নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাধনা

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩৭



সাধনা বা প্রাকটিস, এই ব্যাপারটা ইদানিং প্রায়ই ভাবনার মাঝে এসে উকি দিয়ে যায়। সাধনা বলতে আমরা কি বুজি? সাধনা হল কোন একটা ব্যাপারকে নিয়ে বছরের পর বছর নিরলস পরিশ্রম করে একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। সেই প্রাকটিস যে কোন দিকে হতে পারে, ভালো দিকেও হতে পারে আবার খারাপ দিকেও হতে পারে। প্রাকটিস করলে পারফেকশান আসবেই। এনিয়ে বোধ হয় কোন দ্বিমত নেই।

একটা উদাহরন দেই, যারা ক্রিকেট খেলে, ধরুন আমাদের দেশের সাকিব, তামীম বা মুশফিক এরা বছরের পর বছর সাধনা করে নিজেকে এমন একটা পর্যায়ে উত্তীর্ন করে যে আর দশ জন স্বাভাবিক খেলোয়াড়ের থেকে তার পারফেকশান অনেক বেশী চলে আসে বিধায় সে খুব ভালো খেলে। যদি তার থেকেও বেশী সাধনা করে ধরুন এদের থেকেও ভালো যারা খেলে ( বিভিন্ন বিদেশী নাম করা খেলোয়াড়) তারা আরো বেশী এই খেলাটাকে নিয়ে সাধনা করে অসাধারন সব শট বাউন্ডারি মেরে মানুষদের পুলকিত করে।

পড়াশুনার ব্যাপারটা দেখুন, একটা নির্দিষ্ট বয়সে সবাইকে পড়াশুনা করতে হয় অনেকটা বাধ্যতামুলক ভাবে, কারন পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। সবাই পড়াশুনা করে, কিন্তু এই পড়াশুনায়ও ডিফারেন্স আছে, কেউ কেউ কঠোর তপস্যার মত পরিশ্রম করে পড়াশুনা করে যার ফলাফল সে হাতে নাতে পায়, রেজাল্ট আসলে দেখা যায় কেউ বোর্ডে ষ্ট্যান্ড করছে, কেউ ষ্টার মার্কস পেয়েছে, কেউবা ফার্ষ্ট ডিভিশান কেউ বা ফেল। কেন? কারন ওই একটাই পড়াশুনায় সাধনা বা প্রাকটিস। আবার দেখবেন বোর্ডে ষ্ট্যান্ড করা এইসব ছেলেমেয়ের মধ্যেও কিছু পার্থক্য আছে, কেউ কেউ এমন মার্কস পেয়েছে যা শত সাধনায়ও কেউ পারে না, অথচ খুব হাতে গোনা অল্প কয়েকজন কিন্তু সেই অবিশ্বাস্য নাম্বার সহ বোর্ডে রেজাল্ট করছে যা কয়েক বছরের রেকর্ড, এরা ভিন্ন প্রজাতির, এদের জন্মের সময়ই এরা কিছু বিশেষ গুন নিয়ে আসে যাকে আমরা মেধা বলি, যেটা অনেকটা গড গিফটেড।

বিজ্ঞানীদের দিকে তাকান, দুনিয়ায় শত শত বিজ্ঞানী আছে যারা তাদের আবিস্কার দিয়ে বিশ্বকে এগিয়ে নিয়ে যায়, এদের সংখ্যাও কয়েকশত হবে, আবার এদের মাঝে নিউটন, আইনষ্টাইন বা হালের হকিন্স এরা আবার সেরাদের মাঝে সেরা, চেষ্টা করলে কেউ কেউ বিজ্ঞানী হতে পারে, কিন্তু শত শত চেষ্টা করলেও একজন নিউটন বা আইনষ্টাইন হওয়া সম্ভব না, কেন? কারন এরা জন্মগত ভাবেই অসাধারন মেধার অধিকারী যাকে আমরা গড গিফটেড বলতে পারি, হয়ত ছোট বেলায় এর কোন বিকাশ ঘটে না (এর উদাহরন ভুরি ভুরি আছে) কিন্তু কোন এক প্রেক্ষিতে বা একটা বয়সে এটা বিকাশ লাভ করে।

কবি বা লেখক আছে হাজার হাজার, চেষ্টা করলে অনেকেই লিখতে পারবে বা কবিতা বানাতে পারবে, যদি দিনের পর দিন প্রাকটিস করে তবে হাজার জনের মাঝে নিজেকে আলাদা চেনাতেও পারবে এনিয়ে কারো কোন সন্দেহ আছে নাকি? অবশ্যই নাই। কিন্তু কয়জন রবীন্দ্রনাথ, চসার, মঁপাসা বা টলষ্টয় হতে পারবে? একজনও না, কারন ওই একই। কারন এরা জন্মগতভাবে এই ব্যাপারে প্রতিভার অধিকারী। সেই সাথে আছে এদের নিরলস সাধনা বা পরিশ্রম।

এইবার আমি এর সাথে এমন একটা ব্যাপার তুলে আনব যা আনলেই অনেকে নাক সিটকাবেন, এতক্ষন যারা আমার ওপরের লেখার সাথে এক মত পোষন করছেন তাদের কেউ কেউ এইবার আমাকে বলবেন অযৌক্তিক, গেয়ো, মুর্খ, অথচ আপনিই আমার ওপরের লেখার সাথে এক মত হয়েছেন।

ধর্মও হল একটা প্র্যাকটিস বা সাধনার ব্যাপার, নিত্য ধর্ম পালন সেতো প্রায় সবাই ই করেন (অল্প কিছু অবিশ্বাসী বাদে)। নামায, পুজা, প্রার্থনা বা যার যে বিধান তা কিন্তু পালন করে যাচ্ছেন ওই পরীক্ষার পড়া, পড়ার মত করে। কেউ কেউ সম্পুর্ন, কেউ কেউ আংশিক। কিন্তু করছেন অনেকেই। কিন্তু খুব সামান্য সংখ্যক মানুষ আছেন যারা ধর্মটাকে নেন সাকিব, মুশফিকদের মত নিরলস বছরের পর বছর একটা নির্দিষ্ট সাধনার মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্তরে নিতে যার ফলশ্রুতিতে তাদের বিভিন্ন কাজ আমাদের চোখে ধাঁধা বা বিভ্রমের সৃষ্টি করে। যারা নিতে পারেন তারা যে আর দশ জন স্বাভাবিক ধার্মিকের থেকে আলাদা হবেন এতে অবাক হবার কিছু নেই।

আবার এই সব ধার্মিকের মাঝে কিছু কিছু আছেন যারা জন্মের সময়ই শচীন, লারা বা নিউটন, আইনষ্টাইনের মত গড গিফটেড কিছু একটা নিয়ে জন্ম গ্রহন করেন, যারা তাদের সেই গড গিফটেড ব্যাপারটা নির্দিষ্ট সাধনা বা প্রাকটিসের মাধ্যমে এমন একটা অনন্য পর্যায়ে নিয়ে যায়, যার বাহ্যিক দৃষ্টিভঙ্গিতে মনে হয় অলৌকিক। এই অলৌকিকত্বে মাঝে আমার কাছে অবাক হবার মত কিছু নাই যদি না আমি লারা, শচীন বা নিউটনকে নিয়ে অবাক না হই।

রবীন্দ্রনাথ, নিউটন বা শচীনের কাজ দেখে যদি আপনি বিস্ময়াভুত হন তবে একজন জন্মগত ধার্মিক প্রতিভার অধিকারী যে কিনা নির্দিষ্ট সাধনার মাধ্যমে কিছু অদ্ভুত কাজ আপনাকে দেখায় (যদিও এই জাতের বিরল মানুষ গুলো সজ্ঞানে এই গুলা দেখায় না) তবে কেন অবাক হবেন? আপনি গান, খেলা, বিজ্ঞানে বিরল প্রতিভার স্বীকৃতি দিতে কুন্ঠা বোধ করেন না, কিন্তু বিরল ধর্ম জ্ঞানের অধিকারী (যারা অতী্তে ছিলেন এখন আছেন কিনা জানি না) তাদের প্রতিভার স্বীকৃতি দিতে নিজেকে গুটিয়ে নেন, কত বড় হিপোক্রেসী এক বারো কি ভেবেছেন? আপনি কি বক ধার্মিকদের দেখে ধর্মকে বিচার করেন? তবে আপনাকে ক্রিকেটের রহিম, গানের রাম বা বিজ্ঞানের যদুকে কে দিয়ে সেগুলো বিচার করার নামান্তর মাত্র।

অনেকেই বার্তা বা ওহী পাওয়াকে ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখা বা আনকনসাসে কিছু একটা পাওয়াকে মনে করেন, আসলে ব্যাপারটা এক না কারন বার্তা বা ওহীর ব্যাপারটা ভিন্ন, এখানে তারা যা লাভ করত সেখানে সে সম্পূর্ন সজ্ঞানে থাকত। (অবশ্য কিছু কিছু ভন্ড আছে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ করে, বর্তমান সমাজে এদের প্রচুর দেখা পাবেন সব ধর্মেই)। ওহীর ব্যাপার বাদ দিন, ধর্মের ব্যাপারটা একটা গভীর উপলদ্ধির ব্যাপার। এর মাঝে খুব অল্প সংখ্যক মানুষ এটাকে সাধনা হিসাবে নেন। আসি মুল ব্যাপারে, ধর্মেও বছরের পর বছর সাধনা করলে এমন কোন পর্যায়ে উত্তীর্ন হওয়া যায় যা সাধারনের কাছে অলৌকিক বা অবোধ্য মনে হবে।

আমি নিজে কোন ধার্মিক কেউ না, পাপ, ক্ষুদ্রতা, ভুল আমার মাঝে অনেক পাবেন, কিন্তু যার যা প্রাপ্য যৌক্তিক তাকে তা দিতে বা বলতে আমার কেন দ্বিধা হবে? যদি হয়ই তবে কিসের যৌক্তিক ভাবনা যা নিয়ে আমি গর্ব করি? ধর্ম নিয়ে নাক সিটকানোর কিছু নেই, কেউ পালন না করে, না করুক কিন্তু যে করে তাকে খাটো করে দেখার মাঝে কোন বিশেষত্ব নেই।

পৃথিবীতে বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ ধর্ম পালন করে নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করে সেখানে গুটি কয়েক খারাপের জন্য পুরা ধর্মকে দোষারোপ করতে হলে আমি বলব বিজ্ঞান ও ঘৃনিত কারন বিজ্ঞানের কারনেই এ্যাটম বোমা আবিস্কার হয়েছে, ক্রিকেট খুব খারাপ কারন অল্প কিছু ক্রিকেটার স্লেজিং এর নাম করে বিপরীত দলের খেলোয়াড়ের মা বউকে গালি দেয়, আর গান সে তো অতি জঘন্য একটা ব্যাপার কারন গানের কলি কিভাবে হয় “যৌবন আমার লাল টমেটো”, আর পড়শুনা ছিঃ ছিঃ কোন ভদ্র মানুষ কিভাবে পড়াশুনা করে যেখানে রসময় গুপ্ত গল্প লেখে!!!

ভালো থাকুন। ভালো দিকটা দেখুন। মানুষের অন্ধকার দিকটা না, মানুষের আলোকিত দিক দিয়ে বিচার করুন সে কতটা ভালো বা খারাপ।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৫৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: ভালো লিখেছেন একাটা অজানা ঐশ্বরিক কিছুর মধ্যে শান্তনা খুঁজে পেতে চায় বলেই ধর্ম চর্চা জনপ্রিয়। সব কিছুর শেষ আশ্রয়। ভরষা। ধ্যান মেডিটেশন করতে আমারও ভালোলাগে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: ভালোই বলছেন ধন্যবাদ। সব কিছুর শেষ আশ্রয় ধর্ম। ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



সাহিত্য, ছাত্র জীবন, বিজ্ঞান, ধর্ম, ইতিহাস, সমাজ বিজ্ঞান, লজিক, দর্শন, কোন বিষয়ে আপনার ধারণা পরিস্কার নয় বলে মনে হচ্ছে; আপনার তুলনা ও উদাহরণ গুলোতে আপনি আমের সাথে কমলা তুলনা করেছেন, শারীরিক দক্ষতার সাথে মানসিক ভাবনার তুলনা করেছেন।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বিতো দেখি সব কিছুতে ক্রিষ্টাল ক্লিয়ার ধারনা। আমের সাথেই তো কমলার তুলনা হবে, তাও ভালো আমের সাথে হাতীর তুলনা দেই নি।

আর পড়াশো, গান এগুলো শারীরিক কসরত জানতাম না!!!!!!

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০১

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো থাকুন । ভালো দিকটা দেখুন।মানুষের অন্ধকার দিকটা না, মানুষের আলোকিত দিক দিয়ে বিচার করুন সে কতটা ভালো বা খারাপ ।
অসাধারণ উক্তি।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন প্রিয় ব্লগার।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয় কবি। আপনার অনুপ্রেরনা দায়ক মন্তব্য আমার পাথেয়।।

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি পোষ্টে কি বলতে চান, সেটা আজ অবধি, কোন পোষ্টেই পরিস্কার করতে পারেননি।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ মুরুব্বী, সহজ সরল স্বীকারোক্তির জন্য। আমেরিকান পেপারের অনুবাদ দিয়া যে ব্লগের সব পোষ্ট বোজা যায় না, এটা স্বীকার করে নিয়ে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। সবাই এই সৎ সাহস উচ্চারন করতে পারে না ;)

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম ছাড়াও মানুষ পৃথিবীতে বেঁচে থাকে। কিন্তু খাদ্য ছাড়া মানুষ বাঁচে না।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: এনিয়ে কোন দ্বিমত নেই প্রিয় রাজীব ভাই।

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪০

নতুন বলেছেন: কিন্তু কয়জন রবীন্দ্রনাথ, চসার, মঁপাসা বা টলষ্টয় হতে পারবে? একজনও না, কারন ওই একই। কারন এরা জন্মগতভাবে এই ব্যাপারে প্রতিভার অধিকারী। সেই সাথে আছে এদের নিরলস সাধনা বা পরিশ্রম।

আমি গিফট বলবোনা, আমি বলবো এদের চিন্তা ভাবনাকে ভিন্ন পরিবেশে লালন পালন করতে সাহাজ্য করেছে তার পরিবার বা তার পরিস্হিতি।

জীবনের চয়েস এবং অজিত` অভিঙ্গতাই মানুষকে গড়ে তুলে.....

স্কুল কলেজে পড়ে রবীন্দ, নজরুল হওয়া সম্ভব না। কারন এখানের শিক্ষা কিন্তু সবাইকে এক টাইপের বানানো শেখানো হয়, ক্রিয়েটিভ কিছু হবার জন্য শিক্ষা দেওয়া হয় না।

মনে জাগা নতুন প্রশ্নর উত্তর খুজতে গিয়েই নতুন পথের সন্ধান পায় অনেকে এবং নতুন পথের এই যাত্রাই এক সময় তাদের ইতিহাসের নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে যায়।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১০

শের শায়রী বলেছেন: নতুন ভাই, আমি কিন্তু স্কুল কলেজে পড়াশুনার সাথে রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের সম্পর্ক তুলনা করিনি, আমি যেটা বলছি "কবি বা লেখক আছে হাজার হাজার, চেষ্টা করলে অনেকেই লিখতে পারবে বা কবিতা বানাতে পারবে, যদি দিনের পর দিন প্রাকটিস করে তবে হাজার জনের মাঝে নিজেকে আলাদা চেনাতেও পারবে এনিয়ে কারো কোন সন্দেহ আছে নাকি? অবশ্যই নাই। কিন্তু কয়জন রবীন্দ্রনাথ, চসার, মঁপাসা বা টলষ্টয় হতে পারবে? একজনও না, কারন ওই একই। কারন এরা জন্মগতভাবে এই ব্যাপারে প্রতিভার অধিকারী। সেই সাথে আছে এদের নিরলস সাধনা বা পরিশ্রম।"

আপনি লিখছেন, "আমি গিফট বলবোনা, আমি বলবো এদের চিন্তা ভাবনাকে ভিন্ন পরিবেশে লালন পালন করতে সাহাজ্য করেছে তার পরিবার বা তার পরিস্থিতি" ভাই এই ব্লগেও যারা কবিতা লেখে সবাই কিন্তু ভিন্ন ভাবনা ভিন্ন পরিবেশের কিন্তু তাদের মাঝে কয়জন রবীন্দ্রনাথ? অথবা গত এক শতাব্দীতে কয়টা নজরুল বা কীটস আসছে? কিছু গিফটেড না থাকলে শেক্সপীয়ার বা ভিঞ্চি হওয়া যায় না, হয়ত একজন শক্তি বন্দোপাধ্যায় বা সুনীল হওয়া যায় অথবা পটুয়া কামরুল, কিন্তু তার ওপর যেতে হলে এক্সট্রা কিছু থাকতেই হবে যা আমাদের বোধের বাইরে, এই জন্য আজো আইনষ্টাইনের মস্তিস্ক নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষনা করছেন।

আপনি লিখছেন "মনে জাগা নতুন প্রশ্নর উত্তর খুজতে গিয়েই নতুন পথের সন্ধান পায় অনেকে" এই নতুন পথ পাওয়াটাই কয়েক কোটিতে হয়ত একজন কোন এক ক্ষেত্রে, তারা নিশ্চয়ই ভিন্ন কিছু যার জন্য আমাদের মত সাধারনের থেকে তাদের অনন্য উচ্চতা, এই উচ্চতা কেউ কেউ চেষ্টা করে একটা মাত্রা পর্যন্ত নিতে পারে, তার পর নিতে গেলে সাধারন মস্তিস্কের কাজ না ওটাকেই আমি গিফটেড বলছি।

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয় ভাই।

৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০০

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় ভাই,
ভালো লিখেছেন। লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। তাহলেই পারস্পরিক তুলনাগুলি স্বচ্ছ হয়ে উঠে।
ইসলাম বা যেকোন ধর্মই তার বিশ্বাসীদের সেই জ্ঞানের চর্চা করতে বলে।
পবিত্র কুরআন শরিফে দেয়া আছে সুস্পষ্টভাবে - ইকরা, ইকরা বিসমি রাব্বিলাকাজি খালাক।
অর্থত তুমি পড় তোমার স্রষ্টার নামে। জ্ঞান অর্জন করো। ইসলামে আরেকটা ধারা হলো মারেফত যেটা নিয়মিত চর্চা না করলে কখনই সেই স্টেজে যাওয়া যায় না। স্বল্প জ্ঞান নিয়ে ধর্মীয় বিষয় গুলিতে যারা কথা বলে তারা আসলে এই বিষইয়ে কোন স্টাডি করে না।
ধর্মহীনতা হচ্ছে শয়তানের রাস্তা। এই পৃথিবীর ইতিহাসে বড় বড় যত সামাজিক অঘটন ঘটছে সবই ধর্মহীনতার কারনেই ঘটেছে। গে, লেসবিয়ানিসম, সেক্স চেঞ্জ, এনিমাল পারভার্টিজম সবই কিন্তু এই ধর্মহীনতার কাছ থেকে এসেছে। কুরআন তো পরের কথা বাইবেলেও স্পষ্ট করে এই সবগুলি নিষিদ্ধ করার কথা লেখা আছে। দেশে এই সব পারভার্টিসম আসছে কারন মানুষ ধর্ম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। কপটতা, ভন্ডামী, ধর্মের নামে ব্যবসা এখন জমজমাট। সুস্থ আর বিবেক নিয়ে বেচে থাকাই দায় হয়ে যাবে কিছু দিন পরে।
শুভ কামনা রইলো।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৪২

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই, ধর্মের যে ব্যাপারটা নিয়ে আমি ফাইট করছি ব্লগে সেটা হল, যে সব ব্লগার অবিশ্বাসী তারা সুযোগ পেলেই বা অনেক সময় বিনা কারনে বিশ্বাসী বা যারা ধর্মে বিশ্বাস রাখে তাদের আঘাত করে, আমার একটাই চাওয়া এই আঘাত দেয়া টা বন্ধ হোক, কারন আমার ব্লগ জীবনে আমি কখনো দেখিনি কোণ বিশ্বাসী (এখানে বিশ্বাসী বলতে ধর্মে বিশ্বাসী) অবিশ্বাসীদের নিয়ে উপহাস করছে বা আগ বাড়িয়ে আঘাত করছে।

৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩১

ময়ূরী বলেছেন: ভালো লাগা জানিয়ে গেলুম।।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৫

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:

চমৎকার বিশ্লেষন ভাই। সত্যিকারের নীতিশাস্ত্রের প্রকৃত বিন্যাসে কিন্তু
ধর্মের ভূমিকা প্রধান। তাই তথাকথিত নীতিকারেরা যখন আত্মবিস্মৃত হয় তখন অবাক হওয়া ছাডা আর কিছু করার থাকেনা।
আপনার লেখার শেষ প্যারার আগের প্যারাটি খুব ভাবার মতো বাক্যজট!
যেহেতু আমরা এখন সবাই পেট দিয়ে ভাবি তাই আপনার অনবদ্য লেখাটির সঠিক মূল্যায়ন হবে তেমন আশা করছি না!
ভালো থাকুন, শুভকামনা-

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: এলোমেলো ভাবনা প্রিয় ভাই,

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

১১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪০

হিজ মাস্টার ভয়েস বলেছেন: ক্রিটিকে না যাওয়ায় ভালো আমার জন্য। বরং জিজ্ঞাসা গুলো মুখোমুখি আলাপ হবে। এক নিশ্বাসে পড়ে ফেললাম লেখাটা।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: তবে তাই হোক ভ্রাতা।।

১২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭

হাসান রাজু বলেছেন: চাঁদগাজী সাহেবকে সব সময় ১ লাইনে উত্তর দিতে হয় (আপনিও তা ই করেন/করেছেন) । উনি আপনার উপর ভর করতে চাইছেন ।
উনার সদ্য আবিস্কার বিলিয়ন ট্রিলিয়নে কতটা শূন্য থাকে । হা হা হা ......

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৬

শের শায়রী বলেছেন: হাসান ভাই উনি মুরুব্বী মানুষ, আমেরিকান পেপারের কপি পেষ্ট মাইরা সব কিছু বুজতে চায় =p~ =p~ =p~ ;) ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.