নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আধুনিক আরবী ভাষার একজন প্রশিক্ষক। আমি আবরী ভাষা নিয়ে চিন্তা করি। চিন্তা করি আরবী ভাষার নানা পদ্ধতীকে নিয়ে। আমি বিশ্বাস করি, একদিন বাঙ্গালীরা আরবী শিখে আমার দেশের রেমিটেন্সকে বাড়াবেই। এগিয়ে যাবে দেশ ও জাতি।

মকছুদুল করিম চৌধূরী

আরবী শিখুন। আরবী শেখান। নিজেকে, সমাজকে এবং জাতিকে এগিয়ে নিন।

মকছুদুল করিম চৌধূরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বভাবঃ আরবী বনাম বাঙ্গালী

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০২


আরবদেশ নবীর দেশ। মক্কা-মদীনা আর অন্যান্য স্থাপনাও আরবে। দেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার আরব। বাঙ্গালী শ্রমিকেরা মুসলিম; তারাও মুসলিম। তারপর এত যুলুম কেন? কেনে এত অমানবীক আচরণ? ভারত, নেপাল বা অনান্য অমুসলিমরাও কাজ করে। তাদের সাথে ভালো ব্যাবহার করে কেন? তাদের মাইনে বেশী কেন? প্রশ্নের পর প্রশ্ন আসে। কিন্তু, একথার তো জওয়াব আছে। আরবী বাঙ্গালী উভয়জাতিই ভালো। আবার উভয়জাতিই খারাপ । আসুন, উভয়জাতিকে একটু মূল্যায়ণ করি।
১। তারা বাঙ্গালীর কাছ থেকে বলদের খাটুনি নেয়। তাদের বিবেচনা মুসলিম বা অমুসলিম নয়। তাদের বিবেচনা এরা আমিল। যখন কেউ কাজ করায় তখন সম্পক্ষ খোঁজে না। বাঙ্গালীরাও খোঁজে না। উত্তরবঙ্গের কেউ রাজধানীতে এলে তাকে খাটিয়ে নেওয়া হয়; খোজা হয়না তার ধর্ম, জাতীয়তা কিংবা অন্য কিছু। এতে আরবী আর বাঙ্গালী চমৎকার মিল আছে। কারণ, গরিবকে খাটানো মানুষের স্বভাব।
২। চাকর নেওয়া হয় মনিবের হুকুম মানার জন্য। যদি রাঙ্গামাটির কেউ ঢাকা আসে। কোন চাকুরি নেয় আর তার কাফিলের কথা না বুঝে; কিংবা কামলার কথা মালিক না বুঝে। তাহলে কল্পনা করা যায় কেমন হবে?
৩। প্রতিযোগীতার বাজারে ভালোর শেষ নাই। যখন অন্য জাতি বেশী ভদ্র হবে- তখন কি অযোগ্য, অভদ্র কিংবা হাবা শ্রমিক সম্মান পাবে?

হ্যাঁ আরবরা মরুভূমির মেজাজের। হয়ে গেলে হাতেমতাই নতুবা কারুনের মেজাজের। কিন্তু, ভাষামান, যোগ্যতা, জানা-শুনা হওয়া আর ভদ্রতা বাঙ্গালীদের আরো ইজ্জত দিতে পারতো। বাঙ্গালীরা জন্ম থেকে আজান ইকামাত শুনে কিন্তু বলতে পারে না। আর তা হবে কেন? তাই আরবী বা বাঙ্গালী যেইহোক না কেন সবাই সবাইকে জানবে হবে। জানতে হবে সেজাতির ভাষা, তাহযিব আর তামাদ্দুন।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

আহা রুবন বলেছেন: নেপালি, ভারতিয়রা মাদ্রাসায় যায় আরবি শিখতে, যেন আরবে গিয়ে ভালভাবে কথা বলতে পারে। আমরা যাই নেকী কামাইতে। দুনিয়ার কাছে তো আর নেকীর দাম নাই। তাই কপালে এই সব...

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০

মকছুদুল করিম চৌধূরী বলেছেন: আমরা এতোই সাওয়াব কামাই- তেলাওয়াতের সময় আল্লাহ, আল্লাহ বলে উঠি। আজানের সময় নিরবে বসতে শিখি। আরবী মাধ্যমে দুয়া-দুরূদ করতে শিখি। আমাদের সবই মন্ত্র। আমরা বুছিনা তেলাওয়াতের সময় কী বলছি? নামাজের সময় কী বলছি? দোতে কী বলছি? খুতবার সময় কী শুনছি?
আল্লাহতা’য়ালা আমাদের হেদায়াত করুন। আমরা আমাদের ইবাদাতের মা’নে তথা অর্থ বুঝলে ইবাদাতের খুসু-খুজু তথা গভীরতা ও খোদাভীতি বাড়তো। সাওয়াব আরো বাড়তো। ‍কিন্তু, কী আর করার?

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৩

পলাশমিঞা বলেছেন: আমরা বেশি বুঝি। নিজেকে বড় মনে করি। উপরে পড়লে অসহায় হয়ে যাই। বাগে পেলে বাঘর মত আক্রমণ করি।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪

মকছুদুল করিম চৌধূরী বলেছেন: জি। আমরা প্রশ্ন তুলতে জানি। আমরা আমাদের দক্ষতা বাড়াতে জানি না। আমাদের সর্বশেষ হাতিয়ার প্রতিবাদ। অতচ, প্রতিবাদের পরিমাণ শক্তি ব্যায় করলে আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে পারতাম। কিন্তু নেব না, আমরা...

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

মকছুদুল করিম চৌধূরী বলেছেন: কোন এক বাঙ্গালী শ্রমিক ক’বছর পর দেশে এলো লম্বা জিলবাব আর রোমালে আবৃত হয়ে দেশে ফিরলো তাকে বলা হলো আরবের ভাষা কী?
সে বলল, তেলাওয়াত, তাসবীহ-তালীল, নামাজ-কালাম, দোয়া-দুরূদ, সূরা ফাতেহা সবই সবই আরবী।সালার বেটারা কি যে করে হাটতে-বসতে, ঘরে-বাহিরে, খাইতে-নাইতে সবসময় আরবী বলে। মানুষের সাথে তুই তুই করে
প্রশ্ন করা হলো একবারে বাংলা বলেনা?
শ্রমিক বলল: সালাম আর আজান বাংলায় বলে। :)
হায়রে বাঙ্গালী। হায়রে জাতি। এতই সরল..

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১০

পলাশমিঞা বলেছেন: শ্রমিক বলল: সালাম আর আজান বাংলায় বলে।

ভাইজান আমারে নিয়ে ডাক্তারখানায় চলেন আমার হাতে পায়ে ব্যথা হচ্ছে হাসতে হাসতে। :((

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৪

মকছুদুল করিম চৌধূরী বলেছেন: এটিই আমাদের শ্রমবাজের অবস্থা..

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০২

মকছুদুল করিম চৌধূরী বলেছেন: জি ভাই, এটিই বাস্তবতা। এটিই সত্য। আমাদের শ্রমিকেরা আরবী বাংলা এমনি জানে। এদের দিয়ে আমরা কি রেমিটেন্স আশা করতে পারি? ভাষাজ্ঞানহীন চাকুর আর গৃহপালিত পশুর মধ্যে ব্যাপক মিল আছে। উভয়ই সহ্য করে। উভয়ে বলতে পারে না। উভয় নিরিহ- একা একা কাঁদে। কাওকে কিছু বলতে পারে না..

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৯

কালীদাস বলেছেন: আপনি তাহলে বলছেন যে কেবল আরবী জানেনা বলে আমাদের শ্রমিকদের সাথে অমানবিক আচরণ করা হয়? তাহলে যারা আরবী জানে তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে কেন? আর ভাই শুনেন, আমার অন্তত ১০টা দেশে বাংলাদেশি আনস্কিলড লেবারের সাথে কথা হয়েছে (মিডলইস্টের ২টা আছে লিস্টে- আরব আমিরাত আর কাতার)। মুটামুটি ৩/৪ বছর কাজ করার পর সবাই লোকাল ভাষায় অন্তত কাজ চালানোর মত দক্ষতা পেয়ে যায়, জীবিকার জন্যই শিখতে বাধ্য হয়। মিডল ইস্ট ছাড়া আর কারও কাছে মালিকের অত্যাচারের কথা শুনিনি কখনও।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

মকছুদুল করিম চৌধূরী বলেছেন: ভাই কালিদাশ, আপনার কথা আমার মূল পোস্টের ২নং ব্যাপার। আর আমি আরবী ভাষার ছাত্র হিসেবে বলতে পারি- আমাদের শ্রমিকদের অর্জিতভাষা আরবী হিন্দী, ইংরেজী আর আরবী মিশ্রিত খেচুড়ী। খেচুরীর আরবীও অস্বভাবিক- ব্যাতিক্রমি উচ্চারণ ও বচনভঙ্গি। জীবিকার জন্যই শেখা আরবীতে বিশেষক্ষেত্রে ভাব প্রকাশ করে তবে, সকল ক্ষেত্রে নয়। এভাষা দিয়ে পুলিশ, সাংবাদিক, এয়ার্পোট কিংবা আদালতে চালিয়ে আসা সম্ভব নয়। সম্ভব নয় যোগ্যতামত চাকুরির সন্ধান কিংবা বেতনের জন্য দরকষাকষি। আর তার ব্যাতিক্রমী কিছু হলে সেটা বিচ্ছিন্ন ঘঠনা..

৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১৯

আরেফ বলেছেন: এক বাংগালী মিশর গেল অনেক দিন আগে, বেচারা আরবী জানতো না, তাই তার মালিক তার পাসপোর্ট আটকে রেখে তাকে অনেক খাটাতো কিন্তু টাকা দিত না। বাঙগালী ভাষা না জানার কারনে চাইতে ো পারতো না, এভাবে অনেক দিন কেটে যায়, শেষে বঙগালী, অনেকের কাছে এর প্রতিকার চাইলো কিনতু কোন ফল হলো না, পরে সে লোকজনকে (বাঙগালীদের যারা ভাষা কোনরকম জানতো) আমি আরবি কি, বেতন আরবি কি, ও চলে যাব আরবি কি, ইত্যাদি, পরে সে এগুলো শিখলো এবঙ মালিকের কাছে এসে তাকে অনেক রাগের সাথে বললো, ( আনা রাতিব) -- আমি বেতন, ফুলুস মাফি, ( তার অর্থে! বেতন না দিলে) সফর বাঙলাদেশ, ( বাঙলাদেশে ফিরে যাব( তার অর্থে) । এই হলো বাঙগালী, এখন তারাতো ঠকবেই, যদি ভাষা না শিখে যায়, কারন নিজের অধিকাকেরর খাতিরে হলে ো তাকে ভাষা শিখতে হবে। মানষিকতার উন্নতি ঘটাতে হবে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩১

মকছুদুল করিম চৌধূরী বলেছেন: হায়রে ভাষা জ্ঞান!

৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২২

আরেফ বলেছেন: পরে সে গিয়ে মালিক(কফিল)কে ঐসব কথা বলে, এবঙ মালিক ও বুঝতে পারে যে, তার লোকের জ্ঞান ফিরেছে আজ তাকে বেতন দিতেই হবে, নয়তো সে চলে যাবে, তাই তাকে তার বেতন দিয়েদেয়।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩১

মকছুদুল করিম চৌধূরী বলেছেন: হুমমমম

৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩০

মকছুদুল করিম চৌধূরী বলেছেন: ধন্যবাদ। আরেফ ভাই!

১০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৩৩

গর্তে পরছি বলেছেন: আমার পাশে বাঙ্গালী নতুন দোকান খোলেছেন তো আরবি ভাষা একটু আধটু শিখছে,কাস্টমার ডেলিভারি পেকেট হাতে নিয়ে বাইরে যাচ্ছে গারিতে গিয়ে টাকা দিবে এমতাবস্থায় বাঙ্গালী দোকানদার বলে উঠলো "আরবাব মাইরিত ফুলুছ" মানে তার টাকা লাগবে না

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:১১

মকছুদুল করিম চৌধূরী বলেছেন: হা হা। অস্বাভাবিক ....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.