নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছােটবেলার সেই উদাসীনতার জন্য আমার বাবা কখনো \"জীবনে বড় কিছু হতে পারবো\" সে সপ্ন দেখেন নাই। এর জন্য অবশ্য জীবনে কখনোই আফসোস করি নাই , আর এখন আল্লাহর রহমতে আমি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ অধ্যয়ন রত অাছি।

মাসুদ_খান

ছোট থেকে উদাসীন ভাবে বেড়ে উঠেছি যা আমাকে অনেক বার ভাবুক,কবি,মুডি,অহংকারী,আন-সোসাল,একরোখা ইত্যাদি নানা রকম উপাধীতে ভূসীত করেছে। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে পরিবর্তন হয় অনেক কিছু আমিও এর ব্যতিক্রম রইলাম না । মজার বিষয় হল আমার এই উদাসীনতা পরিবর্তিত হল সচেতনতায়, যার দরুন অন্যের উদাসীনতা দেখলে তা পরিবর্তনের বৃথা চেষ্ঠায় লিপ্ত থাকি। প্রযুক্তি চর্চা করা খু্বই পছন্দ করি কিন্তু প্রযুক্তির ব্যাড টাইম স্পেন্ড আমাকে প্রযুক্তির সাথে এগিয়ে যেতে প্রায়ই বাধা প্রদান করে। আমি ট্রাভেল করতে খুবই পছন্দ করি কিন্তু এখন ট্রাভেল করার জন্য টাকার চেয়ে সময়ের অভাবটা খুবই অনুভব করি। মুভি দেখা, হেবি সাউন্ডে গান শোন আর ক্রিকেট খেলা দেখার হবি ছিল অনেক দিনের কিন্তু নিষ্ঠুর সময় তা ক্রমশে কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে। জীবনে পড়াশােনা কোন দ্নিই ভাল লাগে নি ,( ইভেন গল্পের বই ও ) আর কোন দিন এই পড়াশোনাকে মনে হয় না ভালোলাগাতে পারবো । এই সব ব্যাসিক কথার বাইরে আর কিছুু লেখা ঠিক হবে না ( পারসোনাল বলে কিছু জমিয়ে রাখতে হবে তো!!!! )। আজ এই পর্যন্তই, এই ব্লগে আমার বিরক্তিকর পোস্ট গুলোর জন্য সবার কাছে ক্ষামা চেয়ে নিচ্ছি।

মাসুদ_খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন ১৪ই ফ্রেব্রুয়ারির সেই ভালবাসা দিবসকে আমাদের জীবনের প্রতিটি দিনের দিবস হিসেবে গ্রহণ করি।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬

"ভালবাসা" নামক চার-অক্ষরের শব্দটিকে শুধু দুজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বৃহৎ পরিসরে চিন্তা করলে কি আমাদের খুব কষ্ট হবে?? আসলে আমরা যদি ভালবাসাকে একেবার দুজনের জন্য আলাদা করে ফলি তাহলে আমরা আমাদের জীবনের পেছোনে ফেলে আসা ভালবাসা গুলিকে কিছুটা অস্বিকার করেই এগিয়ে যেতে হয়। কিন্তু একটুর জন্যও ভেবে দেখেছেন কি আজ আপনার মনের এই ভালবাসার মূল্যবোধ গুলি কে বা কারা তৈরি করে দিল?? হয়তো আজ আমরা সকলেই বলতে পারি এটা তো এমনি এমনি গড়ে উঠেছে। আসলে তা নয়, এটা গড়ে উঠেছে আপনার আমার পরিবারের শিক্ষা থেকে। তাহলে আজ যদি সেই ভালবাসার দোহাই দিয়ে আমরা সেই পরিবার থেকে দূরে সরে আসি তাহলে আমাদের ভিতরের ভালবাসা গুলিও ধীরে ধীরে কমতে যেতে থাকবে। এই কথা গুলি পড়ার বা শোনার পর কিছু অসভ্য হয় তো বলেই বসবে সব ভালবাসা-কি এক । আপনি একবারও কি ভেবে দেখেছেন যে আপনি কার সাথে কিভাবে তুলনা করলেন??আজ বৈঞ্জানিক ভাবে প্রমাণিত যে ভালবাসার উৎস আমাদের ব্রেনে ভালবাসার মূল্যয়ন অামাদের আপন সকলের জন্য সমান, শুধুমাত্র একজন শারীরিক সর্ম্পকের জন্য কিছুটা ব্যতিক্রম। আর এই ব্যতিক্রম হচ্ছে মানুষের কিছুটা শারীরিক চাহিদা,কিছুটা অনুভুতি, কিছুটা আবেগ-অনুভুতি শেয়ার করার জন্য। আর শুধু মাত্র কিছু ব্যতিক্রম অনুভুতির জন্য আজ আমরা আমাদের চেনা-জানা ভালবাসা গুলিকে এক নিমিষেই ছেড়ে চলে যাচ্ছি। একবারও কি ভেবে দেখেছেন সবাইকে ছেড়ে আসলে আমরা কোথাই চলে যাচ্ছি। বন্য দুটি পশুর মত আমরাও দূরে সরে গিয়ে চিৎকার করে বলছি আমরা "ভালবাসা"-কে জয় করে ফেলেছি । আসলে কি তাই !!!!! যারা এই ভালবাসার দোহাই দিয়ে নিজের পরিবারকে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন তাদেরকে বলি আপনারা যখন জন্ম গ্রহণ করেছিলে ঠিক তখনই যদি আপনার বাবা-মা ও অাপনাকে ছেড়ে চলে যেতেন তাহলে আর আপনার মাঝে আজ এতো সুন্দর ভালবাসার সৃষ্টি হতো না, এমন কি আপনার পরিচয় পর্যন্ত ভাল-শুনাতো না। তাহলে আজ আমাদের যারা এই "ভালবাসা"-নামক সুন্দর শব্দটির সাথে যারা পরিচয় করিয়ে দিলেন তাদেরকে সাথে নিয়ে কি ভালবাসার পথে এগিয়ে যাওয়া যায় না ?? "ভালবাসা" বেচে থাকুক প্রতিটি পরিবারে প্রতিটি সদস্যের মাঝে। তাই আজ সবাইকে অাহবান জানাই "আসুন আজকের ১৪ই ফ্রেব্রুয়ারি ভালবাসা দিবসকে আমাদের জীবনের প্রতিটি দিনের দিবস হিসেবে গ্রহণ করি।"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.