নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছােটবেলার সেই উদাসীনতার জন্য আমার বাবা কখনো \"জীবনে বড় কিছু হতে পারবো\" সে সপ্ন দেখেন নাই। এর জন্য অবশ্য জীবনে কখনোই আফসোস করি নাই , আর এখন আল্লাহর রহমতে আমি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ অধ্যয়ন রত অাছি।

মাসুদ_খান

ছোট থেকে উদাসীন ভাবে বেড়ে উঠেছি যা আমাকে অনেক বার ভাবুক,কবি,মুডি,অহংকারী,আন-সোসাল,একরোখা ইত্যাদি নানা রকম উপাধীতে ভূসীত করেছে। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে পরিবর্তন হয় অনেক কিছু আমিও এর ব্যতিক্রম রইলাম না । মজার বিষয় হল আমার এই উদাসীনতা পরিবর্তিত হল সচেতনতায়, যার দরুন অন্যের উদাসীনতা দেখলে তা পরিবর্তনের বৃথা চেষ্ঠায় লিপ্ত থাকি। প্রযুক্তি চর্চা করা খু্বই পছন্দ করি কিন্তু প্রযুক্তির ব্যাড টাইম স্পেন্ড আমাকে প্রযুক্তির সাথে এগিয়ে যেতে প্রায়ই বাধা প্রদান করে। আমি ট্রাভেল করতে খুবই পছন্দ করি কিন্তু এখন ট্রাভেল করার জন্য টাকার চেয়ে সময়ের অভাবটা খুবই অনুভব করি। মুভি দেখা, হেবি সাউন্ডে গান শোন আর ক্রিকেট খেলা দেখার হবি ছিল অনেক দিনের কিন্তু নিষ্ঠুর সময় তা ক্রমশে কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে। জীবনে পড়াশােনা কোন দ্নিই ভাল লাগে নি ,( ইভেন গল্পের বই ও ) আর কোন দিন এই পড়াশোনাকে মনে হয় না ভালোলাগাতে পারবো । এই সব ব্যাসিক কথার বাইরে আর কিছুু লেখা ঠিক হবে না ( পারসোনাল বলে কিছু জমিয়ে রাখতে হবে তো!!!! )। আজ এই পর্যন্তই, এই ব্লগে আমার বিরক্তিকর পোস্ট গুলোর জন্য সবার কাছে ক্ষামা চেয়ে নিচ্ছি।

মাসুদ_খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভার্সিটি হল লাইফের ভয়ঙ্কর সাত দিন!!!!!!! এতো অল্প সময়ে বিশ্ব-প্রেমিক বনে যাওয়ার আশঙ্কা!!!!!!! এই সাত-দিনের সাত-কহন!!!!!!!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

১ম কহন:::: ঘুম-ভাঙ্গে অন্যের ডার্লেং এর প্রমালাপে।
একটি প্রজেক্ট এক্সিভিশন ছিল তাই দুই-দিন মিলে মোট ৭০-মিনিট ঘুমিয়ে ছিলাম। এর পর আমাদের ভার্সিটির হলে আসলাম । মনে করেছিলাম রুমে গিয়েই ঘুম দেব কিন্তু সবার সাথে মত-বিনিময় করতে করতেই ঘন্টা-দুুয়েক কেটা গেল। যাক খাওয়া-দাওয়া করেই ঘুম, টানা ১০-১২ ঘন্টা ঘুম হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ৭-ঘন্টা পরেই ঘুম-ভাঙ্গে গেলো বন্ধুর ও তার ডার্লেং এর প্রেমালাপে ।

২য় কহন:::: লাস্ট কম্পিটিশনে আমাদের গ্রুপে একটি মেয়ে থাকায় ছােট-বেলার বন্ধুরা বেশ উপভোগ করলো বিষয়টি।
সাধারণত ইঞ্জিনিয়ারিং এ মেয়েরা মোটা-মুটি কম পড়ে, আর সেই সাথে প্রজেক্ট-ফেয়ারে আংশ গ্রহণের সংখ্যাটা আরও কম। যা হোক আমাদের প্রজেক্ট-ফেয়ারে একটি মেয়ের সাথে বেশ কিছু গুপ ছবি এফ,বি-তে দেওয়া ছিল। এটা দেখে আমার ছোট-বেলার বন্ধুরা বেশ নক করতেছিল আমাকে, যা দেখে রুমে মোটা-মুটি একটি হাসা-হাসি পর্ব হয়ে গেল ।

৩য় কহন:::: ভুল করে একটি মেয়ের নম্বরে ফোন চলে যাওয়ায়।
আমার একটি বন্ধুর ফোন নম্বর হঠাৎ করে খুজে পাচ্ছিলাম না। নম্বরটা মনেও ছিল বেশ। তাই দৃঢ়তা নিয়ে ফোন দিলাম এবং একটি ডিজিট পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় একটি আপুর কাছে ফোন চলে গেল, পরক্ষনেই সরি রং-নম্বর বলে ফোনটি রেখে দিলাম। এদিকে বন্ধুরা সবাই বলে কি না খালি অপরিচিত আপুদের ফোন দেওয়া। এর একটু পরেই সেই আপু ফোন দিয়ে যাচাই-বাছাই শুরু করে দিল, তার নম্বর কে দিল?? কেন তাকে আমি বিরক্ত করছি?? আমি বেশ কয়েক বার সরি বলা সত্তেও বেশ কিছুক্ষন চলল সেই রকম ঝাড়ি। বন্ধুরা তো সবাই বেশ মজা নিলো ।

৪র্থ কহন::::আমার এফ,বি, লগ আউট না করায় বেশ ভোগান্তি পোহতে হল।
আমার ল্যাপ্টপে এফ,বি, লগ আউট না করেই সিলিপে রেখে একটি বার্থ-ডে পার্টিতে গিয়ে ছিলাম । রুমে এসে দেখি আমার এফ,বি-তে ম্যাসেজ এসে জেমে গেছে, এর মধ্যে দুটি মেয়ে বেশ গরম হয়ে ম্যাসেজ দিচ্ছে । কিছুক্ষন কোন কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। দুই জন মেয়েই বলছে এই রকম পোষ্ট দিয়েছেন কেন ?? সাথে সাথে আমার প্রফাইল চেক করলাম । দেখলাম আমার দোস্ত দুইটা মেয়ের পোষ্টের স্ক্রিন-শর্ট নিয়ে পোষ্ট করেছে সাথে আমাকে ট্যাগ দিয়ে রেখেছে। আমি যতই আপু দুইজনকে শান্ত করার চেষ্ঠা করি তারা ততই প্রতিবাদী হয়ে উঠে । দুইজন আপুর একটাই দাবী তাদের পোষ্ট গুলিতো আর পাবলিক করে দেওয়া নাই যে সবাই স্ক্রিন-শর্ট নিয়ে নিয়ে পোষ্ট দেবে। আমি বার বার বোঝানোর চেষ্ঠা করলাম যে আমার আই,ডি আমার বন্ধু মিস-ইউজ করছে, কার কথা কে শুনে। দুই-জন আপু সমানে ঝাড়ি দিল। আবার আমার ঐ দোস্তোকে ফােন দিলাম সেও ব্যাপারটায় আমাকে উল্টা ঝাড়ি দিল। আমাদের ভার্সির হলের সুবিধা মনে করে বসে বসে ঝাড়ি-গুলি হজম করলাম। আর এই ঘটনায় আমার রুম-মেটরা তো সেই মজা নিল ।

৫ম কহন:::: নিজেরা রান্না করে খাওয়ার সময়।

হলে থাকা মানেই মাঝে মাঝেই নিজেরা রান্না করে খাওয়া। বেশ মজা আছে বাট একটা বাড়তি ঝামেলা । যা হােক নিজেরা রান্না করে খাওয়ার সময় আমার দায়িত্ব পড়ে ভর্তা তৈরি কারার জন্য । এই মাত্র কয়েক-দিনে আমি হয়ে গেলাম ভর্তা ইস্পেশালিষ্ট ।

৬ষ্ট কহন:::: ক্যাম্পাসের সিনিয়ার আপুর কাছে থেকে সাজেশন নেওয়ার সময়।

আমাদের ক্যাম্পাসের চার-পাচ বছরের সিনিয়ার এক আপুর কাছ-থেকে একটি প্রজেক্টের গাইড লাইন নিচ্ছিলাম। আপু বেশ সুন্দর ভাবে গুছিয়ে কথা বলতে পারেন তাই মাঝে মাঝে যে কোন বিষয়ে সাজেশন প্রয়োজন হলেই আপুর সাথে দেখা করতে দিধা করি না। কিন্তু আপুর সাথে কথা হওয়ার পর-পরই আমাদের বন্ধুরা আমাকে জিঙ্গাসা করে কি না কয়টা মেয়ের সর্ম্পকে তথ্য নিলাম আপুর কাছ থেকে ??? আমার রুম-দেরও একই কথা ।

৭ম কহন:::: আমি ফোনে কারাে সাথে কথা বলি না কেন !!!!!!

আমার রুম-মেট আমাকে হঠাৎ-ই বলে কি না তোমাদের মধ্যে রাগা-রাগি চলছে??? যা-হোক বেশি রাগ করো না। নিজে থেকে ফোন দিয়ে কথা বলো সবকিছু ঠিক হয় যাবে। কিছুক্ষণ কোন কিছুই বুঝে-উঠতে পারি নাই, পরোক্ষনেই মনে হলো আমি তো সবার মত ফোনে কথা বলি না। এই জন্যই হয়তো মিস-টেক ।

যা হোক ভার্সিটি হল লাইফের প্রথম সাত দিন বেশ ভয়ঙ্কর ভাবেই কেটে গেল। পরিশেষে মনে হলো হলের বাইরেও একটি রুম রাখতে হবে নইলে মনসিকতা পরিবর্তনে খুব বেশি সময় লাগবে না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২০

মশার কয়েল বলেছেন: :D :D :D

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:১৯

মাসুদ_খান বলেছেন: আপনার মন থেকে যদি খুশির সৃষ্টি হয়ে থাকে তাহলে আমার এই সত্য কাহিনী লেখাটি সার্থক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.