| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইতিহাসের শিক্ষা হলো ইতিহাশ থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। দুনিয়ার অনেক শাসককে এ জন্য খাশারত দিয়ে হয়েছে। হতে হয়েছে ইতিহাশের নির্মম শিকার। তাদের পতন কাহিনী এখনো নাড়া দেয় মানুষের বিবেককে। একজন শাসকের আদি-অন্ত নিম্মে তুলে ধরা হয়েছে।
মোহাম্মদ ইদ্রিস বিন মোহাম্মাদ আল মাহাদি। যাকে গোটা বিশ্ব চিনে কিং অব লিবিয়া নামে। ক্ষমতার সর্বোচ্চ চুড়ায় অধিস্টিত হয়ার পরও একটা সময় নক্ষত্র পতনের মতো তলিয়ে যায় এই রাজা। ইদ্রিসের জম্ম ১৮৮৯ সালের ১২ মার্চ আল জাগবাব। ১৯৫১ থেকে ১৯৬৯ সাল পযন্ত ক্ষমতায় থাকা লিবিয়ার প্রথম এবং একমাত্র রাজা তিনি। এই লিবিয়ান রাজা ব্রিটিশদের খুব কাছের মানুষ হিশাবে তাদের দেওয়া উপধি আমির হিসাবে গোটা বিশ্বে তিনি বিশ্ব পরিচিতি পান । ১৯২২ সালে ১৮ জুলাই তাকে আমির অব ত্রিপোলিটানিয়া উপাধি দেওয়া হয়। এই রাজা তার জীবনের প্রথম সময়টা কাটিয়াছেন মাতৃভূমি সাইরেনাইকার স্বাধীনতার জন্য। ১৯২২ সালে ইতালিয়ান আর্মিদের লিবিয়া অভি্যানকে কেন্দ্র করে তিনি বিপ্লবী হয়ে উঠেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি যুক্তরাজ্যের পক্ষ অবলম্বন করেন। কারন ইদ্রিস লিবিয়ার ক্ষমতা দখলে মরিয়া ছিলেন। তিনি এবং তার সহযোগিরা মিলে জার্মান এবং ইতালিয়ান সৈন্যদের বিরুদ্ধে জোট গঠন করেন।এ জোটের সহযোগিতায় ব্রিটিশ অস্টম পদাতিক সন্য দল উত্তর আফ্রিকাতে জার্মান এবং ইতালিয়ান বাহিনির বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে অবতির্ন হন। আরউইন রোমেলের নেতৃত্বে এই জোট জামার্ন এবং ইতালিয়ান বাহিনীকে পরাজিত করতে সামর্থ হয়। এরপর থেকে তার উক্ষান সুরু। অবশেষে বেনগাজীতে পৌছে দাফতরিক সরকার গঠন করেন ইদ্রিস। ১৯৪৬ দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে ব্রেটিশদের সাহায্যের স্বিকৃতি স্বরুপ যুক্তরাজ্য তাকে অর্ডার অব গ্রান্ড ক্রস পুরস্কারে ভূষিত করে। পরবর্তিতে তিনি পশ্চিমাদের ঘনিস্ট মিত্র হিসাবে পরিচিতি পান। ১৯৪৯ সালে ইদ্রিস লিবিয়ার সংবিধান প্রনয়ন করেন। যা ১৯৫১ সালে কার্যকর হয়। ন্যাশনাল কংগ্রেস তাকে কিং অব লিবিয়া নামে ঘোষনা দেন। ১৯৫১ সালে লিবিয়া একটি স্বাধীন রাস্ট্র হিসাবে আবির্ভূত হয়। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পর তার সুযোগ্য উত্তর সুরি না থাকায় ১৯৬৯ সালে তার ভাইয়ের ছেলে হাসানকে প্রিন্স হিসাবে নিযুক্ত করেন। তবে তার জীবনের শেষ ভাগটা ছিল নিদারুন কস্টের। ১৯৬৯ সালে ইদ্রিস যখন তুরস্কের হাসপাতালে চিকিতসারত তখন এক দল সেনা অফিসার নিয়ে সামরিক অভ্যূত্থান ঘটিয়ে লিবিয়ার ক্ষমতায় আসে কর্নেল গাদ্দাফি। ফলে তার রাজত্বের অবসান ঘটে এবং রিপাবলিক অব লিবিয়ার জম্ম হয়। এ অভ্যূত্থানের খবর পেয়ে রানীকে নিয়ে পালিয়ে যান ইদ্রিস এবং পরর্বতিতে মিসরে থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর তোলা হয় লিবিয়ার পাবলিক আদালতে। ১৯৭১ সালে নভেম্বরে ফাঁসির রায় ঘোষনা করেন আদালত।
©somewhere in net ltd.