নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Ask not what your country can do for you; ask what you can do for your country." "জে এফ কে"

কৃর্তনখোলা

আমি এক জন বোকা সোকা লোক।

কৃর্তনখোলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৫ আগষ্ট রাতে তিনটি বাড়িতে যাদের যেভাবে হত্যা করা হয়।

২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:১৯



মেজর মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আক্রমণের ** দায়িত্ব ভার গ্রহন করেন।

ভোর সারে পাচটার দিকে হত্যা কান্ড সুরু করেন।



১) প্রথমেই বজলুল হুদার ব্রাসফায়ারে পাঁয়ে আঘাত পান পরে তাকে ব্রাসফায়ার করে এবং ঐ স্থানেই শেখ কামাল মারা যান। ঐ সময় ডিএসপি নুরুল ইসলামের পায়ে ও বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তগত সহকারি মহিতুলের হাঁটুতে একটি করে গুলি লাগে। (বাড়ির নিচ তলায়)

২) কর্নেল জামিল বঙ্গবন্ধুর ফোন পেয়ে জামিলের ব্যক্তিগত লালা গাড়ি নিয়ে আসার সময় পথির মধ্যে সোবাহানবাগ মসজিদের কাছে তাকে গুলি করে হত্যা করে এবং তার গাড়ি চালক আয়েন উদ্দিন মোল্লা পালিয়ে যান।

৩) বঙ্গবন্ধু বাড়ির সামনে সারি করে দাঁড়করিয়ে পুলিশের বিশেষ শাখার এক সদস্য কে গুলি করলে সে মাটিতে পরে যান।

৪) ঘাতকরা শেখ জামালের রুমের বাথরুম থেকে গৃহকর্মী মোঃ সেলিম (আব্দুল) কে পেটে ও হাতে গুলে করে সিঁড়ির কাছে দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে মারা যান।

৫) বঙ্গবন্ধুকে তার রুমের বারান্দা থেকে মেজর মহিউদ্দিন ও তার সাথে থাকা সৈনিকরা ঘিরেধরে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নিয়ে যাওয়ার সময় ঘাতকের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু বলেন!! তোরা কি চাস?? তোরা আমাকে কোথায় নিয়ে যাবি?? এসময় দোতালায় ওঠার সিঁড়ির মাঝামাঝি অবস্থান নেন বজুলুল হুদা ও নুর। মেজর মহিউদ্দিনকে বজলুল হুদাকে কিছু একটা বলার পর সে পাসে সরে যায় তখনই বজলুল হুদা ও নুর তাদের স্টেনগান দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে গিলে করে এবং সে সিঁড়ির উপড় লুটিয়ে পরেন পাসে পরে থাকে তার ভাংগা চসমাটি ঘাগকের স্টেনগানের ১৮টি বুলেট বঙ্গবন্ধুর পেট ও বুক ঝাঝড়া করে দেন।

৬) বঙ্গবন্ধুর ঘরে বেগম মুজিবকে ঘাতকরা হত্যা করেন। আজিজ পাশা ও রিসালদার মোসলেউদ্দিন।

৭) শেখ জামাল একই ঘরে হত্যাকরেন। ‘’

৮) সুলতানা কামাল ‘’ ‘’

৯) রোজী জামাল “” “”

১০) শেখ নাসেরকে অফিসের সঙ্গে বাথরুমে নিয়ে গুলি করলে পানি পানি করে চিতকার করলে পুনরায় গুলি করে।

১১) শেখ রাসেলকে নিচ থেকে দোতালায় নিয়ে এক হাবিলদার গুলি করে হত্যা করে তার চোখ উঠে যায় এবং মাথা থেতলে যায়।

***বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে সেদিন তার দু'মেয়ে ছিলেন না। বড় মেয়ে শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) স্বামীর সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন। ছোট বোন শেখ রেহানাকেও নিয়ে গিয়েছিলেন তারা।



রাত সোয়া ৫ টার দিকে মেজর ডালিম ও রিসালদার মোসলেমউদ্দিনের নেতৃত্বে আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ও শেখ মণির বাসা আক্রান্ত হয়।



**স্বেচ্ছায় সেরনিয়াবাতের বাসায় আক্রমণের দায়িত্ব নেয় ডালিম। (আঃ রব সেরনিয়াবাত এর বাসায় মোট ১৩ জনকে ঘাতকরা হত্যা করেন।)



***ডালিমের নেতৃত্বে হত্যা করা হয় আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে বেবী, ১২ বছরের ছেলে আরিফ, চার বছরের নাতি বাবু (আবুল হাসনাত আবদুল্লার ছেলে), ভাতিজা শহীদ সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে আবদুল নইম খান রিন্টু (আওয়ামী লীগ নেতা আমীর হোসেন আমুর খালাতো ভাই), তিন অতিথি এবং চারজন কাজের লোককে।

**শেখ মণির বাসায় আক্রমণের দায়িত্ব দেওয়া হয় রিসালদার মোসলেমউদ্দিনকে। (শেখ মনির বাসায় মোট ২ জনকে ঘাতকরা হত্যা করেন।)

***শেখ মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা করে ঘাতকরা। প্রাণে বেঁচে যান শেখ মণির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ ও শেখ ফজলে নূর তাপস।



বনানী কবরস্থানে সারিবদ্ধ কবরের মধ্যে প্রথমটি বেগম মুজিবের, দ্বিতীয়টি শেখ নাসেরের, এরপর শেখ কামাল, সুলতানা কামাল, শেখ জামাল, রোজী জামাল, শেখ রাসেল, ১৩ নম্বরটি শেখ মণির, ১৪ নম্বরটি আরজু মণির, ১৭ নম্বরটি সেরনিয়াবাতের আর বাকি কবরগুলো সেদিন এই তিন বাড়িতে যারা মারা গেয়েছিলেন তাদের। ১৬ আগস্ট সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে বঙ্গবন্ধুর লাশ নিয়ে যাওয়া হয় টুঙ্গীপাড়ায়। সেখানে তাকে দাফন করা হয় তার বাবার কবরের পাশে। সেনাবাহিনীর ওই হেলিকপ্টারের পাইলট ছিলেন ফ্লাইট লে. শমশের আলী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.