তু সাময়ীক ভাবে কর্ম ব্যস্ততা বাড়ায় ব্লগে আসা কিছুটা অনিয়মিত ।

লেখার এরকম প্রশংসা করায় ধন্যবাদ, ব্লগে অনেকেই এর চেয়ে ভালো লেখেন, কিন্তু রাজনৈতিক বিষয় বলে সংকোচ করেন। দেশে যারা থাকেন তাদের কেউ কেউ কমেন্ট করতেও স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না।

রাজনীতিবিদরা নিয়তই যে রকম মনরঞ্জনমূলক কথা বলেন, তা দিয়ে বোধ করি প্রতিদিনই এরকম একাধিক পোস্ট ব্লগে আসতে পারে। অনেক কিছুই আমাদের গা সওয়া হয়ে যাচ্ছে। শুধু আমাদের দেশেই না, পৃথিবীর অনেক দেশেই রাজনীতিবিদরা বেফাঁস মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন। সুযোগ থাকলে নিচের লিঙ্কে চোখ বুলানোর অনুরোধ করবোঃ
https://en.wikipedia.org/wiki/Foot_in_Mouth_Award

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিচিদের নমুনা দেখে অনুমান করি অ্যাকাডেমিক এক্সেলেন্স না, তৈলবাজীর এক্সেলেন্সই এখন ঐ পদে নিয়োগের অন্যতম যোগ্যতা।

আমারিকাবাসির উচিৎ ট্রাম্পকে আমেরিকার আজীবন রাজা ঘোষনা করে নতুন একজন প্রেসিডেন্ট বানানো। উনি রাজা হয়ে নিয়মিত বানী দিয়ে জগৎবাসীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করবেন।

আপনি সময় থাকলে ইউটিউবে Jimmy Kimmel বা Stephen Colbert এর ভিডিও চ্যানেল দেখতে পারেন, নিচে একটা নমুনা দিলামঃ

https://www.youtube.com/watch?v=uXoNDWWZs7c
অনেক শুভকামনা।

২৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

জুন বলেছেন: আপনার পোস্টটি দারুণ হয়েছে মা হাসান :``>>
জবির ভিসির আশা আকাংখার খবর পড়ে তখনো টাসকিত হয়েছিলাম। কি অবস্থা আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর । আফসোস।
৮ নং স্বামী বিশুদ্ধনন্দের মন্তব্যে প্লাস =p~

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৫

মা.হাসান বলেছেন: পোস্ট ভালো লেগেছে জানায় প্রীত হলাম, অনেক ধন্যবাদ ।

কি অবস্থা আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর । আফসোস।
আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয় ওনারাই ঠিক পথে আছেন, আমারই শিক্ষা অসম্পূর্ণ। আফসোস আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন ওনার মতো গুরু ছিলো না ।

স্বামীজীর বিষয়ে সহমত। ওনার এবং আরো বেশ কয়েকজন ব্লগারের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যের কারণে এই অর্থহীন পোস্টটি কিছু মান পেয়েছে।
এরশাদের মৃত্যু তাবৎ প্রেমিককূলের জন্য বড় অপুরনীয় ক্ষতি করে দিয়ে গেল।

২৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: সৈয়দপুরে একটা সেনানিবাস থাকায় কর্মসূত্রে তা আপনার পরিচিত শহর হবার সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয় - জ্বী, আপনার অনুমানটা পুরোপুরি সত্য। আমার তরুণ বয়সে সাইদপুরে (স্থানীয়ভাবে নামটা এভাবেই তখন মানুষের মুখে উচ্চারিত হতো, এখনকার খবর জানিনা) দু'টি বছর কাটিয়েছিলাম। আজ জীবনের ফেলে আসা দিনগুলোর প্রতি যখন পিছু ফিরে তাকাই, তখন দেখতে পাই, সে সময়টাই ছিল আমার জীবনের শুদ্ধতম সময়। এ নিয়ে পরে কিছু একটা লেখার ইচ্ছে আছে।

আপনার প্রশ্নের জবাব এক কথায় না দিয়ে একটু বেশি বলে ফেললাম, বাচালতা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো, একটু স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে ছিলাম - আপনার এ "বাচালতা" আমাকে নতুন একটা পোস্ট লিখতে উদ্বুদ্ধ করে গেল। সেটা যদি লিখতে না পারি, তবে পুনরায় আপনার এ পোস্টে ফিরে এসে আরো কিছু কথা বলে যাওয়ার আশা রাখি। আর স্মৃতিকাতর আপনি আর কতটুকুই বা হয়েছেন! সপ্তাহ কয়েক আগে সপরিবারে রংপুর-দিনাজপুর-সাইদপুর- লালমনিরহাট ঘুরে এলাম। পুরোটা সফর জুড়ে স্মৃতিকাতরতায় আচ্ছন্ন ছিলাম।

একজন বেসামরিক ব্যক্তি হয়েও তখনকার সামরিক স্থাপনা ও কর্মকর্তাদের উপর আপনার পর্যবেক্ষণ খুবই নিখুঁত হয়েছে। চমৎকার আপনার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা, সেই সাথে স্মৃতিশক্তিও। কর্নেল আবরার প্রকৃতই একজন সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন, সেই সাথে তিনি পেশাগতভাবে দক্ষও ছিলেন। অপরজন ছিলেন যদিও আমার স্বদেশী (প্রচলিত অর্থে, আভিধানিক অর্থে নয়), বলতে দ্বিধা নেই যে তিনি পেশাগতভাবে তেমন দক্ষ ছিলেন না, তবে ওপরে ওঠার কায়দা কানুন এর সকল অলি-গলি তার নখদর্পনে ছিল, তাই তিনি অতটা ওপরে উঠতে পেরেছিলেন এবং পরবর্তীতে অবসর গ্রহণের পর রাজনীতিতে যোগ দিয়ে সংসদ সদস্যও হয়েছিলেন। ওনার সাথে বিদ্যার সখ্যতা ছিল না, তাই হয়তো বা "স্কুলের শিক্ষকরা ওনাকে অতটা পছন্দ করতো না"

চমৎকার প্রতিমন্তব্যের জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।





০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৪

মা.হাসান বলেছেন: সাইদপুরে (স্থানীয়ভাবে নামটা এভাবেই তখন মানুষের মুখে উচ্চারিত হত...)
জী, ঠিক বলেছেন, কাগজে কলমে ''য়'' থাকলেও উচ্চারনে ''য়'' অনুপস্থিত।

এ নিয়ে পরে কিছু একটা লেখার ইচ্ছে আছে।
... আপনার এ "বাচালতা" আমাকে নতুন একটা পোস্ট লিখতে উদ্বুদ্ধ করে গেল।
অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি :)

সপ্তাহ কয়েক আগে সপরিবারে রংপুর-দিনাজপুর-সাইদপুর- লালমনিরহাট ঘুরে এলাম। পুরোটা সফর জুড়ে স্মৃতিকাতরতায় আচ্ছন্ন ছিলাম।

আমার স্কুল জীবনের শুরুটা দিনাজপুরে, পরে সৈয়দপুরে। ২০০৪ এর শেষে লালমনিরহাটের এক মাসের একটা সাময়িক পোস্টিং ছিলো। পুনরায় স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লাম।

স্মরণ শক্তির বিষয়ে যদি বলি, তবে বলবো কৈশর মনে কিছু বিষয়ের দাগ কেটে যাওয়াটাই স্মরণ শক্তির চেয়ে বেশি প্রভাব রেখেছে ।
এশিয়া থাকা অবস্থায় সৈয়দপুর সেনানিবাসে নিরাপত্তা বিষয়ক কড়াকড়ি ছিলো না বললেই চলে। বর্তমান সি এম এইচ এর স্থানে একটা রাইস মিল ছিল, সেনাবাহিনী অধিগ্রহন করার পর ছাইয়ের ঢিপি হিসেবে পরিত্যক্ত ছিলো, আমরা ওখানে লুকোচুরি ইত্যাদি খেলেছি। উচু কলোনি নামের জায়গাটা রেলওয়ের সম্পত্তি ছিলো, আত্মীয় স্বজন কিছু ছিলো, যাতায়াত অবাধ ছিলো। ই এম ই সেন্টার গেটের কাছের পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার সাহেবের ছেলে সহপাঠি ছিলো। সি এম এইচের পূর্ব পাশে অফিসার্স কোয়ার্টারের কাছে (পরে সম্ভবত অফিসার্স মেস হয় ) সেনানিবাসের লাইব্রেরী ছিল, সেনাবাহিনীর সাথে সম্পর্কিত না হওয়া সত্ত্বেও কেমন করে যেন ঐ লাইব্রেরী ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছিলাম।

কর্নেল সাকলায়েন সাহেবের কথা মনে থাকার একটি বিশেষ কারণ আছে। অফিসার্স বাঙলোর উত্তরদিকে বিশাল তিনৈ মাঠের পর পাবলিক স্কুল সংলগ্ন একটা পুকুর ছিলো। কর্নেল সাকলায়েন সাহেব একবার ওখানে সেনাবাহিনীর নিয়মিত সাতার প্রশিক্ষনের পর ভেজা গায়ে সুইমিঙ কস্টিউম (যা আসলে একটু বড় মাপের জাঙিয়া) পরে স্কুল ইন্সপেকশনে চলে এসেছিলেন। ঐ বয়সে এটা আমাদের আমোদের কারণ ছিলো, কিন্তু এখন বুঝি শিক্ষকদের জন্য এটা কষ্টের ব্যাপার ছিলো ।

ভারতের সঙ্গে ট=রেন যোগাযোগ যখন ছিলো তখন হয়তো লালমনিরহাট জমজমাট ছিলো। আমি যে একমাস ছিলাম সে সময়ে লালমনিরহাটকে আকর্ষন বিহীন পেয়েছি।

আবার বলছি, আপনার এই সংক্রান্ত পোস্টের জন্য অনেক আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।

২৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: দেশে যারা থাকেন তাদের কেউ কেউ কমেন্ট করতেও স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না (২২ নং প্রতিমন্তব্য) - একথাটা অবশ্যই অস্বীকার করা যায় না, এবং এজন্য তাদেরকে দোষও দেয়া যায় না, বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে।
রাজনীতিবিদদের বেফাঁস মন্তব্য নিয়ে দেয়া লিঙ্কটা দেখলাম এবং দারুণ উপভোগ করলাম। আর পরেরটা তো আরও অনেক বেশী বিনোদনে ভরা!!! :)

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৪

মা.হাসান বলেছেন: ইউটিউবে Trump লিখে সার্চ দিলে যে ভিডিওই আসুক না কেন, তা বিনোদনে ভরা হবার সম্ভাবনা বেশি। এর মধ্যে Jimmy Fallon, Jimmy Kimmel, Seth Meyers এবং Stephen Colbert এর চ্যানেল আমার বেশি প্রিয়, নিয়মিত দেখার চেষ্টা করি। বিলাতে Mock the Week বা The Mash Report অনুষ্ঠান দুটিও অনেক ভালো মানের।

ফ্রিডম অফ স্পিচের বিষয়ে আমাদের ধারণা আর পশ্চিমা ধারণার বিষয়ে আকাশ পাতাল তফাত, এখানে ঐ ধরণের কিছু আশা করি না।

২৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ASEA বহু বছর আগে ঘাটাইলে স্থানান্তরিত হয়েছে। ইএমই সেন্টার এন্ড স্কুল বর্ধিত কলেবরে এখনো সেখানে স্বমহিমায় দন্ডায়মান। সেখানে এখন একটা পদাতিক ব্রিগেডও আছে, যা বহু আগেও ছিল কিন্তু মাঝখানে কয়েক বছর ছিলনা। ছোট্ট শহরটাতে দুটো সিনেমা হল পাশাপাশি ছিল, একটার নাম "বিজলী”, অপরটার নাম ভুলে গেছি। অবাঙালি অধ্যুষিত এলাকা হওয়া সত্ত্বেও তখন সেখানে “রাজকুমারী চন্দ্রবান”, “বিজয়িনী সোনাভান”, “ফকির মজনু শাহ” নামক বাঙলার ইতিহাস থেকে উপাত্ত নিয়ে নির্মিত সিনেমাগুলো পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে (হাউসফুল) চলতো। অবশ্য সিনেমা ছাড়া সাইদপুরবাসীদের জন্য আর কিইবা বিনোদন ছিল!!!

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬

মা.হাসান বলেছেন: ASEAর বিষয়ে কৌতুহল ছিলো, আপনার কল্যানে তা মিটলো, অনেক ধন্যবাদ।

বিজলী ছাড়া অপর সিনেমা হলটির নাম ছিলো লিবার্টি। এত বছর পর আপনার এত গুলো সিনেমার নাম মনে আছে দেখে আমি বিস্মিত!
পরে রেল গেটের কাছে আরেকটা সিনেমা হল খুলেছিলো, তামান্না হল, বর্তমানে ওটাই একমাত্র চালু সিনেমা হল। টেকনিক্যাল কলেজের পাশের হলটি গ্যারিসন সিনেমা হল নামে পরিচিত ছিলো। গ্যরিসন সিনেমা হল বন্ধ হয়ে সেখানে এখন কমিউনিটি সেন্টার জাতীয় কিছু একটা হয়েছে, বিয়েশাদি ইত্যাদিতে ভাড়া দেয়া হয়। লিবার্টি সিনেমা হল বন্ধ হয়ে ওখানে বহুতল শপিং কমপ্লেক্স হয়েছে। বিজলী সিনেমা হলও বন্ধ, ওখানেও মার্কেট তৈরীর কাজ শেষের পথে ।

অবশ্য সিনেমা ছাড়া সাইদপুরবাসীদের জন্য আর কিইবা বিনোদন ছিল!!!

ঐ সময়ের রাজনীতিবিদরা এখনকার রাজনীতিবিদদের মতো স্মার্ট ছিলো না, নইলে ক্যাসিনো, বার এগুলির ব্যবস্থা রাখতেন।

২৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০২

জুন বলেছেন: আপনি কোথায় মা হাসান :-*
এখানেও নেই, কিরপিনের থাইল্যান্ড ভ্রমনো শেষ হলো না। ঘটনা কি??

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০

মা.হাসান বলেছেন: জুন আপা , অত্যন্ত দুঃখিত, কিছু কাজে এবং কিছু অকাজে ব্যস্ত ছিলাম। কাজের চাপ মোটামুটি ভাবে দু দিনের জন্য কমেছে। ব্লগ ডে উপলক্ষ্যে প্রকাশিতব্য স্মরণিকায় দেয়ার জন্য কিছু একটা আজ রাতে লেখার ইচ্ছে। শনি বার আশা করি কিরপিন কাহিনীর এক পর্ব এবং মঙ্গল বার আরেক পর্ব দিতে পারবো, কিন্তু তার পর আবার কিছু গ্যাপ পড়বে। বড় গ্যাপ দেয়ার জন্য অনেক দুঃখিত।

২৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিজলী ছাড়া অপর সিনেমা হলটির নাম ছিলো লিবার্টি - ইয়েস, নাউ আই রিমেম্বার!
পরে রেল গেটের কাছে আরেকটা সিনেমা হল খুলেছিলো, তামান্না হল, বর্তমানে ওটাই একমাত্র চালু সিনেমা হল - ও আচ্ছা! তাই তো গতমাসে সাইদপুর সফরের সময় রেল গেটের কাছে এই সিনেমা হলটি দেখে অনেকটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছিলাম। একসময় এত চেনা জায়গা ছিল এই রেলগেট, এখন সেখানে একটা অচেনা স্থাপনা দেখে অবাকই হয়ে গিয়েছিলাম। আমি যখন বিকেলের দিকে দিনাজপুর থেকে ফিরে সাইদপুর সেনানিবাসের দিকে যাচ্ছিলাম, তখন ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বের করা একটা মিছিলের কারণে সেই সিনেমা হলটির সামনে দিয়ে মিছিলের পিছে পিছে অনেক ধীর গতিতে এগোতে হচ্ছিল। তখন সিনেমা হলটি নজরে পড়ে এবং এই অচেনা স্থাপনাটি দেখে একটু অস্বস্তি লাগছিল।
টেকনিক্যাল কলেজের পাশের হলটি গ্যারিসন সিনেমা হল নামে পরিচিত ছিলো - আমি একসময় ওটার প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলাম।
উচা কলোনি এবং নীচা কলোনির কথা মনে আছে। উচা কলোনির একটি ছেলে (নাম ভুলে গেছি) তখনকার সাইদপুর রেলওয়ে ওয়ার্কশপ এর চীফ ইঞ্জিনীয়ারের ছেলে মুরাদ এর সাথে সেনানিবাসে প্রায়ই আসতো। সে হাত দেখে ভবিষ্যৎবাণী করতো। একদিন আমার হাত দেখে বললো, 'আপনি খুব শীঘ্রই বিদেশে যাবেন'। এমনিতেই আমি হাত দেখায় বিশ্বাস করিনা। তার উপর সে সময়ে আমার বিদেশ যাত্রার কথা কল্পনাও করতে পারতাম না, কেননা তখনো পর্যন্ত সেনাবাহিনীর জন্য ইউ এন মিশন প্রথা শুরু হয়নি, এমনকি বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্যও খুবই কদাচিৎ কাউকে বিদেশে পাঠানো হতো। যাহোক, ভবিষ্যৎবাণীর ৫ বছর পর যেদিন সত্যি সত্যি বিদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম, সেদিন ছেলেটির কথা মনে পড়েছিল।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৭

মা.হাসান বলেছেন: টেকনিক্যাল কলেজের পাশের হলটি গ্যারিসন সিনেমা হল নামে পরিচিত ছিলো - আমি একসময় ওটার প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলাম।
ঝন্টু নামের আমার মামা সম্পর্কের একজন ঐ হলের ম্যানেজারের দায়িত্বে দীর্ঘদিন ছিলেন। বেশ ফর্সা, সুদর্শন, কিন্তু রুগ্ন স্বাস্থ্য। উচু কলোনীতে থাকতেন। ওনার কাছে শুনেছিলাম যে কোন নতুন সিনেমা প্রদর্শনের আগে স্টেশন স্টাফ অফিসার (এস এস ও) সারের অনুমতি নিতে হতো। আপনি কি এস এস ও ছিলেন? জানালে বাধিত হবো।

আমার সেই মামার কাছেই শোনা, বিডিআর এবং সেনানিবাসের হল গুলোকে সরকার কিছু ট্যাক্স রেয়াত দিতো বলে হল গুলো মোটামুটি ব্যবসা করতে পারতো। এছাড়া ভারতীয় সিনেমা প্রদর্শনের বিষয়েও মনে হয় ঐ হলো গুলো কিছু সুবিধা পেত। আমার মনে আছে, আশির দশকের শুরুর দিকে দিনাজপুরে বিডিআর অডিটরিয়ামে (কুঠিবাড়ি নাম ছিলো) ভারতীয় 'পথে হলো দেরি' সিনেমা দেখেছিলাম এবং সৈয়দপুরে গ্যারিসনে 'হাতি মেরে সাথি' দেখেছিলাম। বাংলাদেশের অন্যান্য হলে অনেক আগে থেকেই ভারতীয় ছবি প্রদর্শন বন্ধ ছিলো। পরে গ্যারিসন হল গুলোতেও বন্ধ হয়ে যায়।
হাত দেখে বিদেশে যাবার ভবিষ্যতবাণী খুব কমন একটা ভবিষ্যতবাণী। যখন ছাত্র ছিলাম, এক পরিচিত ভদ্রলোককে হস্তরেখাবিদ বলেছিলেন আপনি কি শিঘ্র বিদেশ যাচ্ছেন ? না ? তাহলে আপনার পরিবারের নিকটাত্মিয় কেউ যাবেন। শুনে সিনিয়র এক ভাই বলেছিলেন, বাংলাদেশের প্রায় সব শিক্ষিত পরিবার থেকেই গড়ে এক বা তার বেশি লোক দেশের বাইরে অন্তত এক বার গিয়েছে বলে এই ভবিষ্যতবাণী সত্য হবার সম্ভাবনা খুব বেশি।
হাত দেখার বিষয়টি বেশ রহস্যাবৃত, অন্য সময় আলোচনা করা যাক।

২৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভারতের সঙ্গে ট=রেন যোগাযোগ যখন ছিলো তখন হয়তো লালমনিরহাট জমজমাট ছিলো। আমি যে একমাস ছিলাম সে সময়ে লালমনিরহাটকে আকর্ষন বিহীন পেয়েছি - আমার শৈশব-কৈশোরে আমি লালমনিরহাটকে অত্যন্ত জমজমাট একটি রেলওয়ে শহর হিসেবে দেখতে পেয়েছি। রেলের বড় বড় ইঞ্জিনীয়ারগণ তখন সেখানে সপরিবারে বাস করতেন। অবশ্য তাদের মধ্যে বেশীরভাগই ছিলেন অবাঙালি। আবার বেশীরভাগ অবাঙালিরা মাজার পূজারী ছিল। আমার নানাবাড়ীর খুব কাছেই একটি পীরের দরগা ছিল। ছোটবেলায় দেখেছি, প্রতি শুক্রবারে অবাঙালিদেরকে সেই দরগাহে ভিড় করতে। আর ওরসের সময়তো হুলস্থুল পড়ে যেত। বিশেষ করে মহিলারা কোলে পিঠে শিশুদের নিয়ে দরগাহে এসে নানারকমের মানত করতেন। তখন আমিও কয়েকবার কলাপাতায় বিতরণকৃত গরম গরম খিচুড়ি খেয়ে বেশ তৃপ্ত হয়েছিলাম।
আমি শহরে থাকতাম না। আমার নানাবাড়ী ছিল রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৩/৪ কিমি দূরের একটি গ্রামে, এরোড্রামের সন্নিকটে। ১৯৪২ সালে আমার আম্মার দাদাদের কৃষি জমি অধিগ্রহণ করে এরোড্রামটি নির্মাণ করা হয়। আর তখন থেকে শুরু হয় তাদের দিনে দিনে নিঃস্ব হতে শুরু করা, আর কফিনে শেষ পেরেকটি গাঁথা হয় ১৯৫০ সালে, জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির মাধ্যমে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৪

মা.হাসান বলেছেন: মাজার পুজার বিষয়টি শুধু অবাঙালী না, আমাদের দেশের কয়েকটি এলাকার লোকের মাঝেও ব্যপক প্রচলিত। তবে উত্তর বঙ্গে এটার প্রকোপ কম।

বাংলাদেশের রেলওয়ের যমুনার পূর্ব এবং পশ্চিম দু পাশের অংশকে অফিসিয়ালি পূর্ব এবং পশ্চিম যোনে ভাগ করা হয়েছে। পশ্চিম যোনের সদর রাজশাহীতে। এখানে পদ্মার উত্তরের অংশের কাজ একটা ডিভিশন থেকে নিয়ন্ত্রন করা হয়, ডিভিশনের হেডকোয়ার্টার লালমনিরহাটে। দক্ষিনের হেড কোয়ার্টার পাকশীতে। এছাড়া সৈয়দপুর এবং পার্বতীপুরের কারখানা দুটোকেও দুই ডিভিশন ধরা হয়।
আমার পোস্টিং ছিলো লালমনিরহাটের রেলওয়েতে, এক মাসের কিছু কম। পরে সৈয়দপুরে আরো তিন-চার মাস।
পাকশীর উত্তরে সমস্ত লাইন-- দিনাজপুর, চিলাহাটি, লালমনিরহাট, বগুড়া-- সব লাইনের মেরামত, সংরক্ষন, নিরাপত্তা, স্টেশন গুলোর সংস্কার, টিকেটিং, রেল কর্মচারিদের বেতন-পেনশন (সৈয়দপুর-পার্বতিপুর কারখানা বাদে), চিকিৎসা সেবা ইত্যাদি সব লালমনিরহাট থেকে নিয়ন্ত্রন করা হয়। বিশ্বব্যাংকের চাপে আশির দশক থেকে রেলে সংকোচনের কাজ শুরু হয়। সৈয়দপুরের কারখানায় ব্রিটিশ পিরিয়ডে তিন হাজারের বেশি কর্মচারি কাজ করতো (এই উপমহাদেশের তিনটি বড় কারখানার মধ্যে ওটা একটা ছিলো), ২০০৫ সালে ওখানে হাজার খানেক লোক কে চাকরি করতে দেখেছি, যাদের অধিকাংশ কর্মহীন বসে থাকতো। একটা ডিভিশনে একজন ডিভিশনাল মেডিকেল অফিসার থাকেন (আরো কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার থাকেন), বেশ কয়েকজন ইলেক্ট্রিকাল ও মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার (মেকানিকাল অনেক বেশি) থাকেন, সম্ভবত একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার থাকেন, এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর একজন কমান্ড্যান্ট থাকেন এবং হিসাব বিভাগে একজন ডিএফএ থাকেন। নিরাপত্তা বিভাগের কমান্ড্যান্ট এবং এস্টেট অফিসে সব সময়ই প্রোমোটেড অফিসার দেখেছি, এরা গলি-ঘুপচির খবর ভালো রাখে, কিন্তু মানসিকতার উন্নয়ন কম। অ্যাকাউন্টস বিভাগে কালে ভদ্রে দু একজন ডাইরেক্ট অফিসার নিয়োগ দেয়া হয় (১৯৭১ এর পর সৈয়দপুরে তিন-চার জন, লালমনিরহাটে সম্ভবত দুজন)। রেলের সে সময়ের দশায় ইঞ্জিনিয়ার সাহেবদের প্রায় সকলকে খুব ডিমোরালাইজড দেখেছি।

জমিদারী প্রথার খারাপ দিক হয়তো অনেক ছিলো, তবে আমি যে সব জমিদারী এলাকায় দেখেছি সে সব এলাকায় সব জমিদারই প্রজা বৎসল বলে শুনেছি। শিক্ষা বিস্তারে এই অঞ্চলে জমিদাররা বড় ভূমিকা রেখেছিলেন।

৩০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: এত বছর পর আপনার এত গুলো সিনেমার নাম মনে আছে দেখে আমি বিস্মিত! - তখন সন্ধ্যার পর করার কিছু থাকতো না। তাই অনেকসময় আমরা বন্ধুরা দলে বলে মিলে সিনেমা দেখতে চলে যেতাম। যে তিনটে ছবির নামোল্লেখ করেছি, ওগুলোর প্রতি আমার মোটেই আকর্ষণ ছিলনা। তাই অবাঙালিরা ওসব ঐতিহাসিক এবং লোক সংস্কৃতি নির্ভর ছবি দেখে কী মজা পেতো, তা ভেবে বিস্মিত হ'তাম।
বিজলী এবং লিবার্টি হল দুটো পায় পাশাপাশি ছিল। ও দুটোর ঠিক উল্টো দিকে একটি ফটোগ্রাফ স্টুডিও ছিল। সদ্য বিবাহের পর পর আমি আর আমার স্ত্রী মিলে সেখানে গিয়ে একটি যুগল ছবি তুলেছিলাম, সে মধুর স্মৃতিটি এখনও মনে উজ্জ্বল। হায়রে, কোথায় হারিয়ে গেল সেই এ্যানালগ দিনগুলো! এখন এই স্মার্টফোনের যুগে প্রতিদিনই কত না ছবি তুলি, কিন্তু কোথায় সেই তখনকার দিনের আনন্দ। নিজে প্রথম ঢাকা স্টেডিয়ামের "কালাম ইলেক্ট্রনিক্স" দোকানটি থেকে থেকে একটি ইয়াশিকা ক্যামেরা কেনার পর একদিন মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে সারাদিন ঘুরে ঘুরে ছবি তুলেছিলাম। আমাদের সেখানে যাবার কয়েকদিন আগে বিটিভি প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লার কয়েকটি গান সেখানে রেকর্ড করেন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৬

মা.হাসান বলেছেন: সৈয়দপুর শহরে প্রচুর আত্মীয়-স্বজন ছিলো। ফটো স্টুডিও গুলোর মধ্য সম্ভবত সবচেয়ে পুরাতনটির নাম ছিলো সৈয়দপুর ফটো স্টুডিও, পরে ওটা ভেঙে যুগনু স্টুডিও নামে নতুন স্টুডিও খোলা হয়। সৈয়দপুর ফটো স্টুডিওর (এবং পরে যুগনু স্টুডিওর) আকবর সাহেব ছিলেন ঐ সময়ের সম্ভবত সবচেয়ে দক্ষ ফটোগ্রাফার। উনি সম্পর্কে আমার মামা হতেন।

ঐ সময়ে ক্যামেরার মালিক হওয়া সহজ ছিলো না। খুব সৈখিন লোকেদের সংগ্রহে হয়তো ক্যামেরা থাকতো। পিকনিক বা এরকম অনুষ্ঠানে খোঁজা হতো কার নিকটাত্মীয়ের ক্যামেরা আছে। যেহেতু ফিল্ম ভরতে হতো, এবং পয়সা দিয়ে ফিল্ম কিনতে হতো, ছবি তোলার আগে অনেক ভেবে চিন্তে শাটার টিপতে হতো। ফিল্ম ভরার ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হতো, না হলে প্রথম দিকের অংশটা এক্সপোজড হয়ে যেত। প্রতিযোগিতা থাকতো একটা রোলে ৩৬টার বেশি ছবি তোলা যায় কি না। এখন ছবি তোলা কত সহজ হয়ে গেছে !

৩১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: সেনানিবাস থেকে রেলগেটে যাবার পথে হাতের বামে পড়তো রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাব। সেটি একটি প্রাচীন ক্লাব ছিল। সেই তখনকার দিনেও সেখানে একটি উন্নত মানের বিলিয়ার্ড টেবিল ছিল। রেলের অফিসার ছাড়াও কিছু এনজিওতে কাজ করা বিদেশী নারী পুরুষ সেখানে বিলিয়ার্ড খেলতে আসতেন। সেখানেই আমার প্রথম বিলিয়ার্ড খেলার হাতেখড়ি হয়। খুব পরিচ্ছন্ন ছিল আমাদের তখনকার সে জীবন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪০

মা.হাসান বলেছেন: সেনানিবাস থেকে রেলগেটে যাবার পথে হাতের বামে পড়তো রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাব। সেটি একটি প্রাচীন ক্লাব ছিল। সেই তখনকার দিনেও সেখানে একটি উন্নত মানের বিলিয়ার্ড টেবিল ছিল।

আমার পোস্টিঙের সময়ে দু-এক সন্ধ্যা ওখানে কাটানোর চেষ্টা করেছি। সহকর্মিরা আন্তরিক ছিলেন, বিলিয়ার্ড শেখানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু আমার শেখা হয়ে ওঠেনি।

পাশের বিল্ডিঙ-যেখানে কিছু বিদেশি ভদ্রলোক-ভ্দ্রমহিলা থাকতেন- ওটাকে আমরা কানাডা বিল্ডিঙ বলতাম। সম্ভবত ওখানে একটা টেনিস কোর্টও ছিলো। কানাডা বিল্ডিঙের ভেতর একটা সুইমিঙ পুলও ছিলো। আমার থাকাকালীন সময়ে ওনাদের কাউকে অফিসার্স ক্লাব ব্যবহার করতে দেখি নি। ঠিক উল্টা দিকে ছিলো ডিভিশনাল মেডিক্যাল অফিসারের বাসা। তার পাশেই ছিলো অনেক ইউক্যালিপটাসে ঘেরা ডিভিশনাল সুপারিনটেনডন্টের বাসা। ওটাই ছিলো সবচেয়ে সুন্দর বাসা।
মেইনটেন্যান্সের অভাবে বর্তমানে অধিকাংশ বাসার দশা খারাপ। কেউ থাকতে চান না। অনেক জায়গা দখল হয়ে গেছে।
গ্যারিসন সিনেমা হলের উত্তরের কোন একটি রেলওয়ের বাসায় এক সময় প্রেসিডেন্ট এরশাদ থাকতেন বলে শুনেছি (প্রেসেডেন্ট হবার অনেক আগের কথা, পূর্ব পাকিস্তান আমলেও হতে পারে)। রেলওয়ের একাধিক পুরাতন কর্মকর্তা-কর্মচারির কাছে যাচাই করে বিষয়টি সত্য বলেই মনে হয়েছে। আপনি হয়তো আরো ভালো জানবেন।

৩২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৩

হাবিব বলেছেন: হায় হায়...... এই সব তত্ত্ব কথা আমার তো জানা ছিলো না। জানিয়ে বাধিত করলেন

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ হাবিব স্যার ।

৩৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫

জুন বলেছেন: আমার জন্ম সৈয়দপুরে কিন্ত সেই শহর সম্পর্কে আমাকে কিচ্ছু জিজ্ঞেস করবেন্না মা হাসান , কারন তিন মাস বয়সে মায়ের কোলে চড়ে সেই শহর পরিত্যাগ করেছিলাম /:)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মা.হাসান বলেছেন: সৈয়দপুরে যুদ্ধ শুরু হয় ২৬ মার্চের অনেক আগেই, ৭ই মার্চের পরপরই। বাবা-মা প্রাণ নিয়ে কোলের শিশু বড় ভাই সহ পালিয়ে যান। অনেক পরে, আশির দশকে চাকুরি উপলক্ষ্যে বাবা ফিরে আসেন। আমার মধুর স্মৃতির বেশির অংশ সৈয়দপুর ঘিরে।

থাই ভ্রমনের ব্যাপারে দুঃখিত। ট্রাটের প্রথম অংশের খসড়া কাল রাতে শেষ করেছি। আজ সময় পাই নি। রাতে ড্রাফট চেক করে ছবি যোগ করার ইচ্ছে। আশা করি কাল পোস্ট করতে পারবো।


আমার জন্ম সৈয়দপুরে কিন্ত সেই শহর সম্পর্কে আমাকে কিচ্ছু জিজ্ঞেস করবেন্না

ঐ বিহারী অধ্যুষিত শহরে কি করছিলেন জানার আগ্রহ জাগিয়ে দিলেন। জিজ্ঞাসা করবেন না বলতে কি আমরা থামবো? হয়তো অনেক দুঃখের স্মৃতি ছিলো আপনার মা-বাবার। কিন্তু এর মানে তো এই যে সুখের স্মৃতিও আছে, দুঃখ একা থাকে না। কাজেই আশা করবো কোনো একদিন লিখবেন।

৩৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০১

জুন বলেছেন: সুখ দুক্ষের কিছু না মা হাসান , আমার আব্বা ঢাকা ট্রান্সফার হয়েছিল তাই #:-S

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২

মা.হাসান বলেছেন: চন্দ্রঘোনা মিল ছিল আমার জানা মতে শিল্প মন্ত্রনালয়ের অধীন। সৈয়দপুরে শিল্প মন্ত্রনালয়ের অধীন এমন কিছুর কথা মনে পড়ছে না যেখানে আপনার আব্বার পোস্টিঙ হতে পারে। কৈতুহল থেকে গেল।

৩৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শিলাজিৎ ও মোকাব্বে আজম হালুয়া খেলে নাকি যৌবন দীর্ঘস্থায়ী হয়। এ সম্পর্কে আপনার কিছু জানা আছে কী?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫

মা.হাসান বলেছেন: আপনি ব্লগের চীর নবীন, আপনার তারুণ্যের রহস্য কি আপনি ফাঁস করবেন? মনে হয় না।

শিলাজিৎ ও মোকাব্বে আজম হালুয়া সত্য যুগে কাজ করতো, দ্বাপরেও হয়তো করতো। এখন কাজ না করার সম্ভাবনাই বেশি। দ্রব্যগুন চলে গেছে। বিকল্প হিসেবে ব্লগারস লীগ, নিদেন পক্ষে আড্ডাঘর লীগে যোগদান করলে কাজ হবে বলে মনে করি :)

৩৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ২০০৪ এর শেষে লালমনিরহাটের এক মাসের একটা সাময়িক পোস্টিং ছিলো। পুনরায় স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লাম (২৪ নং প্রতিমন্তব্য) - এক বছরেরও কম সময় সেখানে অবস্থান করেছিলেন, তারপরেও এতটা স্মৃতিকাতর? এ বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের কত খানেই না মুসাফির মানুষের কত স্মৃতি ছড়িয়ে থাকে!
বর্তমান সি এম এইচ এর স্থানে একটা রাইস মিল ছিল, সেনাবাহিনী অধিগ্রহন করার পর ছাইয়ের ঢিপি হিসেবে পরিত্যক্ত ছিলো, আমরা ওখানে লুকোচুরি ইত্যাদি খেলেছি (২৪ নং প্রতিমন্তব্য) - মিলটির নাম ছিল "অন্নপূর্ণা রাইস মিল"। স্বাধীনতার আগে এক মাড়োয়ারী পরিবার মিলটির মালিক ছিলেন বলে জানি। অফিসার্স মেস থেকে কখনো পায়ে হেঁটে, কখনো বাইসাইকেলে চেপে আমার ইউনিটে যেতাম। কখনো হাতে সময় কম থাকলে, বিশেষ করে বিকেলের গেমস পিরিয়ডের সময়, সেই অন্নপূর্ণা রাইস মিল এর পাশ দিয়ে শর্ট কাট পথ ধরতাম। একদিন বিকেলে সেই পথ ধরে হাঁটার সময় কেন যেন কিছু একটা চিন্তা করে মনটা বিষণ্ণতায় ভরে উঠেছিল।
ঝন্টু নামের আমার মামা সম্পর্কের একজন ঐ হলের ম্যানেজারের দায়িত্বে দীর্ঘদিন ছিলেন (২৮ নং প্রতিমন্তব্য)- ঝন্টু নামটি কানে খুবই পরিচিত শোনাচ্ছে।
আপনি কি এস এস ও ছিলেন? জানালে বাধিত হবো (২৮ নং প্রতিমন্তব্য) - না, আমি এসএসও ছিলাম না। আমি তখন একটি ছোট্ট ইউনিটের অধিনায়ক ছিলাম। আমি চলে আসার পর থেকে হলটির প্রশাসনিক দায়িত্ব এসএসও'র ওপর অর্পিত হয়।

এবারে অন্য প্রসঙ্গ- কিরপিন এর প্রথম পর্বে একটা মন্তব্য রেখেছিলাম। হয়তো দেখে থাকবেন।
ভাল থাকুন। শুভকামনা ও দোয়া---

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১

মা.হাসান বলেছেন:
মিলটির নাম ছিল "অন্নপূর্ণা রাইস মিল"।
আমি রাইস মিলটি যখন দেখি, তখন ওটা পরিত্যক্ত। অন্নপূর্ণা নামে দেখার সৌভাগ্য হয় নি। অনুমান করি ১৯৮৫ র আগে আপনি ওখানে ছিলেন। আমার ঐ এলাকার সাথে পরিচয় আরো পরে।
ঝন্টু নামটি কানে খুবই পরিচিত শোনাচ্ছে।
ঝন্টু মামা হলের দায়িত্ব সম্ভবত আশির দশকের মাঝামাঝিতে নেন। এর আগে ওনার বড় ভাই মাহমুদ মামা দায়িত্বে ছিলেন। আপনি মাহমুদ মামাকেও দেখে থাকতে পারেন। সময়কাল সম্পর্কে নিশ্চিত না, দুঃখিত।
এ বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের কত খানেই না মুসাফির মানুষের কত স্মৃতি ছড়িয়ে থাকে!
মনে দাগ রেখে গেল কথাটা।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১২

মা.হাসান বলেছেন: কিরপিন প্রথম পর্বের মন্তব্য -- আমার চোখ এড়িয়ে গেছে, খুব দুঃখিত, এখনই দেখার চেষ্টা করবো।

৩৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭

একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: জানা ছিলনা জানা হলো ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.