নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের যেকোন লেখা বিনা অনুমতিতে কপি-পেষ্ট করা যাবে
بسم الله الرحمن الرحيم
সর্বাবস্থায় সকল প্রশংসা আল্লাহর।আমাকে সুখে রাখলেও প্রশংসা আল্লাহর, আমাকে দুঃখে রাখলেও প্রশংসা আল্লাহর । আর অসংখ্য দরূদ নাযিল হোক তাঁর নবীর উপর বারবার। উম্মতের কল্যাণ চিন্তায় যিনি ছিলেন বেকারার।
এই পর্বটি একটু ভালো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। তা নাহলে বুঝে নাও আসতে পারে। প্রথম দিকে আমার কাছেও তেমন কিছু মনে হয়নি, কিন্তু পরে যখন চিন্তা করে আবার পড়েছি তখন বুঝে এসেছে যে, কত জটিল মিরাকেল এখানে লুকিয়ে আছে।
প্রথম পর্বে আমরা ১১৪ সূরার কোরানিক চার্টে অলৌকিক ১৯ ধাপের সিঁড়ির মন মাতানো, চোখ জুড়ানো কারুকার্য দেখেছি। প্রথম পর্বের শুরুতেই ১১৪ সূরার একটি লম্বা কোরানিক চার্ট ছিলো। সেই চার্টে আমরা দেখেছিলাম যে,
১১৪টি সিরিয়াল নাম্বারের যোগফল- ৬৫৫৫
১১৪টি সূরার আয়াতসমূহের যোগফল-৬২৩৬
সিরিয়াল ও আয়াত নাম্বারের যোগফলগুলোর মধ্যে বেজোড়গুলোর যোগফল- ৬২৩৬
সিরিয়াল ও আয়াত নাম্বারের যোগফলগুলোর মধ্যে জোড়গুলোর যোগফল- ৬৫৫৫
প্রথম দুইটি সংখ্যা আবার কিভাবে ফিরে আসলো পরের দুই লাইনে। যেকোন একটি ফিরে আসতে পারতো, একেবারে দুটোই ঘটনাচক্রে ফিরে আসে কি করে?আবার শুধু কি তাই? এর সাথে ছিলো এটা
৬+৫+৫+৫+৬+২+৩+৬= ৩৮=১৯×২
যাইহোক ১ম পর্বে আমরা এটাকে শুধু গাণিতিক সৌন্দর্য বলেই ক্ষান্ত হয়েছি। কিন্তু এখন আপনারা ১ম পর্বের এই গাণিতিক সৌন্দর্যকে নীচের মিরাকেলের সাথ মিলিয়ে চিন্তা করুন তাহলে বুঝবেন যে, ১ম দুইটি সংখ্যার, পরের দুই লাইনে আবার ফিরে আসাটা কোন ঘটনাচক্র নয়, বরং ঐশী পরিকল্পিত , এবং এটাও বুঝবেন যে, এই ফিরে আসাটা অনেক বিরাট কঠিন একটা কাজ; কেননা এই চার্টের মধ্যে কাজতো শুধু এই একটাই করা হয়নি, বরং ১১৪ টি সূরার ছয়টি ভাগ জুড়ে ৫/৬ দি থেকে জোড় বেজোড়ের অপূর্ব জটিল ভারসাম্য রক্ষা করা হয়েছে। চলুন তাহলে আমরা সামনে গিয়ে দেখি জোড় বেজোড়ের কি অপূর্ব মিরাকেল আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। তবে আবারো বলছি একটু বাড়তি ধৈর্য ও মনোযোগের সাথে পড়তে হবে এই পর্বটি।
এবার আমরা ১১৪টি সূরাকে মোট ছয়টি ভাগে ভাগ করবো। প্রতিভাগে পরবে ১৯টি করে সূরা। এরপর দেখবো প্রতিভাগের ১৯টি সূরার মধ্যে জোড় আয়াত বিশিষ্ট সূরা কয়টি আর বেজোড় আয়াত বিশিষ্ট সূরা কয়টি এবং দেখবো ছয়টি ভাগের মোট ১২টি ঘরে জোড় বেজোড়ের মাঝে কি অপূর্ব সমন্বয় ও ছন্দ সৃষ্টি হয়েছে।
নীচের চার্টে
১ম সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার সিরিয়াল নাম্বার।
২য় সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার নাম।
৩য় সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার আয়াত সংখ্যা।
৪র্থ সারিতে দেয়া হয়েছে বেজোড় আয়াত বিশিষ্ট সূরাসমূহের সংখ্যা।
৫ম সারিতে দেয়া হয়েছে জোড় আয়াত বিশীষ্ট সূরাসমূহের সংখ্যা।
(ছবি কিছুটা ছোট দেখালে কি বোর্ডের ctrl বাটন চেপে ধরে উপরের ডান দিকে যেই বাটনে যোগ চিহ্ন আছে সেটা দু'তিনবার চাপুন তাহলে ওয়েব পেজটি আকারে বড় হয়ে যাবে। তাতেও কাজ না হলে এই লিংকে গিয়ে পোষ্টটি পড়ুন। )
সত্যিই অপূর্ব! ছয় ভাগের ১২টি ঘরের কোথাও ছন্দ পতন হয়নি। প্রত্যেক ঘরেই বেজোড় আয়াত বিশিষ্ট সূরার মোট সংখ্যা একটি জোড় সংখ্যা, আর প্রত্যেক ঘরেই জোড় আয়াত বিশিষ্ট সূরার মোট সংখ্যা একটি বেজোড় সংখ্যা। জানি আপনি এখন বলবেন যে, যদিও জোড় ও বেজোড় আয়াত বিশিষ্ট সূরাগুলোর মাঝে সুন্দর গাণিতিক ছন্দ পাওয়া গেছে কিন্তু এটাকে মিরাকেল বলা যায়না;কেননা এরকম মানুষের পক্ষেও করা সম্ভব। আপনার একথার জবাবে, আমি বলবো যে, হ্যাঁ, এটা ঠিক যে, এরকম মানুষের পক্ষে করা সম্ভব। কিন্তু সম্ভব থাকলেও বাস্তবে কোন মানুষ আসলে এটা করেনি।ঐ সময়কার ইতিহাসের বিভিন্ন তথ্য থেকে এটাই পরিষ্কার বুঝে আসে। এই ব্যাপারটা নিয়ে আমি ১ম পর্বের ২নং কমেন্টের জবাবে আলোচনা করেছি, সেখানে দেখে নিন। এখানে, আমি এখন সামনে এই চার্টের মধ্যে আরো গাণিতিক ছন্দ , জোড় বেজোড়ের আরো জটিল তাল বা সিমেট্রি বা ভারসাম্য প্রদর্শন করে এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করবো যে, এরকম করা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়, কমপক্ষে ঐ জামানায় যখন কোন ক্যালকুলেটর বা কম্পিউটার ছিলোনা। চলুন সামনে অগ্রসর হই।
আমরা জানি, জোড় আর বেজোড়কে চার রকমে সাজানো যায়
জোড়-জোড়,
জোড়-বেজোড়,
বেজোড়-বেজোড়,
বেজোড়-জোড়।
এবার আমরা আমাদের কোরানিক চার্টের ছয় ভাগের প্রতিভাগের ১৯ টি সূরার মাঝে এমন সব সূরাগুলো চিহ্নিত করবো যাদের সিরিয়াল নাম্বারও জোড় এবং আয়াত নাম্বারও জোড়। এরপর দেখবো প্রতিভাগে এই সূরাগুলোর মাঝে কোন গাণিতিক ছন্দ পাওয়া যায় কিনা।
নীচের চার্টে
১ম সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার সিরিয়াল নাম্বার।
২য় সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার নাম।
৩য় সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার আয়াত সংখ্যা।
৪র্থ সারিতে দেয়া হয়েছে সিরিয়াল নাম্বার ও আয়াত নাম্বার দুটোই জোড় এমন সূরাসমূহের মোট সংখ্যা।
৫ম সারিতে দেয়া হয়েছে ঐ সূরাগুলোর আয়াতসমূহের মোট যোগফল।
প্রিয় পাঠক! আমরা আবারো দেখতে পেলাম জোড় বেজোরের অপূর্ব ছন্দায়ন। ৬টি ভাগের ১২টি ঘরের কোন একটি ঘরেও ছন্দ পতন হয়নি। প্রতি ক্ষেত্রেই জোড় সিরিয়াল নাম্বার ও জোড় আয়াত নাম্বার বিশিষ্ট সূরাগুলোর মোট সংখ্যা একটি বেজোড় সংখ্যা। পাঠক! এবার এটাকে আগেরটার সাথে মিলিয়ে চিন্তা করুন। একই চার্টে দুই দিক থেকে ছয়টা বা বারোটা ঘরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা, ছন্দ রক্ষা করা কিন্তু বেশ কঠিন। যাইহোক এখনো আমি মিরাকেল বলে দাবী করছিনা। চলুন সামনে অগ্রসর হই। দেখা যাক আমাদের জন্য আরো কি ছন্দ অপেক্ষা করছে।
এবার আমরা এই একই চার্টে এমন সব সূরাসমূহকে চিহ্নিত করবো, যেগুলোর সিরিয়াল নাম্বার জোড় কিন্তু আয়াত নাম্বার বেজোড়, এরপর দেখবো প্রতিভাগে এরকম সূরা মোট কয়টি আছে এবং এগুলোর মাঝে জোড় বেজোড়ের কোন ছন্দ পাওয়া যায় কিনা তাও দেখবো।
নীচের চার্টে
১ম সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার সিরিয়াল নাম্বার।
২য় সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার নাম।
৩য় সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার আয়াত সংখ্যা।
৪র্থ সারিতে দেয়া হয়েছে এমন সূরাসমূহের মোট সংখ্যা যেগুলোর সিরিয়াল নাম্বার জোড় আর আয়াত নাম্বার বেজোড়।
৫ম সারিতে দেয়া হয়েছে ঐ সূরাগুলোর আয়াতসমূহের মোট যোগফল।
আবারো আমরা দেখতে পেলাম দারুণ ছন্দের মিল। একবার জোড় আরেকবার বেজোড়। কোন একটি ঘরেও ছন্দ রক্ষা না হলে কিন্তু ভেঙ্গে যেতো এই গাণিতিক সিস্টেম। তখন আগের দুইবার যেই গাণিতিক ছন্দ পাওয়া গিয়েছিলো সেটারও কোন মূল্য থাকতো না। প্রিয় পাঠক! এখন আপনি কি বলবেন? একই চার্টে তিন দিক থেকে ছয়টি বা বারোটি ঘরে জোড় বেজোড়ের গাণিতিক ছন্দ রক্ষা করা কিন্তু বিরাট কঠিন কাজ। কোন মানুষ যদি তার বইয়ের মাঝে কোন গাণিতিক মিল রাখতে চায়, তাহলে নিশ্চয়ই সে এত কঠিন রাস্তা অবলম্বন করবেনা বরং আরো অনেক সহজ রাস্তা বেছে নিবে। কাজটি যে কত কঠিন , ঝামেলাপূর্ণ আর সময়সাপেক্ষ এটা আপনার তখনই বুঝে আসবে যখন আপনি নিজে এমন ছন্দ রক্ষা করে কোন কিতাব বা বই লিখতে যাবেন। কিতাব আর মনে হয় লেখা হবেনা,গাণিতিক ছন্দ রক্ষা করতে গিয়েই জীবন পার হয়ে যাবে। যাইহোক আমি এখনো মিরাকেল দাবী করছিনা। চলুন সামনে চলুন। আপনিই বলবেন মিরাকেল হয়েছে কি হয়নি।
এবার আমরা এই একই চার্টে এমন সব সূরাসমূহকে চিহ্নিত করবো, যেগুলোর সিরিয়াল নাম্বার ও আয়াত নাম্বার দুটোই বেজোড়,এরপর দেখবো প্রতিভাগে এরকম সূরা মোট কয়টি আছে এবং এগুলোর মাঝে জোড় বেজোড়ের কোন ছন্দ পাওয়া যায় কিনা তাও দেখবো।
নীচের চার্টে
১ম সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার সিরিয়াল নাম্বার।
২য় সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার নাম।
৩য় সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার আয়াত সংখ্যা।
৪র্থ সারিতে দেয়া হয়েছে এমন সূরাসমূহের মোট সংখ্যা যেগুলোর সিরিয়াল নাম্বার ও আয়াত নাম্বার দুটোই বেজোড় ।
৫ম সারিতে দেয়া হয়েছে ঐ সূরাগুলোর আয়াতসমূহের মোট যোগফল।
এবার কিন্তু আমার মনে হয় কোন নাস্তিকও আশ্চর্য না হয়ে পারবে না। আবারো সেই ছন্দের হিল্লোল বয়ে গেলো পুরো ছয়টি ভাগ জুড়ে। এই নিয়ে আমরা চতুর্থবার জোড় বেজোড়ের ছন্দ রক্ষা পেতে দেখলাম। এবারও কোন একটি ঘরেও ছন্দের ব্যাঘাত ঘটলো না। প্রিয় পাঠক আপনি কি চিন্তা করতে পারছেন যে, শুরুর দিকের সহজ কাজটি এখন কত জটিল আর কঠিন হয়ে গেলো। একই চার্টে চার দিক থেকে, সিরিয়াল ও আয়াত নাম্বারের মাঝে, জোড় আর বেজোড়ের অটুট ভারসাম্য রক্ষা করা হয়েছে । খুবই আশ্চর্যজনক ব্যাপার! তাই না? এর চেয়েও আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো এখনো এমন কাউকে পাওয়া যাবে, যারা বলবে যে এটা এমনি এমনি হয়ে গেছে বা কোন মানুষ করেছে। ঠিক আছে, দেখা যাক আমরা তাদের জন্য সামনে আরো কিছু পাই কিনা?
এবার আমরা এই একই চার্টে এমন সব সূরাসমূহকে চিহ্নিত করবো, যেগুলোর সিরিয়াল নাম্বার বেজোড় কিন্তু আয়াত নাম্বার জোড়,এরপর দেখবো প্রতিভাগে এরকম সূরা মোট কয়টি আছে এবং এগুলোর মাঝে জোড় বেজোড়ের কোন ছন্দ পাওয়া যায় কিনা তাও দেখবো।
নীচের চার্টে
১ম সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার সিরিয়াল নাম্বার।
২য় সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার নাম।
৩য় সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার আয়াত সংখ্যা।
৪র্থ সারিতে দেয়া হয়েছে এমন সূরাসমূহের মোট সংখ্যা যেগুলোর সিরিয়াল নাম্বার বেজোড় কিন্তু আয়াত নাম্বার জোড় ।
৫ম সারিতে দেয়া হয়েছে ঐ সূরাগুলোর আয়াতসমূহের মোট যোগফল।
সত্যিই বিস্ময়কর! কিভাবে সম্ভব!! কমপক্ষে একটা ঘরে হলেও তো ছন্দ পতন হতে পারতো। কিন্তু না, হয়নি। কেননা এই সিস্টেম কোন মানুষ করেনি, করেছেন সর্বজ্ঞানী আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। এই নিয়ে পঞ্চমবার হলো। মোট পাঁচটি দিক থেকে একই চার্টে জোড় বেজোড়ের অপূর্ব ছন্দায়ন আমরা দেখতে পেলাম।
উপরে এতক্ষণ যা হয়েছে এতটুকু করাই নিঃসন্দেহে অতি কঠিন ও সময়সাপেক্ষ কাজ, এর উপর আমরা এখন নীচে এমন একটি চার্ট নিয়ে আসবো যেটা চুড়ান্তভাবে প্রমাণ করবে যে, জোড় বেজোড়ের এই অপূর্ব গাণিতিক ছন্দ কোন মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয়। এটা শুধুমাত্র মহাজ্ঞানী, মহা ক্ষমতাবান এক আল্লাহ পাকের পক্ষেই সম্ভব।
এবার আমরা উপরের চার্টটিকে দুই ভাগ করবো। বাম দিকে থাকবে শুধু বেজোড় সিরিয়ালের ৫৭টি সূরা আর ডান দিকে থাকবে শুধু জোড় সিরিয়ালের ৫৭টি সূরা। এরপর আবার আগের মত চার্টটিকে মোট ছয়টি ভাগে ভাগ করবো ,প্রতিভাগে থাকবে ১৯টি করে সূরা। এরপর দেখবো প্রতিভাগে বেজোড় আয়াত বিশিষ্ট সূরা কয়টি আর জোড় আয়াত বিশিষ্ট সূরা কয়টি।
নীচের চার্টে দুইটি ভাগ আছে। উভয় ভাগেই
১ম কলামে আছে সূরার সিরিয়াল নাম্বার
২য় কলামে আছে সূরার আয়াত নাম্বার
৩য় কলামে আছে বেজোড় আয়াতবিশিষ্ট সূরাসমূহের মোট সংখ্যা
৪র্থ কলামে আছে জোড় আয়াতবিশিষ্ট সূরাসমূহের মোট সংখ্যা
১১৪ সূরার কোরানিক চার্টের উপর দিয়ে জোড় বেজোড়ের ঢেউ খেলিয়ে আবারো বয়ে গেলো মন জুড়ানো হিমেল মিরাকেল।প্রতিভাগেই বেজোড় আয়াতবিশিষ্ট সূরা সমুহের মোট সংখ্যা একটি জোড় সংখ্যা আর জোড় আয়াতবিশিষ্ট সূরাসমূহের মোট সংখ্যা একটি বেজোড় সংখ্যা।কোথাও কোন ব্যতিক্রম হয়নি।
চাক্ষুষ গাণিতিক প্রমাণের আলোকে এখন এটা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হলো যে, কোরআনের এই গাণিতিক সিস্টেম কোন মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয়, এটা শুধুমাত্র গণিতের যিনি স্রষ্টা,সেই মহাজ্ঞানী আল্লাহ পাকের পক্ষেই সম্ভব। আরো প্রমাণ হলো যে, কোরআনের সূরা সমূহের সিরিয়াল এবং আয়াত নাম্বার সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত। এবং আরো প্রমাণ হলো যে, এই জটিল গাণিতিক সিস্টেম যেহেতু অক্ষুন্ন আছে, অতএব কোরআনে ১৪০০ বছরেও কোন পরিবর্তন হয়নি। কেননা যিনি সিস্টেম করেছেন, তার পরে যদি অন্য কারো হাত এতে লাগতো তাহলে ভেঙ্গে যেতো এই অপূর্ব জটিল সিস্টেম। এসবই প্রমাণিত হলো চাক্ষুষ গাণিতিক ভিত্তির আলোকে। এখন যদি কেউ এসে অদেখা, অস্পষ্ট ইতিহাসের আলোকে প্রমাণ করতে চায় যে, কোরআনে পরিবর্তন হয়েছে , তাহলে এটাই বুঝা যাবে যে, এই ইতিহাস মিথ্যা বা ভুল বা অসম্পূর্ণ বা ইতিহাস যদি কিছু ঠিক হয়েও থাকে, তাহলে ইতিহাস বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ভুল হয়েছে বা সঠিক ইতিহাস থেকে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চাক্ষুষ প্রমাণের সামনে অদেখা প্রমাণ কোন মূল্যই রাখেনা। প্রিয় পাঠক! এখন আপনি একটু আরেকবার ১ম পর্বের উপর চোখ বুলিয়ে নিন এবং দুই পর্ব নিয়ে একসাথে চিন্তা করুন, তাহলেই বুঝতে পারবেন যে কত বিরাট অলৌকিক আর অকল্পনীয় জটিল গাণিতিক মিরাকেল আল্লাহ পাক এই কোরআনের মধ্যে রেখে দিয়েছেন। আর এই দুই পর্বেইতো শেষ নয় আরো আছে অনেক। এখান থেকে নেয়া হয়েছে।
কিছু অতীব জরুরী পোষ্টঃ মাথা খুব ঠান্ডা রেখে পড়তে হবে
ইসলামের নবী (সল্লাল্লহু আলাইহিওয়আ সাল্লাম) এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের উত্থাপিত প্রায় সকল প্রশ্নের দাঁতভাঙ্গা জবাব । হুমায়ূন আহমেদের ২য় বিবাহ - পর্ব ৩
আর বিজ্ঞান দিয়ে যারা ইসলামকে মোকাবেলা করতে চায় তাদের জবাব দিতে নীচের পোষ্টগুলো পড়ুন।
যারা বিজ্ঞান দিয়ে কোরআনের ভুল ধরেন তারা সবাই একটু দেখুন। সাইন্টিফিক মেথড সম্পর্কে আগে জানুন।
দু'টি চুরির মামলা এবং সেই আলোকে বিবর্তনবাদ, পৃথিবীর স্থিরতা, আস্তিকতা- নাস্তিকতা এবং নাসার চাঁদে যাওয়ার প্রমাণ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭
মূসা আলকাজেম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন।
২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪১
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: এখানে গণিত বা অংকের কিছু নেই: কোন দক্ষ লোক এগুলোকে এভাবে দক্ষভাবে সাজায়েছে।
সেই দক্ষ লোক বাইবেল, তোরাহ, মহাভারত, রামায়ন, ডাস ক্যাপিটেল, আদেসী'কেও ওভাবে সাজাতে পারবে; এটা মানুষের ক্রিয়েটিভ-মাইন্ড এর সাজানোর ক্ষমতা।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪
মূসা আলকাজেম বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনি মনে হয় আর্টসের ছাত্র। গণিতের সাথে সামান্য সম্পর্ক থাকলে এমন কথা বলতে পারতেন না। আপনার প্রতি আমার চ্যালেঞ্জ রইলো যে, আপনি ১১৪ টি নয় শুধু ৩০টি সারির মধ্যে ৫/৬ দিক থেকে এমন গাণিতিক ছন্দ তৈরী করে দেখান। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৯
মূসা আলকাজেম বলেছেন: কোন দক্ষ লোক এগুলোকে এভাবে দক্ষভাবে সাজায়েছে।
এটা আপনার একটা দাবী। কিন্তু কি প্রমাণ আছে আপনার কাছে?আপনি কি ঐ সময় থেকে দেখেছেন? কী ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আপনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন? নেই, কোন ভিত্তি নেই, কোন প্রমাণ নেই। মনে এসেছে একটা কথা আর বলে দিয়েছেন। যেহেতু এটা আপনার বিশ্বাসের বিপরীত।
এরপর বলেছেন,
সেই দক্ষ লোক বাইবেল, তোরাহ, মহাভারত, রামায়ন, ডাস ক্যাপিটেল, আদেসী'কেও ওভাবে সাজাতে পারবে;
আবার আরেকটা দাবী করলেন, কোন প্রমাণ বা ভিত্তি ছাড়া। আপনার বিবেক আপনাকে কাণ্ডজ্ঞানহীন বলে তিরস্কার করেনা? আপনার কাছে যদি এমন কোন দৃষ্টান্ত থাকতো যে, অমুক অমুক বই এভাবে সাজানো হয়েছে, তাহলে সেটার উপর ভিত্তি করে আপনি এমন দাবী করতে পারতেন। অথচ দুনিয়ার ইতিহাসে এভাবে গাণিতিকভাবে সাজিয়ে কেউ বই লিখতে পারেনি এবং এভাবে এত জটিলভাবে কেউ চিন্তাও করেনি। কত কত বড় বড় গণিতবিদ, বিজ্ঞানী দুনিয়াতে আসলো গেলো, কারো বইয়ে এমন কোন গাণিতিক সজ্জা নেই। কারো মাথায় আসলে এত জটিল গাণিতিক সাঁজে বই সাজানোর কথা চিন্তায়ই আসেনি , আসা সম্ভবই নয়। কেউ সাজাতে চাইলেও আরো অনেক সহজভাবে সাজানোর চিন্তা করতো।
৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: @লেখক,
আমি গণিতের ছাত্র, তাই বুঝতে পেরেছি যে, এ ধরণের প্যাটার্ণ তৈরি করা সম্ভব।
আমি এ ধরণের কাজ এ মহুর্তে করছি না।
আমাকে যে সব কিছু করেই প্রমাণ করতে হবে, তা লজিক্যাল নয়: আমি যদি বলি সুর্য্য ৮ কোটী মাইল দুরে, আমাকে কি উহা মেপে দেখাতে হবে আপনাকে? যা বলেন, তা ভেবে দেখবেন।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৮
মূসা আলকাজেম বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। "আপনি গণিতের ছাত্র" এটা আরেকটা মিরাকেল।ভাই আপনি নিজেই একটু ভাবেন যে, আপনি যেই দাবী করেছেন এটা আপনি কিসের ভিত্তিতে করেছেন। কোন ভিত্তিই আপনার কাছে নেই। মন চেয়েছে আর বলে দিয়েছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোন দৃষ্টান্ত নেই যে, কেউ এমন জটিল গাণিতিক ছন্দ বানিয়েছে।এবং সামনেও পারবে কিনা সন্দেহ আছে।
ঠিক আছে আপনি যেমন বুঝেন, তা নিয়েই থাকেন। এই কিছু দিন পরই সব সমাধান হয়ে যাবে। আর কোন মন্তব্য না করলেই ভালো। ভালো কাটুক সময়।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৯
মূসা আলকাজেম বলেছেন: আমি গণিতের ছাত্র, তাই বুঝতে পেরেছি যে, এ ধরণের প্যাটার্ণ তৈরি করা সম্ভব।
একটা কাজ ঘটা বা হওয়া সম্ভব হওয়া এক কথা, আর বাস্তবেও তা ঘটেছে কিনা, সেটা আরেক কথা। আমরা যদি এটা তর্কের খাতিরে ধরে নেই যে, এমনটা করা মানুষের পক্ষে সম্ভব, তাহলেও এটা প্রমাণ হয়ে যায়না যে, এটা মানুষ করেছে। এমনটা করা সম্ভব এটা যেমন আলাদা দলীল দিয়ে প্রমাণ করতে হবে , তেমনি এমনটা বাস্তবে কেউ করেছে এটাও আলাদা দলীল দিয়ে প্রমাণ করতে হবে।কোন চুরির মামলায়, আপনার পক্ষে চুরি করা সম্ভব শুধু এতটুকু সাব্যস্ত হলেই কিন্তু এটা প্রমাণ হয়ে যাবেনা যে, বাস্তবেও আপনি চুরি করেছেন, বরং এর জন্য আলাদা প্রমাণ লাগবে।
৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৭
আহসান২২ বলেছেন: @পাঠক১৯৭১ আপ্নে কি পাগল নাকি? যদি গনিত পড়ে থাকেন তাইলে ক্যাম্নে বলেন সূর্য থেকে পৃথিবীর ডিস্টেন্স ৮ কোটী মাইল।।!!
৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬
বক বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়ের।
প্রথম চার্ট এবং শেষ চার্ট এর প্রতিটি লাইনের odd and even যোগফল ১৯।
চোখে আংগুল দিয়ে দেখালেও আল্লাহ তায়ালা যদি না চান কেউ হেদায়েত পাবেনা। এখন যতই গানিতিক প্রমান দেখান সেটা অবিশ্বাসীদের কাজে আসবে না যদি না আল্লাহ পাক চান।
মূসা ( আ: ) এর সময় নিজের চোখে সাগরকে দুইভাগ হতে দেখে এবং সেই পথ দিয়ে সাগর দিব্যি পার হয়েও ওপারে গিয়ে আবার বাছুর পুজা শুরু করল। সাগর দুভাগ হওয়া দেখেও তাদের ইমান আসল না বা টিকল না।
তাই ভাই ভয় হয় । মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ঈমানের মত এত বড় নেয়ামত আল্লাহ তায়ালা আমাকে , আপনাকে এবং সমস্ত মানব জাতিকে দান করুন।
আমীন
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
মূসা আলকাজেম বলেছেন: আমীন। সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আপনাকেও অনেক জাজাকাল্লহ ।
প্রথম চার্ট এবং শেষ চার্ট এর প্রতিটি লাইনের odd and even যোগফল ১৯।
প্রিয় ভাই! এটা আসলে মিরাকেলের অংশ নয়। কেননা, আমরা প্রতি ভাগে ১৯ টি করে ঘরই নিয়েছি। তাই জোড় বেজোড়ের মোট সংখ্যা অটোমেটিক ১৯ই হবে।
৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫
অপরাজিত একজন বলেছেন: অত্যন্ত সুন্দর একটি পোস্ট । লিখে যান । আল্লাহ আপনার কষ্টের উত্তম প্রতিদান দান করবেন ইনশাআল্লাহ । +++
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১০
মূসা আলকাজেম বলেছেন: আল্লাহর শুকরিয়া। উৎসাহ দেয়ায় অনেক জাজাকাল্লহ। আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বাহ , চমৎকার তো !