![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেক্স গাইডটা পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম এটা কোন এমবিবিএস ডাক্তারের লেখা হতে পারে না। বাসের জানালা দিয়ে ফ্রিতে পেয়েছিলাম ওটা । যদিও লেখকের নামের শেষে পদবিতে এমবিবিএস কথাটি লেখা ছিল। ছোটবেলায় মা বলতেন, লেখা পড়া করে বড় চাকরি করবি ! প্রথম শ্রেণী থেকে মাস্টার্স করেও এখন মা বলছেন কিছু করতে হবে। একটা চাকরি-বাকরি খোজো ! তাহলে এত কাল অতিক্রম করে, এত পয়সা, সময় ব্যয় করে কি অর্জন করলাম ? যখন অনার্স এ পড়তাম তখন বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজে থাকায় বই-খাতার সাথে পরীক্ষার আগে ছাড়া দেখা হত না। আর পরীক্ষার সময় বলতাম “দুদিনের সম্পর্কে কি আর সংসার হয়” ।অবশেষে আমার ঘনিষ্ট এক বন্ধুর খাতা দেখে দেখে সব লিখে নিতাম। ওর চেয়ে আমার উপস্থাপন ক্ষমতা বেশ ভালো ছিল। তাই ওর খাতা দেখে লিখলেও আমি ওর চেয়ে নম্বর বেশি পেতাম।ও ঈর্ষা করত কিন্তু আমার কথায় প্যাচে না দেখিয়ে পারত না । একবার একটা প্রশ্নের উত্তর বেঞ্চে লিখে রেখেছিলাম। কমন পড়ায় আমি সেটা দেখে খাতায় তুলি। আমার বন্ধু সেটা পারে না, তাই আমার খাতা দেখে ও লিখছে। ম্যাডাম চলে আসলেন। আমাকে বললেন খাতা ঢেকে লিখ । ওকে বলল পিছনে আর একবার তাকালে ওকে পরীক্ষার হল থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবে।আসলে ও দেখে লেখায় এক্সপার্ট ছিল না তাই ধরা পড়ে যেত। একবার শুরু হল প্রশ্ন ফাঁসের প্রকৃয়া। প্রশ্ন পেলেও উত্তর খুঁজে পাইনি। তবে অনেকে মোটা টাকা দেয়ায় উত্তর সমেত প্রশ্ন পেয়েছিল।সরকার দলের লোকজন বলছিল এটা বিরোধীদলের কাজ আর বিরোধীদলের লোকজন বলছিল এগুলো সরকারের ছায়ায় থেকে করা হচ্ছে।প্রকৃতপক্ষে আসল কারণ হল যখন প্রশাসনের প্রধান অন্য মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয় তখন এরকম অঘটন ঘটাই স্বাভাবিক।তবে মারাত্মক হবে যদি জীবন মরনের ব্যাপার হয়। যেমন, ডাক্তার না পরে পাশ করলে সে পুরুষের সিজার অপারেশন করতে পারে আবার কোম্পানীর ব্যবস্থাপক অতি লাভের আশায় কর ফাঁকি দিয়ে জরিমানায় পরতে পারেন।আবার উকিল সাহেব, অন্য আইনের প্রসংঙ্গ টেনে জিতে যাওয়া নিজ মক্কেলকেই ফাসিঁয়ে দিতে পারেন। প্রথম শ্রেণী থেকে মাস্টার্স পযন্ত পড়লাম। কিন্ত চাকরি করে খাওয়ার মতো কিছু পেলাম না ।ভাবছিলাম আমি ত দেখে দেখে লিখছি তাই বোধহয়, কিন্তু আমার লেখা পড়া করা বন্ধুর অবস্থা আরও খারাপ। ওর কোন কোঠা নাই, মোটা অংকে ঘুষ দিতে পারে এমন অর্থ নাই। তেমন লোকবল নাই।সার্টিফিকেট আছে কিন্তু তার সাথে কোঠা, মোঠা নিয়ে প্রতিযোগীরও অভাব নাই। আসলে আমাদের পুস্তক গুলি সার্টিফিকেট দিতে পারে, কিন্তু চাকরি দিতে পারে না।ঐ যেমন মুখরোচক খাবার স্বাদ হয় না তেমন। ডাক্তারী এমবিবিএস পাশ করে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবসায় করার জন্য বেশ খানিকটা সময় ইন্টার্নি করতে হয়। উকিলদেরও তাই। কিন্তু কি জেনারেল লাইনে পড়লাম কোনও ইন্টার্নি নাই সাথে প্রফেশনও নাই।অথচ সরকার এই জেনারেলে পড়া একজন ছাত্রের পিছনে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা খরচ করে।আর পাশ করে হয় বেকার। আমি প্রত্যক্ষ করে দেখেছি, ডাক্তার বা উকিল যতটা পড়াশোনা করে এই জেনারেল লাইনে তার চেয়ে কম পড়া হয় না। কিন্তু মান যেমন কম তেমন কাজও নাজুক। শেষমেষ যেকোন একটা চাকরি করেই খেতে হয়। অথচ তার শিক্ষা গুলো ফাইল বন্ধি হয়ে আলমারিতে থাকে। যদি নির্দিষ্ট প্রফেশন না থাকে তবে ওভাবে পড়ার দরকার কি ? যেভাবে পড়লে প্রফেশন ক্রিয়েট হয়, কাজে আসে সেটাই পড়া ভাল নয় কি ? ভবিষ্যতে বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকার থাকবে কারণ, শিক্ষিত হওয়ার জন্য সার্টিফিকেট দরকার।কাজ জানা দরকার নাই। এই অহেতুক কোঠা মোঠা বন্ধ না হলে অযোগ্য লোক দিয়ে কাজ চালাতে হবে। আর গুনতে হবে নিরব ক্ষতি।জাতিকে গ্রন্থ মুখস্ত করিয়ে সার্টিফিকেট দিয়ে লাভ কি ? আবার তার চেয়ে কাজ শিখিয়ে কাজ দিন।প্রয়োজনে ব্যাক্তি বিশেষে শিক্ষা ভিন্নতর হবে।মান সৃষ্টি করতে হবে ।উন্নত জাতের শষ্যকে খেয়ে ফেলতে নেই, ওর কিছু দিয়ে বিজ উৎপাদন করতে হয়।রেডি হও বাঙ্গালী, এখন তৈরী হবে নিজের যোগ্যতার জন্য।চাকরি পেতে হবে ত ! ছোট বেলায় পত্রিকা পড়তাম খুব, বিশেষ করে সাহিত্য কলাম ।কিন্তু সাহিত্য কলামে যখন তাসলিমা নাসরিনের মতো কুলটা ইসলামের কটুক্তি করে তখন সাহিত্য কলাম না ছেড়ে পারলাম না। পত্রিকা এখন আমার খুদা পূরণ করে না বরং ব্লাড পেশার বাড়ায়। আসলে ভাববার বিষয় হল, পত্রিকা তার স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রেখেছে নাকি বাসন্তি রঙে রাঙিয়েছে তার ভুবন।
.
তবে এটা ঠিক,
যতি আবার ফিরে পাই
সেই, সোনা ছড়ানো পাতা
আমি কেন ? সবাই কুড়াবে সুখ !
লেখকঃ আবদুল্লাহ আল মামুন
ছবিঃ সংগৃহীত
পরিবেশনাঃ Amamun Archives
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: এ লেখাটা কি প্রথম পাতায় প্রকাশ হয়নি?
পুরো লেখাটা এক প্যারায় হয়ে গেছে।
অন্যের লেখা পড়ুন ও মন্তব্য করুন।