নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I\'m a Muslim Bangladeshi to bring up our country.

এ মামুন মুন্না

আবদুল্লাহ আল মামুন

এ মামুন মুন্না › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুরে আসুন সাদামাটির পাহাড়ে

১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১০


ঘুরে আসুন সাদামাটির পাহাড়ে

এ যেন সাদামাটির পাহাড়ের দেশ, অদ্ভুত সৌন্দর্য। প্রকৃতি যেন অগাধ সৌন্দর্যের পশরা সাজিয়েছে। আরো আছে গারোদের জীবন জাপনের চিত্র। পাহাড়ি সমস্বরী নদীর বহমান দৃশ্য, বালির সর্গ।

ঠিকানাঃ বিরিশিরি, দূর্গাপুর, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।

দর্শনীয় স্থানঃ
১. সাদামাটির বা চীনামাটির পাহাড়।
২. বিরিশিরি লেক বা সমস্বরী নদী।
৩. বিজিবি ক্যাম্প।
৪. সুসং ধর্মপল্লি।
৫. টংক ও কৃষক আন্দলনের স্মৃতিসৌধ।
৬. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি।
৭. গারো পাহাড়।
৮. ফরেস্ট অফিস।

সাদামাটির বা চীনামাটির পাহাড়ঃ সাদামাটির বা চীনামাটির পাহাড়ে দেখতে পাবেন মহান আল্লাহ্ র অপূর্ব সৃষ্টি। সাদা, বেগুনি, লাল, কালো সহ নানান রঙের মিশ্রণে পাহাড়গুলি এক অন্যরকম সৌন্দর্য। বেয়ে উঠতে পারেন পাহাড়ে। ১ম পাহাড়টা কিছুটা উচু, তবে বেশি সৌন্দর্য একটু সামনে এগোলেই। সারিসারি রঙিন পাহাড়। নিল পানি, সবুজ পানি। পানির তল পর্যন্ত দেখা যায়। এ এক অদ্ভুত পরিবেশ। সেখানে ডাবের পানি ও শষা/খিরাই পাবেন। পাহাড়ে উঠতে সতর্কতাঃ প্রথমেই বলে রাখি, সেখানে নিরাপত্তা বিষয়টি উন্নত নয়। অতি সতর্কতার সাথে উঠতে হবে। ভাল মানের জুতা ও হালকা পোষাক পরবেন। যতটা সম্ভব অতটাই উঠবেন, বেশি সাহস দেখাতে যাবেন না। যারা নেহাত একটু ভাড়ি তারা বেশি উপরে উঠবেন না।

বিরিশিরি লেক বা সমস্বরী নদীঃ বিরিশিরিতেই এই পাহাড়ি নদীটি। সব জায়গা ঘুরতে প্রায়ই আসবে এ নদীটি। তারপরও সময় নিয়ে নদীর কাছে যাবেন। সম্পূর্ণ নদীটি মোটা পাথরে বালুতে আচ্ছন্ন। ট্রাক, নৌকা ভরে বালু আহরণ চলছে। বর্ষা কালে নদীতে পাওয়া যায় মাছ, দামি কাঠ, ফল মূল সহ নানান জিনিস। আর শীত কালে বালুর সর্গ, সেইসাথে সচ্ছ পানি।

বিজিবি ক্যাম্পঃ এখানে যেতে পারবেন না। দূর থেকে শুধু দেখতে পারবেন। তবে এখানে বিএসএফ রা খুব ঝামেলা করে। সুতরাং শুধু চলতে চলতে দেখে আসবেন।

সুসং ধর্মপল্লিঃ এখানে এক খিষ্ট্রিয় ধর্ম জাযকের করা অনাথাশ্রম আছে। সেখানে খিষ্ট্রান ও গারোদের কবর ও বিভিন্ন মূর্তি আছে।

টংক ও কৃষক আন্দলনের স্মৃতিসৌধঃ টংক ও কৃষক আন্দলনের পথিকৃৎ হাজংমাতা শহীদ রাশিমণি স্মৃতিসৌধ। এটা একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে স্মরণ করিয়ে দেয়। চীনামাটির পাহাড় যেতে হাতের ডান পাশে পরবে স্মৃতিসৌধটি।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির কালচারাল একাডেমিঃ অটো অথবা বাস, বিরিশিরি'র যেখানে আপনাকে নামিয়ে দিবে ঐখানেই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির কালচারাল একাডেমি। গারো সম্প্রদায়ের বিভিন্ন জিনিসের প্রদর্শনী দেখতে ঘুরে আসতে পারেন সেখানেও। এন্ট্রি টিকিট মাত্র ২ টাকা।

গারো পাহাড়ঃ এখানে ছোটবড় অনেক পাহাড় দেখতে পাবেন। পাশে ভারতের সীমান্ত। গারো পাহাড়ে গারোদের বসবাস। এই পাহাড়গুলিতে অনায়াসে উঠতে পারবেন। পাহাড় কেটে সিঁড়ি করা আছে। গাছগাছালি সমৃদ্ধ পরিবেশে ভালই লাগবে পরিবেশ। একটা টিলাতে উঠলে অপর টিলায় উঠার আগ্রহ হবে। সেটাতে উঠলে অন্য আরএকটাতে। সে এক অন্যরকম সৌন্দর্য।
ফরেস্ট অফিসঃ এখানে গাছগাছালি ঘেরা পাহাড় দেখতে পাবেন। সীমান্ত, সাদা পতাকা এবং গারোদের আবাসস্থল ও জীবন-জীবিকা।

যাতায়াতঃ
ঢাকা থেকে ট্রেন অথবা বাসে চেপে যেতে পারেন।

ট্রেনে যেতে হলেঃ ঢাকা কমলাপুর থেকে সারাদিন ই ট্রেন যায় ময়মনসিংহ পর্যন্ত। তবে ট্রেনে যাওয়ার সবচেয়ে ভাল সময় হল রাতে। রাত ১০.৩০ এ "ভাওয়াল এক্সপ্রেস" ও ১১ টায় "হাওড় এক্সপ্রেস" (বুধবার সাপ্তাহিক বন্ধ) সবচেয়ে ভাল। ভাওয়াল এক্সপ্রেস লোকাল ট্রেন। তাই ভিড় বেশি ও ভাড়া কম। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ ৩০ টাকা ভাড়া। হাওড় এক্সপ্রেস আন্তঃ নগর সার্ভিস, ভাড়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। সিট পেতে ২/১ দিন আগে টিকিট কাটতে হবে। এছাড়া ময়মনসিংহ যাওয়ার যেকোন ট্রেনে চেপেই যাওয়া যায়। ট্রেনে ময়মনসিংহ পৌছাবে ভোর রাতে। রাত ৩ টা থেকে ৪ টায়। এরপর ৬.৩০ এ ঝারিয়া ঝিঞ্জিয়া (স্থানীয় নামঃ জাইরা) এর ট্রেন আছে। ভাড়া মাত্র ২০ টাকা। শেষ স্টেশন হওয়ায় নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে নিতে পারবেন। ২ ঘন্টার মধ্যে পৌছে যাবেন জারিয়া বা ঝারিয়া ঝিঞ্জিয়াতে। ঝারিয়া রেলস্টেশন থেকে অটোতে চেপে যেতে হবে বিরিশিরি।

বাসে যেতে হলেঃ ঢাকা থেকে বাস ছাড়ে বিরিশিরি যাওয়ার। ১ ঘন্টার ব্যবধানে ৬ টা ৮ টা ও ১০ টায় বাস ছাড়ে। সরাসরি বিরিশিরি যাওয়া যাবে। ভাড়া ৩৫০ টাকা। বাস পৌছবে রাত ৩ টা থেকে ৪ টায়। দিবা ও নৌশ বাস সার্ভিস চালু আছে।
সতর্কতাঃ বাসে সকালে গেলে যেতে যেতে বিকাল হবে। তখন সবটা ঘুরতে পারবেন না। আর রাতে গেলে ভোর রাতে নামিয়ে দিবে, তখন নিরাপত্তার অভাব হতে পারে। এজন্য নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাওয়া ভাল। এছাড়া ঢাকা থেকে রাতের ট্রেনে যাওয়াই শ্রেয়। তারপর ঝারিয়ার ট্রেনে।

ঘোরাঘুরিঃ আরামে ঘুরতে চাইলে মোটরবাইক সবচেয়ে ভাল। দলে লোক বেশি হলে ভাড়া করতে পারেন বড় অটো। মোটরবাইকের ভাড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। বড় অটো ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা পরবে। বিরিশিরি'র যেখানে নামিয়ে দিবে সেখান থেকেই সব পেয়ে যাবেন। দুই পর্বে ঘুরবেন।

১ম পর্বে ঘুরবেনঃ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির কালচারাল একাডেমি, চীনামাটির পাহাড়, বিজিবি ক্যাম্প, সুসং ধর্মপল্লি, টংক ও কৃষক আন্দলেনর স্মৃতিসৌধ।

২য় পর্বে ঘুরবেনঃ গারো পাহাড়, ফরেস্ট অফিস, বিরিশিরি লেক বা সমস্বরী নদী। ঘোরাঘুরির ক্ষেত্রে মটরবাইক বা বড় অটো একবার বা দুবার করে ভাড়া করতে পারেন। তবে দামদর খুব সাবধানে। মানুষজন একদম সুবিধের নয়।

খাওয়া-দাওয়াঃ মাঝখানে দুপুরের খাবার খেয়ে নিবেন। সেখানে নদীর মাছ খেতে বেশ ভাল। খাবারের দাম বেশি নয় । ভাত ১০ টাকা, মাছ ৫০ টাকা, মুরগির মাংস ৬০ টাকা, ডিম ২০ টাকা, রুটি ৫ টাকা, ভাজি ১০ টাকা এরকম।


ফিরে আসাঃ দুপুরে বা সকালেই বাসের টিকিট কেটে রাখবেন। এটা সহজ ও ভাল। বাস এসে ঢাকা পৌছবে ভোর রাতে। তাছাড়া, ট্রেনে আসতে চাইলে সন্ধ্যা ৬.৩০ ঝারিয়া এক্সপ্রেস লোকাল ট্রেনে ময়মনসিংহ এবং সেখান থেকে ঢাকা। রাত ৮ টা পর্যন্ত ময়মনসিংহের ট্রেন আছে। ভাড়া আগের মতোই।

তথ্য ও পরিবেশনাঃ A.MAMUN আর্কাইভ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.