নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুষ ও দুর্নীতি দমনে ইসলামের ভুমিকা

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২০


বাংলাদেশের মুসলমানেরা (জনসংখ্যার প্রায় ৮৫%) যদি ইসলামের বিধান মানতো তাহলে দেশে ঘুষ আর দুর্নীতি থাকত না। একবার আসাদ গোত্রের এক ব্যক্তিকে রাসূল (সা.) যাকাতের কাজে নিয়োগ দেন। তার নাম ছিল ইবনুল লুতাবিয়্যাহ। কাজ থেকে ফেরার পর সে বলল, এই হচ্ছে যাকাতের সম্পদ আর এগুলো আমাকে হাদিয়া (উপহার) দেওয়া হয়েছে। তখন রাসূল সা. মিম্বারে ওপর দাঁড়িয়ে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তণের পর বললেন, আমার প্রেরিত কর্মচারীর কী হল, সে বলে এটা যাকাতের সম্পদ আর এটা আমি হাদিয়াস্বরূপ পেয়েছি। সে তার বাপ-মার ঘরে বসে দেখতে পারে না তাকে হাদিয়া দেওয়া হয় কিনা? আল্লাহর কসম করে বলছি তোমাদের কেউ খেয়ানত করলে তা নিজের কাঁধে নিয়েই কেয়ামতের ময়দানে উপস্থিত হবে। উট, গরু, বা ছাগল যাই হোক সেগুলো আওয়াজ করতে থাকবে। এরপর রাসূল সা. উভয় হাত উত্তোলন করে দু’বার বললেন, হে আল্লাহ! আমি পৌঁছে দিয়েছি। হাত উত্তলনের কারণে রাসূল সা. এর বগলের শুভ্রতা আমরা দেখতে পেলাম। (বুখারী হা/৬৫৭৮, ৮৮৩)

আমাদের সমাজে অনেক ঘুষখোর ঘুষ গ্রহণ করে বলে এটা উপহার বা সেবার বিনিময়ে পাওয়া মূল্য। কিন্তু উপরের হাদিসটা খেয়াল করলে দেখা যায় যে, কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার কারণে মানুষ তাকে অর্থ, উপঢৌকন দেয় বা বিভিন্নভাবে তাকে সুবিধা প্রদান করে থাকে। এইগুলি সবই আসলে ঘুষ। তার মনে রাখতে হবে যে সে তার কাজের জন্য রাষ্ট্র/ প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন পায়। হাদিসে রসুল সা. জানতে চেয়েছেন যে ঐ ব্যক্তি যদি জাকাত আদায়ের দায়িত্বে না থাকত তাহলে কি লোকেরা তাকে হাদিয়া ( উপহার) দিত?

ঘুষ দেয়া ও নেয়া দুইটাই কঠিন গুনাহর কাজ। তবে ঘুষ দেয়া অনেক ক্ষেত্রে জায়েজ আছে। যেমন একটা ন্যায্য অধিকার পাওয়ার জন্য যদি কেউ ঘুষ দিতে বাধ্য হয় সেই ক্ষেত্রে ঘুষ দেয়া জায়েজ ঘুষ দেয়া কখন জায়েজ । উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় আপনি জমির নামজারির জন্য গেলেন। আপনার কাগজপত্র সব ঠিক আছে। কিন্তু আপনি ঘুষ না দিলে ঐ নামজারি হবে না। এই ক্ষেত্রে ঘুষ দেয়া জায়েজ। কিন্তু যে ঘুষ নিলো সে অপরাধী।

আল্লাহতালা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা একে অন্যের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কর না এবং মানুষের ধন-সম্পত্তির কিছু অংশ জেনে-শুনে অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে বিচারকদের হাতে তুলে দিও না। যদিও তোমরা তা জানো।’ –সূরা আল বাকারা: ১৮৮

নিশ্চয়ই যে অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করবে, কিয়ামতের দিন তার জন্যে নির্ধারিত রয়েছে জাহান্নাম । (বুখারী, মিশকাত/৩৯৯৫)

হারাম খাদ্য ভক্ষণ করা শরীর, জান্নাতে প্রবেশ করবেনা । (মিশকাত/২৭৮৭)

আমাদের দেশে অনেক ডাক্তার ওষুধ কোম্পানি থেকে অর্থ ও উপহার নিয়ে থাকেন। ইসলামে এই ধরণের অর্থ বা উপহার গ্রহণ নিষেধ করা হয়েছেওষুধ কোম্পানি থেকে উপহার গ্রহণের ক্ষেত্রে ইসলামী বিধান] ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে উপহার নেয়ার বিধান। কারণ অর্থ/ উপহার গ্রহণের কারণে ডাক্তার ঐ কোম্পানির ওষুধের প্রতি পক্ষপাতিত্ব প্রদর্শন করতে পারেন। ফলে অন্য ভালো ও কার্যকর ওষুধ সে নাও লিখতে পারে। তাছাড়া রোগীর কাছে থেকে সে ফি নিচ্ছে এই শর্তে যে সে রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী ওষুধের পরামর্শ দেবে। কিন্তু ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে অর্থ নিলে ডাক্তারের মন ঐ কোম্পানির প্রতি আকৃষ্ট হবে পরিনামে যথাযোগ্য ওষুধ সে নাও লিখতে পারে। অথবা সে হয়তো দুইটা ওষুধের জায়গায় ঐ কোম্পানির চারটা ওষুধ লিখে দিতে পারে। এভাবে লোভে পড়ার কারণে ডাক্তার তার নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রাখতে পারবে না। এই সব কারণে এই ধরণের প্রলুব্ধকারি লেনদেন হারাম করা হয়েছে। একই নিয়ম প্রযোজ্য রোগ নির্ণয়ের বিভিন্ন পরীক্ষার বিপরীতে ডাক্তারদের দস্তুরি (কমিশন) গ্রহণের ক্ষেত্রে।

আমাকে একবার একজন মহিলা সরকারী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কথা প্রসঙ্গে বললেন যে তাদের জ্যেষ্ঠ সহকর্মীরা ইতিপূর্বে তাদেরকে বলেছেন যে যদি কেউ স্বেচ্ছায় কিছু দেয় তবে নিয়ে নেবেন। আসলে স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় যেভাবেই ঘুষ দেয়া হোক না কেন গ্রহীতা উভয় ক্ষেত্রেই কবিরা গুনাহ করলেন।

যে ব্যক্তি হারাম পথে আয় করে আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেন না।

রাসুল (সা.) উল্লেখ করেন, কোনো ব্যক্তি দূর-দূরান্তে সফর করছে, তার মাথার চুল এলোমেলো, শরীরে ধুলাবালি লেগে আছে। এমতাবস্থায় ওই ব্যক্তি উভয় হাত আসমানের দিকে তুলে কাতর স্বরে হে প্রভু! হে প্রভু! বলে ডাকছে। অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম । সে হারামই খেয়ে থাকে। ওই ব্যক্তির দোয়া কিভাবে কবুল হবে!' (মুসলিম, হাদিস : ২৩৯৩)

মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‌ 'যে ব্যক্তি হালাল খাবার খেয়েছে, সুন্নাহ মোতাবেক আমল করেছে ও মানুষকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে, সে জান্নাতে যাবে।' (তিরমিজি শরিফ, হাদিস : ২৫২০)

হারাম উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে হজ্জও করা যাবে না হারাম টাকায় হজ্জের বিধান। হারাম অর্থ/সম্পদ থেকে মুক্তি পেতে হলে তওবা করতে হবে এবং ঐ অর্থ/ সম্পদ দান করে দিতে হবে কোনও সওয়াবের আশা না করে।

আমাদের দেশে ঘুষ, দুর্নীতির বহু পন্থা আছে। ইসলামী বিধি বিধান মানলে দেশ ও জাতি ঘুষ ও দুর্নীতির বিষাক্ত ছোবল থেকে মুক্তি পেতে পারে। ইসলাম শুধু কালিমা, নামাজ, রোজা ইত্যাদির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামের বিধিবিধান আমাদের মানতে হবে। তবেই ব্যক্তি পর্যায়ে ও জাতিগতভাবে ইসলামের সুশীতল ছায়া আমরা অনুভব করতে পারবো। আল্লাহ আমাদেরকে সর্ব ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান অনুসরন করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

ছবি - https://patriotrising.com

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৮

মাহিরাহি বলেছেন: ইসলামের বিধি বিধান মানলে, আমাদের দেশে সত্যিকার অর্থে শান্তি বজায় থাকত।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আমরা আসলে নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী কিছু মানি আবার কিছু মানি না।

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৭

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: এই ধরনের লেখার পরিমান অনেক বেশি পরিমান বৃদ্ধি পাওয়া উচিত। বাস্তব জীবনে ইসলামের প্রয়োগের মাধ্যমে অন্যায় কাজগুলো থেকে নিজেকে সড়িয়ে রাখা এখন খুব বেশি প্রয়োজন। দেশের মানুষের চিন্তাশক্তি, বিবেক যেভাবে লোপ পেয়েছে তাতে এই হারাম সিস্টেমগুলোকে তারা খুব সহজভাবে নিয়ে হালাল ভাবতে শুরু করেছে। ধন্যবাদ এমন একটি বিষয়কে তুলে ধরার জন্যে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী ঘুষ, দুর্নীতি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু আমার মনে হয় আইন কানুন দিয়ে এই দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করা সম্ভব না। কারণ এই অপরাধগুলি জাতির অস্থি মজ্জায় প্রবেশ করেছে। তাই আইন প্রয়োগের পাশাপাশি ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাকে কাজে লাগানো প্রয়োজন। সরকারী অফিসে দুর্নীতি বেশী হয়। কিন্তু সরকারী অফিসের অজুখানা আর নামাজ পড়ার জায়গাটা ওনারা খুব আকর্ষণীয় ও যত্ন করে বানিয়ে থাকেন। আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কথা আছে চোর মক্কা গেলেও চুরি করে। নিজ নিজ ধর্ম মেনে কর্ম করলে দেশ হতো স্বর্গ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিক কথা বলেছেন। আমরা সুবিধা মত ধর্ম মানি।

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০১

রামিসা রোজা বলেছেন:

অনেক ধার্মিক ব্যক্তিরাও ঘুষ আদান প্রদান করেন, কিন্তু
খুব কম সংখ্যক মানুষ আছেন যারা আল্লাহর ভয়ে ঈমানের
সাথে জীবনযাপন করছেন ।


১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণের সাথে আমি সহমত পোষণ করি। আসলে পরিপূর্ণ ধার্মিক হতে হলে নামাজ, রোজার পাশাপাশি আয়, রোজগার, লেনদেন, আচার-আচরণ, অন্যের অধিকার, নৈতিকতা ইত্যাদি ব্যাপারেও ইসলামের অনুশাসন অনুযায়ী জীবন যাপন করতে হবে। একটা হাদিসে এসেছে যে ( আমি নিজের মত সংক্ষেপে বলছি) আমাদের রসুল (সাঃ) এর কাছে এক সাহাবী এসে বললেন যে অমুক মহিলা সারা রাত অনেক ইবাদত বন্দেগি করে কিন্তু সে প্রতিবেশীর সাথে খুব খারাপ আচরণ করে। আবার আরেক মহিলার কথা বললেন যে সে সারা রাত এবাদত করে না কিন্তু প্রতিবেশীর সাথে ভালো ব্যবহার করে। রসুল সা. বললেন যে প্রথম মহিলা জাহান্নামি আর দ্বিতীয় মহিলা জান্নাতি। তাই জীবনের সকল স্তরে ইসলামের বিধিবিধান মানতে হবে। তবেই ব্যক্তির ও সমাজের উন্নতি হবে। অন্যের হক নষ্ট করলে শুধু তওবাতে গুনাহ মাফ হবে না। যার হক নষ্ট করা হয়েছে তার কাছে আগে মাফ চাইতে হবে। অন্যথায় আল্লাহ মাফ করবেন না।

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মুসলমানদের এটা একটা আপ্তবাক্য।সবকিছু ইসলামের মতো হলেই সমাজ থেকে সব খারাপ কাজ দুর হয়ে যাবে।৪২০০ ধর্মে এমন একটা ধর্ম দেখান যেটা খারাপ কাজ অনুমোদন করে অথবা ইসলামের এমন একটা ভাল কাজ দেখান যেটা অন্য ধর্ম খারাপ বলে।
ভালোকাজ আর ধর্ম পালন এক জিনিস না।মানুষের মঙ্গল করা সমাজে শান্তি সৃঙ্খলা বজায় ভাল কাজ আর নামাজ রোজা ধর্মীয় কাজ।
ইসলামিক দেশগুলো থেকে অনেক অনৈসলামিক দেশে খারাপ কাজ অনেক কম হয়।এতো দিন শুধু গল্প শুনতাম এখন বাস্তবে দেখছি।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আমার ধর্মেরটা বলেছি। অন্য ধর্মের পক্ষ হয়ে আপনি বলতে চাইলে বলতে পারেন। অন্য ধর্মের সমালোচনা আমি করি নাই। আপনি মূল বিষয় ছেড়ে অন্য দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেনঃ
তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে
গ্রাস করো না এবং মানুষের ধন-সম্পত্তির কিছু অংশ জেনে-বুঝে
অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে বিচারককে উৎকোচ দিও না।

(সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৮)
ঘুষ ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক ব্যাধি।
ঘুষের আদান-প্রদান তথা লেনদেন একটি নিকৃষ্ট পন্থা। এ
ব্যাধি ও নিকৃষ্ট পন্থা থেকে বিরত থাকা ইসলামের নির্দেশ।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ঘুষের কুফল ও খারাপ প্রচলন
থেকে নিজেদের হেফাজত করার তাওফিক দান এবং হালালের
ওপর অটল ও অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ নুরু ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমিও ইসলাম ধর্মের কথাই বললাম। ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠার পরথেকে আজ পর্যন্ত কোথাও কি কখনো ইসলামী রাষ্ট্র বা দেশ ছিল বা আছে।এটা একটা কাল্পনিক ধারনা।অল্প কিছু দিনের জন্য আফগানিস্তান ও আইএস আমরা দেখেছি।তাতেই সারা বিশ্ব দেখেছে এটা একটা জংলী শাসন।কোন সভ্য মানুষ এই রাষ্ট্রে বসবাস করতে চাইবে না।তারা বন্দী নারীদের সাথে অবাধ যৌনাচার করেছে যেটা ইসলামে বৈধ।এটাই মুসলমানদের উদ্বুদ্ধ করে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠান জন্য ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলামী শাসন বা আই এস নিয়ে আমার পোস্ট না তাই দয়া করে অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করবেন না। প্রাসঙ্গিক না হলে আপনার মন্তব্যের উত্তর আমি দেব না।

৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২৯

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছে আমাদের বিবেক ! আর এখন বিবেককে জাগ্রত করা জরুরী। কোন একটি বেসরকারী সংস্থার কোন একজন কর্মকর্তা আমাকে ইনিয়ে বিনিয়ে টাকার কথা বলেছিল। অথচ আমি ম্যানেজারিয়াল পজিশনের জন্য রিটেন এবং ভাইবাতে প্রথম হয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম যে আমি নিজের যোগ্যতায় এই পর্যন্ত চাকুরী করছি। এখন আপনার প্রতিষ্ঠানে আমি টাকার বিনিময়ে আমার মেধাকে বিক্রি করবো না !!!! অনেকেই আমাকে বলেছিল আপা ! আপনার নিজের উপর অগাধ বিশ্বাস আছে আর তাই এভাবে না করতে পেরেছেন। ----যাইহোক ছোট হোক বা বড় হোক দূর্নীতি তো দূর্নীতিই--- সুন্দর একটি গঠনমূলক আলোচনার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ-----

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আইনের পাশাপাশি ধর্ম চর্চার মাধ্যমে আমাদের বিবেককে জাগ্রত করতে হবে ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপনার দৃঢ় অবস্থানকে আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি। এখন সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিস্থানেও দুর্নীতি প্রবেশ করছে বিভিন্ন রুপে। আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখের বিষয় ইসলামের নিয়ম গুলো কেউ মানছে না। সরকারও ইসলামের নিয়মনুযায়ী চলছে না। তাই এত অরাজকতা।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আশা করি মানুষ ইসলামের সকল ধরণের নিয়ম নীতির প্রতি যত্নবান হবে। তবেই সমাজের অরাজকতা দূর হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:৩৬

ঢাকার লোক বলেছেন: ভাল লিখেছেন, আমাদের সমাজে ঘুষ দুর্নীতি যেভাবে বিস্তার লাভ করেছে, তার লাগাম টানা একমাত্র আল্লাহ এবং পরকালে বিচারের ভয়ই পারে। এ বিষয়ে কোরান হাদীস থেকে যে কটি উদ্ধৃতি আপনি দিয়েছেন একজন ঈমানদার ব্যক্তির জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়েত দান করুন এবং তাঁর ও তাঁর রসুলের (স) নির্দেশনা মেনে চলার তৌফিক দান করুন।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেশের আইনে ঘুষ, দুর্নীতি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়া সত্ত্বেও এই দুরবস্থার কোনও পরিবর্তন আমরা দেখছি না। তাই ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাকে জোরালো করতে হবে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

১১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৪৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ভাল লিখেছেন - সময়োপযোগী পোস্ট |

অনেক ধার্মিক ব্যক্তিরাও সৎকর্ম না করে দুর্নীতি ও ধান্দাবাজিতে লিপ্ত - তারা নিজেকে খুব চালাক মনে করে, যেন তাদের এই অপকর্ম কেউ দেখছে না।

"সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে"

সূরা বাকারা [2:১৭৭]

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। শুধু কালিমা, নামাজ, রোজাই ধর্ম না। ইসলামে অনেক সামাজিক, অর্থনৈতিক, নৈতিক, পারিবারিক দিকনির্দেশনা আছে। আমাদের নামাজ, রোজার পাশাপাশি এই দিকনির্দেশনাগুলিও মেনে চলা উচিত। নামাজ, রোজা করার পর দুর্নীতি আর ধান্ধাবাজি করলে সেই ব্যক্তি প্রকৃত ধার্মিক না।

১২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:২৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পোষ্ট দিয়েছেন ইসলামের ভূমিকা,আমিতো ইসলামে বাইরে কিছু বলিনাই।অসত্য কিছু বলিনাঁই।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ঘুষ, দুর্নীতিতে ইসলামের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছি। ইসলামি শাসন বা আই এস নিয়ে এখন আলোচনা করছি না। যদি ভবিষ্যতে করি তখন আপনার প্রশ্নের জবাব দেবো ইনশাল্লাহ। আমি ইসলামের যে অনুশাসনের কথা বলেছি তার জন্য ইসলামি শাসনের প্রয়োজন নাই। আমি ইসলামের বিধান নিয়ে বলছি। যারা মানছে না তাদেরকে উদাহরণ হিসাবে টানতে চাচ্ছি না। একজন বিপথগামী মুসলমানের জন্য ইসলামের বিধানকে দোষারোপ করা যায় না।

১৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




অতিরিক্ত সাংসারিক চাহিদা, লোভ, পরশ্রীকাতরতা ও শর্টকাট অর্থ উপার্জনের জন্য মানুষ অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পরে, ঘুষ অবস্যই একটি অনৈতিক কাজ।

খুবই ভালো লিখেছেন। শুভ কামনা রইলো।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি যে কারণগুলি লিখেছেন সেগুলিই মূল কারণ । আবার অনেকে আছেন সুযোগ পায় না তাই খায় না। তাই পরিবেশ ও সুযোগও অনেক সময় মানুষকে লোভী করে তোলে। আমার এক বন্ধু পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। সে তার চাকরী জীবনের প্রথম দিকের ঘটনা বলার সময় আমাকে জানালো যে মাসের শেষে একটা খাম নিজে থেকেই চলে আসে। শুধু কষ্ট করে খামটা হাতে নিলেই চলে। তবে সে এই খাম কখনও নিত না। আমি তাকে ছোটবেলা থেকে চিনি তাই আমি জানি সে সত্যি বলছে। অনেক সরকারি অফিসে দেখেছি যে ঘুষ জিনিষটা ঐ অফিসে খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার এবং তারা নিঃসঙ্কোচে এটা নিয়ে আলাপ করে। অনেককে দেখেছি ঘুষ নিতে দরাদরি করতে। কম টাকা দিলে তারা অনেকেই নিতে চায় না। ফলে ঘুষের সংস্কৃতিইও আগের চেয়ে অনেক খোলামেলা হয়ে গেছে। আগে কিছু সংকোচ ছিল। এখন সেটাও নাই।

১৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আশা করি মানুষ ইসলামের সকল ধরণের নিয়ম নীতির প্রতি যত্নবান হবে। তবেই সমাজের অরাজকতা দূর হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

আশা করতে দোষ নাই।
আমিও চাই সমাজের অরাজকতা দূর হোক।
কিন্তু দিন দিন তো মানুষ ভিন্ন পথে যাচ্ছে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কথা ঠিক। তবে ঐ যে কবি বলেছেন -

সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা।
আশা তার একমাত্র ভেলা।

যা অবস্থা আমার তো মনে এই দেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হলেও ঘুষের সংস্কৃতি থেকে যাবে যদি না কঠোর আইনের প্রয়োগ আর নৈতিক শিক্ষার সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আমরা নিতে না পারি।

১৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: চমতকার ঝরঝরে লেখা হয়েছে। মাঝখানে ফতোয়াগুলির লিংক দিয়ে দারুন কাজ করেছেন। ডাক্তারদের এই নেয়ার অনৈতিক কাজ আমার কাছেও মনে হতো হালাল না, আজকে কনফার্ম হতে পারলাম।
ঈমান এবং নিয়ত সবচেয়ে জরুরী। ইচ্ছে করলেই হারাম কাজ, হারাম চাকুরী থেকে নিজকে বাচিয়ে রাখা যায়।
আমি চাকুরী জীবনের প্রায় শুরুতেই একটা খুব ভালো চাকুরী পেয়েছিলাম কিন্তু তাতে ঘূষ চেয়েছিল। আমি রাজি হয়নি। আমার কাছে মনে হয়েছে এভাবে চাকুরী নিলে রোজগার হারাম হয়ে যাবে। ফিরিয়ে দিয়েছিলাম সেই অফার। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঠিকই তারচেয়ে দশগুন ভালো আরেকটা চাকুরী আমাকে যোগাড় করে দিয়েছেন।
আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখতে হবে।
শুভ কামনা রইলো।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহ্‌ আপনাকে পরীক্ষায় ফেলেছেন। পরীক্ষায় পাশ করার পর আপনার ভালো নিয়তের প্রতিদান আল্লাহ্‌ আপনাকে দিয়েছেন। লোভে না পরে ধৈর্যশীল হওয়া প্রয়োজন। আল্লাহকে ভয় ও আল্লাহর উপর ভরসা করা খুব জরুরী আমল। আপনার জন্যও শুভ কামনা রইলো।

১৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩৭

রানার ব্লগ বলেছেন: একটা ছোট্ট ঘটনা বলি, অনেক আগের একটা কাহিনি, আমি তখন জুনিয়র অফিসার এক অফিসের, আমাকে একটা কাজের জন্য পাঠানো হলো সরকারি একটা ব্যাংকে, সারাদিন ধরে বসে আছি আমার কাজের কোন খবর নাই সন্ধ্যার পর সবাই যখন বাসাগামী তখন সরকারি ব্যাংকের কর্মদিবস শুরু, যথারীতি আমার কাজ ধরলো বিনিময়ে সে বেশ মোটা টাকা চাইলো, অফিসকে জানাতে তার মুহুর্তে লোক মারফত টাকা পাঠিয়ে দিলো তো সেই লোক আসতে আসতে এশার নামাজ শুরু আমার সেই।ভদ্রলোক তারাহুরা করে নামাজে গেলেন লম্বা নামাজ পড়লেন, লোকটার দিকে তাকিয়ে দেখি কপালে কালো দাগ পরে গেছে, আমি কেন নামাজে অংশ নিলাম না এর জন্য নসিহত ও ভৎসনা করলেন, তাকে টাকা দিতে গিয়ে তিনি আর হাত দিয়ে টাকা নিলেন না, তিনি ফাইল দেখিয়ে বললেন এর ভেতরে দিন নামজ পড়ে টাকা ধরতে চাই না। আমি হাসি মুখে টাকা দিয়ে কাজ শেষ করে আসলাম, অথচো এই কান তার এমনিতেই করার কথা।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ধরণের ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। আমরা শুধু নামাজ, রোজা করাকেই ধর্ম পালন মনে করি। যে ব্যক্তি এই ধরণের কাজ করে সে আসলে ধর্মকে সঠিকভাবে মানছে না। ফলে তার জন্য বিপদ অপেক্ষা করছে। অন্য মানুষের হকের ব্যাপারে আমরা খুবই উদাসীন। কিন্তু আমাদের জানা উচিত অন্যের হক নষ্ট করলে আল্লাহ তওবা কবুল করেন না যতক্ষণ না সেই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি তাকে ক্ষমা করে।

১৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আসতে যেতে মাইনে পাই কাজের জন্য উপরি চাই। ঘুষ গোটা উপমহাদেশ থেকে অস্তমিত। কাজের জন্য সামান্য খুশি করাকে পুরানো ঐ শব্দটিকে ব্যবহার করাটা আপত্তিকর। আপনি শুধু ঘুষটাই দেখলেন?কত সহজেই ওনারা কাজ করে দেন। তার কোন মূল্য নেই? আর যদি উপহার বা ঘুষ দিয়ে কাজ করতেই হয় তাহলে বরং মুক্ত হস্তে দান বলাই আমার কাছে বিবেচ্য। কাজেই দানের বা উপহার দিয়ে গালমন্দ করা ঠিক নয়। আপনার পোস্ট দেখে কাল থেকে কৈউ যদি এমন উপহার দিতে অস্বীকার করেন তাহলে আমাদের কি করুণ পরিণতি হবে একবার ভেবেছেন? জাতীয় সংকট দেখা দিবে। অফিসকাছারিতে ফাইল আটকে যাবে।না না দোহাই সাচু ভাই, জাতির এতবড় সর্বনাশ হতে দেবেন না। এমনিতেই সামু ব্লগের উপর অজানা এক শক্তি রুষ্ট। তারপরে আবার ওয়ার্ক কালচার নিয়ে আলোচনা করলে ব্লগের উপর আবার না খড়গ নেমে আসে... হেহেহে
ভালো থাকুন সবসময়।


১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রম্য কায়দায় আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছেন। আসলেই ঘুষ, দুর্নীতি আমাদের এই অঞ্চলের মানুষের মজ্জায় ঢুকে গেছে। বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কুলের বাচ্চাদেরও দুর্নীতি শেখানো হচ্ছে। কয়েক বছর আগে আমার বাচ্চা বলেছিল যে তাদের মিস বলেছে যে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় তোমরা কোনও প্রশ্ন না পারলে অন্যেরটা দেখতে পারো কিন্তু নিজের সিট থেকে উঠে যেয়ে দেখবে না। পরীক্ষার হলে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর বলতে গিয়ে ভুল উত্তর বলেছে এরকম ঘটনাও শুনলাম। হল থেকে বের হয়ে শিক্ষার্থী আফসোস করছে যে সে নিজে যেটা ভেবেছিলো সেটাই সঠিক ছিল। এইটুক বাচ্চার মাথায় এভাবেই দুর্নীতিকে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে।

১৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫৭

ঢুকিচেপা বলেছেন: ভালো একটি বিষয়ের উপর লিখেছেন।
লেনদেনের বিষয়টা খুশি হয়েই হয়। এদের খুশিটা বাড়ীর আশেপাশের গরীব প্রতিবেশী বা রাস্তার ছিন্নমূলদের জন্য হয় না।

অজু চলা এবং অজু করে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় টাকা নিতে দেখেছি, সব খুশিতেই হচ্ছে.......

আপনার সৌদিকাব্য কি বালুচাপা পড়ে গেল ?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্মীয় পোস্টে সুস্বাগত। আসলে এখনকার জমানায় নীতি নৈতিকতাকে আপেক্ষিক বানিয়ে ফেলেছে কিছু মানুষ। ওনাদের দৃষ্টিতে এগুলি কোন অপরাধ না। একবার একজন ঘুষখোর বড় সরকারী কর্মকর্তার সাথে অনেক সময় কাটিয়েছিলাম। উনি দেশ, রাষ্ট্র, সমাজ, নৈতিকতা নিয়ে অনেক মূল্যবান কথা বললেন। আমি ওনার জ্ঞানের বহর দেখে সত্যিই বিস্মিত হলাম। আমি ওনার ঘুষ গ্রহণ আর এই জ্ঞানের গভীরতা এই দুইটা বিপরীতমুখী বিষয়কে মিলাতে পারলাম না। যাই হোক আল্লাহতালা আমাদেরকে সুপথে পরিচালিত করবেন এই কামনা করছি।

সৌদি রাজকন্যার গল্পটা আসলে দ্রুত শেষ করা উচিত। আমি শীঘ্রই ঐ কাজে হাত দেয়ার পরিকল্পনা করেছি। আমি ভেবেছিলাম আপনারা মনে হয় ভুলে যাবেন ব্যাপারটা, হে হে হে।

১৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আমরা মুসলিম দাবীদার কিন্তু ইসলামের বিধান মানতে চাইনা।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথার সাথে সহমত। মুসলমানদের এইটাই বড় সমস্যা। ফলে বিধর্মীদের সমালোচনার শিকার হচ্ছি আমরা। ধর্ম ঠিকভাবে মানলে শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে না পুরো সমাজের মঙ্গল হত।

২০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:১২

স্প্যানকড বলেছেন: ৯৫ % মুসলিম দেশে সংবিধান হয় মানুষের। কোরান হাদিস খালি চলে ওয়াজে বাস্তবে নাই খবর। সেখানে এই স্বাভাবিক। আসলে গোড়ায় দোষ থাকলে যা হয় আর কি। অবশ্য খারাবি সব খানে খোদ নবীর দেশেও চলে আকাম কুকাম ! শেষ প্রশ্ন কোরান, সুন্নাহ বা হাদিস এর আইন মতো কেন দেশ চলে না? ভালো থাকবেন।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলামী আইনের কথায় পরে আসছি। আমাদের দেশের রাজনীতির এই অবস্থা কেন। আমাদের বড় দলগুলিতো ইসলামী অনুশাসন অনুযায়ী রাজনীতি করে না। তাই এই অবস্থার জন্য ধর্ম দায়ী এটাও বলা যাবে না। আমাদের দেশের মানুষ ঐক্য বদ্ধ হয়ে একটা সুন্দর রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করতে পারছে না। এটার জন্য একক কোন ব্যক্তি দায়ী না হলেও পুরো জাতি দায়ী। দেশের নেতারা সবচেয়ে বেশী দায়ী। তৃতীয় বিশ্বের কোনও দেশেই ভালো নেতা বা শাসন নাই। এইসব দেশে অনেক ভালো মানুষ থাকার পরও সুস্থ রাজনীতি নাই।

একইভাবে ইসলামী শাসন অনুযায়ী কোন দেশ চালাতে হলে ঐ দেশের মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য থাকতে হবে, মুসলমানদের ইমানে শক্তি থাকতে হবে, সেই রকম নেতা থাকতে হবে। তবেই ইসলামী শাসনের আগমন ঘটতে পারে। আমাদের দেশের মুসলমানরা কি ইসলামী শাসন আসলে চায়? ইসলামের অনুশাসনের কতটুকু আমরা মানি। মুসলমানদের ঘরে জন্ম গ্রহণ করেছি তাই নিজেকে মুসলমান বলি। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক যদি চাইত তাহলে নেতারাও মানুষের চাহিদা পূরণ করতো। আন্তরিকভাবে চাওয়াটা জরুরী। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা দাবির কাছে কেন আইয়ুব খান নতি স্বীকার করেছিল। কারণ পূর্ব পাকিস্তানের সকল মানুষ ছয় দফার পক্ষে ছিল। সত্যিকার ইসলামী শাসন বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বাকি মুসলিম দেশগুলিতে নাই কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা আন্তরিকভাবে এটা চায় না তাদের দুর্বল ইমানের কারণে। পৃথিবীতে আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। যদি সারা পৃথিবীর মানুষ আল্লাহর বিরোধিতা করতো তারপরও আল্লাহতায়ালা তাদের তাৎক্ষনিক শাস্তি না দিয়ে কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করতেন। এইটাই বলা আছে ইসলামে। পৃথিবীতে প্রতি পাঁচ জন মানুষের মধ্যে মাত্র ১ জন মুসলমান। তাতে আল্লাহর কিছু যায় আসে না। শুধু ইহলৌকিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে ইসলামকে একটা পরাজিত ধর্ম মনে হবে। কিন্তু মুসলমানরা শুধু ইহকাল নিয়ে চিন্তা করে না।

২১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:২৭

মিরোরডডল বলেছেন:



আমাদের দেশে অনেক সমস্যার মাঝে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে দুর্নীতি ।
যেদিন দেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে, যদি কখনও হয়, তখন অন্য সব সমস্যা এমনিতেই কমে যাবে ।
এটা একটা চেইনের মতো, একটার সাথে আরেকটা সম্পৃক্ত ।



০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথার সাথে একমত। এই দেশের কোনও সরকার এখনও পর্যন্ত দুর্নীতিকে একটা বড় সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করেনি। রাজনৈতিক দলগুলি তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে অনেক সমস্যার সমাধানের কথা লেখে কিন্তু দুর্নীতির ব্যাপারে চুপ থাকে। এই দেশের প্রাইমারীর বাচ্চাদেরও দুর্নীতি শেখানো হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক।

২২| ১২ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:০১

আকমাম পাটওয়ারী বলেছেন: আমাদের বাস্তব জীবনে ইসলামের প্রয়োগ যখন হবে তখন আমাদের নৈতিক চরিত্র উন্নত হবে।দুর্নীতি বন্ধ হবে যদি ব্যক্তিগত জীবনে নৈতিকতা থাকে।অনেক সুন্দর এবং প্রয়োজনীয় লেখা ধন্যবাদ আপনাকে।

১২ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এত পুরনো পোস্টে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। অনেকে পুরনো পোস্ট পড়তে চায় না। আপনার কথার সাথে পুরোপুরি একমত আমি। আমরা আসলে ইসলামকে আংশিকভাবে মেনে চলি। ফলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য সমাজে ফুটে ওঠে না। মানুষের দুই ধরনের দায় থাকে। একটা হোল হাক্কুল ইবাদ অর্থ বান্দার হক, বান্দার অধিকার, বান্দার পাওনা। সাধারণত অন্যের সম্পদ, যা নিজের জিম্মায় রয়েছে বা অন্যের প্রতি যা দায়িত্ব তাকে অন্যের হক বা বান্দার হক বলা হয়। আর দ্বিতীয়টি হোল হক্কুল্লাহ। অর্থাৎ আল্লাহর হক। যেমন নামাজ, রোজা, হজ ইত্যাদি এবাদত। কেউ যদি অন্যের উপর জুলুম করে সেই ক্ষেত্রে ঐ মাজলুম ব্যক্তি মাফ না করা পর্যন্ত আল্লাহ মাফ করেন না। যতো তওবাই করা হোক না কেন। কিন্তু আল্লাহর হকের ক্ষেত্রে তওবা করলে আল্লাহ মাফ করে দেন। তাই আমাদের উচিত অন্যের অধিকারের ব্যাপারে বেশী সতর্ক হওয়া। অন্যকে কষ্ট দেয়া, ঠকানো,ক্ষতি করা এগুলি আমাদের অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে। ঘুষ চাওয়া, দুর্নীতি করা এক ধরনের জুলুম তাই এটার শাস্তি অনেক বেশী হবে। জীবনের সর্বক্ষেত্রে সবাই যখন ইসলামকে মেনে চলবে তখন আমরা একটা সুন্দর সমাজ পাবো।

আপনাকে ব্লগে স্বাগত জানাচ্ছি। আপনার কাছ থেকে পোস্ট আশা করছি এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.