![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিচয় দেবার মতো বড় কেউ এখনো হওতে পারিনি
(১)
লাইনটার মাঝামাঝি চুপচাপ দাড়িয়ে আছে আসিফ । একটু ভয় ভয় করছে তার । জীবনে প্রথমবারের মতো নিজ ইচ্ছায় রক্ত দিতে এসেছে সে । ঢাকা ভার্সিটির একটা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্দোগ্যে চলছে এই রক্তদান কর্মসূচি । হাতের মধ্যে সূঁচ ঢোকানোর ব্যাপারটাকে ছোটবেলা থেকেই ভয় পায় আসিফ । কিন্তু বন্ধুমহলের মধ্যে ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে গেলে দুর্ভোগের আর শেষ থাকবে না । যে ছেলে ল্যাবে সালফিউরিক এসিড , সোডিয়াম , ফসফরাস নিয়ে কাজ করে সে কিনা সামন্য একটা সূঁচের গুতোকে ভয় পায় ! এই খবর সমগ্র ভার্সিটিতে রটতে বেশি সময় নিবে না তখন । নাহ্ ! তা হতে দিতে পারে না আসিফ । গতকাল যখন বন্ধুদের সাথে টিএসসিতে বসে ছিল , তখন এই রক্তদান কর্মসূচিটার কথা রাশাই প্রথম তোলে । কারন সে ঐ স্বেচ্ছাসেবক দলটার সদস্য । বলার সাথে সাথে সবাই রাজি হলেও আসিফ চুপচাপ বসে থাকে । বন্ধুরা টিটকিরি দিতে ছাড়ে না তা তাকে । শেষ পর্যন্ত আসিফ সবাইকে বলে যে সে রক্তদান কর্মসূচিতে থাকবে । আসলে তার এই সূঁচ ভিতিটা সৃষ্টি হয়েছে একটা অনাকাঙ্খিত কারনে । ছোটবেলায় সাইকেল চালাতে গিয়ে একবার পা কেটে ফেলেছিলো সে । তখন তাকে ধনুষ্টংকারের টিকা দেওয়া হয় । অসাবধানতাবশত নার্স একটু জোড়েই ইনজেকশন গেঁথে দিয়েছিল আসিফের হাতে । ছোট্ট আসিফের কাছে অতটুকু ব্যাথাই বিশাল ব্যাপার । সেই থেকে তার সূঁচ ভিতি আছে । ছোটবেলার ভয়টা এখনো রয়ে গিয়েছে । আসিফের পালা এলো , তাকে ডাকা হলো । সামনে এগিয়ে গিয়ে আসিফ দেখতে পেলো একটা টেবিলের উপর ইনজেকশনের অসংখ্য সূর্চ , প্লাস্টিক ব্যাগ , নল রাখা । ঠিক পাশেই একটা চৌকিমতো । আসিফ চুপচাপ চৌকির উপর শুয়ে পড়লো । একটা ছেলে দাড়িয়ে আছে খাটিয়ার পাশে । ব্যাস্ত হাতে সবকিছু তৈরি করছে সে । আসিফ দেখলো টেবিলের উপর থেকে একটা খোলা সূচ নিয়ে প্লাস্টিক নলটার সাথে আটকালো ছেলেটা , তারপর আসিফের বাম হাতের শিরায় আস্তে করে ঢুকিয়ে দিলো সূঁচটা । আসিফ তীব্র ব্যাথার আশংকা করেছিলো তবে সামান্য খোঁচা ছাড়া কিছু অনুভব করলো না । রক্ত দেওয়ার পর টিএসসির দিকে হাটতে থাকলো সে । এমনিতে আসিফ বেশ হাসিখুশি , মিশুক আর পড়ুয়া । তাই বন্ধুমহলে তার নামের আগে আঁতেল ট্যাগটা বসিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা বেশ জনপ্রিয় । দূর থেকে আসিফকে আসতে দেখলেই মোটামুটি "আঁতেল আসিফ্ফা আসতেছে" বাক্যটা শ্লোগানের মতো উচ্চারিতো হয় । আজকে এর ব্যাতিক্রম হয় না । তবে আসিফ এসবে খুব বেশি কর্ণপাত করে না । আসিফের বন্ধুরা একেকজন একেক ডিপার্টমেন্টে পড়ে । এতে বেশ সুবিধা , অন্তত আসিফ তাই মনে করে । সবদিক দিয়ে অভিজ্ঞতা বাড়ানোর একটা সুযোগ থাকে । এ ধারনাটা বন্ধুদেরকে বলাতেই তার নামের আগে আঁতেল ট্যাগটা পড়েছিলো । বন্ধুদের জটলার কাছাকাছি আসতেই রাজিব বলে উঠলো "আসছে । আমাগো রসায়ন বিষারদ ।" রাজিবের কথার ভঙ্গিমায় সবাই হেসে উঠলো । আসিফও মুচকি হেসে বসে পড়লো তাদের সাথে । তারপর রাশাকে উদ্দেশ্য করে বলল "শোন , রক্ত দিতে আমার কোন ভয় নাই । এখন তুই আমাদেরকে দেখাবি যে তেলাপোকাকে তুই ভয় পাস না ।" রাশা হাসছিলো , কিন্তু আসিফের কথা শুনে তার মুখ কালো হয়ে গেলো । রাশার অস্বাভাবিক তেলাপোকা ভিতি সম্পর্কে সবার জানা আছে , সুতরাং সবাই আরেক চোট হেসে নিলো । হাসতে হাসতেই আসিফ বলল "দেখ রসায়ন বিষারদ নামটা শুনতে ভালই লাগে । আফটার অল ক্যামিস্ট্রি ইজ আ ম্যাজিক্যাল সাবজেক্ট । ক্যামিস্ট্রি দিয়ে পানি থেকে আগুন জ্বালানো যায় । এছাড়া ক্যামিস্ট্রি দিয়ে তোরা পানির মধ্যে হাত ডুবালেও হাত না ভিজানোর কৌশল জানতে পারিস ।" "হ্যা হ্যা হৈছে । তোর এখন জ্ঞান ঝাড়তে হবে না । ক্ষিদা লাগছে , চল খাবো ।" বলে উঠলো রাসেল । রাসেলের কথায় আসিফের মনে পড়লো যে সে সকাল থেকে না খেয়ে আছে । তাই রাসেলের কথায় সায় নিয়ে মুচকি হেসে ক্যাফেটেরিয়ার দিকে হাটতে থাকলো সে । তাকে অনুসরন করলো বাকিরা ।
(২)
নওশিনের সাথে আজকে দেখা হওয়ার কথা আসিফের । আসিফ নীল পান্জাবি পরে চারুকলা অনুষদের উদ্দেশ্যে হাটছে । তাদের সম্পর্কের শুরুটা ভার্সিটিতেই । আসিফ তখন টিএসসির মাঠে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলো । আর নওশিন চুপচাপ ক্যাফেটেরিয়ার সামনের দিকে সিড়িটায় বসে ছিল । নওশিনও ক্যামিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টেই তবে আসিফের তিন বছরের জুনিয়র । সুতরাং আসিফের সাথে এর আগে অনেকবারই দেখা হয়েছে । ল্যাবে টুকটাক কথাও হয়েছিলো । নওশিনকে ওভাবে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে আসিফ এগিয়ে গিয়েছিলো । সে চেয়েছিলো হাসিচ্ছলে মেয়েটার মন ভাল করে দিতে । কিন্তু ঘটনা হলো উল্টো , নওশিন ভীষনভাবে ক্ষেপে গেলো , ইচ্ছামতো আসিফকে দোষারোপ করলো । তারপর অনেকগুলো বিস্মিত দৃষ্টির সামনে দিয়ে হেটে বের হয়ে গেলো টিএসসি থেকে । পরদিন নওশিনকে দেখা গেলো চন্চল চোখে আসিফকে খুঁজতে । লাইব্রেরি , ক্যাফেটেরিয়া , মধুর ক্যান্টিন , চারুকলা অনুষদ , ছবির হাট কোথাও নেই ছেলেটা । মন খারাপ করে ল্যাবের ফিরে এলো নওশিদ । আসিফ তখন সালফিউরিক এসিড লঘুকরনে ব্যাস্ত । আসিফকে দেখে খুশিতে হটাত্ চিত্কার করে উঠলো নওশিন । সদ্য প্রস্তুত লঘু সালফিউরিক এসিডের বিকারটা স্বশব্দে মাটিতে পড়লো এবং ছোটখাটো একটা বিস্ফোরনের মতো শব্দ হলো । আসিফ অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল নওশিনের দিকে , মেয়েটাও বিমূঢ় হয়ে গিয়েছিলো । এক দিন , দু দিন করে সময় যায় আর তাদের ঘনিষ্ঠতাও বাড়তে থাকে । ভালবাসার রসায়নের সমীকরনে সমতা বিধানেও খুব একটা সময় লাগেনা তাদের । আজকে সারাটা দিন মুশুলধারে বৃষ্টি হয়েছে । নীল পান্জাবিটার ভাজগুলো ঠিক করার চেষ্টা করলো আসিফ । চারুকলার সামনে এসে দেখলো নওশিন একটা হালকা নীল শাড়ি পড়ে আছে , আর কপালে একটা ছোট্ট টিপ পড়েছে । খুব সাদামাটা সাজ , তবুও আসিফের মনে হলো সে কোন অপ্সরিকে চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে । আসিফকে দেখতে পেয়ে মুচকি হাসলো নওশিন , ওর সিগ্ধ হাসিটা খুব বেশি পছন্দের আসিফের কাছে । বৃষ্টির ফলে রাজপথে ছোট ছোট জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে । এতোক্ষন বৃষ্টি কিছুটা সময়ের জন্য বিরতি নিয়েছিলো । আবার শুরু হলো টিপ টিপ বৃষ্টি । গাছপালা ভিজে চলেছে অবিরাম । প্রকৃতি নতুনভাবে সাজতে ব্যাস্ত , একটা সময় মুশুলধারে বর্ষন শুরু হলো , বৃষ্টি ধারায় মিশে গেলো আসিফ নওশিন ।
জনশূণ্য রাজপথে দুই মানব মানবীর অস্পষ্ট ছায়া পড়েছে । রাস্তার উপর ছোট ছোট জলাধর থেকে পানির ধারা এসে মিশে যাচ্ছে পরস্পরের সাথে । প্রকৃতি কাঁদছে আকুল হয়ে আর সেই অশ্রুধারায় তন্ময় হয়ে সিক্ত হচ্ছে তারা ।
(৩)
আসিফ মাস্টার্স শেষ করেছে । ভাল একটা ঔষধ কম্পানিতে চাকরিঐ পেয়েছে । মাঝখানে পেরিয়ে গিয়েছে চারটি বছর । নওশিনের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছে আসিফের পরিবার । নওশিনের পরিবার অমত করেনি । ভালবেসে ভালবাসার মানুষটাকে আপন করে পাওয়ার ভাগ্য খুব কম মানুষের থাকে । আসিফ সেই দুর্লভ ভাগ্যবানদের একজন । বর্তমানে চাকরির পাশাপাশি "জাগরন" নামক একটা সমাজকল্যানমূলক সংস্থাতেও সময় দিচ্ছে সে । তবে ইদানিং শরীরটা ভাল যাচ্ছে না আসিফের । প্রায় সাত থেকে আট দিনের মতো জ্বরে ভুগছে সে । নওশিন প্রায় জোর করে তাকে হসপিটালে নিয়ে যায় । ব্লাড টেস্ট করিয়ে আনে । আজকে আবার ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগবে একবার । বিকালের দিকে নওশিনকে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে গেলো আসিফ । ডাক্তার ভদ্রলোক বেশ গম্ভীর হয়ে বসে আছেন । অনেক্ষন আসিফের রিপোর্টগুলো দেখলেন তিনি , তারপর জিজ্ঞেস করলেন "আসিফ সাহেব , এখন কেমন আছেন ?"-"মোটামুটি স্যার । জ্বর কমছে না ।"-"আচ্ছা । চার পাঁচ বছর আগেও কি কখনো একটানা জ্বর , গলা ব্যাথা করতো ?"-"জ্বি স্যার হতে পারে । খেয়াল নেই"-"আচ্ছা কখনো এমন কি হয়েছে যে আপনার সবসময় চোখে তন্দ্রা থাকতো অথবা প্রচন্ড অবসাদ লাগতো সবসময় ?"-"জ্বি স্যার এমনটা একবার হয়েছে অনার্স ফাইনালের আগে । বেশ অবাক হয়েছিলাম"-"হমম । বুঝতে পেরেছি"-"স্যার সমস্যাটা কি ? কি হয়েছে আমার ?"-"আসিফ সাহেব ইনি কি আপনার স্ত্রী ?" নওশিনকে দেখিয়ে জিজ্ঞেস করেন ডাক্তার । "জ্বি স্যার আমাদের বিয়ে আগামী মাসে ।"-"ও আচ্ছা । কয় বছর থেকে পরিচয় ?"-"এই তো স্যার গত পাঁচ বছর"-"দেখুন আসিফ সাহেব কিছু ব্যাপার আমার জানা দরকার । বিব্রত হবেন না প্লিজ"-"জ্বি না স্যার করুন ।"-"আপনার আর ওনার মধ্যে কি দৈহিক সম্পর্ক হয়েছে ?" আসিফ একদমই প্রস্তুত ছিল না এ ধরনের প্রশ্নের জন্য , এমনকি নওশিনও ভীষনভাবে বিব্রত হলো , আসিফ তবুও শান্তস্বরে বলল "জ্বি না স্যার ।"-"আচ্ছা আপনি কি কখনো নাইট ক্লাব অথবা লেট নাইট পার্টিতে এটেন্ড করেছেন ?"-"না স্যার"-"আপনার জীবনে কি বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটেছে ? অথবা কাওকে রক্ত দিয়েছেন"-"স্যার দুর্ঘটনা তো ঘটেনি তবে আমি একবার রক্ত দিয়েছিলাম । কেন স্যার ?"-"আসিফ সাহেব আসলে কিভাবে যে বলি কথাটা !"-"স্যার প্লিজ বলুন কি হয়েছে ?"-"ইয়ে মানে । আপনার HIV পজেটিভ । সম্ভবত একই সূঁচ একাধিকবার ব্যাবহারে এমনটা হয়েছে । প্রথমত আক্রান্তের দেহে ভাইরাসটি অর্থাৎ এইচআইভি বংশবিস্তার করতে থাকে । এই ভাইরাসের প্রধান কাজ হচ্ছে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে (virus & immune mediated destruction of key immune effector cell, CD4 lymphocyte) অকেজো করে ফেলা । আক্রান্তের শরীরের রক্তে HIV-RNA এর মাত্রা যত বাড়তে থাকে এবং একই সাথে CD4 lymphocyte এর সংখ্যা যত কমতে থাকে , এইচআইভি-সংশ্লিষ্ট রোগগুলো (HIV-related diseases) দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার হারও তত বাড়তে থাকে । CD4 lymphocyte এর সংখ্যা 200/mm3 এর নীচে নেমে এলে প্রতিষেধক প্রদান করা সত্ত্বেও সংক্রামক ব্যাধিগুলোকে প্রতিহত করা কঠিন হয়ে পড়ে ।
প্রাথমিক অবস্থায় এইডস্ - এর উপসর্গগুলো মূলত ব্যকটেরিয়া, ভাইরাস,ফাংগাস ও প্যারাসাইট দ্বারা সংক্রমণের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং যা HIV অর্থাৎ এইডস এর ভাইরাস দ্বারা কারো শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার উপর নির্ভর করে । এইচ.আই.ভি মোটামুটিভাবে দেহের সবগুলো অঙ্গ ও তন্ত্রকেই আক্রান্ত করে । প্রায় সব ধরণের সংক্রামক-রোগই সুযোগমত AIDS রোগীর শরীরে বাসা বাঁধে । এইডস্ আক্রান্ত ব্যাক্তিরা প্রায়শই বিভিন্ন রকম ক্যান্সারে ভোগে যেমন ক্যাপোসিস সারকোমা, সারভাইকাল ক্যান্সার এবং রোগ প্রতিরোধ তন্ত্রের ক্যান্সার অর্থাৎ লিমফোমা । এভাবে অবশেষে এইডস্ (Acquired Immune Deficiency Syndrome) রুদ্রমূর্তি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে । এর ফলে আক্রান্ত মানুষের দেহটি নানা রকম রোগ-জীবাণুর চারণ-ভূমিতে পরিণত হয় এবং অসংখ্য রোগ-ব্যাধিতে জর্জরিত হাড্ডিসার কঙ্কালের রূপ ধারণ করে । চরম শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রনা ভোগের পর অবশেষে একদিন সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ।
ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবার পর আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই কিন্তু অনেকদিন (এমনকি বছরের পর বছর) পর্যন্ত কিছুই বুঝতে পারে না। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে ৬ - ৮ সপ্তাহ পর সাধারণ কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে যেমন- জ্বর, দেহের বিভিন্ন গ্রন্থি ও পেশিতে ব্যথা, গলায় ব্যথা, মুখে ক্ষত, মাথা ব্যথা, অস্বাভাবিক আলস্য বা তন্দ্রাভাব, দুর্বলতা, ওজনহানী ইত্যাদি । সাধারণত ৩ - ৪ সপ্তাহের মধ্যে এই উপসর্গগুলো চলে যায় । কারো কারো ক্ষেত্রে এইডস্ -এর প্রকাশ লাভের সময়টা অল্প । আবার কারো ক্ষেত্রে অনেকদিন অর্থাৎ ৮ - ১০ বছরের মত লেগে যায় । যাদের ক্ষেত্রে এ রোগের প্রকাশ লাভের সময়টা বেশী এবং বিশেষ করে HIV দ্বারা infected কোন নারী/পুরুষ যতদিন পর্যন্ত undiagnosed থাকবে ও চিহ্নিত হবেনা , তাদের দ্বারা HIV সংক্রমণের হারও বেশী হবে । আমার মনে হয় আপনার এখন থেকেই চিকিত্সা নেওয়া উচিত , খুব সাবধানে থাকা উচিত । যতটুকু ক্ষতি হয়েছে তা তো হয়েই গিয়েছে । এখন থেকে নিয়ম মেনে চলতে হবে" । আসিফ স্তব্ধ হয়ে বসে আছে । ঠিক পাশেই বসে আছে নওশিন , অবিশ্বাস্য চোখে রিপোর্টগুলো দেখছে সে । ডাক্তার সাহেব চুপ হয়ে গেলেন । মাথা নিচু করে টেবিলের উপর রাখা পেপার ওয়েটটাতে হাত বুলাতে লাগলেন তিনি । সমস্ত রুমটাতে হটাত্ করেই অদ্ভুত নিঃস্তব্ধতা নেমে এলো , শুধু মাথার উপর ঘুড়তে থাকা ফ্যানটা একঘেয়ে শব্দ করে ঘুরতে থাকলো চক্রাকারে ।"
(৪)
আসিফ এখন বাসা থেকে বের হয় না । সারাদিন বাসার মধ্যে নিজের রুমের দরজা আটকে শুয়ে থাকে । হটাত্ করেই তার সাজানো জীবনটা তছনছ হয়ে গিয়েছে । স্বপ্ন ভাঙ্গার কষ্টদায়ক শব্দ শুনে সে একাকী । নওশিন সেদিনের পর আর যোগাযোগ করেনি অথবা করতে চেয়েছিল হয়তো আসিফ সে সুযোগ দেয়নি । নওশিনের পরিবার থেকে সেদিনই বিয়ের ব্যাপারটা ক্যান্সেল করে দেওয়া হয় । আসিফ চুপচাপ দেখে যে তার মা বাবা নওশিনের পরিবারকে বুঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে কিন্তু বুঝাতে পারছে না । তারপর নিজে গিয়ে বাবার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে বলে "আঙ্কেল নওশিনকে খুব ভাল একটা ছেলের সাথে বিয়ে দিবেন । আর আপনারা সবাই ভাল থাকবেন ।" বলেই ফোনটা কেটে দেয় সে । মা বাবাকে প্রথম জানতে না দিতে চাইলেও একটা সময় বলতেই হয় নির্মম বাস্তব কথাটা । একমাত্র সন্তানের পরিণতির কথা জানতে পেরে স্তব্ধ হয়ে যান বাবা , ডুকরে কেঁদে উঠেন মা । এলাকার ভাল ছেলে হিসেবে একটা সুনাম ছিল আসিফের , যারা তার সুনাম করতো , ঠিক তারাই এখন বলে "ছেলেটারে তো ভাল মনে করতাম । এখন দেহি সেও খারাপ মাইয়্যাগো লগে সম্পর্ক রাহে । কি জমানা আইলো !" আসিফ কিছু বলে না । শুধু মিথ্যা অপবাদের বোঝা মাথায় বয়ে নিয়ে চলে । আসিফের বন্ধুরা প্রথম প্রথম খোঁজ নিলেও এখন কেওই তার সাথে যোগাযোগ রাখে না । ইদানিং শরীর আরো খারাপের দিকে গেছে , প্রচন্ড কাশতে থাকে মাঝে মাঝে আর সেই কাশের সাথে বের হয়ে আসে রক্ত । বিকালের দিকে বাসার পিছনে মাঠটাতে গিয়ে বসে থাকে সে । সূর্যাস্ত দেখে , লাল হয়ে আসা সূর্যটা টুপ করে ডুবে যায় বিশাল অট্টালিকার আড়ালে । দৃশ্যটা আসিফের খুব প্রিয় । রাতের আকাশে জোছনার খেলা দেখতে খুব ভাল লাগতো আসিফের , আর এখন সব কিছু নিষ্ঠুর মনে হয় , ভয়ানক নিষ্ঠুর । হটাত্ করেই যেন জীবন থেকে সব কিছু হারিয়ে গিয়েছে । চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছে সে । কিংবা বলা চলে ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে তাকে । প্রতিদিন সহকর্মীদের মিথ্যা আর নোংরা অপবাদ মাথায় বয়ে বেড়ানোটা অনেক কষ্টকর একটা ব্যাপার । তাই একটা জায়গা থেকে মুক্তি নিয়েছে সে । নিয়তির নিষ্ঠুরতা চুপচাপ বসে দেখে সে । আসিফ নিজেকেই প্রশ্ন করে । "আচ্ছা কোন মৃত্যুতে কষ্ট বেশি ? আগুনে পুড়ে ? পানিতে ডুবে ? বুক ফুড়ে বের হয়ে যাওয়া গুলিতে ? নাকি গলার শিরা কেটে নেওয়া ছুরিতে ? নিজের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনা আসিফ । মাঠের উপর বাউন্ডুলে ছেলের দল এখন ফুটবল খেলছে । হটাত্ একটা ছেলে আরেকজনকে ল্যাং মেরে ফেলি দিলো , কিন্তু কিছুতেই দায় স্বিকার করতে রাজী নয় সে । অন্য একজনের উপর দায় চাপিয়ে দিল । অপর ছেলেটি কিছুক্ষন প্রতিবাদ করতে চাইলো কিন্তু সবাই তার ঘাড়েই দোষ চাপিয়ে দিলো । ছেলেটি করুন চোখে তাকিয়ে রইলো , পেনাল্টির নির্দেশ দেওয়া হলো । পেনাল্টি থেকে গোল হলো , সবাই আবারো ছেলেটাকে দোষারোপ করতে থাকলো । আসিফ হটাত্ ধরে ফেললো উত্তরটা । "যে কাজটা সে করেনি , সেই দায় মাথায় নিয়ে , সবার অপবাদ মাথায় নিয়ে মরাটা সবচেয়ে যন্ত্রনাদায়ক"। মুঠোফোনটা ভাইব্রেট করে উঠে । "জাগরন" থেকে পাঠানো হয়েছে একটা মেসেজ । সকাল সাড়ে আটটায় ক্লাসে যেতে বলা হয়েছে । প্রতিদিন এখন সকাল বেলা পথ শিশুদের পড়াতে যায় আসিফ । ভালই লাগে তার । অনেকগুলো নিষ্পাপ মুখের মাঝে নিজের সত্তা খুঁজে ফিরে সে । বাচ্চাগুলোকে পড়াতে গিয়ে মাঝে মাঝে অবাক হয়ে ভাবে যে এই পৃথিবীর সব কিছু আগের মতোই রয়ে যাবে , শুধু তাকে চলে যেতে হবে সব অপবাদ মাথায় নিয়ে । আসিফের কাছে একটা ছোট্ট মেয়ে বই নিয়ে আসে । বইয়ের একটা জায়গায় লেখা পানির অপর নাম জীবন । মেয়েটা সরল গলায় জিজ্ঞেস করে "আচ্ছা ভাইয়া । জীবন মানে কি ?" আসিফ মেয়েটার দিকে তাকায় । প্রশ্নটা সে নিজেকেই করে । তাই তো জীবন মানে কি ? উত্তরটাও ভেবে নেয় সে । জীবন মানে একটা নির্দিষ্ট সময়ের আবর্তন । যেখানে একটা মানুষ একই স্থানে একই সময়ের হিসেবে বার বার আবর্তীত হয় । শুধুমাত্র তার আবর্তনের পথে বাধার পরিমানগুলো বাড়ে অথবা কমে । যারা বাধা অতিক্রম করতে পারে তাদের জীবন ঘড়ি চলতে থাকে আর যারা পারে না তাদের ঘড়ি থেমে যায় । মানুষ খুব আগ্রহ নিয়ে আবর্তনের মাঝে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে । আবার কিছু কিছু মানুষের আবর্তন ঘড়ির কোন মূল্যই থাকে না । যেমনটা আসিফের ক্ষেত্রে হয়েছে । মেয়েটা তখনও আসিফের দিকে নিষ্পাপ চোখে তাকিয়ে আছে । আসিফ মুচকি হেসে মেয়েটার হাতে একটা চকলেট গুজে দিলো । নিষ্পাপ হাসি ফুটে উঠলো কচি মুখটাতে । হটাত্ আসিফের মনে হলো এমনই একটা ফুটফুটে বাচ্চার স্বপ্ন তো সেও দেখেছিলো । তারও ইচ্ছা করে আর দশটা মানুষের মতো বাঁচতে , বৃষ্টিতে ভিজে চুপচুপে হয়ে বাসায় ফিরে বকুনি খেতে , অথবা ভরা জোছনায় চিত্ হয়ে শুয়ে আকাশের তারা গুনতে । টুপ করে এক ফোটা অশ্রু আসিফের পান্জাবির উপর পরে সাথে সাথে মিলিয়ে গেলো । আসিফের মনে হলো সেও ঠিক এই অশ্রুকণায় মতোই , জীবন থেকে ছিটকে গিয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে গোপনে । আজকে আকাশটা বেশ মেঘলা , টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে , একটা টিনের চালার নিচে ছোট্ট ঘড়ে বসে তন্ময় হয়ে বৃষ্টি দেখছে একজন মানুষ যার জীবন ঘড়ির আবর্তন থমকে যাবে দ্রুত , খুব দ্রুত ।
(সমাপ্ত)
কিছু তথ্যঃ মজার রসায়ন ।
(#) জলের মধ্যে শুস্কতাঃ লাইকোপোডিয়াম (Lycopodium) এক প্রকার শেওলার রেণু । এই সূক্ষ্ম রেণু সমস্ত হাতে ভালভাবে লাগিয়ে নিয়ে পানির মধ্যে হাত ডুবালে হাত আর্দ্র হয় না । এই ম্যাজিকটি অন্য ভাবেও করা যায়, জিঙ্ক স্টিযারেট পাউডার লাগিয়ে হাতপানিতে ডুবালেও তা ভিজেনা । এছাড়া ঘিয়ে ভাজা বালিও পানিতে নিমজ্জিত করলে তা শুষ্ক থাকে ।
(#) পানির মধ্যে আগুন জ্বলাঃ
দুই গ্রেন পরিমান ধাতব পটাসিয়াম নিয়ে যদি এক বালতি পানিতে নিক্ষেপ করা যায় তা হলে সঙ্গে সঙ্গে আগুন জ্বলে উঠবে ।
এছাড়া পানিপূর্ন পাত্রের মধ্যে ফসফরাস রেখে যদি তার কাছে একটি সরু নল দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করা যায় তাহলে জলের নীচে বড় সুন্দর অগ্নিগিরি দেখা যায় ।
যা অবশ্যই জানা উচিতঃ
যত দিন যাচ্ছে এইডস্ মহামারির আকার ধারণ করছে । বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইডস্ রোগী শনাক্ত হাবার পর থেকে এ পর্যন্ত এইচআইভি সংক্রমিত ২০৮৮ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে । এর মধ্যে ৮৫০ জন হলো এইডস্ রোগী। গত এক বছরে এইডস রোগে আক্রান্ত ৩৭ জন মৃত্যুবরন করেছে, নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ৩৪৩ জন ও এইডস্ রোগে আক্রান্ত হয়েছে ২৩১ জন । তবে শনাক্তকরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্যায়বহুল ও অপ্রতুল হওয়ায় এই জনবহুল দেশের কত মানুষ যে এ ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে তার প্রকৃত হিসেব বের করা খুবই মুশকিল ।
বর্তমান বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে Acquired Immuno deficiency Syndrome সংক্ষেপে (AIDS) এইডস্ও একটি । এই এইডস্ হলো শরীর বা মনের অস্বাভাবিক অবস্থা নির্দেশক লক্ষণসমষ্টি -যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতির কারণে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় আত্মপ্রকাশ করে ।
কিছু কথা এবং উত্সর্গঃ
এইডস্ রোগটা নিয়ে আমরা সবাই কম বেশি জানি । প্রতিবছর আশংকাজনক হারে রোগটি ছড়াচ্ছে । এ রোগটার সবচেয়ে নেতিবাচক দিক হলো এটার সাথে যৌনতার সরাসরি সম্পর্ক আছে । সুতরাং এইডস্ রোগটার কথা শুনলেই এইচআইভি পজেটিভ বেক্তিটিকে আমরা সেক্সরিলেটেড ভিক্টিম বানিয়ে দিই । আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষের খেয়ালই থাকে না অন্যান্য অনেকভাবেই রোগটা ছড়াতে পারে । যাই হোক গল্পটা লেখার উদ্দেশ্য এটাই ছিল মূলত । যদিও লেখা খুবই বাজে হয়েছে ।
গল্পে "জাগরন" নামক একটা সমাজকল্যানমূলক সংস্থার নাম দেখেছেন । সংস্থাটা আসলেই আছে । সক্রিয়ভাবে সমাজের অসংগতিগুলো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সংস্থাটি । এস এইচ শুভ নামে আমার বন্ধুটি সংস্থাটির কর্ণধার । আমি অবাক হয়ে দেখি নিরবে নিভৃতে সংস্থাটি অনেক কাজ করে যাচ্ছে । আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি প্রতিবার । একদিন আমিও চলে আসবো তাদের দলে ।
সবশের্ষ উত্সর্গের ব্যাপারটাতে আসি । আসলে আমার গল্প কাওকে উত্সর্গ করার মতো না । কি যে লিখি ! নিজেরই তো হাসি আসে পড়লে ! তারপরও গল্পটা "ফারহিন সোহান কবির লিটা" আপাকে উত্সর্গ করতে চাই । যিতি অতি সম্প্রতি আমাকে তার আপন ছোট ভাইয়ের মর্যাদা
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৯
আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন
২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
অনীনদিতা বলেছেন: আপনি খুব ভালো লেখেন সেটা সবসময়ই বলি
এই লেখাটা মন কে ভীষন ভাবে নাড়া দিল।
এক মূহুর্ত লাগেনা মানুষের জীবন পাল্টাতে।
কি থেকে কি হয়ে যায়।
আমাকে এই ব্যাপারটাই বেশি নাড়া দিলো।
ভালো থাকুন।ভালো লিখুন।এই কামনাই রইলো
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩২
আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: আপা আমি আপনার অনেক ছোট হবো বোধহয় । সুতরাং আপনি আমাকে এভাবে "আপনি , আপনি" বললে অস্বস্থি লাগে । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে । আপনাদের অনুপ্রেরণাই আমার পথ চলার পাথেয় । :-)
৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪
আরজু পনি বলেছেন:
আমার স্টুডেন্টদের জন্যে আমি নিজেও এইডস নিয়ে একটা লম্বা চওড়া যৌগিক লেকচার রেডি করেছি তবে এইডস নিয়ে এর আগে এতো সুন্দর করে লেখা পড়িনি কখনো।
অনেক ধন্যবাদ।
শেয়ার্ড।।
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩
আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: আপা আপনি মন্তব্য করেছেন দেখে আমি অভিভূত ! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২
মাক্স বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।+++++++
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৯
আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন
৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০
শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন.. এক কথায় অসাধারন!আমাদের কঠিন বাস্তবতার একটা চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন বলা যায়
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৯
আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন
৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০২
স্বপনবাজ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।+
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩০
আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন
৭| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৮
এরিস বলেছেন: আচ্ছা কোন মৃত্যুতে কষ্ট বেশি ? আগুনে পুড়ে ? পানিতে ডুবে ? বুক ফুড়ে বের হয়ে যাওয়া গুলিতে ? নাকি গলার শিরা কেটে নেওয়া ছুরিতে ?
অসাধারণ।
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩০
আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন
৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০১
রেজোওয়ানা বলেছেন: গল্পটা চমৎকার হয়েছে আহনাফ!
শুভেচ্ছা .....
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩০
আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন
৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
লেখোয়াড় বলেছেন:
সুন্দর।
++++++++++++++
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩০
আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন
১০| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫২
ঋণাত্মক বলেছেন: ++++++
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩১
আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন
১১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫০
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট।
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩১
আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন
১২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৬
ইখতামিন বলেছেন:
খুব ভালো লাগলো.
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩১
আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন
১৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৪
অনীনদিতা বলেছেন: নতুন লেখা কবে পাবো ?
আপনার লেখা খুব মিস করছ।
ভৌতিক গল্পটা শেষ করবেন না?
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৪৩
আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: আপা মনে হয় না আর কখনও লেখবো । আমার কমিশন হয়ে গিয়েছে । বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগ দিচ্ছি । জুলাইতে জয়েনিং । দোয়া করবেন ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দারুন পোস্ট +++++