নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আধুনিক আরবী ভাষার একজন প্রশিক্ষক। আমি আবরী ভাষা নিয়ে চিন্তা করি। চিন্তা করি আরবী ভাষার নানা পদ্ধতীকে নিয়ে। আমি বিশ্বাস করি, একদিন বাঙ্গালীরা আরবী শিখে আমার দেশের রেমিটেন্সকে বাড়াবেই। এগিয়ে যাবে দেশ ও জাতি।

মকছুদুল করিম চৌধূরী

আরবী শিখুন। আরবী শেখান। নিজেকে, সমাজকে এবং জাতিকে এগিয়ে নিন।

মকছুদুল করিম চৌধূরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাচীনতম ঘর ও পার্শ্ববর্তী এলাকাঃ কিছু তথ্য

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৮


একসময় সৌদি নামের অস্থিত্ব ছিলনা। অস্বিত্ব ছিল তখন এক বিশেষ ঘরের আর তার পার্শ্ববর্তী কতিপয় এলাকার। প্রাক ইসলামিক যুগে এবং ইসলামী যুগে সৌদি কিংবা সৌদিআরব নাম ছিলো অকল্পনীয়। এ নামের অস্বিত্ব ছিলনা পরবর্তী খিলাফাতের যুগেসমূহেও। ইাতহাসে এ এলাকার আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে। আদি মানবী হাওয়া আ. এসেছিলেন এদেশের জিদ্দা (দাদী) শহরে। আদি মানব মানবী (আদম-হাওয়া) দুনিয়ায় মিলিত হয়েছিলেন আরাফা (পরিচিত হওয়া) শহরে। কিন্তু এসব নিয়ে এ এলাকা তেমন প্রশিদ্ধি পায় নি। পরবর্তী সময়ে ইয়াহুদী বা খ্রিষ্টধর্মের আব্রাহাম (ইব্রাহীম আ.) এবং তার পুত্র ইসমাইলের হতে এ এলাকার ঐতিহ্য বদলায়। ইসলাম ধর্মমতে-ইব্রাহীম আ. তার পত্নি হাজেরা ও শিশুপুত্র ইসমাইল আ. কে এক নির্জন এলাকায় নির্বাসন দেন। একসময় তাদের খাবার-পানীয় শেষ হয়ে যায়। শুরু হলো হাজেরার ছোটাছুটি। এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে। তাঁরই স্মৃতিতে ধন্য হল পাহাড়দ্বয়- সাফা ও মারওয়া। এদিকে শিশু ইসমাইল নিরব হয়ে আছেন। দেখা গেলে তাঁর পদতলে প্রবাহিত হল সুপেয় পানির সন্ধান। চারপার্শ্বে আটকে রাখা হলো পানি। আজ তাকে দেখা যায় একটি কূপের ন্যায়। স্মৃতিময় সে কূপটির নাম জমজম। ঐতিহাসিক বর্ণনা মতে পরবর্তীতে আরবে মুস্তারিবারা এখানে আসে। সুপেয় পানি পেয়ে অনেকেই এখানে বসতি বানায়। মুসলিম ঐতিহাসিকরা বলেন- হজরত নূহ আ. এর যামানার হয়েছিলো এক ঐতিহাসিক ঝড় আর বন্যা। তুফানে ধ্বংশ হওয়া কা’বা ঘর। এদিকে বন্যা ঘরের নিশানাও হারিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে আল্লাহ ঘরটি পূর্ণ নিন্মানের নির্দেশ দেন। হজরত ইব্রাহিম ও ইসমাইল আ. কাবাঘর বানান। আল-কুরআনে বর্ণিত আছে- কাবাঘর তৈরী করার পর তারা দোয়া করেছিলেন: হে প্রভূ আপনি এ এলাকা (দেশ) নিরাপদ করো। এলাকাকে ফল-ফসলের মাধ্যমে রিজিক দান করো। তারা আরো দোয়া করেছিলেন: হে আমার রব! আমার পরবর্তীদের মধ্যে এমন একজন রাসূল দাও, যিনি মানুষকে আল্লাহর কিতাব তালিম দিবে আর তাদের আত্না পরিশুদ্ধ করবেন। মহান আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করেছিলেন। অবশেষে তাদের বংশে জন্ম নেন হজরত মুহাম্মদ স.। তিনি অশিক্ষিত বর্বর আরবদের আত্নাকে পবিত্র করলেন। মহিমাময় করলেন আরবী ভাষা, আরবদেশ এবং আরব জাতিকে। দিন দিন আরো স্মৃতিময় হলো-সে ঘর, ঘরের এলাকা, শহর ও দেশ। সেদেশের বালুগুলো আর পাথরও দামী হয়ে গেল। দামি হলো সেই পাহাড়দ্বয়- সাফা আর মারওয়া। দামি হল মক্কা, মদীনা, তায়েফ, জামারা, মুজদালিফা, আরাফা আর অন্যান্য শহর। সোনা ফলল সে দেশে- আজ সেদেশ খ্যাত হয়েছে তেলের খনিতে। তাছাড়া হজ আর ওমরাসহ ইসলামী নিদর্শনে পযটন শিল্পে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


তেল কি ইসলাম ধর্মের কারণে দেয়া হয়েছে ওখানে?

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩৪

মকছুদুল করিম চৌধূরী বলেছেন: চাঁদগাজী! আব্রাহাম ও তাঁর ছেলের দোয়ার বরকতে। (আমার মত)

৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৯

আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: ধন্যবাদ।ভালো লেগেছে লিখাটি।

৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

মকছুদুল করিম চৌধূরী বলেছেন: জামান! ধন্যবাদ।



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.