![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২য় পর্ব :
মুসলিম করা ? অমুসলিম কারা ?
যারা এক আল্লাহ্ কে সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা হিসেবে মানে এবং শুধুমাত্র আল্লাহ্ র ইবাদত করে । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর নাজিলকৃত পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে জিবন গঠন করে । আর যারা উপরোক্ত বিষয় মানে না, বিশ্বাস করে না, গ্রহন করে না তারা মুসলমান নয়, তারা অমুসলিম ।
মুসলমানদের বিশ্বাসের সত্যতা কতটা তা একটু বিশ্লেষণ করা দরকার, তাই প্রসংগত কারনে এ বিষয়ে বিশ্লেষন করছি । বেশ কয়েকজন উচ্চ পদস্থ সাহিত্যিক মিলে পৃথিবীর সকল মনিষীর জিবন বিশ্লেষন করে মাইকেল এইচ হার্ট এর সেরা ১০০ (মূল নাম ইংরেজি: The 100: A Ranking of the Most Influential Persons in History বইটি রচনা করে যা সারা বিশ্বে সমাদৃত । সেই বইতে সর্বজন স্বীকৃত হয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) শীর্ষস্থান অর্জন করেন । নবীজ্বী জিবনেও কখনো মিথ্যে বলেননি, যার জন্য নবুওয়াত প্রাপ্তির আগেই তাকে আল আমিন (বিশ্বাসি) বলে ডাকা হতো । তিনি কখনো কারো উপর জুলুম, নির্যাতন করেননি । একজন সফল রাষ্ট্র নায়ক, একজন সফল মহামানব ছিলেন তিনি । আর তার উপর নাজিলকৃত কোরআন পৃথিবীর সবচেয়ে নির্ভুল এবং একমাত্র সর্বাধুনিক সংবিধান । মুসলমানদের বিশ্বাসের মূল উপাদান সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ্ পাক, নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এবং পবিত্র কোরআন । এর প্রতিটি বিষয়ই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠত্বের খেতাব ও হাজার প্রমানে প্রমানিত । কিন্তু এত প্রমান ও নজির থাকার পরেও অবিশ্বাসিরা কিন্তু বিশ্বাস করে নাই । বরংচ নির্যাতন অত্যাচার করেছে মুসলিমদের উপর । যুগযুগ ধরে ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় মুসলিমরা অন্যয়ভাবে কাউকে কখনো হামলা বা নির্যাতন করে নাই । কিন্তু মুসলিমদের উপর অহেতুক আক্রমন হয়েছে।
আজকের দিনে অবৈধ রাষ্ট্র ইজরাইল ফিলিস্তিনে অহেতুক হামলা করছে । মানুষের উপর অত্যাচার, নির্যাতন ও জুলুম করছে । নারী ও শিশুদের উপরও চালাচ্ছে বর্বর নির্যাতন । অথচ এই ফিলিস্তিনে ১৯১৭ সালে ইহুদিরা যখন এসেছিল তখন ফিলিস্তিনবাসিরাই তাদের খাদ্য ও জায়গা দিয়ে সাহায্য করেছিল। জাতি সংঘের ইহুদি খ্রিষ্টান নেতারা অযৌক্তিক ভাবে ফিলিস্তিনে ইহুদিদের জন্য রাষ্ট্র তৈরী করায় উঠে পড়ে লাগলো । তারা কিন্তু কোন অমুসলিম রাষ্ট্র বেছে নেয়নি, তারা মুসলিম রাষ্ট্র বেছে নিয়ে সেখানে ইহুদি রাষ্ট্র স্থাপন করে মুসলিমদের নির্যাতন চালাচ্ছে । আর এমন জায়গা তারা কেড়ে নিচ্ছে যেস্থানের সাথে মুসলিমদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, আবেগ জড়িত ।
ভারতের মুসলমানদের উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে । মুসলিমদের মসজিদে আগুন দেয়া হচ্ছে। মসজিদের মিনারে আজানের মাইক ভেঙে সেই মিনারে গেরুয়া পতাকা ঝুলানো হয়েছে ! গেরুয়া পতাকা ঝুলানো হয়েছে মসজিদের গম্বুজে । আগুন দেয়া হয়েছে মসজিদের ভিতরে ও বাহিরে। অথচ করোনার মহামারিতে হাসপাতালে জায়গা সংকুলান না হলে সেই মসজিদেই চিকিৎসা সেবা দেয়ার ব্যাবস্থা করা হয় যা পত্র পত্রিকায় দৃশ্যমান । মুসলিমদের উপরে চালানো হয়েছে অমানবিক নির্যাতন। হত্যা করা হয়েছে মুসলিম নারী, পুরুষ এবং শিশুদের। ভারতের মুশরিক সরকার মোদির নেতৃত্বে ভেঙে ফেলা হয়েছে মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী বাবরি মসজিদ । কট্টর হিন্দুবাদীরা মুসলিমদের উপর সর্বদা অবজ্ঞা আর বৈশম্য করে দিল্লীতে প্রায়শই মুসলিমদের উপর আক্রমন ও নির্যাতন চালাচ্ছে । পৃথিবী কথা বলছে না !
কাশমিরের মুসলিমদের উপরে নির্যাতন চালাচ্ছে ভারতের মুশরিক সরকার । ভারতের কাশমিরকে ষড়যন্ত্র করে দ্বীখন্ডিত করে ব্রিটিশরা । আর এই নিয়ে ভারত পাকিস্তান দন্দ। ভারতে কাশমিরের মুসলিমদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়ে তাদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। তারা ধর্মীয় শিক্ষা সহ নানা সুবিধা বশ্চিত । তাদের অপরাধ তারা মুসলিম !!! গতবছর ২০২০ সালে কাশমিরে বিনা অপরাধে ঘর থেকে তুলে নিয়ে মারধর করা হচ্ছে তরুনদের । বাতিল করা হয়েছে বিশেষ মর্যাদা । মারধরে অজ্ঞান হয়ে গেলে জ্ঞান ফেরাতে বৈদ্যুতিক সট দেয়া হতো, চিৎকার বন্ধ করতে মুখে পুরে দিতো মাটি ! দাড়ি রাখার অপরাধে দাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ভারতীয় সেনারা। জয় শ্রী রাম না বলায় তাদের উপর চালানো হচ্ছে অমানবিক নির্যাতন ।
চিনের উইঘুর মুসলিমদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে চিনের কমিউনিস্ট সরকার । তাদের অপরাধ ? তারা মুসলিম ! তাদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়ে তাদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে । তাদের নামাজ পড়া, কোরআন পড়া, রোজা রাখা এমনকি পর্দার জন্য হিজাব পরাও নিষিদ্ধ করেছে চিনের কমিউনিস্ট সরকার ! মোটকথা কোন প্রকার ইসলামি শিক্ষা ও ইবাদত চিনের মুসলমানরা করতে পারছে না । আর যদি কেউ এই নির্যাতনের প্রতিবাদ করে তখন তাকে উগ্রবাদী ও সন্ত্রাসী তকমা দিয়ে তার উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। মুসলিমদের ব্যবসায় নানা রকম চাপ সৃষ্টি করা হয়, তাদের সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি দেয়া হয় না ! আর যদিও চাকুরি পেয়ে যায় তখন তাদের বেতন ভাতায় বড় রকমের বৈশম্য করা হয় ! চিনের সবচেয়ে বড় প্রদেশ শিংজিয়ানে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়ের জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে উইঘুরদের উপরই নির্যাতন চালাচ্ছে চিনের কমিউনিস্ট সৈন্যরা। এমনকি দাড়ি রাখলেও তাদের বন্দি করে রাখা হয়, তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ২০০৯ সালে ২০০ জন, ২০১৪ সালে ৯৪ জনকে নির্বিচারে হত্যা করে কমিউনিস্ট সৈন্যরা। গোটা এলাকাকে একটা বন্ধি শিবিরে পরিনত করেছে তারা । অথচ পূর্বে ঐ স্থানটি স্বাধীন রাষ্ট্র উইঘুরিস্তান ছিল যা চিনারা দখল করে নেয়।
শ্রীলংকা মুসলমানদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে সেদেশের সরকার ও কট্টর পন্থীরা । একের পর এক মসজিদ মাদ্রাসা বন্ধ করে দিচ্ছে । সন্ত্রাসীরা মসজিদে হামলা করে মুসল্লিদের হত্যা করলো আর নিরাপত্তা না দিয়ে নিরাপত্তার অজুহাতে মসজিদ গুলো বন্ধ করে দিল সে দেশের কাফের সরকার । এছাড়াও রয়েছে মারাত্মক বৈশম্য। শিক্ষা, চাকরিতে এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে শুধুমাত্র মুসলিম বলে। অথচ তারাও সেদেশেরই নাগরিক, তারাও ট্যাক্স দেয়, রাষ্ট্রের জন্য কাজ করে । শ্রীলঙ্কায় ২০১৯ সালে ২১ এপ্রিল চার্চে বোমা হামলা হলো, কোন তথ্য প্রমান ছাড়াই প্রায় ১৭০০ মুসলিমদের গ্রেফতার করা হলো। মহিলাদের হিজাব নিষিদ্ধ করা হলো। মসজিদ মাদ্রাসা গুলো বন্ধ করে দেয়া হলো।
মায়ানমারে পরে পরে মার খাচ্ছে মুসলমানরা । রোহিঙ্গাদের উপর অমানবিক অত্যাচার চালিয়ে তাদের নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে সেদেশের কাফের সরকার । তারা বৌদ্ধ ধর্মের জিব হত্যা মহা পাপ মুখে বললেও মুসলিমদের হত্যার ব্যাপারে তারা এক পিশাচীয় আনন্দে মেতে উঠেছে । বার্মার মুসলিমদের উপর মারাত্মক নির্যাতন নিপিড়ন চালানোর পর তাদের জমি ও সম্পদ লুন্ঠন করছে সেদেশের বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ! মুসলমান নারী ও শিশুদের হত্যা করার কোন বিচার নাই সেদেশে । জিবন বাচাতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা নিজেদের আবাস ভুমি, ধন সম্পত্তি সব ছেড়ে জিবনের ঝুকি নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলার মানুষ আশ্রয় না দিলে তাদের হয় বার্মার সৈন্যদের গুলিতে মরতে হতো না হলে সমুদ্রে ডুবে !
তুরস্কের আয়া সুফিয়া দখল করে আছে খ্রিষ্টানরা । মুসলিমদের হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্যের আয়া সুফিয়া কে কেন্দ্র করে সহিংসতা বাড়ছে। সাম্প্রতি ১০ জুলাই ২০২০ সালের রোজ শুক্রবার তুরস্কের শীর্ষআদালত আয়া সুফিয়া মুসলমানদের নামাজ পড়ার জন্য আবারো খুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু খ্রিষ্টানদের ষড়যন্ত্র ও নানাবিধ বাধা বিপত্তি থেমে নেই এখনো ! তুরস্কের প্রথম রাষ্ট্রপতি মোস্তফা কামাল পাশা আতাতুর্ক ইসলামের সাথে বেয়াদবি করেছিল। মসজিদের আজান দেয়া বন্ধ করেছিল । আর মসজিদ গুলোকে জাদুঘরে পরিনত করেছিল !
আফগানিস্তানে মুসলমানদের আমেরিকান সৈন্যরা নির্যাতন করছে । যেদেশটি মুসলিম আইনের অধিনে পরিচালিত হচ্ছিল সেদেশটিতে মহিলাদের বেপর্দা করা হয়েছে। আকাশ মিডিয়া, অশ্লিলতায় ছেয়ে গেছে গোটা দেশ। আফগানিস্তানের মানুষদের উপর পৈশাচিক অত্যাচার, হতাযজ্ঞ ও নির্যাতনের বিচার হয়নি আর হবেও না ।
মুসলিম রাষ্ট্র গুলোর মধ্যে ইরান মুসলিমদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে । বিশ্বের অন্যান্য অমুসলিম দেশ পারমাণবিক বোমা বানালে তারা হয় শক্তিশালি আর মুসলমানরা বানালে তারা হয় সন্ত্রাসী, তারা হয় উগ্রবাদী !! ইরানের পারমাণবিক বিষয়ে এত অনাগ্রহ, এত ষড়যন্ত্র করছে কেন অমুসলিম রাষ্ট্র গুলো তা সকলের নিকট এখন পরিষ্কার ! তাদের অপরাধ তারা মুসলিম !!
ইরাক কে শেষ করে দিল আমেরিকা । ইরাকে একের পর এক হামলা, নির্যাতন ও অত্যাচারে ইরাক যেন ধ্বংসপ্রাপ্ত স্তুপ ! আমেরিকার সৈন্যরা এক এক করে শেষ করছে মুসলিম রাষ্ট্র গুলো । মানুষদের উপর চালাচ্ছে বিভিষিকাময় নির্যাতন। পত্র পত্রিকায় ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় আমরা সর্বত্রই দেখে যাচ্ছি ।
মুসলমানদের উপরে নির্যাতন করা হচ্ছে ফ্রান্সে । সেদেশে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নবীজ্বী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে ব্যঙ্গ চিত্র বানায়েছে (নাউযুবিল্লাহ্) ! তার কোন বিচার হয়নি ! মুসলিমদের উপর নির্যাতন ও জুলমের নানা দৃষ্টান্ত সকলের অজানা নয়।ফ্রান্সের অধিনে আল জেরিয়া ছয়শত বছর শাসন হল। এই আল জেরিয়ার ১৯৯২ সনের নির্বাচনে ইসলামি সলভেশন ফ্রন্ট যখন বিপুল ভোটে জয় লাভ করলো তখন ফ্রান্স তার সেনাপতি জেনারেল জারুয়ালকে দিয়ে নির্বাচন বাতিল করে ইসলামি সলভেশন ফ্রন্টের ৬০ হাজার মুজাহিদকে হত্যা করেছে ! জাতিসংঘের চার্টার গঠিত হয়েছে যে ৩টি কারনে সেগুলো তারা লংঘন করলো। জেনারেল নরিয়া গা কে আমেরিকা ধরে নিয়ে যাওয়া হলো, জাতিসংঘ নিরব !
নিউজিল্যান্ডের মুসলমানরা কাফের বেঈমানদের অত্যাচার থেকেও বাদ যায়নি। নিউজিল্যান্ডে ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের একটি মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে মারা যান ৫১ জন মুসল্লি। আহত হন অনেকেই। এ হামলার পেছনে জড়িত শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী ব্রেনটন ট্যারন্টকে মৃত্যুদন্ড না দিয়ে আজীবন কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়। তার দুই বছর কাটতে না কাটতে আবারো হামলার হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা ! নির্যাতন থেকে বাদ নেই নিউজিল্যান্ডের মুসলমানরাও। সেদেশের মসজিদ মাদ্রাসা গুলো বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে !
বোসনিয়ান মুসলমানদের সার্বিয়ানরা হত্যা করলো। তাদের অশ্র কেনার উপরে নিষেধাজ্ঞা দিলো।
আজ আমাদের বন্ধু নাই দুনিয়ায়। আমাদের বন্ধু কেবল মাত্র আল্লাহ্ পাক। মুসলমানদদের সাথে আমেরিকা এবং ইউরোপ দুশমনি চালাচ্ছে, মারাত্মক দুশমনি । নিউইয়র্ক ওয়ালর্ড ট্রেড সেন্টারে বোমা হামলা হলো, দায়ী করা হলো মুসলমানদের ! লন্ডন লিবিয়ান দুতাবাসের সামনে বোমা বিস্ফোরন হলো, কোন তথ্য প্রমান ছাড়াই দায়ী করা হলো মুসলমানদের । ওতলাহামায় বোমা হামলা হলো, দায়ী করা হলো মুসলমানদের ! আমেরিকায় হোয়াট হাউজে হামলা হলো, কোন তথ্য প্রমান ছাড়াই দায়ী করা হলো মুসলমানদের !
আমেরিকা টেরোরিস্ট লিস্ট করলো, পৃথিবীতে কত টেরোরিস্ট রাষ্ট্র আছে । সে লিস্টে পাকিস্তান, সুদান, ইরান, ইরাক এসব মুসলমান দেশের নাম আছে ! কিন্তু যেদেশটি সন্ত্রাসের উপর ভিত্তি করে জন্ম হয়েছে সেই ইজরাইলের নাম সেই টেরারিস্ট লিস্টে লেখা হয় নাই !
চেসনিয়া, বোসনিয়া, সিরিয়া, সুদান, সোমালিয়া, ইরান, ইরাক, ফিলিস্তিন, চিন, কাশমির, লিবায়ায় মুসলমানদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে পৃথিবী কথা বলছে না । বিশ্ব নেতারা নিরব। মুসলিম নেতারাও যেন ভোগ বিলাসে মত্ত।
সৌদি বাদশাহর অনাড়ম্বর বিলাসবহুল জিবন যাপন, রাষ্ট্র উন্নয়নে উদাসিনতা, আধুনিকতার নামে পবিত্র নগরিতে অনিসলামিক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করা এখন সকলের জানা । সৌদির বাদশাহের পুত্রের বেপরোয়া চাল চলন ইতিমধ্যে নিন্দার ঝড় তুলেছে । সেদেশের প্রতি সকল মুসলমানদের ভালবাসা, শ্রদ্ধাবোধ, ভক্তি, বিশ্বাস আর হৃদয়ের টান রয়েছে । কারণ, এই দেশের সাথে মুসলিমদের আত্মার সম্পর্ক, ঈমানের সম্পর্ক, কলবের সম্পর্ক । মুসলমানদের কেবলা পবিত্র কাবা ঘর থাকার কারণে, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর পবিত্র রওজা মোবারক থাকার কারনে মুসলিমদের সাথে সেদেশের নিবির সম্পর্ক রয়েছে । কিন্তু সেদেশের বাদশাহ আজকের দিনে ভোগ বিলাসে মত্ত । সেদেশের লোকজন পরিশ্রমি নয়। অনান্য দেশের লোকজন দিয়ে কাজ করায় বেশি। নারী কর্মীদের উপর নির্যাতন, যৌন নিপিড়ন বাড়ছে হরহামেশাই। পুরুষদের উপরও কখনো কখনো অত্যাচার হচ্ছে । নাচ গান সমৃদ্ধ হালাল নাইট ক্লাব চালু করা হয়েছে । নারীদের বেপর্দা করে ড্রাইভার বানানো হয়েছে ! অথচ উচ্চ শিক্ষা, প্রযুক্তি চর্চা, গবেষণামূলক কাজে তারা নেই ! এমনকি সেদেশের নাম করা বিমান, ফ্যাক্টরি গুলো চালাচ্ছে বৈদেশিক লোকেরা ! সামান্য দান খয়রাত ছাড়া তেমন কোন ভূমিকা রাখতে পারছে না বিশ্ব মন্ডলে ! নেতৃত্ব দিতে অপারগ মুসলিম বিশ্বে ! আর তাই বুঝি আমরা ভিডিওতে দেখি এক ফিলিস্তিনী এক আরবের লোকের মুখে থুথু দিচ্ছে !
ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়ায় আমরা দেখছি গুটি কয়েক মুসলিম রাষ্ট্র নেতা বাদে বেশির ভাগই ইহুদী খ্রিষ্টানদের গোলামি করছে, তাদের বন্ধু রুপে গ্রহন করছে, নিজেরা ভোগ বিলাসে মত্ত হয়ে উঠেছে ! অথচ, আল্লাহ্ র রাসূল (সাঃ) রাষ্ট্র নেতাদের খাদেম হয়ে জনগনের সেবা করার শিক্ষা দিয়েছিলেন। জনগনের নিরাপত্তা ও স্বজাতির পাশে থাকার শিক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা আজ নিরব !!!
উপরোক্ত বিষয় গুলো পত্র পত্রিকা, ইলেকট্রিক মিডিয়া, ইন্টারনেট এবং মানবাধিকার সংস্থার তথ্য থেকে আমি তুলে ধরেছি। কোথাও আমার মন গড়া কথা লিখিনি । সুতরাং মুসলিমদের দুঃখ দূর্দশা মুসলিমদেরই দূর করতে হবে ।
---চলবে
লেখক : আবদুল্লাহ্ আল মামুন।
ছবি : ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
১ম পর্বের লিংক : Click This Link
২৩ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:৫৬
এ মামুন মুন্না বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । যারা মুসলমান তারা সবাই মানুষই ! তবে সে মানুষের মনুষত্ব থাকুক বা না থাকুক । কিন্তু প্রকৃত মানুষ হতে হলে তাকে অবশ্যই মুসলমান হতে হবে ।
মুসলিম করা ?
যারা এক আল্লাহ্ কে সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা হিসেবে মানে এবং শুধুমাত্র আল্লাহ্ র ইবাদত করে । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর নাজিলকৃত পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে জিবন গঠন করে । আর যারা উপরোক্ত বিষয় মানে না, বিশ্বাস করে না, গ্রহন করে না তারা মুসলমান নয়, তারা অমুসলিম ।
২| ২৩ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: পোস্ট করেছি: ২৮টি
মন্তব্য করেছি: ৫টি
মন্তব্য পেয়েছি: ৮টি
ব্লগ লিখেছি: ৪ বছর ৭ মাস
অনুসরণ করছি: ০ জন
অনুসরণ করছে: ০ জন
-আপনার প্রোফাইলের এই ডাটা হতাশজনক!!!
২৪ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:২২
এ মামুন মুন্না বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । চাকরি িবাকরি ও কাজকর্ম নিয়ে অনেক ব্যাস্ত থাকি বিধায় লেখালেখির সময় করতে পারছি না । তবে ইনশা আল্লাহ্ চেষ্টা করব ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: পুরাতনকে আকড়ে ধরে আছে বলেই মুসলমানদের আজ এই অবস্থা। দিন দিন আরো করুন পরিস্থিতি হবে হবে মুসলমানদের। কারন তারা শুধু মুসলমান। আজও মানুষ হয়ে উঠতে পারেনি। যেদিন মুসলমানরা মানুষ হবে সেদিন তারা উন্নত হবে।