নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামুপাগলার প্রথম প্রাণী ব্লগ: কিছু কথা কিছু ছবি - ৫ টি রোমাঞ্চকর ও উত্তেজনাপূর্ণ জীবন মরণ লড়াই!

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪

ইদানিং আমি প্রাণীদের ওপরে আগ্রহী হয়ে পড়েছি। আমি আমার বন্ধুদের সবসময় বলি, "ইফ আই ওয়াচ ইট, ইউ হ্যাভ টু ওয়াচ ইট!" নিজের যত প্রিয় শো, গান আছে সব বন্ধুদেরও দেখাই (জোর করে হলেও ;) )। ব্লগেও একই কাজ করি। আমার যখন যে "বাতিক" ওঠে সেটা সহব্লগারদের সাথে শেয়ার করি। হয় নিজের কোন পোস্টে বা আমাদের আড্ডাঘরে। তো সহব্লগারদের বলব, "ইফ আই নো ইট, ইউ হ্যাভ টু নো ইট! :) লেটস গেট স্টার্টেড।
ওহ হ্যাঁ, একটি দুটি ছবি একটু ঘিনঘিনে মনে হতে পারে কারো কাছে। কিছু খেতে খেতে পোস্টটি না পড়াই ভালো।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

১) টেক্সাস হর্নড লিজার্ড!



ওরা পিঁপড়া, ফড়িং, পোকা, মাকড়সা ইত্যাদি শিকার করে। ওরা চলতে চলতে নজর রাখে চারিদিকে, যখনই কোন শিকার পায় জিভ দিয়ে মুখে টেনে গিলে ফেলে।
জঙ্গলের এক শিকারীর অন্য শিকারী রয়েছে! বাজপাখি, সাপ, ইঁদুর, বিড়াল, কুকুর, নেকড়ে ইত্যাদি শিকার করে হর্নড লিজার্ডকে। কিন্তু ওরা সহজে হার মানে না। নিজেদের বাঁচানোর জন্যে আপ্রাণ লড়াই করে। সবচেয়ে প্রথমে নিজেদের কন্টকময় শরীর ব্যবহার করে শিকারীকে হারানোর চেষ্টা করে। যদি সেটা কাজ না করে তাহলে, ওদের শরীরের রং কে ব্যবহার করে যা মাটির সাথে মিলে যায়। তাই ওরা নিঃশ্বাস বন্ধ করে চুপচাপ মাটির সাথে মিশে থাকার চেষ্টা করে। নিজেদের শরীরটাকে ফ্ল্যাট করে রাখে যেন মাটিতে ওদের ছায়া শিকারীর নজরে না আসে! শিকারীরা হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়ায় চারিদিক, কিন্তু মাটির সাথে মিশে যাওয়া ধূর্ত হর্নড লিজার্ডকে খুঁজে পায়না!



যদি কোন কারণে মুখোমুখি হয়ে যেতে হয় শিকারীর তাহলে ওরা যা করে তা অকল্পনীয়!
নিজের চোখ দিয়ে রক্ত বের করে সেই রক্ত শিকারীর চোখ ও মুখের দিকে ছুড়তে থাকে! ওরা ৫ ফিট পর্যন্ত রক্ত ছুড়তে পারে! নিজেদের শরীরের এক তৃতীয়াংশ রক্ত পর্যন্ত রক্ত খরচ করতে পারে এই কাজে। এটিই ওদের শেষ সম্বল, যদি এই স্ট্রাটেজী ফেইল করে, তবে ওদেরকে মৃত্যু বরণ করতে হয়।

২) গ্রেট হোয়াইট শার্ক এবং এলিফ্যান্ট সিল!



গ্রেট হোয়াইট শার্ক এবং এলিফ্যান্ট সিলের সম্পর্কটা চোর পুলিশের মতো! হোয়াইট শার্ক নিজের অসাধারণ শ্রবণ শক্তির মাধ্যমে বুঝে যায় যে কোথায় আছে তার প্রিয় শিকার সিল! কিন্তু সিলও কম যায়না। তারা মাটির ওপরে থেকে কিছু সময় নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। কিন্তু কতদিন পানি থেকে দূরে থাকতে পারে সিল? এলিফ্যান্ট সিলের সামনে দুটো রাস্তা থাকে। হয় পানির ওপরে থেকে আত্মহত্যা করো, অথবা পানির মধ্যে গিয়ে খুন হও! হোয়াইট শার্ক সেই একটি মুহূর্তের অপেক্ষায় থাকে যখন সিল আর না পেরে পানির মধ্যে যাবে। আর এলিফ্যান্ট সিল অপেক্ষায় থাকে কখন শার্ক একটু অন্যমনস্ক হবে। ধৈর্য্যের খেলায় যে জেতে সেই পায় জীবন অথবা জীবন বাঁচানো খাদ্য!

৩) ফ্রেঞ্চ গুয়ানা টার্মাইট!

ফ্রেঞ্চ গুয়ানায় পাওয়া যায় এমন একধরণের টার্মাইট, যাদের বয়স্ক সাথীরা পুরো সমাজকে বাঁচাতে আত্মহননের মিশনে চলে দেয়! বয়স্ক হওয়ায় তারা আগের মতো শ্রম দিতে পারেনা দলের কোন কাজে কিন্তু বয়সের সাথে সাথে তাদের তলপেটের গ্রন্থি প্রচুর পরিমাণে বিষাক্ত নীল ক্রিস্টালের মতো পদার্থ উৎপন্ন করে ফেলে। এই বিষাক্ত পদার্থ শত্রুদের ওপরে বিস্ফারিত হয়, তাদেরকে প্যারালাইজ করে মেরে ফেলে। দুঃখজনক ভাবে সেই বৃদ্ধটিও একই সাথে মারা যায়। আমাদের দেশের এবং বিদেশেরও অনেক মানুষ দেশের জন্যে যেভাবে জীবন দেয়, নি:শ্বার্থ ভাবে, এই ক্ষুদ্র প্রাণীরাও প্রয়োজনে তা করতে পারে। ফ্যাসিনেটিং!



৪) সি কিউকাম্বার!



সমুদ্রের শসার শেপের এই প্রাণীগুলো মাছ এবং অনান্য সামুদ্রিক প্রাণী শিকার করে। আর ওদের শিকারী সামুদ্রিক কচ্ছপ। ওরা নিজেদের শরীরের বিষাক্ত অংশগুলোকে আলাদা করে ছুড়ে মারতে পারে শিকারীর দিকে। যদি জানে বেঁচে যায় তাহলে আবারো সেই অর্গানগুলো গজিয়ে যায়। তবে হ্যাঁ যেহেতু এই অর্গানগুলো আবার গজাতে সময় নেয়, কিছু কিছু সি কিউকাম্বার বালুর মধ্যে ঢুকে নিজেদের ঢেকে দিয়ে শিকারীদের চোখের আড়ালে থাকে। কিন্তু সবসময়ের জন্যে তো আর বালুর মধ্যে লুকিয়ে থাকা সম্ভব নয়।

এই অসাধারণ প্রাণীরা নিজেকে বাঁচানোর জন্যে আরো যা করে তা আমাদের মানুষের ক্ষমতা ও কল্পনার বাইরের! ওরা নিজেদের শরীরকে লিকুইড থেকে সলিডে এবং সলিড থেকে লিকুইডে পরিবর্তন করতে পারে! শুধু তাই নয়, নিজেকে নানা ভাগে ভাগ করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে পারে, এভাবে এদের শিকারীরা বোকা হয়ে যায় এবং ভাবে ওরা মৃত্যু। শিকারী সামনে থেকে চলে গেলে আবার নিজের শরীরকে জোড়া লাগিয়ে ফেলে! গ্রেট সুপারপাওয়ার!

৫) হ্যাগফিস!

হ্যাগফিসকে যদি কোন শার্ক বা অন্যকোন শিকারী এটাক করে তবে তারা নিজেদের শরীর থেকে আঠালো পদার্থ বের করে, পানির সাথে মিশে সেটা শক্ত জেলের মতো আঠা হয়ে যায়। সেই আঠা শিকারীদের আটকে দিতে পারে আবার শিকারীদের শ্বাসযন্ত্র রোধ করে মেরেও ফেলতে পারে! বিজ্ঞানীরা বলেন হ্যাগফিশের আঠাকে বুলেট প্রুফ ভেস্ট তৈরীর কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে!



একবার দেখা গিয়েছিল যে একটি হ্যাগফিসকে ১৪ বার এটাক করে শার্ক, কিন্তু প্রতিবার হ্যাগফিশকে কামড়ানোর পরে অস্বস্তিতে ছেড়ে দেয় এবং শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায় সাঁতরে পালিয়ে যায়!

তার মানে এই না যে ওদেরকে শিকার করাই যায়না! ওদেরকে শিকারের সবচেয়ে এবং সম্ভবত একমাত্র উপযুক্ত সময় হচ্ছে যখন ওদের আঠা উৎপন্নকারী গ্রন্থি খালি হয়ে যায়! একবার খালি হয়ে গেলে ৩-৪ সপ্তাহ লাগে আবারো রিফিল হতে। এটি একধরণের ভাগ্যের খেলা, সময়ের খেলা! যার সময় ভালো চলবে, সেই জিতবে শিকার ভার্সেস শিকারীর খেলায়!



ওপরের ছবিটি একটি বাস্তব ঘটনা! একটি ট্রাক অনেকগুলো হ্যাগফিশ নিয়ে যাচ্ছিল এশিয়ান কোন দেশের উদ্দেশ্যে যেখানে হ্যাগফিশ খাওয়া হয়, একটি গাড়ির সাথে এক্সিডেন্টে সেই হ্যাগফিশগুলো রাস্তায় ছড়িয়ে যায় এবং আঠালো পদার্থে পুরো রাস্তা এবং গাড়িটি কভারড হয়ে যায়। বিশ্বাস করতে কষ্ট হতে পারে, তবে বুলডোজার ব্যবহার করতে হয়েছিল সবকিছু পরিষ্কার করতে!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সকল প্রাণী সে হোক মাটির ওপরের বা পানির নিচের, একটি মিল খুঁজে পাই। এরা শিকার করে শুধুমাত্র পেট চালানোর জন্যে। "না খেলে মারা যাব" ব্যাস একারণেই শিকারীর রূপ ধারণ করে। আর নিজেদের বাঁচাতে শিকারগুলোও অসাধারণ ও অকল্পনীয় সব উপায় ভেবে রাখে। খেলাটি পুরোপুরি বাঁচা মরার।
আমাদের মতো নয়। আমরা মানুষেরা অনেক সস্তা কারণে (যেমন ইগো, স্বার্থ, এনটারটেইনমেন্ট ফ্যাক্টর) অন্য মানুষকে মারতে পারি! তাই হয়ত একজন মানুষের কখনো অন্য মানুষকে "জানোয়ার" বলে গালি দেওয়া উচিৎ না।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০১

ইসিয়াক বলেছেন: বেশ তো অন্য রকমের পোষ্ট ।
ধন্যবাদ

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ পোস্টটা কার দেখতে হবেনা? যে নিজেই ওয়ান পিস মেড, তার পোস্ট তো অন্যরকম হবেই। হাহাহা।

প্রথম মন্তব্যে অশেষ ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২০

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো দেখে গা গলিয়ে উঠলো।

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা। আশা করি ভুলে যাবেন ছবিগুলোকে জলদি, একটু পরে পরে আপনার ভাবনায় এসে শরীরে ও মনে অস্বস্তি তৈরি করবেনা।

আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্যে।
ভালো থাকুন।

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এক্কেবারে সবগুলোই অভিনব । সি কিউকাম্বারের ছবিটা দারুণ।শেষে হ্যাগফিসের অ্যাক্সিডেন্টের ছবিটা দেখে সত্যিই গাগুলাচ্ছে। ++
পোস্টে প্রথম লাইক।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পোস্টটি বেশ মন দিয়ে পড়েছেন মনে হচ্ছে, আন্তরিক ধন্যবাদ সেজন্যে এবং প্রথম লাইকের জন্যেও।
আসলেই প্রাণীগুলো নিজেদের নিত্য জীবনে যা করে তা আমাদের কল্পনার অতীত!

নিলাম, আপনিও শুভেচ্ছা নিন।

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আনকমন পোস্ট। ছবি ও তথ্যগুলো সত্যিই অদ্ভুত। আল্লাহর দুনিয়ায় কত আশ্চর্য রকমের প্রাণী রয়েছে ভাবলে অবাক হয়ে যেতে হয়।

ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: থ্যাংকস এ লট হেনাভাই।

আমিও একদম এটাই ভাবছিলাম। আল্লাহ কত শত বৈচিত্র্যময় প্রাণী সৃষ্টি করেছেন! একেকটি প্রাণীকে কিছু শক্তি এবং দূর্বলতা দিয়ে পাঠিয়েছেন যা অন্য প্রাণীর থেকে আলাদা। এজন্যেই আমরা একে অপরের ওপরে নির্ভর করে জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে পেরেছি।

মোস্ট ওয়েলকাম।
অনেক ভালো থাকুন।

৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। জানার অনেক কিছুই বাকি আছে।

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সুজন ভাই! পোস্টে পেয়ে খুশি হলাম।

আসলেই! যা জানি তা এক ফোঁটা পানি, যা জানিনা তা সমুদ্রের চেয়েও বিশাল মানি!

শুভকামনা রইল!

৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৪২

আনমোনা বলেছেন: কত অজানারে।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সেটাই আপু! অজানার পরিমাণ এত বেশি যে কোন বিষয়ে কিছু জানতে গেলে নিজেকে নিউবর্ন বেবী মনে হয়। লল।

ভালো থেকো।

৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৫:১৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: গিরগিটির রক্ত ছোড়া দেখেছি। ছোটবেলায় আমাদের এলাকায় একটা কুসংস্কার ছিলো। 'নাভিকূপ দেখা গেলে বা শরীরে কাপড় না থাকলে গিরগিটি দূর থেকে রক্ত খেয়ে ফেলে' :-P কোথাও গিরগিটি দেখলে খুব ভয় লাগতো।

সি কিউকাম্বার তো কাল্পনিক সিনেমাকেও হার মানায়। জাফর ইকবালের স্যারের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর একটি বই পড়েছিলাম (সম্ভবত ২০১০ সালে)। গল্পে- রবোমানবের হাত থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে বা মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে কয়েকজন মানুষকে মঙ্গলে পাঠায়। মঙ্গলে এক ধরনের ভয়ংকর প্রাণী ছিলো। যাদের কাটলে বা দুই ভাগ করা হলে দুইটা প্রাণী হয়ে যেতো। সি কিউকাম্বার সম্পর্কে জেনে ঐ উপন্যাসটার কথা মনে পড়ছে। উপন্যাসটার নামটা..... সম্ভবত 'কেপলার টুটুবি'

২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাহ! সুন্দর, পোস্ট উপযোগী একটি মন্তব্য! আন্তরিক ধন্যবাদ।

ওয়াও! ইশ! আমি এমনকিছু দেখিনি কখনো সামনাসামনি। হিহি কতশত কুসংস্কার যে আছে পৃথিবীতে!

আমিও পড়েছি। আর দেখেছিও নানা হলিউড মুভিতে। ভিলেনকে মারার পরে কয়েক টুকরো হয়ে যাচ্ছে, হিরোরা পালাতে পালাতে আবারো জোড়া লেগে সামনে এসে যাচ্ছে! ভাবতেও অবাক লাগে এসব কল্পনা সাগরের নিচে সত্যি সত্যি নিত্যদিন হচ্ছে!

৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:০৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: একজন মানুষকে কখনো জানোয়ার বলে গালি দেওয়া উচিৎ না........তথ্যবহুল সুন্দর পোষ্টের জন্য শুভেচ্ছা।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ ভাই! অনেকদিন পরে! ভালো আছেন আশা করি।

একদম, জানোয়ারেরা অনেকদিক দিয়ে আমাদের চেয়ে বেটার "মানবতা" বজায় রাখে। তাই এটা গালি হতে পারেনা। এমনিও কাউকে কোন গালিই দেওয়া উচিৎ না।

আপনাকেও পড়ার জন্যে শুভেচ্ছা।
ভালো থাকুন।

৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: বিয়ে নিশ্চয়ই করেন নি এখনও? না করে থাকলে একদম প্রথমে যে অভ্যাসের কথা বলেছেন সেটা খবরদার লাইফ পার্টনারের উপর ট্রাই করবেন না। সবাই কিন্তু আপেল না যে ছুড়ি যে দিক দিয়ে ধরেন কেটে যাবেই।

খাদ্য সাইকেলে একমাত্র মানুষই কোন কারন ছাড়া হত্যা করে, অনেক সময় শুধুই আনন্দের জন্য।

কিছু মানুষ আছে যাদের কোন প্রাণীর নামে গালি দিতে গেলে নিজের বিবেকেই বাধা পায়।

বেশ খাটাখাটুনি করে পোস্টটা দিয়েছেন,পড়ে মজা পেলাম।

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ও মোর জ্বালা, জীবনে এত শান্তিতে আছি, বিয়ে! লাইফ পার্টনার! এসব কথা আসছে কিতা? হাহাহা।
আমার চয়েস ভালো আর কোনটা কার সাথে শেয়ার করা যায় সেটা বুঝি। তাই নিজের পছন্দের কোনকিছু শেয়ারের অভ্যাসে কখনো কোন বন্ধু হারাইনি বা কাউকে বিরক্ত করিনি।
তবে হ্যাঁ জীবনসাথী যদি পাই কখনো তাকে খুবববব বিরক্ত করব। আরেহ! যে আমার জ্বালানো, পোড়ানো হাসিমুখে সহ্য না করতে পারে সে আবার জীবনসাথী কিসের? এমনিও হাসব্যান্ড শব্দের মানে হচ্ছে, তার যত ইচ্ছেই ব্যান্ড বাজাও না কেন সে হাসতেই থাকবে। হাহা কিডিং!
ওসব নিয়ে ভাবছিনা, যখন ভাবার সময় হবে দেখা যাবে। আপেল চাকুর হিসেব মিলে যাবে সময় আসলে।

আসলেই, কিছু মানুষ এত বেশি বাজে যে তাদেরকে কোন প্রাণীর নামে ডাকা মানে সেই প্রাণীকে অপমান করা। দুঃখজনক, আমাদের বিনা কারণের নিষ্ঠুরতা, অমানবিকতাগুলো ভীষন দুঃখজনক!

খাটাখাটুনি হয়নি কেননা এসব নিয়ে আজকাল এমনিতেই পড়া হচ্ছে। ব্যাস জানা জিনিসগুলো ফটাফট লিখে ফেলেছি মনের আনন্দে।
আপনি মজা পেয়েছেন জেনে আনন্দিত।

সুন্দর মন্তব্যটিতে কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা আপনাকেও!

১০| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২

আনমোনা বলেছেন: নারায়ন সান্ন্যালের Na Manush (Not Man) related বই যদি পাও, পড়ে দেখতে পারো।
Gajomukta [গজমুক্তা] (1973)
Timi Timingil [তিমি তিমিঙ্গিল] (1979)
Raskel [রাস্কেল] (1984)
Na-Manushi Bishwokosh (Ek) [না-মানুষী বিশ্বকোষ এক] (1988)
Na-Manushi Bishwokosh (Dui) [না-মানুষী বিশ্বকোষ দুই] (1990)
Na-Manusher Kahini [না-মানুষের কাহিনী] (1988)

আমি শেষেরটা পড়েছিলাম। খুব ভালো লেগেছিলো।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওয়াও! থ্যাংকস এ লটটট আপু! আমি জানিনা সবগুলো পড়া হয়ে উঠবে কিনা, তবে চেষ্টা করব। থ্যাংকস এগেইন!!!

১১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১৯

আনমোনা বলেছেন: Click This Link

https://drive.google.com/file/d/1IV7XtveqjBqM5MRXe9E5hfH7PYEbc9zZ/viewhttps://drive.google.com/file/d/1IV7XtveqjBqM5MRXe9E5hfH7PYEbc9zZ/view

২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: থ্যাংকস থ্যাংকস থ্যাংকস!

১২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিস্ময়কর!

ডিসকভারী ব্লগে ডুকে পড়েছি মনে হলো ;)

সত্যিই প্রাণী জগতের টিকে থাকার লড়াইর পাশে মানুষ নামের দুপেয়ে জীবের
হিংস্রতা নস্যি! স্রেফ হিংসা, ক্ষমতা, দম্ভ, অহংকার আর লোভের বশে যা করে- প্রাণী জগত যদি এক্সপ্রেস করতে পারতো
মানুষকেই সবচে হিংস্র প্রাণীর তকমা দিতো।

অলরাউন্ডার সখীর প্রাণী রাউন্ডেও বাজিমাৎ :)
অন্তহীন শুভেচ্ছা আর অফুরান শুভকামনা সবসময়

২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সখা!

অলরাইন্ডার সখী! আপনার প্রশংসাগুলো এত বেশি আন্তরিক যে শুধু আপনার একার প্রেরণাতেই ব্লগিং করে যাওয়া সম্ভব! :) সবসময় সবার ব্লগে প্রাণবন্ত মন্তব্যে পাশে থেকে আপনি সামু ব্লগারদের মনে অন্যরকম একটা জায়গায় আছেন।

একদম সহমত। কে জানে ওরা হয়ত একে অপরকে "মানুষ" নামে গালি দেয়! আমাদের নিষ্ঠুরতার জন্যে তো কত প্রাণী বিলুপ্ত হয়েছে বা বিলুপ্তপ্রায়। ওদের বুদ্ধি যে কম না সেটা তো একেকজনের জীবনধারণ জেনে বোঝাই যায়। তাই আমরা একে অপরের ক্ষতি যেভাবে করি সেটাও হয়ত বোঝে ওরা! আচ্ছা প্রাণীরা কি মানবজাতিকে ঘৃণার চোখে দেখে, ভয়ের চোখে দেখে নাকি ভালোবাসার চোখে দেখে? কে জানে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.