নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৩৫



আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। পৃথিবীর ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়।
প্রতিবছর বাংলাদেশে ১৪ ডিসেম্বর দিনটিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নির্দেশনা ও মদতে একশ্রেণির দালালরা এই হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করে। পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের নিশ্চিহ্ন করার এই নীলনকশা প্রণয়ন করে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। পাকবাহিনীর অস্ত্র সহায়তা নিয়ে তাদেরই ছত্রছায়ায় আধাসামরিক বাহিনী আলবদরের ক্যাডাররা এই বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করে।

বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত সংখ্যা আজ পর্যন্ত গণনা করা হয়নি। ১৯৭২ সালে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ’ শীর্ষক গ্রন্থ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এদের মধ্যে ৯৯১ জন ছিলেন শিক্ষাবিদ, ৪৯ জন চিকিত্সক, ৪২ জন আইনজীবী এবং ১৬ জন সাহিত্যিক, শিল্পী ও প্রকৌশলী। বুদ্ধিজীবী নিধনের এ তালিকায় ঢাকা বিভাগে ২০২ জন শিক্ষক ও ১০ জন আইনজীবীকে হত্যা করা হয় । চট্টগ্রাম বিভাগে ২২৪ জন শিক্ষক ও ১০ জন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়। খুলনা বিভাগে ২৮০ জন শিক্ষক ও ছয়জন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়। রাজশাহী বিভাগে ২৬২ জন শিক্ষক ও ১৫ জন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়। তবে এ তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নাম ছিল না।

১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর সকল বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। এ কাজে বাংলাদেশীদের মধ্যে রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনীর সদস্যরা তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছিল। বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের সাথে রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী বাংলাদেশের অসংখ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাদের নির্যাতনের পর হত্যা করে। স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত হয়। পরবর্তীতে ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে গণকবরে তাদের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর নিকট আত্মীয়রা মিরপুর ও রাজারবাগ বধ্যভূমিতে স্বজনের মৃতদেহ সনাক্ত করেন। অনেকের দেহে আঘাতের চিহ্ন, চোখ, হাত-পা বাঁধা, কারো কারো শরীরে একাধিক গুলি, অনেককে হত্যা করা হয়েছিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে। যা থেকে হত্যার পূর্বে তাদের নির্যাতন করা হয়েছিল সে তথ্যও বের হয়ে আসে। অনেকের লাশ শনাক্তও করা যায়নি, পাওয়াও যায়নি বহু লাশ।



স্থান: পুর্ব পাকিস্তান
তারিখ: ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১
লক্ষ্য: বাঙালি বুদ্ধিজীবী
হামলার ধরন: গণহত্যা
নিহত: ১,১১১ জন
হামলাকারী দল: পাকিস্তান, পাকিস্তান সেনাবাহিনী, জামায়াতে ইসলামী, শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল-বদর, আল শামস



শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকঃ
ডঃ গোবিন্দ চন্দ্র দেব (দর্শনশাস্ত্র)।
ডঃ মুনির চৌধুরী (বাংলা সাহিত্য)।
ডঃ মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (বাংলা সাহিত্য)।
ডঃ আনোয়ার পাশা (বাংলা সাহিত্য)।
ডঃ আবুল খায়ের (ইতিহাস)।
ডঃ জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা (ইংরেজি সাহিত্য)।
ডঃ সিরাজুল হক খান (শিক্ষা)।
ডঃ এ এন এম ফাইজুল মাহী (শিক্ষা)।
হুমায়ূন কবীর (ইংরেজি সাহিত্য)।
রাশিদুল হাসান (ইংরেজি সাহিত্য)।
সাজিদুল হাসান (পদার্থবিদ্যা)।
ফজলুর রহমান খান (মৃত্তিকা বিজ্ঞান)।
এন এম মনিরুজ্জামান (পরিসংখ্যান)।
এ মুকতাদির (ভূ-বিদ্যা)।
শরাফত আলী (গণিত)।
এ আর কে খাদেম (পদার্থবিদ্যা)।
অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য (ফলিত পদার্থবিদ্যা)।
এম এ সাদেক (শিক্ষা)।
এম সাদত আলী (শিক্ষা)।
সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য (ইতিহাস)।
গিয়াসউদ্দিন আহমদ (ইতিহাস)।
রাশীদুল হাসান (ইংরেজি)।
এম মর্তুজা (চিকিৎসক)।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকঃ
ডঃ হবিবুর রহমান (গণিত বিভাগ)।
ডঃ শ্রী সুখারঞ্জন সমাদ্দার (সংস্কৃত)।
মীর আবদুল কাইউম (মনোবিজ্ঞান)।

চিকিৎসকঃ
অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি (হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ)।
অধ্যাপক ডাঃ আলিম চৌধুরী (চক্ষু বিশেষজ্ঞ)।
অধ্যাপক ডাঃ শামসুদ্দীন আহমেদ।
অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল আলিম চৌধুরী
ডাঃ হুমায়ুন কবীর।
ডাঃ আজহারুল হক।
ডাঃ সোলায়মান খান।
ডাঃ আয়েশা বদেরা চৌধুরী।
ডাঃ কসির উদ্দিন তালুকদার।
ডাঃ মনসুর আলী।
ডাঃ মোহাম্মদ মোর্তজা।
ডাঃ মফিজউদ্দীন খান।
ডাঃ জাহাঙ্গীর।
ডাঃ নুরুল ইমাম।
ডাঃ এস কে লালা।
ডাঃ হেমচন্দ্র বসাক।
ডাঃ ওবায়দুল হক।
ডাঃ আসাদুল হক।
ডাঃ মোসাব্বের আহমেদ।
ডাঃ আজহারুল হক (সহকারী সার্জন)
ডাঃ মোহাম্মদ শফী (দন্ত চিকিৎসক)

অন্যান্যঃ
শহীদুল্লাহ কায়সার (সাংবাদিক)।
নিজামুদ্দীন আহমেদ (সাংবাদিক)।
সেলিনা পারভীন (সাংবাদিক)
সিরাজুদ্দীন হোসেন (সাংবাদিক)।
আ ন ম গোলাম মুস্তফা (সাংবাদিক)।
আলতাফ মাহমুদ (গীতিকার ও সুরকার)।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত (রাজনীতিবিদ)।
রণদাপ্রসাদ সাহা (সমাজসেবক এবং দানবীর)।
যোগেশ চন্দ্র ঘোষ (শিক্ষাবিদ, আয়ূর্বেদিক চিকিৎসক)।
জহির রায়হান (লেখক, চলচ্চিত্রকার)।
মেহেরুন্নেসা (কবি)।
ডঃ আবুল কালাম আজাদ (শিক্ষাবিদ, গণিতজ্ঞ)।
নজমুল হক সরকার (আইনজীবী)।
নূতন চন্দ্র সিংহ (সমাজসেবক, আয়ূর্বেদিক চিকিৎসক)।

শহীদ শিক্ষাবিদ (বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া) ও আইনজীবীদের জেলাওয়ারী তালিকা



উপসংহার: - ১৪ ডিসেম্বর সহ ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। বাংলার শ্রেষ্ট সন্তানদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা আমাদের সকলের কর্তব্য ও দায়িত্ব, ত্রিশ লক্ষ অমূল্য প্রাণের বিনিময়ে আজ আমরা খোলা আকাশের নিচে নির্মল বাতাসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারি, ত্রিশ লক্ষ শহীদের নিঃস্বার্থ জীবনের বিনিময়ে আজ আমরা সফলতার স্বপ্ন দেখি আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক।


কৃতজ্ঞতা: - সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষ
ছবি ও তথ্য: - গুগল সার্চ ইঞ্জিন



মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:১৫

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: ভাইয়া অনেক ধন্যবাদ, বুদ্ধিজীবী দিবস নিয়ে লিখবার জন্য। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত ইতিহাস পড়তে, জানতে বেশ আগ্রহবোধ করি। ভালো লাগলো পোস্টটা পড়ে। সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা !!

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বোন শুভ্রনীল শুভ্রা,
আমাদের জাতির দুঃখগাথা ইতিহাস, লাল সবুজের বাংলাদেশের রক্তেমাখা কষ্টের ইতিহাস। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে এই দেশ হারিয়েছে এই দেশের শ্রেষ্ট সন্তানদের যাদের হারানোর ক্ষাতিপূরণ হাজার বছরেও আর সম্ভব নয়।

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকল মানুষের পরিবারের প্রতি সহানুভুতি রলো।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




১৪ ডিসেম্বর সহ ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। বাংলার শ্রেষ্ট সন্তানদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা আমাদের সকলের কর্তব্য ও দায়িত্ব, ত্রিশ লক্ষ অমূল্য প্রাণের বিনিময়ে আজ আমরা খোলা আকাশের নিচে নির্মল বাতাসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারি, ত্রিশ লক্ষ শহীদের নিঃস্বার্থ জীবনের বিনিময়ে আজ আমরা সফলতার স্বপ্ন দেখি আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক।

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


জনযু্দ্ধে, জাতীয়যুদ্ধে, জাতীর হয়ে যুদ্ধ করতে হয়; না হয়, পালিয়ে থাকতে হয়।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




চাঁদগাজী ভাই,
দেশের জন্য জাতির জন্য যুদ্ধ করতে হয় এটিই নিয়ম। কিন্তু এই নিয়ম ভঙ্গ করে হাজার লক্ষ কোটি মানুষ পুরোটা যুদ্ধকালীন সময় ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, কোলকাতা ডুব দিয়েছিলো। আর যাদের নেতা বলে জানি তারা কোলকাতা রঙমহলে বসে বসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখেছে।

৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০২

ইসিয়াক বলেছেন: সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা রইলো ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ইসিয়াক ভাই,
সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ও সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।

৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: আজ সমস্ত বাঙ্গালীর জন্য বিশেষ একটি দিন।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




রাজীব নুর ভাই,
রক্তেমাখা ১৯৭১ পুরোটাই আমাদের কষ্টের স্মুতি। ১৯৭১ এর সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ও সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।

৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৯

নীল আকাশ বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা রইল এদের প্রতি।
একমাত্র উন্মাদ কোন জাতির পক্ষেই এই জঘন্য কাজ সম্ভব!!!
ক্ষমতার লোভ মানুষকে পশুতে পরিনত করে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




নীল আকাশ ভাই,
যুদ্ধ অর্থই হচ্ছে বর্বরতা। যুদ্ধে ভালো কোনো কাজই হয়না যা হয় সবই পাশবিক। আমি যুদ্ধ দেখেছি যে ভয় যে আতঙ্ক কাজ করে সেই আতঙ্কের কাছে মৃত্যু ভয়ও কিছু না। পাকিস্তানি মিলিটারি মিলিশিয়িা যাদের ধরে নিয়ে যেতো তাদের শুধু হত্যা করে ক্ষান্ত হতো না, হত্যার আগে কাটিং প্লায়ার দিয়ে একটি একটি করে হাত পায়ের আঙ্গুল কেটে নিতো। পথে ঘাটে খালে বিলে যেসব লাশ পড়ে থাকতো বিভৎস সেসব লাশ। দেখে চেনার কোনো উপায় ছিলো না কে বা কার লাশ। ভয়ঙ্কর সেসব দিন।

৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা। জাতি কত বছর যে পিছিয়ে গিয়েছে। :(

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




স্বপ্নবাজ সৌরভ ভাই,
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকরের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। বাংলার শ্রেষ্ট সন্তানদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা আমাদের সকলের কর্তব্য ও দায়িত্ব, ত্রিশ লক্ষ অমূল্য প্রাণের বিনিময়ে আজ আমরা খোলা আকাশের নিচে নির্মল বাতাসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারি, ত্রিশ লক্ষ শহীদের নিঃস্বার্থ জীবনের বিনিময়ে আজ আমরা সফলতার স্বপ্ন দেখি আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক।

৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
১৪ ডিসেম্বর সহ ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই,
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকরের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। বাংলার শ্রেষ্ট সন্তানদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা আমাদের সকলের কর্তব্য ও দায়িত্ব, ত্রিশ লক্ষ অমূল্য প্রাণের বিনিময়ে আজ আমরা খোলা আকাশের নিচে নির্মল বাতাসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারি, ত্রিশ লক্ষ শহীদের নিঃস্বার্থ জীবনের বিনিময়ে আজ আমরা সফলতার স্বপ্ন দেখি আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক।

৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৩

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। তাদের হারিয়ে কতখানি ক্ষতি হয়েছে তার কিছুটা আমরা হয়তো উপলব্ধি করতে পারি। মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়ানো, স্বার্থের বাইরে গিয়ে মানুষের জন্য ভাবেন এমন কয়জন বুদ্ধিজীবী আছেন এই সময়ে ?! হাতেগোনা কয়েকজন হয়তো হবেন।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




এখন বুদ্ধিজীবী নামক টাকায় কেনা যায় টাকায় বিক্রি হোন কিছু মানুষ নামক পণ্য আছেন। যারা বাক্স চ্যানেল ফাই অনুষ্ঠানে মেয়েদের পণ্য করেন - হাত তালি দেন, পত্রিকায় গালভরা কথা লিখেন। কেক কাটেন, ম্যাকআপ করে মধ্যরাতে টিভিতে টক শো করেন। আর দেশের জন্য কি করছেন - দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছেন। আরেকটি কথা না বললেই নয় এরা সবাই ধর্মীয় চিন্তাবিদ, রাজনীতিবিদ ও কপিপেষ্টবিদ

১০| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯

স্বপ্নময় স্বপ্নের পথচারী বলেছেন: শহীদ কাদের মোল্লা সম্পর্কে কিছু বলুন |

১১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন তথ্যবহুল পোস্টে কৃতজ্ঞতা

তথ্যসূত্র হিসেবে প্রিয়তে রেখে দিলাম।

সকল শহীদরে আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা এবং পারলৌকিক শুভকামনা।
শুধু দিবসে নয়, সার্বজনীনতায় ছড়িয়ে থাকুন শহীদদের চেতনা

++++

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বিদ্রোহী ভৃগু ভাই,
যুদ্ধ অর্থই হচ্ছে বর্বরতা। যুদ্ধে ভালো কোনো কাজই হয়না যা হয় সবই পাশবিক। আমি যুদ্ধ দেখেছি যে ভয় যে আতঙ্ক কাজ করে সেই আতঙ্কের কাছে মৃত্যু ভয়ও কিছু না। পাকিস্তানি মিলিটারি মিলিশিয়িা যাদের ধরে নিয়ে যেতো তাদের শুধু হত্যা করে ক্ষান্ত হতো না, হত্যার আগে কাটিং প্লায়ার দিয়ে একটি একটি করে হাত পায়ের আঙ্গুল কেটে নিতো। পথে ঘাটে খালে বিলে যেসব লাশ পড়ে থাকতো বিভৎস সেসব লাশ। দেখে চেনার কোনো উপায় ছিলো না কে বা কার লাশ। ভয়ঙ্কর সেসব দিন।

১৪ ডিসেম্বর সহ ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।


১২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮

স্বপ্নময় স্বপ্নের পথচারী বলেছেন: শহীদ কাদের মোল্লাকে স্মরণ করলেন না ?

১৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




সত্যিই এক ভয়াল অন্ধকারের দিন। সে অন্ধকার ভেদ করে তেমন আলো ফোটেনি আজও।

৩ নং প্রতিমন্তব্যটিতে সহমত।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আহমেদ জী এস ভাই,
১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধ করেছে দেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ, সাধারণ পরিবারের সন্তানরা আর পুলিশ ইপিআর, ইষ্ট বেঙ্গল এর জওয়ানরা। আর শিক্ষিত ও রাজনীতিবিদগন এক দৌড়ে - ঠিক এক দৌড়ে পগার পাড় তথা কোলকাতা রংমহলে। আর আজ তারাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেন! অন্ধকার থেকে আলোর মুখ আজো আমরা দেখতে পাইনি কারণ দেশ এখনো দুর্নীতি মুক্ত নয়। যেই দেশে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০-৫০ লক্ষ লোক আত্মত্যাগ করেছেন তারপরও দেশ দুর্নীতির আখড়া!

এ দেশে ৭১ এর শহীদের রক্তের মূল্য সাধারণ ওয়াসার পানির মূল্যর চেয়েও কম।

১৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভীষণ ভালো লেগেছে তথ্যবহুল পোস্টটি। মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবী সহ সমস্ত শহিদদের উদ্দেশ্য জানাই অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। ভাষা আন্দোলনে শহীদ মহান বীরদের এমন ভাবে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা প্রিয় ঠাকুরমাহমুদ ভাইকে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




পদাতিক চৌধুরি ভাই,
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকরের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। বাংলার শ্রেষ্ট সন্তানদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা আমাদের সকলের কর্তব্য ও দায়িত্ব, ত্রিশ লক্ষ অমূল্য প্রাণের বিনিময়ে আজ আমরা খোলা আকাশের নিচে নির্মল বাতাসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারি, ত্রিশ লক্ষ শহীদের নিঃস্বার্থ জীবনের বিনিময়ে আজ আমরা সফলতার স্বপ্ন দেখি আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক।

১৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনি এতো সুন্দর প্রতিমন্তব্য দেওয়ার জন্য আবারো এলাম। বাঙালি জাতির বীর সন্তানদের জন্য মাগফিরাত কামনা করি। বিজয় দিবসকে সামনে রেখে ভাবী প্রজন্ম যেন নিজেদের জীবনাদর্শে যথার্থ বীরদের অনুকরণ করে এক স্বপ্নের দেশ গড়ে তোলেন..

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




পদাতিক চৌধুরি ভাই,
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে আমরা ভারতের কাছে ভারতের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা আমাদের সার্বিক সহযোগিতাই শুধু করে থামেন নি। তারা আমাদের শরণার্থীদের খাদ্য বাসস্থান চিকিৎসা দিয়েও সহযোগিতা করেছেন। আমি সময়ে সেসব লিখবো।
শুভ কামনা রাইলো পদাতিক চৌধুরি ভাই।


১৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৫

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য কতটা লজ্জাজনক যে এখনো কিছু 'বুদ্ধিজীবী' মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা এবং দেশে অবস্থান নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করেন! মাত্র কটা দিনের মধ্যে হানাদারদের দোসররা কিভাবে আমাদের জাতির মস্তিষ্ক গুড়িয়ে দিয়েছিল!
শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা.........

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা.........

১৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৩

এমজেডএফ বলেছেন: মাহমুদ ভাই, ভাস্কর্যের ছবিগুলো দেখে জীবন্ত ঘটনা মনে হচ্ছে! লেখার সাথে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকাটা দিয়ে বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন। পোস্টে +, এবং প্রিয়তে রাখলাম।

যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা
যুদ্ধ মানে তোমার প্রতি আমার অবহেলা।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা, যুদ্ধ মানে তোমার প্রতি আমার অবহেলা। এই কথায় অনেক তাৎপর্য তুলে ধরেছেন। যুদ্ধ অর্থই হচ্ছে বর্বরতা। যুদ্ধে ভালো কোনো কাজই হয়না যা হয় সবই পাশবিক। আমি যুদ্ধ দেখেছি যে ভয় যে আতঙ্ক কাজ করে সেই আতঙ্কের কাছে মৃত্যু ভয়ও কিছু না। পাকিস্তানি মিলিটারি মিলিশিয়িা যাদের ধরে নিয়ে যেতো তাদের শুধু হত্যা করে ক্ষান্ত হতো না, হত্যার আগে কাটিং প্লায়ার দিয়ে একটি একটি করে হাত পায়ের আঙ্গুল কেটে নিতো। পথে ঘাটে খালে বিলে যেসব লাশ পড়ে থাকতো বিভৎস সেসব লাশ। দেখে চেনার কোনো উপায় ছিলো না কে বা কার লাশ। ভয়ঙ্কর সেসব দিন।

১৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪২

রাকু হাসান বলেছেন:

ধন্যবাদ ভাই বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে পোস্ট করায় । আপনার পোস্টে করা তালিকা টা পেয়ে ভালো হয়েছে । গুরুত্ব বিষয়ে লিখছেন । তথ্যের ক্ষেত্রে বলবো আরও নির্দিষ্ট করে রেফারেন্স দিলে ভালো হতে পারে । যেমন বলেছেন শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা ১১১১ জন । এমন তথ্যে নিয়ে বিভ্রান্তি হয় প্রায়ই । যদি উপযুক্ত রেফারেন্স হয় তাহলে ভালো হয় । বাংলাদেশ এখন যে মেরুদণ্ডহীন বুদ্ধিজীবীর দেশ তার পেছেনে অন্যতম কারণ এই বুদ্ধিজীবী হত্যা। আপনার লেখার বিষয়বস্তু গুলো খুব সুন্দর ।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




রাকু হাসান ভাই,
বুদ্বিজীবী হত্যা ১৯৭১ এর পুরো বছর জুড়েই হয়েছে যার সংখ্যা লাখের উপর। উইকিপিডিয়া ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর তথ্য অনুসারে শুধুমাত্র ১৪ই ডিসেম্বর ১,১১১ জন বাসা থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে। সত্যি বলতে আরো বেশী হত্যা হয়েছে যা তালিকাভূক্ত নয়। আপনার প্রিয়জন কে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে, আপনি তালিকার পেছনে দৌড়াবেন না নিজের প্রিয়জনের খোঁজ করবেন। মূলত ১৪ই ডিসেম্বরে যে গণহত্যা হয়েছে তার সংখ্যা ১০,০০০ এর বেশী হবে।

রাজাকার আলবদর বাংলাদেশের প্রাইমারি স্কুলের হাজার হাজার হিসাব বিহীন হিন্দু শিক্ষক হত্যা করে নালা খাল বিলে ফেলে দিয়েছে। তাদের আত্মীয় পরিজন ভারতে পালিয়ছেন আর বাংলাদেশে ফিরে আসেন নি। তারা কিভাবে তালিকায় তাদের প্রিয়জনের নাম উঠাবেন।

১৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৪০

সুপারডুপার বলেছেন: সকল বুদ্ধিজীবী শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ।

কিন্তু আমার দুঃখ , ইসরাইল তাদের বুদ্ধিজীবী হত্যার কারণে করায় গন্ডায় হিসাব বুঝে নিয়েছে / প্রতিশোধ নিয়েছে । জার্মানির মত শক্তিশালী দেশকে মাথা নত করতে বাধ্য করেছে। কেন আজও বাংলাদেশিরা সামান্য পাকিস্তানকেই তা পারে নি?

কেন কিছুটা আইডিয়া পেলাম এই ব্লগ থেকে: মুক্তিযুদ্ধ,কিছু ঘটনা এবং ক্রিকেটে পাকিস্তান সমর্থন প্রসঙ্গে

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সুপারডুপার ভাই,
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকরের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। বাংলার শ্রেষ্ট সন্তানদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা আমাদের সকলের কর্তব্য ও দায়িত্ব, ত্রিশ লক্ষ অমূল্য প্রাণের বিনিময়ে আজ আমরা খোলা আকাশের নিচে নির্মল বাতাসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারি, ত্রিশ লক্ষ শহীদের নিঃস্বার্থ জীবনের বিনিময়ে আজ আমরা সফলতার স্বপ্ন দেখি আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক।

সুপারডুপার ভাই, আমরা আর যুদ্ধ চাই না। শিক্ষা শান্তি প্রগতি এটিই হোক আগামী দিনের পথ চলা।

২০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:১৩

অন্তরন্তর বলেছেন: মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধা।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




অন্তরন্তর ভাই,
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকরের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। বাংলার শ্রেষ্ট সন্তানদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা আমাদের সকলের কর্তব্য ও দায়িত্ব, ত্রিশ লক্ষ অমূল্য প্রাণের বিনিময়ে আজ আমরা খোলা আকাশের নিচে নির্মল বাতাসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারি, ত্রিশ লক্ষ শহীদের নিঃস্বার্থ জীবনের বিনিময়ে আজ আমরা সফলতার স্বপ্ন দেখি আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক।

২১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তুমি কী ভাবোনি ?
------------------
তুমি কী ভাবোনি ?— আমি লিখিনি কোন কবিতা গতদিনে!
তাহলে তুমি ভেবেছো ভুল
বাংলাদেশের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে ঠিকই ভেবেছি
ভেবেছি সেইদিন— মহান একাত্তরে
সেই ক্ষণ! কতটা ভয়ানক উৎকন্ঠার
দরজার কড়া নেড়ে যমদূত হয়ে এসেছিল
পাকহানাদার। কারণ যারা ছিল বুদ্ধিজীবী
স্বাধীনতার চেতনার ধ্বজাধারি বধ করে তাদের
এ দেশের অপূরণীয় ক্ষতি তারা করেছিল।
কেমন ছিল সেই তারিখ— ১৪ই ডিসেম্বর
তাদের পরিবারবর্গের প্রিয়হারার শোকে
ক্রন্দনরোল আকাশ প্রকম্পিত করে এ কেমন বিভীষিকা
তাদের তরে তাই সমবেদনা জানাবার ভাষা নাই।
শ্রদ্ধাঞ্জলি তাদের শুধু বলি এমন দলে দলে জীবন উৎসর্গের নজির
আর কোন দেশে নাই । ধন্য এই দেশ, ধন্য আমরা,
ধন্য বাংলাদেশ— লাখো শহীদের পবিত্র রক্ত মাখা
তাদের প্রাণদানে পৃথিবীর বুকে আমরা অনন্য তাই।
তাদের তরে ছালাম— হৃদয়ের গভীর থেকে
তাঁরা যেন শীতের আকাশে জ্বলে থাকা নক্ষত্র
শ্রদ্ধাভরে আজও . স্মরি তাই
কবিতা লিখে যাই —তুমি যেন ভেবো না
গতদিন কবিতা লিখি নাই।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকরের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। বাংলার শ্রেষ্ট সন্তানদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা আমাদের সকলের কর্তব্য ও দায়িত্ব, ত্রিশ লক্ষ অমূল্য প্রাণের বিনিময়ে আজ আমরা খোলা আকাশের নিচে নির্মল বাতাসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারি, ত্রিশ লক্ষ শহীদের নিঃস্বার্থ জীবনের বিনিময়ে আজ আমরা সফলতার স্বপ্ন দেখি আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক।
------------------------------------------------------------------------
তুমি কী ভাবোনি ?— আমি লিখিনি কোন কবিতা গতদিনে!
তাহলে তুমি ভেবেছো ভুল
বাংলাদেশের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে ঠিকই ভেবেছি
ভেবেছি সেইদিন— মহান একাত্তরে
সেই ক্ষণ! কতটা ভয়ানক উৎকন্ঠার
দরজার কড়া নেড়ে যমদূত হয়ে এসেছিল
পাকহানাদার। কারণ যারা ছিল বুদ্ধিজীবী
স্বাধীনতার চেতনার ধ্বজাধারি বধ করে তাদের
এ দেশের অপূরণীয় ক্ষতি তারা করেছিল।
কেমন ছিল সেই তারিখ— ১৪ই ডিসেম্বর
তাদের পরিবারবর্গের প্রিয়হারার শোকে
ক্রন্দনরোল আকাশ প্রকম্পিত করে এ কেমন বিভীষিকা
তাদের তরে তাই সমবেদনা জানাবার ভাষা নাই।
শ্রদ্ধাঞ্জলি তাদের শুধু বলি এমন দলে দলে জীবন উৎসর্গের নজির
আর কোন দেশে নাই । ধন্য এই দেশ, ধন্য আমরা,
ধন্য বাংলাদেশ— লাখো শহীদের পবিত্র রক্ত মাখা
তাদের প্রাণদানে পৃথিবীর বুকে আমরা অনন্য তাই।
তাদের তরে ছালাম— হৃদয়ের গভীর থেকে
তাঁরা যেন শীতের আকাশে জ্বলে থাকা নক্ষত্র
শ্রদ্ধাভরে আজও . স্মরি তাই
কবিতা লিখে যাই —তুমি যেন ভেবো না
গতদিন কবিতা লিখি নাই।
------------------------------------------------------------------------
কবিতার জাদুকর কবি সেলিম আনোয়ার
------------------------------------------------------------------------

২২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২২

সুপারডুপার বলেছেন:


মাহমুদ ভাই,

বাংলাদেশ যদি ইসরায়েলের মত হত, গোয়েন্দা সংস্থা পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে হলেও বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের কবর দিয়ে আসত অথবা বাংলাদেশে ধরে নিয়ে এসে বিচারের সম্মুখীন করতো। তাও না পারলে , নিয়মিত আন্তর্জাতিক মানের চলচিত্র নির্মাণ করে পুরা পৃথিবীর মানুষকে জানিয়ে দিতে পারতো পাকিস্তান, রাজাকার, মুজাহিদ, আল বদর, আল শামস বাহিনীরা কতটা বর্বর।

কেন পারে নি ! ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি মুসলিম দেশ মুসলিম দেশ বলে ফেনা তুলে বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ পাকিস্তানকে সাপোর্ট করে। বাংলাদেশের অনেক মানুষের কাছে মুসলিম দেশ ধর্ষণ, অত্যাচার করলেও হালাল। যেমনঃ এখন সৌদি আরব ও দুম্বালান্ড গুলো করছে। বাংলাদেশের মানুষ কি প্রতিবাদ করতে পারছে ! এখনই বিধর্মী একটা দেশ এই কাজ করুক , সারা বাংলাদেশের মানুষ ঐ দেশের নেতার কুশপুত্তলিকা, পতাকা দাহ করে প্রতিবাদের আগুনে জ্বলে উঠবে।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:৪৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





সুপারডুপার ভাই,
বাংলাদেশের মানুষ ১০০ বছর আগেও হুজুগে মাতাল ছিলো - এখনো তাই আছে। আর যে কোনো অন্যায় ধর্মের নামে ধর্মের ছাঁচে ফেলে তাকে জায়েজ করা এদেশের মানুষের রিতি রেওয়াজ যা আপনার আমার পক্ষে পরিবর্তন সম্ভব নয়। forget them and lets them go to hell.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.