নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অশ্রুধারা জমিয়া ছিলো, সময় গিয়াছে থামি,পাতাল নরক ফারিয়া সেথায় তমশ্রা এসেছে নামি........

আহনাফ শাহরিয়ার

পরিচয় দেবার মতো বড় কেউ এখনো হওতে পারিনি

আহনাফ শাহরিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

~ ~ আবর্তন ~ ~

১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯

(১)







লাইনটার মাঝামাঝি চুপচাপ দাড়িয়ে আছে আসিফ । একটু ভয় ভয় করছে তার । জীবনে প্রথমবারের মতো নিজ ইচ্ছায় রক্ত দিতে এসেছে সে । ঢাকা ভার্সিটির একটা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্দোগ্যে চলছে এই রক্তদান কর্মসূচি । হাতের মধ্যে সূঁচ ঢোকানোর ব্যাপারটাকে ছোটবেলা থেকেই ভয় পায় আসিফ । কিন্তু বন্ধুমহলের মধ্যে ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে গেলে দুর্ভোগের আর শেষ থাকবে না । যে ছেলে ল্যাবে সালফিউরিক এসিড , সোডিয়াম , ফসফরাস নিয়ে কাজ করে সে কিনা সামন্য একটা সূঁচের গুতোকে ভয় পায় ! এই খবর সমগ্র ভার্সিটিতে রটতে বেশি সময় নিবে না তখন । নাহ্ ! তা হতে দিতে পারে না আসিফ । গতকাল যখন বন্ধুদের সাথে টিএসসিতে বসে ছিল , তখন এই রক্তদান কর্মসূচিটার কথা রাশাই প্রথম তোলে । কারন সে ঐ স্বেচ্ছাসেবক দলটার সদস্য । বলার সাথে সাথে সবাই রাজি হলেও আসিফ চুপচাপ বসে থাকে । বন্ধুরা টিটকিরি দিতে ছাড়ে না তা তাকে । শেষ পর্যন্ত আসিফ সবাইকে বলে যে সে রক্তদান কর্মসূচিতে থাকবে । আসলে তার এই সূঁচ ভিতিটা সৃষ্টি হয়েছে একটা অনাকাঙ্খিত কারনে । ছোটবেলায় সাইকেল চালাতে গিয়ে একবার পা কেটে ফেলেছিলো সে । তখন তাকে ধনুষ্টংকারের টিকা দেওয়া হয় । অসাবধানতাবশত নার্স একটু জোড়েই ইনজেকশন গেঁথে দিয়েছিল আসিফের হাতে । ছোট্ট আসিফের কাছে অতটুকু ব্যাথাই বিশাল ব্যাপার । সেই থেকে তার সূঁচ ভিতি আছে । ছোটবেলার ভয়টা এখনো রয়ে গিয়েছে । আসিফের পালা এলো , তাকে ডাকা হলো । সামনে এগিয়ে গিয়ে আসিফ দেখতে পেলো একটা টেবিলের উপর ইনজেকশনের অসংখ্য সূর্চ , প্লাস্টিক ব্যাগ , নল রাখা । ঠিক পাশেই একটা চৌকিমতো । আসিফ চুপচাপ চৌকির উপর শুয়ে পড়লো । একটা ছেলে দাড়িয়ে আছে খাটিয়ার পাশে । ব্যাস্ত হাতে সবকিছু তৈরি করছে সে । আসিফ দেখলো টেবিলের উপর থেকে একটা খোলা সূচ নিয়ে প্লাস্টিক নলটার সাথে আটকালো ছেলেটা , তারপর আসিফের বাম হাতের শিরায় আস্তে করে ঢুকিয়ে দিলো সূঁচটা । আসিফ তীব্র ব্যাথার আশংকা করেছিলো তবে সামান্য খোঁচা ছাড়া কিছু অনুভব করলো না । রক্ত দেওয়ার পর টিএসসির দিকে হাটতে থাকলো সে । এমনিতে আসিফ বেশ হাসিখুশি , মিশুক আর পড়ুয়া । তাই বন্ধুমহলে তার নামের আগে আঁতেল ট্যাগটা বসিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা বেশ জনপ্রিয় । দূর থেকে আসিফকে আসতে দেখলেই মোটামুটি "আঁতেল আসিফ্ফা আসতেছে" বাক্যটা শ্লোগানের মতো উচ্চারিতো হয় । আজকে এর ব্যাতিক্রম হয় না । তবে আসিফ এসবে খুব বেশি কর্ণপাত করে না । আসিফের বন্ধুরা একেকজন একেক ডিপার্টমেন্টে পড়ে । এতে বেশ সুবিধা , অন্তত আসিফ তাই মনে করে । সবদিক দিয়ে অভিজ্ঞতা বাড়ানোর একটা সুযোগ থাকে । এ ধারনাটা বন্ধুদেরকে বলাতেই তার নামের আগে আঁতেল ট্যাগটা পড়েছিলো । বন্ধুদের জটলার কাছাকাছি আসতেই রাজিব বলে উঠলো "আসছে । আমাগো রসায়ন বিষারদ ।" রাজিবের কথার ভঙ্গিমায় সবাই হেসে উঠলো । আসিফও মুচকি হেসে বসে পড়লো তাদের সাথে । তারপর রাশাকে উদ্দেশ্য করে বলল "শোন , রক্ত দিতে আমার কোন ভয় নাই । এখন তুই আমাদেরকে দেখাবি যে তেলাপোকাকে তুই ভয় পাস না ।" রাশা হাসছিলো , কিন্তু আসিফের কথা শুনে তার মুখ কালো হয়ে গেলো । রাশার অস্বাভাবিক তেলাপোকা ভিতি সম্পর্কে সবার জানা আছে , সুতরাং সবাই আরেক চোট হেসে নিলো । হাসতে হাসতেই আসিফ বলল "দেখ রসায়ন বিষারদ নামটা শুনতে ভালই লাগে । আফটার অল ক্যামিস্ট্রি ইজ আ ম্যাজিক্যাল সাবজেক্ট । ক্যামিস্ট্রি দিয়ে পানি থেকে আগুন জ্বালানো যায় । এছাড়া ক্যামিস্ট্রি দিয়ে তোরা পানির মধ্যে হাত ডুবালেও হাত না ভিজানোর কৌশল জানতে পারিস ।" "হ্যা হ্যা হৈছে । তোর এখন জ্ঞান ঝাড়তে হবে না । ক্ষিদা লাগছে , চল খাবো ।" বলে উঠলো রাসেল । রাসেলের কথায় আসিফের মনে পড়লো যে সে সকাল থেকে না খেয়ে আছে । তাই রাসেলের কথায় সায় নিয়ে মুচকি হেসে ক্যাফেটেরিয়ার দিকে হাটতে থাকলো সে । তাকে অনুসরন করলো বাকিরা ।







(২)





নওশিনের সাথে আজকে দেখা হওয়ার কথা আসিফের । আসিফ নীল পান্জাবি পরে চারুকলা অনুষদের উদ্দেশ্যে হাটছে । তাদের সম্পর্কের শুরুটা ভার্সিটিতেই । আসিফ তখন টিএসসির মাঠে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলো । আর নওশিন চুপচাপ ক্যাফেটেরিয়ার সামনের দিকে সিড়িটায় বসে ছিল । নওশিনও ক্যামিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টেই তবে আসিফের তিন বছরের জুনিয়র । সুতরাং আসিফের সাথে এর আগে অনেকবারই দেখা হয়েছে । ল্যাবে টুকটাক কথাও হয়েছিলো । নওশিনকে ওভাবে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে আসিফ এগিয়ে গিয়েছিলো । সে চেয়েছিলো হাসিচ্ছলে মেয়েটার মন ভাল করে দিতে । কিন্তু ঘটনা হলো উল্টো , নওশিন ভীষনভাবে ক্ষেপে গেলো , ইচ্ছামতো আসিফকে দোষারোপ করলো । তারপর অনেকগুলো বিস্মিত দৃষ্টির সামনে দিয়ে হেটে বের হয়ে গেলো টিএসসি থেকে । পরদিন নওশিনকে দেখা গেলো চন্চল চোখে আসিফকে খুঁজতে । লাইব্রেরি , ক্যাফেটেরিয়া , মধুর ক্যান্টিন , চারুকলা অনুষদ , ছবির হাট কোথাও নেই ছেলেটা । মন খারাপ করে ল্যাবের ফিরে এলো নওশিদ । আসিফ তখন সালফিউরিক এসিড লঘুকরনে ব্যাস্ত । আসিফকে দেখে খুশিতে হটাত্‍ চিত্‍কার করে উঠলো নওশিন । সদ্য প্রস্তুত লঘু সালফিউরিক এসিডের বিকারটা স্বশব্দে মাটিতে পড়লো এবং ছোটখাটো একটা বিস্ফোরনের মতো শব্দ হলো । আসিফ অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল নওশিনের দিকে , মেয়েটাও বিমূঢ় হয়ে গিয়েছিলো । এক দিন , দু দিন করে সময় যায় আর তাদের ঘনিষ্ঠতাও বাড়তে থাকে । ভালবাসার রসায়নের সমীকরনে সমতা বিধানেও খুব একটা সময় লাগেনা তাদের । আজকে সারাটা দিন মুশুলধারে বৃষ্টি হয়েছে । নীল পান্জাবিটার ভাজগুলো ঠিক করার চেষ্টা করলো আসিফ । চারুকলার সামনে এসে দেখলো নওশিন একটা হালকা নীল শাড়ি পড়ে আছে , আর কপালে একটা ছোট্ট টিপ পড়েছে । খুব সাদামাটা সাজ , তবুও আসিফের মনে হলো সে কোন অপ্সরিকে চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে । আসিফকে দেখতে পেয়ে মুচকি হাসলো নওশিন , ওর সিগ্ধ হাসিটা খুব বেশি পছন্দের আসিফের কাছে । বৃষ্টির ফলে রাজপথে ছোট ছোট জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে । এতোক্ষন বৃষ্টি কিছুটা সময়ের জন্য বিরতি নিয়েছিলো । আবার শুরু হলো টিপ টিপ বৃষ্টি । গাছপালা ভিজে চলেছে অবিরাম । প্রকৃতি নতুনভাবে সাজতে ব্যাস্ত , একটা সময় মুশুলধারে বর্ষন শুরু হলো , বৃষ্টি ধারায় মিশে গেলো আসিফ নওশিন ।



জনশূণ্য রাজপথে দুই মানব মানবীর অস্পষ্ট ছায়া পড়েছে । রাস্তার উপর ছোট ছোট জলাধর থেকে পানির ধারা এসে মিশে যাচ্ছে পরস্পরের সাথে । প্রকৃতি কাঁদছে আকুল হয়ে আর সেই অশ্রুধারায় তন্ময় হয়ে সিক্ত হচ্ছে তারা ।







(৩)







আসিফ মাস্টার্স শেষ করেছে । ভাল একটা ঔষধ কম্পানিতে চাকরিঐ পেয়েছে । মাঝখানে পেরিয়ে গিয়েছে চারটি বছর । নওশিনের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছে আসিফের পরিবার । নওশিনের পরিবার অমত করেনি । ভালবেসে ভালবাসার মানুষটাকে আপন করে পাওয়ার ভাগ্য খুব কম মানুষের থাকে । আসিফ সেই দুর্লভ ভাগ্যবানদের একজন । বর্তমানে চাকরির পাশাপাশি "জাগরন" নামক একটা সমাজকল্যানমূলক সংস্থাতেও সময় দিচ্ছে সে । তবে ইদানিং শরীরটা ভাল যাচ্ছে না আসিফের । প্রায় সাত থেকে আট দিনের মতো জ্বরে ভুগছে সে । নওশিন প্রায় জোর করে তাকে হসপিটালে নিয়ে যায় । ব্লাড টেস্ট করিয়ে আনে । আজকে আবার ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগবে একবার । বিকালের দিকে নওশিনকে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে গেলো আসিফ । ডাক্তার ভদ্রলোক বেশ গম্ভীর হয়ে বসে আছেন । অনেক্ষন আসিফের রিপোর্টগুলো দেখলেন তিনি , তারপর জিজ্ঞেস করলেন "আসিফ সাহেব , এখন কেমন আছেন ?"-"মোটামুটি স্যার । জ্বর কমছে না ।"-"আচ্ছা । চার পাঁচ বছর আগেও কি কখনো একটানা জ্বর , গলা ব্যাথা করতো ?"-"জ্বি স্যার হতে পারে । খেয়াল নেই"-"আচ্ছা কখনো এমন কি হয়েছে যে আপনার সবসময় চোখে তন্দ্রা থাকতো অথবা প্রচন্ড অবসাদ লাগতো সবসময় ?"-"জ্বি স্যার এমনটা একবার হয়েছে অনার্স ফাইনালের আগে । বেশ অবাক হয়েছিলাম"-"হমম । বুঝতে পেরেছি"-"স্যার সমস্যাটা কি ? কি হয়েছে আমার ?"-"আসিফ সাহেব ইনি কি আপনার স্ত্রী ?" নওশিনকে দেখিয়ে জিজ্ঞেস করেন ডাক্তার । "জ্বি স্যার আমাদের বিয়ে আগামী মাসে ।"-"ও আচ্ছা । কয় বছর থেকে পরিচয় ?"-"এই তো স্যার গত পাঁচ বছর"-"দেখুন আসিফ সাহেব কিছু ব্যাপার আমার জানা দরকার । বিব্রত হবেন না প্লিজ"-"জ্বি না স্যার করুন ।"-"আপনার আর ওনার মধ্যে কি দৈহিক সম্পর্ক হয়েছে ?" আসিফ একদমই প্রস্তুত ছিল না এ ধরনের প্রশ্নের জন্য , এমনকি নওশিনও ভীষনভাবে বিব্রত হলো , আসিফ তবুও শান্তস্বরে বলল "জ্বি না স্যার ।"-"আচ্ছা আপনি কি কখনো নাইট ক্লাব অথবা লেট নাইট পার্টিতে এটেন্ড করেছেন ?"-"না স্যার"-"আপনার জীবনে কি বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটেছে ? অথবা কাওকে রক্ত দিয়েছেন"-"স্যার দুর্ঘটনা তো ঘটেনি তবে আমি একবার রক্ত দিয়েছিলাম । কেন স্যার ?"-"আসিফ সাহেব আসলে কিভাবে যে বলি কথাটা !"-"স্যার প্লিজ বলুন কি হয়েছে ?"-"ইয়ে মানে । আপনার HIV পজেটিভ । সম্ভবত একই সূঁচ একাধিকবার ব্যাবহারে এমনটা হয়েছে । প্রথমত আক্রান্তের দেহে ভাইরাসটি অর্থাৎ এইচআইভি বংশবিস্তার করতে থাকে । এই ভাইরাসের প্রধান কাজ হচ্ছে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে (virus & immune mediated destruction of key immune effector cell, CD4 lymphocyte) অকেজো করে ফেলা । আক্রান্তের শরীরের রক্তে HIV-RNA এর মাত্রা যত বাড়তে থাকে এবং একই সাথে CD4 lymphocyte এর সংখ্যা যত কমতে থাকে , এইচআইভি-সংশ্লিষ্ট রোগগুলো (HIV-related diseases) দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার হারও তত বাড়তে থাকে । CD4 lymphocyte এর সংখ্যা 200/mm3 এর নীচে নেমে এলে প্রতিষেধক প্রদান করা সত্ত্বেও সংক্রামক ব্যাধিগুলোকে প্রতিহত করা কঠিন হয়ে পড়ে ।





প্রাথমিক অবস্থায় এইডস্ - এর উপসর্গগুলো মূলত ব্যকটেরিয়া, ভাইরাস,ফাংগাস ও প্যারাসাইট দ্বারা সংক্রমণের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং যা HIV অর্থাৎ এইডস এর ভাইরাস দ্বারা কারো শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার উপর নির্ভর করে । এইচ.আই.ভি মোটামুটিভাবে দেহের সবগুলো অঙ্গ ও তন্ত্রকেই আক্রান্ত করে । প্রায় সব ধরণের সংক্রামক-রোগই সুযোগমত AIDS রোগীর শরীরে বাসা বাঁধে । এইডস্ আক্রান্ত ব্যাক্তিরা প্রায়শই বিভিন্ন রকম ক্যান্সারে ভোগে যেমন ক্যাপোসিস সারকোমা, সারভাইকাল ক্যান্সার এবং রোগ প্রতিরোধ তন্ত্রের ক্যান্সার অর্থাৎ লিমফোমা । এভাবে অবশেষে এইডস্ (Acquired Immune Deficiency Syndrome) রুদ্রমূর্তি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে । এর ফলে আক্রান্ত মানুষের দেহটি নানা রকম রোগ-জীবাণুর চারণ-ভূমিতে পরিণত হয় এবং অসংখ্য রোগ-ব্যাধিতে জর্জরিত হাড্ডিসার কঙ্কালের রূপ ধারণ করে । চরম শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রনা ভোগের পর অবশেষে একদিন সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ।





ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবার পর আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই কিন্তু অনেকদিন (এমনকি বছরের পর বছর) পর্যন্ত কিছুই বুঝতে পারে না। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে ৬ - ৮ সপ্তাহ পর সাধারণ কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে যেমন- জ্বর, দেহের বিভিন্ন গ্রন্থি ও পেশিতে ব্যথা, গলায় ব্যথা, মুখে ক্ষত, মাথা ব্যথা, অস্বাভাবিক আলস্য বা তন্দ্রাভাব, দুর্বলতা, ওজনহানী ইত্যাদি । সাধারণত ৩ - ৪ সপ্তাহের মধ্যে এই উপসর্গগুলো চলে যায় । কারো কারো ক্ষেত্রে এইডস্ -এর প্রকাশ লাভের সময়টা অল্প । আবার কারো ক্ষেত্রে অনেকদিন অর্থাৎ ৮ - ১০ বছরের মত লেগে যায় । যাদের ক্ষেত্রে এ রোগের প্রকাশ লাভের সময়টা বেশী এবং বিশেষ করে HIV দ্বারা infected কোন নারী/পুরুষ যতদিন পর্যন্ত undiagnosed থাকবে ও চিহ্নিত হবেনা , তাদের দ্বারা HIV সংক্রমণের হারও বেশী হবে । আমার মনে হয় আপনার এখন থেকেই চিকিত্‍সা নেওয়া উচিত , খুব সাবধানে থাকা উচিত । যতটুকু ক্ষতি হয়েছে তা তো হয়েই গিয়েছে । এখন থেকে নিয়ম মেনে চলতে হবে" । আসিফ স্তব্ধ হয়ে বসে আছে । ঠিক পাশেই বসে আছে নওশিন , অবিশ্বাস্য চোখে রিপোর্টগুলো দেখছে সে । ডাক্তার সাহেব চুপ হয়ে গেলেন । মাথা নিচু করে টেবিলের উপর রাখা পেপার ওয়েটটাতে হাত বুলাতে লাগলেন তিনি । সমস্ত রুমটাতে হটাত্‍ করেই অদ্ভুত নিঃস্তব্ধতা নেমে এলো , শুধু মাথার উপর ঘুড়তে থাকা ফ্যানটা একঘেয়ে শব্দ করে ঘুরতে থাকলো চক্রাকারে ।"





(৪)







আসিফ এখন বাসা থেকে বের হয় না । সারাদিন বাসার মধ্যে নিজের রুমের দরজা আটকে শুয়ে থাকে । হটাত্‍ করেই তার সাজানো জীবনটা তছনছ হয়ে গিয়েছে । স্বপ্ন ভাঙ্গার কষ্টদায়ক শব্দ শুনে সে একাকী । নওশিন সেদিনের পর আর যোগাযোগ করেনি অথবা করতে চেয়েছিল হয়তো আসিফ সে সুযোগ দেয়নি । নওশিনের পরিবার থেকে সেদিনই বিয়ের ব্যাপারটা ক্যান্সেল করে দেওয়া হয় । আসিফ চুপচাপ দেখে যে তার মা বাবা নওশিনের পরিবারকে বুঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে কিন্তু বুঝাতে পারছে না । তারপর নিজে গিয়ে বাবার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে বলে "আঙ্কেল নওশিনকে খুব ভাল একটা ছেলের সাথে বিয়ে দিবেন । আর আপনারা সবাই ভাল থাকবেন ।" বলেই ফোনটা কেটে দেয় সে । মা বাবাকে প্রথম জানতে না দিতে চাইলেও একটা সময় বলতেই হয় নির্মম বাস্তব কথাটা । একমাত্র সন্তানের পরিণতির কথা জানতে পেরে স্তব্ধ হয়ে যান বাবা , ডুকরে কেঁদে উঠেন মা । এলাকার ভাল ছেলে হিসেবে একটা সুনাম ছিল আসিফের , যারা তার সুনাম করতো , ঠিক তারাই এখন বলে "ছেলেটারে তো ভাল মনে করতাম । এখন দেহি সেও খারাপ মাইয়্যাগো লগে সম্পর্ক রাহে । কি জমানা আইলো !" আসিফ কিছু বলে না । শুধু মিথ্যা অপবাদের বোঝা মাথায় বয়ে নিয়ে চলে । আসিফের বন্ধুরা প্রথম প্রথম খোঁজ নিলেও এখন কেওই তার সাথে যোগাযোগ রাখে না । ইদানিং শরীর আরো খারাপের দিকে গেছে , প্রচন্ড কাশতে থাকে মাঝে মাঝে আর সেই কাশের সাথে বের হয়ে আসে রক্ত । বিকালের দিকে বাসার পিছনে মাঠটাতে গিয়ে বসে থাকে সে । সূর্যাস্ত দেখে , লাল হয়ে আসা সূর্যটা টুপ করে ডুবে যায় বিশাল অট্টালিকার আড়ালে । দৃশ্যটা আসিফের খুব প্রিয় । রাতের আকাশে জোছনার খেলা দেখতে খুব ভাল লাগতো আসিফের , আর এখন সব কিছু নিষ্ঠুর মনে হয় , ভয়ানক নিষ্ঠুর । হটাত্‍ করেই যেন জীবন থেকে সব কিছু হারিয়ে গিয়েছে । চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছে সে । কিংবা বলা চলে ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে তাকে । প্রতিদিন সহকর্মীদের মিথ্যা আর নোংরা অপবাদ মাথায় বয়ে বেড়ানোটা অনেক কষ্টকর একটা ব্যাপার । তাই একটা জায়গা থেকে মুক্তি নিয়েছে সে । নিয়তির নিষ্ঠুরতা চুপচাপ বসে দেখে সে । আসিফ নিজেকেই প্রশ্ন করে । "আচ্ছা কোন মৃত্যুতে কষ্ট বেশি ? আগুনে পুড়ে ? পানিতে ডুবে ? বুক ফুড়ে বের হয়ে যাওয়া গুলিতে ? নাকি গলার শিরা কেটে নেওয়া ছুরিতে ? নিজের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনা আসিফ । মাঠের উপর বাউন্ডুলে ছেলের দল এখন ফুটবল খেলছে । হটাত্‍ একটা ছেলে আরেকজনকে ল্যাং মেরে ফেলি দিলো , কিন্তু কিছুতেই দায় স্বিকার করতে রাজী নয় সে । অন্য একজনের উপর দায় চাপিয়ে দিল । অপর ছেলেটি কিছুক্ষন প্রতিবাদ করতে চাইলো কিন্তু সবাই তার ঘাড়েই দোষ চাপিয়ে দিলো । ছেলেটি করুন চোখে তাকিয়ে রইলো , পেনাল্টির নির্দেশ দেওয়া হলো । পেনাল্টি থেকে গোল হলো , সবাই আবারো ছেলেটাকে দোষারোপ করতে থাকলো । আসিফ হটাত্‍ ধরে ফেললো উত্তরটা । "যে কাজটা সে করেনি , সেই দায় মাথায় নিয়ে , সবার অপবাদ মাথায় নিয়ে মরাটা সবচেয়ে যন্ত্রনাদায়ক"। মুঠোফোনটা ভাইব্রেট করে উঠে । "জাগরন" থেকে পাঠানো হয়েছে একটা মেসেজ । সকাল সাড়ে আটটায় ক্লাসে যেতে বলা হয়েছে । প্রতিদিন এখন সকাল বেলা পথ শিশুদের পড়াতে যায় আসিফ । ভালই লাগে তার । অনেকগুলো নিষ্পাপ মুখের মাঝে নিজের সত্তা খুঁজে ফিরে সে । বাচ্চাগুলোকে পড়াতে গিয়ে মাঝে মাঝে অবাক হয়ে ভাবে যে এই পৃথিবীর সব কিছু আগের মতোই রয়ে যাবে , শুধু তাকে চলে যেতে হবে সব অপবাদ মাথায় নিয়ে । আসিফের কাছে একটা ছোট্ট মেয়ে বই নিয়ে আসে । বইয়ের একটা জায়গায় লেখা পানির অপর নাম জীবন । মেয়েটা সরল গলায় জিজ্ঞেস করে "আচ্ছা ভাইয়া । জীবন মানে কি ?" আসিফ মেয়েটার দিকে তাকায় । প্রশ্নটা সে নিজেকেই করে । তাই তো জীবন মানে কি ? উত্তরটাও ভেবে নেয় সে । জীবন মানে একটা নির্দিষ্ট সময়ের আবর্তন । যেখানে একটা মানুষ একই স্থানে একই সময়ের হিসেবে বার বার আবর্তীত হয় । শুধুমাত্র তার আবর্তনের পথে বাধার পরিমানগুলো বাড়ে অথবা কমে । যারা বাধা অতিক্রম করতে পারে তাদের জীবন ঘড়ি চলতে থাকে আর যারা পারে না তাদের ঘড়ি থেমে যায় । মানুষ খুব আগ্রহ নিয়ে আবর্তনের মাঝে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে । আবার কিছু কিছু মানুষের আবর্তন ঘড়ির কোন মূল্যই থাকে না । যেমনটা আসিফের ক্ষেত্রে হয়েছে । মেয়েটা তখনও আসিফের দিকে নিষ্পাপ চোখে তাকিয়ে আছে । আসিফ মুচকি হেসে মেয়েটার হাতে একটা চকলেট গুজে দিলো । নিষ্পাপ হাসি ফুটে উঠলো কচি মুখটাতে । হটাত্‍ আসিফের মনে হলো এমনই একটা ফুটফুটে বাচ্চার স্বপ্ন তো সেও দেখেছিলো । তারও ইচ্ছা করে আর দশটা মানুষের মতো বাঁচতে , বৃষ্টিতে ভিজে চুপচুপে হয়ে বাসায় ফিরে বকুনি খেতে , অথবা ভরা জোছনায় চিত্‍ হয়ে শুয়ে আকাশের তারা গুনতে । টুপ করে এক ফোটা অশ্রু আসিফের পান্জাবির উপর পরে সাথে সাথে মিলিয়ে গেলো । আসিফের মনে হলো সেও ঠিক এই অশ্রুকণায় মতোই , জীবন থেকে ছিটকে গিয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে গোপনে । আজকে আকাশটা বেশ মেঘলা , টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে , একটা টিনের চালার নিচে ছোট্ট ঘড়ে বসে তন্ময় হয়ে বৃষ্টি দেখছে একজন মানুষ যার জীবন ঘড়ির আবর্তন থমকে যাবে দ্রুত , খুব দ্রুত ।











(সমাপ্ত)























কিছু তথ্যঃ মজার রসায়ন ।







(#) জলের মধ্যে শুস্কতাঃ লাইকোপোডিয়াম (Lycopodium) এক প্রকার শেওলার রেণু । এই সূক্ষ্ম রেণু সমস্ত হাতে ভালভাবে লাগিয়ে নিয়ে পানির মধ্যে হাত ডুবালে হাত আর্দ্র হয় না । এই ম্যাজিকটি অন্য ভাবেও করা যায়, জিঙ্ক স্টিযারেট পাউডার লাগিয়ে হাতপানিতে ডুবালেও তা ভিজেনা । এছাড়া ঘিয়ে ভাজা বালিও পানিতে নিমজ্জিত করলে তা শুষ্ক থাকে ।







(#) পানির মধ্যে আগুন জ্বলাঃ



দুই গ্রেন পরিমান ধাতব পটাসিয়াম নিয়ে যদি এক বালতি পানিতে নিক্ষেপ করা যায় তা হলে সঙ্গে সঙ্গে আগুন জ্বলে উঠবে ।

এছাড়া পানিপূর্ন পাত্রের মধ্যে ফসফরাস রেখে যদি তার কাছে একটি সরু নল দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করা যায় তাহলে জলের নীচে বড় সুন্দর অগ্নিগিরি দেখা যায় ।























যা অবশ্যই জানা উচিতঃ











যত দিন যাচ্ছে এইডস্ মহামারির আকার ধারণ করছে । বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইডস্ রোগী শনাক্ত হাবার পর থেকে এ পর্যন্ত এইচআইভি সংক্রমিত ২০৮৮ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে । এর মধ্যে ৮৫০ জন হলো এইডস্ রোগী। গত এক বছরে এইডস রোগে আক্রান্ত ৩৭ জন মৃত্যুবরন করেছে, নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ৩৪৩ জন ও এইডস্ রোগে আক্রান্ত হয়েছে ২৩১ জন । তবে শনাক্তকরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্যায়বহুল ও অপ্রতুল হওয়ায় এই জনবহুল দেশের কত মানুষ যে এ ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে তার প্রকৃত হিসেব বের করা খুবই মুশকিল ।

বর্তমান বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে Acquired Immuno deficiency Syndrome সংক্ষেপে (AIDS) এইডস্ও একটি । এই এইডস্ হলো শরীর বা মনের অস্বাভাবিক অবস্থা নির্দেশক লক্ষণসমষ্টি -যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতির কারণে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় আত্মপ্রকাশ করে ।











কিছু কথা এবং উত্‍সর্গঃ











এইডস্ রোগটা নিয়ে আমরা সবাই কম বেশি জানি । প্রতিবছর আশংকাজনক হারে রোগটি ছড়াচ্ছে । এ রোগটার সবচেয়ে নেতিবাচক দিক হলো এটার সাথে যৌনতার সরাসরি সম্পর্ক আছে । সুতরাং এইডস্ রোগটার কথা শুনলেই এইচআইভি পজেটিভ বেক্তিটিকে আমরা সেক্সরিলেটেড ভিক্টিম বানিয়ে দিই । আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষের খেয়ালই থাকে না অন্যান্য অনেকভাবেই রোগটা ছড়াতে পারে । যাই হোক গল্পটা লেখার উদ্দেশ্য এটাই ছিল মূলত । যদিও লেখা খুবই বাজে হয়েছে ।





গল্পে "জাগরন" নামক একটা সমাজকল্যানমূলক সংস্থার নাম দেখেছেন । সংস্থাটা আসলেই আছে । সক্রিয়ভাবে সমাজের অসংগতিগুলো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সংস্থাটি । এস এইচ শুভ নামে আমার বন্ধুটি সংস্থাটির কর্ণধার । আমি অবাক হয়ে দেখি নিরবে নিভৃতে সংস্থাটি অনেক কাজ করে যাচ্ছে । আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি প্রতিবার । একদিন আমিও চলে আসবো তাদের দলে ।





সবশের্ষ উত্‍সর্গের ব্যাপারটাতে আসি । আসলে আমার গল্প কাওকে উত্‍সর্গ করার মতো না । কি যে লিখি ! নিজেরই তো হাসি আসে পড়লে ! তারপরও গল্পটা "ফারহিন সোহান কবির লিটা" আপাকে উত্‍সর্গ করতে চাই । যিতি অতি সম্প্রতি আমাকে তার আপন ছোট ভাইয়ের মর্যাদা

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

দারুন পোস্ট +++++

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । :D ভাল থাকবেন

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

অনীনদিতা বলেছেন: আপনি খুব ভালো লেখেন সেটা সবসময়ই বলি:)
এই লেখাটা মন কে ভীষন ভাবে নাড়া দিল।
এক মূহুর্ত লাগেনা মানুষের জীবন পাল্টাতে।
কি থেকে কি হয়ে যায়।
আমাকে এই ব্যাপারটাই বেশি নাড়া দিলো।
ভালো থাকুন।ভালো লিখুন।এই কামনাই রইলো:)

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: আপা আমি আপনার অনেক ছোট হবো বোধহয় । সুতরাং আপনি আমাকে এভাবে "আপনি , আপনি" বললে অস্বস্থি লাগে । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে । আপনাদের অনুপ্রেরণাই আমার পথ চলার পাথেয় । :-)

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

আরজু পনি বলেছেন:

আমার স্টুডেন্টদের জন্যে আমি নিজেও এইডস নিয়ে একটা লম্বা চওড়া যৌগিক লেকচার রেডি করেছি তবে এইডস নিয়ে এর আগে এতো সুন্দর করে লেখা পড়িনি কখনো।

অনেক ধন্যবাদ।

শেয়ার্ড।।

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: আপা আপনি মন্তব্য করেছেন দেখে আমি অভিভূত ! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২

মাক্স বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।+++++++

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । :D ভাল থাকবেন

৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন.. এক কথায় অসাধারন!আমাদের কঠিন বাস্তবতার একটা চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন বলা যায় :)

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । :D ভাল থাকবেন

৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০২

স্বপনবাজ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।+

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । :D ভাল থাকবেন

৭| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৮

এরিস বলেছেন: আচ্ছা কোন মৃত্যুতে কষ্ট বেশি ? আগুনে পুড়ে ? পানিতে ডুবে ? বুক ফুড়ে বের হয়ে যাওয়া গুলিতে ? নাকি গলার শিরা কেটে নেওয়া ছুরিতে ?

অসাধারণ।

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । :D ভাল থাকবেন

৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

রেজোওয়ানা বলেছেন: গল্পটা চমৎকার হয়েছে আহনাফ!

শুভেচ্ছা .....

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । :D ভাল থাকবেন

৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

লেখোয়াড় বলেছেন:
সুন্দর।
++++++++++++++

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । :D ভাল থাকবেন

১০| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫২

ঋণাত্মক বলেছেন: ++++++

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । :D ভাল থাকবেন

১১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫০

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট।

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । :D ভাল থাকবেন

১২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

ইখতামিন বলেছেন:
খুব ভালো লাগলো.

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । :D ভাল থাকবেন

১৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৪

অনীনদিতা বলেছেন: নতুন লেখা কবে পাবো ?
আপনার লেখা খুব মিস করছ।
ভৌতিক গল্পটা শেষ করবেন না?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৪৩

আহনাফ শাহরিয়ার বলেছেন: আপা মনে হয় না আর কখনও লেখবো । আমার কমিশন হয়ে গিয়েছে । বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগ দিচ্ছি । জুলাইতে জয়েনিং । দোয়া করবেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.