নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছােটবেলার সেই উদাসীনতার জন্য আমার বাবা কখনো \"জীবনে বড় কিছু হতে পারবো\" সে সপ্ন দেখেন নাই। এর জন্য অবশ্য জীবনে কখনোই আফসোস করি নাই , আর এখন আল্লাহর রহমতে আমি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ অধ্যয়ন রত অাছি।

মাসুদ_খান

ছোট থেকে উদাসীন ভাবে বেড়ে উঠেছি যা আমাকে অনেক বার ভাবুক,কবি,মুডি,অহংকারী,আন-সোসাল,একরোখা ইত্যাদি নানা রকম উপাধীতে ভূসীত করেছে। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে পরিবর্তন হয় অনেক কিছু আমিও এর ব্যতিক্রম রইলাম না । মজার বিষয় হল আমার এই উদাসীনতা পরিবর্তিত হল সচেতনতায়, যার দরুন অন্যের উদাসীনতা দেখলে তা পরিবর্তনের বৃথা চেষ্ঠায় লিপ্ত থাকি। প্রযুক্তি চর্চা করা খু্বই পছন্দ করি কিন্তু প্রযুক্তির ব্যাড টাইম স্পেন্ড আমাকে প্রযুক্তির সাথে এগিয়ে যেতে প্রায়ই বাধা প্রদান করে। আমি ট্রাভেল করতে খুবই পছন্দ করি কিন্তু এখন ট্রাভেল করার জন্য টাকার চেয়ে সময়ের অভাবটা খুবই অনুভব করি। মুভি দেখা, হেবি সাউন্ডে গান শোন আর ক্রিকেট খেলা দেখার হবি ছিল অনেক দিনের কিন্তু নিষ্ঠুর সময় তা ক্রমশে কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে। জীবনে পড়াশােনা কোন দ্নিই ভাল লাগে নি ,( ইভেন গল্পের বই ও ) আর কোন দিন এই পড়াশোনাকে মনে হয় না ভালোলাগাতে পারবো । এই সব ব্যাসিক কথার বাইরে আর কিছুু লেখা ঠিক হবে না ( পারসোনাল বলে কিছু জমিয়ে রাখতে হবে তো!!!! )। আজ এই পর্যন্তই, এই ব্লগে আমার বিরক্তিকর পোস্ট গুলোর জন্য সবার কাছে ক্ষামা চেয়ে নিচ্ছি।

মাসুদ_খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেসবুকের মাধ্যমে ধর্মের আধুনিক দাওয়াত ইসলামের দৃষ্টি কোন থেকে কেমন হওয়া উচিত ???? পর্ব-০১

২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪৪

আমরা প্রায়ই ফেসবুকের ম্যাসেজে ধর্মীয় অসংখ্য ম্যাসেজ পেয়ে থাকি। নিম্নে একটি ম্যাসেজের নমুনা তুলে ধরা হলো :
"""২০ জনকে আল্লাহর ৭ টি নাম পঠাও দেখবে তুমি কাল সকালের মধ্যে ৩টি খুশির খবর পাবে ১০০% গেরান্টি।
১.ইয়া আল্লাহ।
২.ইয়া রাহমান।
৩.ইয়া রহিম।
৪.ইয়া কুদ্দুস।
৫.ইয়া করিম।
৬.ইয়া রাজ্জাক।
৭.ইয়া গাফুর।
সাবধান!!!! এড়িয়ে যাবেন না কিন্ত, এড়িয়ে গেলে কাল সকালের মধ্যে ৩টি দুঃসংবাদ পাবেন ১০০% গেরান্টি। """"

উপরোক্ত ম্যাসেজের আল্লাহর ৭-টি নাম নিসন্দেহে অনেক বরকত-ময়। আল্লাহ-তালার শুধু এই ৭-টি নাম নয় বরং ৯৯-টি নাম প্রত্যেকটিই অধিক বরকত-ময় । এবং আল্লাহর এই নাম অথবা ধর্মীয় যে কোন দাওয়াত বা আমল ফেসবুকের সকলের মাঝে শেয়ার করা বা ম্যাসেজ করা খুবই ভাল একটা উদ্দোগ । কিন্তু আমাদের সকলকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যেন ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করতে গিয়ে আমাদের ধর্মের মূল জায়গা থেকে সরে গিয়ে ধর্মকে যেন বিকৃত করে না ফেলি ।

উপরোক্ত ম্যাসেজের মাধ্যমে আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস (একীন) এর অনেক পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে । যেমন
এই ম্যাসেজ গুলোর শুরুতে প্রায়ই লেখা থাকে ""২০ জনকে আল্লাহর ৭ টি নাম পঠাও দেখবে তুমি কাল সকালের মধ্যে ৩টি খুশির খবর পাবে ১০০% গেরান্টি।"""" আবার হুমকিও দেখানো হয় """সাবধান!!!! এড়িয়ে যাবেন না কিন্ত, এড়িয়ে গেলে কাল সকালের মধ্যে ৩টি দুঃসংবাদ পাবেন ১০০% গেরান্টি। """""""
এখানে ""২০ জনকে আল্লাহর ৭ টি নাম পঠাও"" এ ধরনের আহবান একজন মুসলিমের কাছে কারা যেতেই পারে । কারণ আমরা যদি সবাই সবার ফেসবুক-ফেন্ডকে ২০-টা করে এই এস,এম,এস দিতে থাকি তাহলে হয়তো পুরো বাংলাদেশের সকলের কাছেই এই ধরনে ধর্মীয় বার্ত পৌছে যাবে।
কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গাই ........................... তাহলে আসুন আমরা সমস্যার অনুসন্ধন করি।
উক্ত ম্যাসেজ গুলোতে কিছু-টা বাড়তি কথা লেখা থাকে । ""২০ জনকে আল্লাহর ৭ টি নাম পঠাও + পাঠালে দেখবে তুমি কাল সকালের মধ্যে ৩টি খুশির খবর পাবে ১০০% গেরান্টি।"" এবং হুমকি দেখানো হয় """সাবধান!!!! এড়িয়ে যাবেন না কিন্ত, এড়িয়ে গেলে কাল সকালের মধ্যে ৩টি দুঃসংবাদ পাবেন ১০০% গেরান্টি। """""""


কিন্তু বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য, এই যে খুশির খাবরের লোভ দেখানো হচ্ছে, কিন্তু কেন ???
আবার এই খুশির সংবাদ পাওয়া ব্যাপারে গেরান্টি কে কোথা থেকে দিতে পারে ???? এবং কিভাবে এই গেরান্টি দেওয়া সম্ভব ??
সকল মুসলিম-দের কাছে অামার এই প্রশ্ন-গুলি থাকলো আশা করি অপনার নিজ দায়িত্বে উত্তর দিবেন।

এখন একটি কল্পনিক গল্প বলি:::
ধরুন আপনার কাছ থেকে এই এস,এম,এস পাওয়ার পরে কোন ব্যাক্তি ২০-বার নয় বরং ১০০-বার সকল-কে এই এস,এম,এস পাঠালো শুধুমাত্র খুশির সংবাদ পাওয়ার জন্য। কিন্তু দেখা গেল পরের দিন খুশির সংবাদ তো দুরের কথা বরং অন্য দিনের চাইতেও অনেক অনেক বেশি দুঃসংবাদ পেলো এবং সেই ব্যাক্তি আরও বেশ কয় দিন আপেক্ষা করলো খুশির সংবাদের জন্য কিন্তু সে কোন খুশির সংবাদ পেলো না। যদি সেই ব্যক্তির ঈমান দূর্বল হয় তাহলে কিন্তু সে এই আল্লাহর নামের মর্যাদা না বুঝে শুধুমাত্র আপনার দেখানো খুশির-সংবাদের জন্য আল্লাহর নামের তাতপর্য না বুঝে মানে করবে যে আল্লাহর নামে কোন কাজ হয় না (নাউযুবিল্লাহ)। কিন্ত সেই ব্যাক্তির ভুল ধারণার জন্য আপনি সারা জীবন দায়ী থেকে যাবেন।
এই গল্পের শিক্ষা:: তাই যে কোন ধর্মীয় এস,এম,এস পাঠানোর সময় অবশ্যই দেখে নিবেন যেন তা কখনোই কারো ঈমান-কে কোন ভাবেই দুর্বল করে না দেই । আর আপনার পাঠানো এস,এম,এস এ যদি কারো ঈমান কোন ভাবে দূর্বল হয় তাহলে আপনি কিন্তু রোজ কিয়ামত পর্যন্ত অপরাধী হয়ে থাকবেন ।

এখানে উল্লেখ্য যে, গল্প-টি অনেক-টা রুপক অর্থ বহন করে । আশা করি আপনার এই ম্যাসেজ গুলো পাঠোনর ক্ষেত্রে ভুল গুলি কি হয় তা বুঝতে পেরেছেন ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কিছু কুলাঙ্গার এডমিন আর বলদ ফেসবুকারদের জন্য জরুরী পোস্ট...

২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৭

মাসুদ_খান বলেছেন: আসলে আমরা ধর্ম তো পালন করছিই না বরং এটা নিয়ে রিতি মত তামাশা শুরু করেছি !!!!!!!!!!!!! @বিচার মনি তালগাছ আমার ।

২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১৫

আবু তালেব শেখ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। বর্তমানে এই টাইপের ম্যাসেজে আমি খুবই বিরক্ত

২৭ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২০

মাসুদ_খান বলেছেন: যারা এমন ম্যাসেজ পাঠাই তাদের বলুন ধর্ম-কে ছােট করে যেনো কোন ম্যাসেজ না করে ।

৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:১৭

এ বি নোমান বলেছেন: nice post!

২৭ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:০৬

মাসুদ_খান বলেছেন: এই ব্যাপার গুলিতে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত ।।।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.