নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের খারাপ সময়ে AI মানুষের হাতে এলো

০৩ রা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৪



আপনাদের অনেকেই ChatGPT ব্যবহার করে দেখেছেন; আপনি যখন ChatGPT'তে লগিন করা অবস্হায় আছেন, আপনি আসলে, সৃষ্টির শুরু থেকে আজ অবধি বিশ্বের সকল জ্ঞানী মানুষদের সাথে একই টেবিলে বসে আছেন, সবাই আপনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করছে, যাতে আপনি তাঁদের মতো বুঝতে পারেন, বলতে পারেন, জানতে পারেন, কাজ করতে পারেন।

মানব জাতি যেন আরেকটু সুখশান্তিতে থাকতে পারে, সেজন্য জ্ঞানী মানুষেরা প্রতিদিন কাজ করছেন নিরলাসভাবে; এই প্রচেষ্টারই একটা বড় প্রাপ্তি সম্প্রতি অনেকটা পুর্ণতা পেয়ে মানুষের হাতে এসেছে, ইহা AI; AI এমন পর্যায়ে এসেছে যে, মানুষের যেকোন সমস্যা সমাধানে, বিশ্বের সব জ্ঞানীদের ভাবনাকে একসাথে কাজে লগিয়ে, সবচেয়ে কম সময়ে, সর্বাধিক সঠিক সমাধান বের করা সম্ভব হবে। কিন্তু সময়টা ও পরিবেশটা আমাদের জাতির জন্য ঠিক সঠিক নয় এই মহুর্তে; আমরা অন্যদের তুলনায় আরো পেছনে পড়ে যাবো।

গত সপ্তাহ ছিলো পশ্চিমা বিশ্বে AI সপ্তাহ; AI সম্পর্কিত কম্প্যুটার চিপ তৈরিতে সবার চেয়ে এগিয়ে আছে সেমিকনডাকটর প্রতিষ্ঠান NVIDIA Corporation (NVDA); NVDA গত সপ্তাহে আমেরিকার ষ্টক-মার্কেটের মুল্য ২/৩ ট্রিলিয়ন বাড়িয়ে দিয়েছে; NVDA নিজেই ২ দিনের মাঝে "ট্রিলিয়ন ডলার" কর্পোরেশনে পরিণত হয়েছে; এক সপ্তাহে ষ্টকের মুল্য বেড়ে ৩০০ ডলার থেকে ৪১১ ডলারে চলে গেছে; ১ সপ্তাহে কোম্পানীর মার্কেট ক্যাপ যতটুকু বেড়েছে, তা দিয়ে ২টি INTEL কোম্পানী কেনা যাবে! বুঝতে পারছেন কি কান্ড ঘটেছে?

যেসব ছোট কোম্পানী কোনবভাবে AI'এর সাথে যুক্ত, তাদের অনেকের ষ্টক ২/৩ গুণও বেড়েছে ১ সপ্তাহের ভেতরে। কিন্তু পশ্চিমের মানুষের ভেতর ভয় ঢুকে গেছে; মনে করা হচ্ছে, একা আমেরিকায় ২০৩৩ সালের মাঝে ৯ কোটী মানুষের চাকুরী চলে যাবে; চাকুরী টিকিয়ে রাখার জন্য মানুষকে খুবই কম সময়ের ভেতর শক্ত বিষয়সমুহ পড়ে অনেক জ্ঞান লাভ করতে হবে; এতে আমেরিকান ও ইউোপিয়ানরাই কাঁপার শুরু করেছে। আমেরিকানদের চাকুরী চলে গেলে, ওরা সরকারী টাকা পায় আরো পড়ালেখা করার জন্য।

আমাদের ১ বাংগালী বন্ধুর মেয়ে ( আমেরিকায় জন্ম ) ফাইন্যান্সে পাশ ( মাইনর কম্প্যউটার সায়েন্স ) করে, গত ২ বছর চাকুরী করে, বার্ষিক ৮০ হাজার ডলার স্কেলে প্রবেশ করেছে। সে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে ৩ মাসের ১টি কোর্স করেছে AI'তে ( সাথে আছে ডাটা সায়েন্স ); এখন সে অন্য ১টি কোম্পানীতে ১৫৫ হাজার ডলারের অপার পেয়েছে। দেখছেন, বিশ্ব কোথায় যাচ্ছে? আমাদের জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রদের ভবিষ্যত কি? আমাদের মাদ্রাসার ছাত্রদের বউদের কে খাওয়াবে?


মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

মিরোরডডল বলেছেন:




আমেরিকার শিক্ষাব্যবস্থার সাথে বাংলাদেশের মাদ্রাসার ছাত্রদের তুলনা করাটাইতো ভুল।
There must be minimum eligibility for comparison.

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থার যে মান, সেটাকে বাংলাদেশের উন্নত শিক্ষার পর্যায়ে নিয়ে যেতে আরও অনেক বছর লাগবে। আন্তর্জাতিকভাবে তুলনা সেতো অনেক দূরের কথা।

০৩ রা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:



তুলনা না'করলেও আমাদের আরো পেছনে-পড়া ছাড়া অন্য গতি নেই; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা শুধু ফেইসবুকে এ+ পাবে; মাদ্রাসার গ্রেজুজুয়েটদের বউরা বেহেশতে যাবে।

২| ০৩ রা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যারা সাদা কলার চাকরী করে তাদের ঝুকি মনে হয় বেশী হবে। কারণ এরা মগজ খাটায় বেশী। যে সব কাজে মগজ কম লাগে সেই সব কাজে ঝুকি কম হবে। এ আই য়ের কারণে ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের চাকরী মনে হয় যাবে না।

০৩ রা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:



সাদা কলারের লোকরা বেশী সমস্যায় পড়বে ও ভয়ে থাকবে। আমার ধারণা, বিশ্বে জ্ঞানের বিপ্লব হবে।

৩| ০৩ রা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

আমি সাজিদ বলেছেন: দুটো কথা বলি -

একজন আমেরিকান, চায়নিজ, তাইওয়ানিজ,ইউরোপিয়ান জাপানিজ শিক্ষার্থী একাডেমিক পড়াশুনার পাশাপাশি অন্য স্কিলেও দক্ষ। নতুন স্কিল লার্ন করে জব সুইচ করা তাদেএ জন্য কোন ব্যাপার নয়। আমাদের বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও তা নয়, আরও অনেক বছর সময় লাগবে আমাদের। আমার বা আমাদের সমবয়সী একজন বিদেশী ডাক্তারের কথাই যদি বলি, মেডিসিনের পাশাপাশি সে আরও
নানা দিকে দক্ষ। তার গবেষণাপত্র খুঁজলে নূন্যতম হাফ ডজন পাওয়া যাবে, আপার লিমিট পঞ্চাশ বা তারও বেশী। আবার দেখবেন সে একই লোক স্পোর্টস ম্যান, ইউরোপ / উত্তর- দক্ষিণ আমেরিকা/ আফ্রিকা ঘুরে এসেছে। আরও বড় কথা বিশাল লোনের বোঝা মাথায় নিয়ে হয়তো মেডিসিনে পড়েছে, সেটাও শোধ করে ফেলেছে দুই রিনটা সাইড জব করে। ওইসব দেশে শুরু থেলেই ওদের নার্চারিং এমন ভাবেই হয়। এ আই ওরা বানাবে আর আমরা বড় জোর এই স্কিল দিয়ে৷ চ্যাটজিপিটিতে কনটেন্ট / কোড লিখিয়ে বিশেষজ্ঞ সাজতে পারি।

০৩ রা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০০

সোনাগাজী বলেছেন:



শিক্ষামন্ত্রী ও ব্যুরোক্রেটদের বেকুবী ও অসততার কারণে আমাদের ছেলেমেয়েরা কিছুই পাচ্ছে না; দেশের ছেলেমেয়ের নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ও ব্যুরোক্রেটদের ভাবতে হচ্ছে না; শিক্ষা নিয়ে ওদের কোন ভাবনা নেই, ওদের ছেলেমেয়েদের পড়াচ্ছে আমেরিকা, কানাডা, বৃটেন।

৪| ০৩ রা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

আমি সাজিদ বলেছেন: বানান ভুল। ফোনের ডিসপ্লে কাজ করছে না।

০৩ রা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০০

সোনাগাজী বলেছেন:




সমস্যা নেই, আমি বুঝতে পেরেছি।

৫| ০৩ রা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মিরোরডডল বলেছেন:



আমাদের পাশের দেশ ভারতের শিক্ষার মান মাচ বেটার দেন আস।
অনেক পিছিয়ে আছি আমরা। সেই লেভেলে যেতেই আমাদের কত পথ পারি দিতে হবে।

প্রশ্ন এখানেই কেনো আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার এমন করুণ অবস্থা।
আমাদের দেশেও একটা সার্টেন গ্রুপ ভালো করছে কিন্তু এটা এনাফ না।
সামগ্রিকভাবে শিক্ষার মান চেঞ্জ করাটা কোথায় বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে, কেনো পিছিয়ে আছে!
এখানে সক্রিয় ভূমিকা কাদের? তারা কতোটা এফোর্ট দিচ্ছে?

০৩ রা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

সোনাগাজী বলেছেন:




আমাদের এমপি'র ছেলে আমােরিকা থেকে পড়ে গেছে এমপি হবে; আমাদের এমপি আমাদের বাড়ীর পাশের কলেজে সব সময় রাজনৈতিক মিটিং করেন, ছাত্রা ছুটি পায়, চা খায় ফ্রি।

আমরা আগামী ১০০ বছরেও ভারতে পাড়ালেখার কাছেও যেতে পারবো না।

৬| ০৩ রা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০১

মিরোরডডল বলেছেন:



সাজিদের সাথে সহমত।
পশ্চিমা বিশ্বে বেইজটা তৈরি হয় ভিন্নভাবে।
ওভারল সিস্টেমটাই আলাদা।

তাই বাংলাদেশকে নিজের জায়গায় থেকেই কতটা ডেভেলপ করা যায় সেটা ভাবনার বিষয়।
ডেভেলপ হচ্ছে কিন্তু খুব শ্লথ গতিতে।

০৩ রা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

সোনাগাজী বলেছেন:



পশ্চিমে মুজাহি, পিন্টু, শামীম ওসমান, জয়নাল হাজারী, বদি মিয়ারা এমপি হতে পারবে? দীপুমনি ভারতের শিক্ষামন্ত্রী হতে পারবেন?

৭| ০৩ রা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমরা এখনো শতভাগ অক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন হতে পারিনি। কিসের সাথে কিসের তুল না। এসব কথা শুনালে জাতি লজ্জা পায়।

০৩ রা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

সোনাগাজী বলেছেন:



প ঠকেরা নিজ জাতির দিকে তাকিয়ে যেন লজ্জা পায়, সেই জন্যই এসব পোষ্ট।

৮| ০৩ রা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

মিরোরডডল বলেছেন:



পশ্চিমে মুজাহি, পিন্টু, শামীম ওসমান, জয়নাল হাজারী, বদি মিয়ারা এমপি হতে পারবে? দীপুমনি ভারতের শিক্ষামন্ত্রী হতে পারবেন?

ম্যান ইউ অলরেডি নো দ্যা আন্সার :)

শামীম ওসমান, জয়নাল হাজারী এরা যখন লিডার, এদের কাছ থেকে আমরা কি লিডারশীপ আশা করতে পারি??? আর কিই বা স্বপ্ন দেখতে পারি । এখানেই কবি নীরব !!!!!

০৩ রা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২

সোনাগাজী বলেছেন:



আমাদের মানুষদের মাঝে যারা খারাপ, তারা রাজনৈতিক দলে ভালো করে; তারা আমাদেরকে দোযখে নিয়ে এসেছে।

৯| ০৩ রা জুন, ২০২৩ রাত ৮:০৬

কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের গ্রামে তিনটি মাদ্রাসা একটি স্কুল।মাদ্রাসায় ছাত্র বাড়ছে ,স্কুল ছাত্রের অভাবে বন্ধ হবার উপক্রম।আমাদের আসল লক্ষ্য পরকাল।এদিক থেকে আমরা ঠিকই আছি।

০৩ রা জুন, ২০২৩ রাত ৮:১২

সোনাগাজী বলেছেন:



আমি ব্যাপারটা লক্ষ্য করেছি, এই বছরের শুরুর দিকে পোষ্টে বলেছিলাম যে, আগামী ৫ বছরে সরকারী প্রাইমারীগুলোতে ছাত্র কমে আসবে। আমাদের সরকার ও ব্যুরোক্রেটরা মানুষকে লিলিপুটিয়ানে পরিণত করে আদম বেপারী করছে।

১০| ০৩ রা জুন, ২০২৩ রাত ৯:২৯

কলাবাগান১ বলেছেন: উন্নত বিশ্বে আসলে মাদ্রাসা শিক্ষার অসারতা বুঝা যায়...এখানেও ক্যাথলিক 'মাদ্রাসা' আছে কিন্তু এই সব স্কুল এর সিলেবাস প্রায়ই সমান সমান অন্য শিক্ষা প্রতিস্ঠান এর সাথে প্লাস ধর্ম

০৩ রা জুন, ২০২৩ রাত ৯:৫৯

সোনাগাজী বলেছেন:



মাদ্রাসা জাতিকে পংগু করে, জাতির নামও বদলায়ে দেবে। দেশ সুদান হবে।

১১| ০৩ রা জুন, ২০২৩ রাত ১০:১৯

নিমো বলেছেন: চিন্তার কিছু নেই, আমরা স্মার্ট উপনিবেশ হব। তবে ভালো দিক হল মাথামোটা মডু, ধর্মের ঠিকাদার ও ব্লগারদের থেকে রেহাই পাবার সম্ভাবনা আছে।

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৩:২৯

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশের করেছে মাফিয়া ছাত্ররা ( ছাত্র রাজনীতিবিদ ) ব্যুরোক্রেট ও ডোডো রাজনীতিবিদরা

১২| ০৩ রা জুন, ২০২৩ রাত ১০:২০

রিদওয়ান খান বলেছেন: দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ স্নাতক শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ‘খ’ ইউনিটে প্রথম হয়েছেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া এবং এই প্রথম দেশব্যাপী ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ‘খ’ ইউনিট গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ঘ’ ইউনিটে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন যে শিক্ষার্থী সেই রাফিদ সাফওয়ানও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের জন্য এই ‘খ’ ইউনিটই প্রধান এবং এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শীর্ষস্থানীয়।

এছাড়াও বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী সাদ ইবনে আহমাদ, একই শিক্ষাবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সরকারি সাত কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী হাসিবুর রহমান এবং জাতীয় অর্থোপেডিক্স হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (নিটোর)-এ প্রথম হওয়া মো. নাজমুল আলমও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। (তথ্যসুত্র বাংলা ট্রিবিউন)
কোনও কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা শর্তের বেড়াজালে কিছু কিছু বিভাগে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ভর্তির পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রবণতা অহরহ। তবে যেসব ক্ষেত্রে তাদের ভর্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার সুযোগ রয়েছে সেখানেই তারা তাদের মেধার স্বাক্ষর রেখেছে বারবার, এমনকি শিক্ষা সমাপ্তির পর একইভাবে সরকারি চাকরির সর্বোচ্চ স্থান বিসিএস ক্যাডারসহ অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি চাকরিতেই তাদের প্রবেশ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে।

কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, যারা কিনা মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তারাই আবার মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করায় বলে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন মাদ্রাসায় পরিনত হয়েছে ! :D

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৩:৩০

সোনাগাজী বলেছেন:



ওরা সবাই যথা সময়ে তালেবান জেনারেল হবে।

১৩| ০৩ রা জুন, ২০২৩ রাত ১০:২৯

রিদওয়ান খান বলেছেন: মাদ্রাসা শিক্ষার্থী তার শ্রম ও মেধা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে আমাদের দেশের কলা (!) বিজ্ঞানীরা বলে যে 'বিশ্ববিদ্যালয়গুলো' এখন মাদ্রাসায় পরিনত হয়েছে আর মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ধর্ম ভিত্তিক পড়াশোনা মাদ্রাসায় পড়লে বলে এগুলো 'মাথামোটা'!

হাউ সেলুকাস!!!! :D

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৩:৩১

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি মাদ্রাসায় পড়েছেন?

১৪| ০৩ রা জুন, ২০২৩ রাত ১০:৩৫

কলাবাগান১ বলেছেন: @রিদওয়ান খান,

আপনি মাদ্রাসায় পড়েছেন??? আপনার ছেলে-মেয়েকে মাদ্রাসায় পড়াবেন? যে মাদ্রাসার ছেলেমেয়েরা ভর্তি পরীক্সায় প্ড়থম হয়েছে (কয়েক হাজারে একজন দুজন), তারা হয়ত সাধারন শিক্ষায় পড়লে আইনস্টাইন না হোক ফাইনম্যান এর মত সেরা বিজ্ঞানী হতে পারত।

১৫| ০৩ রা জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫৬

রিদওয়ান খান বলেছেন: কলাবাগান১ বলেছেন: (কয়েক হাজারে একজন দুজন)।
এই কয়েক হাজারে এক দুজন ভর্তি হওয়ার পরেও রেসিস্টগুলো কেনো প্রশ্ন তুলে বলে 'বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মাদ্রাসায় পরিনত হচ্ছে'? এই এক দুইজনেই তাদের এত গাত্রদাহ হয়ে যায়? যদি অধিকাংশ হতো তাহলে কী করতো?

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৩:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:




১০ বছরের মাঝে গ্রামের সরকারী প্রাইমারীতে ছাত্র থাকবে না, বাচ্ছাদের দেয়া হবে মাদ্রাসায়

১৬| ০৩ রা জুন, ২০২৩ রাত ১১:১২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



শুধুমাত্র ChatGPT শিখে বাংলাদেশে কতটুকু পন্ডিত হওয়া যাবে?

AI দক্ষ হয়ে দেশে ক্যারিয়ার গড়ে তোলা যাবে?

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৩:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:




দেশেও AI দক্ষ লোকের দরকার হবে।

১৭| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সকাল ৮:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ের উপর আলোচনাটি দুর্ভাগ্যজনকভাবে রূপ নিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষার উপযোগীতার উপর বিতর্কে ।
আসল বিষয়টির উপর আলোচনা দিক হারিয়েছে ।
আপনিতো আবার কোন মন্তব্য ২/৩ লাইনের বেশী লম্বা হলে সেটা পাঠ করেননা বলে জানিয়েছেন আপনার একটি
লেখায় । তারপরেও মন্তব্যটিকে একটু লম্বা করলাম অন্য পাঠকদের নজড়ে পড়লেও পড়তে পারে ।
এটা সত্য যে ব্লগে লেখালেখির একটি বিশেষ উদ্দেশ্য থাকে কোন জনগুরুত্বপুর্ণ বিষয়ের উপকারীতা ও সে সম্পর্কে
সংস্লিষ্টদের মাঝে সচেতনতা সৃজনপুর্বক সঠিক কর্মপন্থা অবলম্বন করে অলোচ্য বিষয়ে গঠনমুলক কর্মপন্থা গ্রহণ ও
বাস্তবায়ন করার জন্য তীর্যক সমালোচনামুলক ভাষা প্রয়োগ করে তাদেরকে সচেতন করে তুলা। সেদিক বিবেচনায়
পোষ্টটি কিছুটা স্বার্থক । তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে দেশে নীতি নির্ধারক মন্ত্রনালয়গুলির পরিকল্পনা
সেলের কর্মকর্তাগনের বেশীর ভাগই মন্ত্রনালয় সস্লিষ্ট বিষয়ের উপর শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী নন । উদাহরণ
স্বরুপ বলা যায় কৃষি মন্ত্রনালয়ের পরিকল্পনা সেলের কর্মকর্তাগনের বেশীর ভাগই অকৃষি বিষয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতার
অধিকারী হয়তা তারা ইতিহাস বা বাংলায় স্নাতোকত্তর পাশ ।

তেমনিভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের পরিকল্পনা সেলের জনবলও সংস্লিষ্ট বিষয়ের উপর ডিগ্রীধারী হয়ত নাও হতে
পারেন । ফলে যা হবার তাই হচ্ছে ।

যাহোক, ক্ষেত্র বিশেষে এসমস্ত লোপহোল থাকার পরেও অবস্থা খুব একটা খারাপ নয়।
এখনো সরকারী পর্যায়ে কিছু লোকজন আছেন যারা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বিষয়গুলিকে
একটু পাঠ করে দেখেন । ক্ষেত্র বিশেষে অনেকে আবার গঠন মুলক লেখাগুলিকে বেশ গুরুত্বও দেন ।
এবং সে অনুযায়ী প্রকল্পও গ্রহণ করেন । আমার কিছু পোষ্টই তার প্রমান ।

যাহোক মুল বিষযটি নিয়েই দু একটি কথা বলা যাক ।
আমরা অনেকেই জানি যে ChatGPT interacts in a conversational way. আর মুল বিষয়টির সাথে
Artificiel Intelligence (AI) অনেকটাই জড়িত ।
AI বিষয়ে বাংলাদেশের কৌশল কি কি হতে পারে সে বিষয়ে খুঁজ খবর নিয়ে যারা যায় যে বাংলাদেশ সরকার
AI বিষয়ে নিন্মরূপ একটি খসড়া কৌশলপত্র প্রনয়ণ করেছে ।

সুত্র : AI বিষয়ে নিন্মরূপ একটি খসড়া কৌশলপত্র
প্রায় পাঁচ শতাধিক পৃষ্ঠার সেই খসড়া কৌশলপত্রের নাম ভুমিকায় বলা হয়েছে -
With more than 163 million of the population in 1, 47,570 km2 area has more than
40 million students, Bangladesh is facing significant challenges with employment issues.
The fear factor for AI is losing job opportunities. AI will replace human skills. As a result,
heavily populated countries with mostly low-level skills like us might find it difficult to survive. According to the world economic forum, AI and Robots would create many jobs than they
displace. Because of AI and related technologies, economic growth will boost up than
ever before and create many additional job opportunities. The fourth Industrial Revolution
is expected to create 133 million new roles.

If we can reskill our population in the right direction, we can join the new era of the fourth
industrial revolution successfully. We need to engage higher academic graduates to
innovate next-generation capital machinery and change Bangladesh’s labour-intensive manufacturing strategy to knowledge-intensive eco-systems.

আর AI এর সফল প্রয়োগের জন্য মুলত ছয়টি কৌশলগত স্তম্ভ নির্মান ও তা বাস্তবায়নের কথা কৌশলপত্রে বলা
হয়েছে । এই ছয়টি স্তম্ভ হলো
১) গবেষণা ও উন্নয়ন, ২) AI কর্মশক্তির দক্ষতা এবং পুনঃস্কিলিং, ৩) ডেটা এবং ডিজিটাল অবকাঠামো,
৪) নৈতিকতা, ডেটা গোপনীয়তা, নিরাপত্তা ও প্রবিধান, ৫) তহবিল এবং AI শুরুকে ত্বরান্বিত করা Start-up
এবং ৬) AI প্রযুক্তির জন্য শিল্পায়ন।

এখন সংস্লিষ্ট সকলে, সাথে এই বিষয়ে সামুর বিজ্ঞ সচেতন ব্লগারগন একটু সজাগ খেকে যার যার মেধা, প্রজ্ঞা ও
অবস্থানগত সুযোগ সুবিধা খাটিয়ে AI এর প্রসার ঘটিয়ে CHAT GPT কিংবা তার থেকেও আরো কোন উন্নত
প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে নানাবিধ সীমাবদ্ধতার মধ্যেও দেশের শিক্ষা, প্রযুক্তি ও শিল্পায়নে ভুমিকা পালন করাই হবে
একটি উপযুক্ত কাজ ।

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সকাল ১০:১১

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার মন্তব্য বড় হলেও পড়ি, এই মন্তব্যটিও পড়েছি।

সব মন্ত্রনালয় থেকে লোকজনকে আজকাল বিশ্বের ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএস, পিএইচডি করায়; এসব লোকজন এই ধরণের কৌশলপত্র লিখে ফেলেন কয়েক মিনিটের মাঝে, যা কাগজপত্রে থাকে, যা নিয়ে মিটিং ইত্যাদি হয়, প্রমোশনও হয়; কিন্তু কেহ এগুলোকে কার্যকরী করে বলে মনে হয় না। যারা এসব কৌশলপত্র কার্যকরী করার কথা, ওরা সবাই এসব প্রকল্প চালু করে কাগজপত্রে, কাগজের স্তুপ বাড়ে।

১৮| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সকাল ৯:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




সুত্রের লিংকটি সঠিকভাবে কাজ করছেনা ।
সম্ভবত এটা তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের
খসড়া কৌশলপত্র বিধায় মন্ত্রনালয়ের মুল
ওয়েবমাইটে এখনো অন্তর্ভুক্ত করেনি , কিংবা
ওয়েব পেইজটি এখনো আপডেট হয়নি ।

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সকাল ১০:১৪

সোনাগাজী বলেছেন:



আমার আত্মীয়দের মাঝে ৪ জনকে দেখেছি, এই ধরণের কাগজপত্র নিয়ে সব সময় কথা বলতে, ৪ জনই নিজেদের পরিবারের জন্য কাজ করে গেছেন।

১৯| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম গুলো আমাদের মূলত ক্ষতিই করেছে।

২০| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি প্রায়ই অনেক লেখা ড্রাফট করে ফেলেন, দরকারের সময় খুঁজে পাই না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.