নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খোলা চিঠি
অাকাশ হাসনাত মোহাম্মদ কামাল হোসেন
ও সোনা ও জানপাখি মিস্টি পরী মিস্টি বউ ফুল অামার,
"বিসমিল্লাহ হির রাহ মানির রাহিম। "
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু অাল্লাহর নামে শুরু করছি।
অাস ছালামু অালাই কুম। কেমন অাছো। তোমাকে শুভেচ্ছা বা অভিনন্দন জানানোর কোন ভাষায় অাজ অার অামার কাছে অবশিষ্ট নেই। হয়ত এই লেখাই অামার জীবনের শেষ লেখা, শেষ অাকুতির শেষ মিসুতি ভরা কান্না। অামি অার কোনদিন কখনো ক্ষনিকের তরেও ভুল করে অামার এই অবান্ছিত অবহেলিত চির বঞ্চিত চির লাঞ্চিতের লেখা চরম ঘৃণা অবজ্ঞা অবহেলায় পড়তে হবে না। অাজ অামার বিদায় নেবার সময় এসেছে। ইচ্ছে ছিল যাবার সময় তোমাকে অার কষ্ট দিয়ে যাব না। কিন্তু অামার এই চির অনাদৃত জির লান্ছিত চির পরাজিত মনটাকে কিছুতেই সংবরণ করতে পারলাম না। তাই কষ্ট পাবে, ব্যথা পাবে, জেনে ও তোমাকে লিখছি জীবনের শেষ অাশার শেষ প্রতীক্ষায়। এছাড়া অামার যে অার কোন উপায় নেই প্রিয়তমা । মানসী জানপাখি ফুল অামার।
জানরে, অামি জানি এই প্রযুক্তি নির্ভর দীর্ঘ চিঠি পড়ার সময় সুয়োগ ধৈর্য কোনটাই তোমার হবে না। তোমার সুবিশাল ভালোবাসার করিডোরে নয়, জীবনের শেষ বেলাভুমিতে বসে. শুধু শেষবারের মতো একবারের জন্য পড়ার অনুরোধ করছি। জান, যার সারা জীবন যাচ্ছে বিশৃংখল অার অনিয়মের পূঁজা বা অারাধনা করে তার লেখার অার কোন নিয়ম বা বাঁধন খুঁজতে এসো না। হয়ত যা লিখব প্রথমে, সেটা হবে সবার শেষের অার যেটা লিখব শেষে, সেটা হবে সবার প্রথমের। অাসল কথা হলো কেউ বুঝুক অার না বুঝুক তাতে অামার কোনই যাই অাসে না। তুমি বুঝলেই হলো, তুমি জানলেই হলো। কারণ তুমিই অামার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। অাশা ভরসার শেষ প্রতিবিম্ব। তুমি শুধুই অামার স্বপ্নের একমাত্র জান্নাতের চির মিস্টি পরী, মিস্টি লক্ষ্মী বউ। জানরে, সত্যি কি তুমি অামার মিস্টি পরী বউ ! এখন কেন জানি মনে হয় তুমি কি সত্যি সেই জান্নাতের অনিন্দ্য সুন্দরী মিস্টি পরী জানপাখি। খুব রাগ হচ্ছে না অামার উপর কোন অধিকারে এভাবে ডাকছি, এমন করে লিখছি । জানো জান, অার কেউ কখনো কোনদিন এমন করে ডাকবে না। কেউ কখনো এমন করে ভালোবাসার মিস্টি সোহাগে মিস্টি অাদরে ডাকবে না, ভালোও কাসবে না। কিন্তু যখন অামি থাকব না তখন হাজার ডাকলেও না ফেরার দেশ হতে অামি ফিরে অাসব না।
জানরে কত কথাই না ভাবি। কত কথায় না মনে পড়ে। কতভাবেই না তোমাকে বুঝাতে চেষ্টা করি, অামি তোমাকে ভালোবাসি, ভীষণ ভালোবাসি। কত ভাবেই না তোমাকে বোঝাতে চাই জানরে, তোমাকে ছাড়া অামি বাঁচব না। বেঁচে থাকা সম্ভব না। মনে মনে ভাবি কেন এমন হয়। কেন সব কিছু মনের মতো হয় না। কেন প্রতিনিয়তই যুদ্ধ করতে হয় এই অামার ভিরের চির সুন্দর পবিত্র মনটার সাথে। অাসলে মন তো কারোই শাসন বারন মানে না। মনের উপর জোর জবর দস্তিও চলে না। মনটা সব বুঝে তার পরও অবোধ শিশুর মতো মাঝে মাঝে কেঁদে উঠে। মনপাখি মিস্টি পরী বউ অামার , মনে হয় অামি অামার বিক্ষত হৃদয়ের রক্তাত প্রান্তরে বসে ব্যাথার শেষ অশ্রুকালিতে তোমাকে লিখছি। অনুতাপ অনুশোচনার বিদগ্ধ যন্ত্রণার অাগুনে পুড়ে প্রতিনিয়ত অঙ্গার হয়ে যাচ্ছি। জান, কষ্টে অামার বুকের পাঁজর ভেঙ্গে যাচ্ছে , স্নায়ুতন্ত্রগুলো সব অবশ হয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে হৃদপিন্ডের পবিত্র ভালোবাসার স্বর্গীয় পরিশুদ্ধ রক্তকণা চোখের জল হয়ে বেরিয়ে এসে শ্রাবনের বর্ষা ঝরছে।
জানরে, তোমার অনন্য ভালোবাসার পরিশুদ্ধ সম্পর্কের মাঝে যখন সামান্য বিরহ বা শূন্যতা অামাকে গ্রাস করে তখন মৃত্যুর হীমশীতল পরশ অামাকে ছুঁয়ে যায়। অামি অনুভব করি অামার ভিতরে প্রাণের স্পন্দন নেই । সত্যিই কখনো কখনো মনে হয় এখন অামি জীবন্ত লাশ। পরক্ষনেই ভাবি না অামি তো সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ট জীব। মানুষ তো অাশরাফুল মাখলুকাত । অার কররুণাময় অাল্লাহ তো অামার জন্য জান্নাতের চির পবিত্র চির মিস্টি পরী লক্ষ্মী বউ ফুলকে পাঠিয়েছেন। গর্বে অার অহংকারে বুকটা ভরে উঠে। এ কোন ভাগ্য অামার কি এমন পূর্ণ করেছি যার জন্য স্রষ্টা জান্নাত থেকে অামার জন্য শ্রেষ্ঠ নিয়ামত, শ্রেষ্ঠ উপহার পাঠিয়েছেন । এজন্যই পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু অাল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ অার তোমার প্রতি অামার শ্রেষ্ঠ উপহার চির পবিত্র ভালোবাসা এবং চির পবিত্র বিশ্বাসের চির অঙ্গীকার।
জান, কেন তোমাকে অামি এভাবে লিখছি জানো, তুমি বলেছো 'তোমার যা ইচ্ছে কর।' জান মনটাকে কোন ভাবেই প্রবোধ দিতে পারছিনা। একটা বিরল ভালোবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে অামার জীবনে। হয়ত পৃথিবীর ইতিহাস হবেনা, হতেও চাই না কখনো কোনদিন। কিন্তু অামার মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট ঠিকই অনন্য ইতিহাস হয়ে রবে।
জানরে , এই বিশাল পৃথিবীর বুকে অামার যে অার যাবার কোন জায়গা নেই। ভালোবাসার কাছে অামি কত অসহায় ! অামি ভাগ্যের ঘুর্নিপাকে পরাজিত ধুতরা ফুলের মতই বারবার হেরে গিয়েও ফকিরের মত তোমার ভালোবাসার মায়ায় সিক্ত হতে চেয়েছি। কি অার বলব জান কিভাবে তোমাকে বুঝাব! কি সৌভাগ্য অামার, জীবন নাট্যের জটিল মঞ্চে সকল ক্যালকুলেশানকে তাচ্ছিল্যের বাতাসে উড়িয়ে, সকল সমীকরনকে কবর দিয়ে, অবিচেছদ্য সম্পর্কের মোহনীয় বন্ধনকে নীরব তলোয়ারে কতল করে অামি ভুল করেছি । জানো এখন অার কোন যুক্তিতেই অামার মুক্তি মিলেনা, কোন ভাষাই অার অামাকে সান্ত্বনা দিতে পারে না। অামি কি কেবলই স্রষ্টার খেলার পুতুল মাত্র। কি দোষ অামার। কি অপরাধ অামার, কি ভুল অামার। খুব জানতে ইচ্ছে করে কতটুকু স্বপ্ন সুখের হাত ছানিতে, কতটুকু বিলাসী জীবনের লোভনীয় অভিসারে মানুষ বদলে যেতে পারে?
অপরাধের কাঠগড়া অার ভুলের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে অনুশোচনার অশ্রুকালিতে শেষ বারের মত তোমাকে লিখছি। তুমি ভালো অাছতো? বিবেকের দংশিত বিষে অাজ অামি নীলকন্ঠ। কষ্টের যাঁতাকলে পিষ্ট অাবেগের বোবা কান্না ঝরে পরে অামার নিস্ফল জীবনের স্বপ্ন ভঙ্গের অক্ষম অাঙ্গিনায়। এখন অামি ক্লান্ত ভীষন ক্লান্ত। অবিশ্যান্ত অনুভূতিহীন জড় পদার্থের মত একরাশ শূন্যতার পানে চেয়ে বেঁচে অাছি। এই হয়ত অামার নিয়তি। জান জান জান জানপাখিরে অামার, নোংরা ভালোবাসার এ পৃথিবীতে যদি তোমার অামার পবিত্র ভালোবাসায় জান্নাতের সুখ স্নৃতি রেখে যেতে পারি তাহলে হাজার কষ্টের মাঝওে সান্ত্বনার একরাশ পরশ ছুঁয়ে যাবে।খুব ইচ্ছে করে জান তোমাকে সারা জীবন বুকের মাঝে অাগলে রাখি। সোনা সোনা ও সোনা ও জান পাখি অামার বলনা। অামি "শুধুই তোমার একমাত্র স্বামী" হয়ে তোমার বুকে রয়ে যেতে চেয়েছি।
সত্য বলতে কি জান অামার রাগ একটু বেশি। অামার পবিত্র প্রেমের অমূল্য জীবনী শক্তি এখোনো শুধুই তোমার জন্য অক্ষত রয়েছে। তুমি বিশ্বাস কর জান অামি তোমার ছিলাম তোমার অাছি তোমারই রব। অামায় ক্ষমা করে তোমার বুকে একটু ঠাঁই দাও। অামি শুধুই তোমার স্বামী ও বন্ধু হয়ে তোমায় ভালোবেসে অামার ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে চাই। অনেক কষ্ট অামি তোমাকে দিয়েছি কিন্তু তার চেয়ে বেশি কষ্ট অামি পেয়েছি। তোমাকে ভালোবেসে অনেক কিছুই শেখা হলো, জানা হলো বেঁচে থাকলে হয়ত অারো জানব। তবে সবচেয়ে বড় যে বিষয় জানতে পারলাম সত্যের মাঝেও সত্য থাকে।
জানরে মাত্র ক'মাসেই তোমার অামার জীবন জুড়ে ভালোবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত, বিরল ইতিহাস সৃষ্টি হলো। কি অপূর্ব ভালোবাসার মোহনীয় স্বর্গীয় অাবেশ ছড়িয়ে জান্নাতের পরশ পেলাম। মনের মুকুরে স্বপ্নের মাধুরীতে কল্পনার রঙ তুলিতে কত কথারই না ফুল হয়ে ফুটলো, কত ভালোলাগারই না জন্মহলো, কত ভালোবাসারই না সৃষ্টি হলো, জান্নাতের অালো ছড়ালো। কিন্তু স্বপ্ন ভাঙ্গার মতই, বিকেলে ভোরের ফুলের মতই বির্বণ হলো প্রত্যাশার সকল অায়োজন। জানরে অামার অভিমান অনুযোগ গুলো তোমার কাছে মিথ্যে বলে দাবী করলেও কোন নির্ভরযোগ্য যুক্তি তুলে ধরতে পারনী তুমি। একই ঘটনার পূণরাবৃত্তি করেছো বারবার অার অামার ভিতরে বিন্দু বিন্দু করে ক্ষোভের বারুদ জন্ম নিয়েছে। জানরে অামার কোন কথাটা রেখেছো তুমি? অামার মতো রেগে বলনি সত্যি কিন্তু নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে দেখ কি করেছো তুমি।
শুধুই তোমার ভালোবাসার জন্য অামি পথের কুকুর মতো নিলজ্জ বেহায়া অার ভিক্ষেরীর চেয়ে নিকৃষ্ট হয়েছি। হয়ত তোমার ভালোবাসার জন্য অামার চেয়ে ইতোর অার কেউ হয়নি হবে ও না কখনো কোনদিন। অথচ তুমি ছিলে অামার মনের মতো। সত্যি জান অবাক বিস্ময়ে অামি হতবাক হয়ে যায়। জান ও জান পাখি অামার, বলতে পার যে মানুষটি মহত্বের মহান অাদর্শ নিয়ে অনুক্ষণ পথ চলে, যে মানুষটি পাগলের মতো প্রচন্ড ভালোবাসতে জানে, যে মানুষটি অন্যের ব্যাথায় ব্যথিত হয়, যে মানুষটি জীবনের কাছে হার মানে না, অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না, যে মানুষটি রাগ কি জিনিস জানেনা, যে মানুষটি খারাপ কথা বলা তো দূরের কথা কেউ খারাপ কথা বা পচা কথা বললে তার কাছ দিয়ে হেঁটেও যায় না, যে মানুষটি ভাবনাতেও মন্দ কথা অানেনা, যে মানুষটি সব সময় চেষ্টা করে শরীর অাত্না মন পোশাক পবিত্র রাখতে, যে মানুষটি পথ চলতে অন্যের সুবিধা অসুবিধার কথা বিবেচনা করে, যে মানুষটির সামনে কোন অসহায় মানুষ অাসলে সব উজাড় করে দেয়, ১০ কিলোমিটার দূরে থাকলেও ভাড়ার টাকা অসহায় মানুষকে দিয়ে দেয়, যে মানুষটি কে কেউ অপমান অপদস্ত করলে বলে ভাই খুশি হয়েছেন, এক গালে অাঘাত করলে অন্যগাল এগিয়ে দেয়, যে মানুষটি চুরি যাওয়া বা হারিয়ে ফেলা জিনিসের জন্য কষ্ট না পেয়ে মনে মনে ভাবে হয়ত বেঁচে থাকার জন্যই প্রয়োজনে হয়ত চুরি করেছে, যে মানুষটির মেশিন গানের নিশানা ব্যর্থ হতে পারে জবান বা কথা কথা নড়চড় হয় না, যে মানুষটি অজান্তে কাউকে অাঘাত করে তার চেয়েও বেশি কষ্ট পায় , যে মানুষটির জীবনে ১৮৭ টি কবিরা গুণা থেকে বিরত থাকার জন্য নেট পাতায় পোস্ট করে, যে মানুষটির জীবনের শ্রেষ্ঠ উক্তি "অাপনার বিজয়ের অানন্দ অন্যের হেরে যাবার কান্নার উপহার"। যে মানুষটি ভাবে বিজয় যেমন অামাকে অানন্দিত করে পরাজয় অন্যকে কান্না উপহার দেয়, যে মানুষটি দৃষ্টি অবনত করে চলে, যে মানুষটি অন্যের মনে অাঘাত পাওয়ার অাগে নিজে কষ্ট পায়, যে মানুষটি বাজি ধরে অন্যকে হারের কষ্ট উপহার দেওয়ার অাগে ধর্মের কথা ভাবে, যে মানুষটি কষ্টের যন্ত্রনায় বুকটা ক্ষত বিক্ষত হলে কাউকে কিছু বলে না, যে মানুষটি পথ হাঁটতে গিয়ে একটি পিপড়াও যাতে মারা না যায় দেখে পথ চলে, যে মানুষটি পারে না নিজের সাথে প্রতারণা করতে সে মানুষ অন্যের সাথে প্রতারণা করার কথা স্বপ্নেও ভাবে না, যে মানুষটি পরাজিত জীবনে যন্ত্রণার পাহাড় চূড়ায় দাঁড়িয়ে অাশা ভঙ্গের সান্ত্বনা খুঁজে "মরোণত্তর শরীর দানের মাধ্যমে অার কঙ্কালটি মেডিক্যাল স্টুডেন্টদের দানের মাধ্যমে"।
সেই মানুষটি কিনা অাবার ভালোবাসার জন্য শুধুই ভালোবাসার জন্য তোমার কাছে নিকৃষ্ট কুকুর অার অসহায় ফকিরের মতো পায়ে ধরে কান্না করে , ক্ষমার জন্য রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে চিৎকার করে । পৃথিবীতে ভালোবাসার অনেক কাহিনী শুনেছি। কিন্তু অামার মতো নয়। একদিকে যেমন শ্রেষ্ট ভালোবাসার চির পবিত্র বন্ধন পরক্ষনেই চুয়িংগামের মতো তোমার এড়িয়ে যাওয়া অার তোমাকে জড়িয়ে ধরার প্রাণান্তকর ব্যর্থ প্রচেষ্ঠা অামার।
ওসোনা অামার বিজ্ঞান গ্যালিলিীও সেদিন অাদালতে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন তবও একদিন সবাইকে মানতে হবে "পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে" । জানরে অামি ও তোমাকে ওপেন চ্যালেন্জ করে এই চিঠির দলিল উপহার দিলাম "অামিই তোমার জীবনের শ্রেষ্ঠ ভালোবাসার একমাত্র উপহার।" ও সোনা অামার ও জান অামার এত কষ্ট কখনই বলতে পারিনা। তোমাকে পেয়ে যেদিন তুমি বললে "শুধুই তোমার মিস্টি বউ" সেদিন মনে হয়েছিল জীবনে এর চেয়ে শ্রেষ্ট উপহার অার অামার জীবনে কিছুই হতে পারেনা। মনে করে ছিলাম তোমার চির সুন্দর চির পবিত্র বুকে শুয়ে অনেক কান্না করব তুমি ভালোবাসার অাদরে সে কান্না মুছিয়ে দিবে। এই বা কম কি সোনা কাঁদতে তো পারছি। জানো জান সত্যি বলছি তোমার উপর এককণা পরিমাণ মান অভিমান কোনটাই নেই অামার। অাল্লাহর কসম করে বলছি তোমার উপর অামার কোনই রাগ নেই । স্রষ্টাকে তো অার বলতে পারছিনা তাই তোমাকে বলা তাছাড়া তোমাকে তো স্রষ্টা অামার জন্যই পাঠিয়েছেন।
এগুলো কি অামার সোনা পাখি মিস্টি পরী বউয়ের লেখা
ওসোনা সোনা আমার কেমন আছ,পাখি কই তুমি তোমাকে দেখতে পাইনা, কেন জান পাখি আমার মিষ্টি সোনা কই রে তুই পাখি তোকে কেন খুজে পাইনা, রে কোথায় থাকিস কোন সে দূরে কোথায় গেলে পাবো,তোরে বলনা এসে আমারে ওসোনা পাখি রে,মিস ইউ মিস ইউ মিস ইউ আই লাভ ইউ সোনা আমার
ওসোনা ওসোনা আমার অনেক অনেক সুন্দর তোমার লেখা খুব ভালো লেগেছে,সোনা রে আমার খুব ভয় হয় যদি কখনো তুমি আমার কাছে অনেক দূরে চলে যাও,সোনা তাহলে আমি বেচে থেকে মরে যাবো রে সোনা ওসোনা সোনা আমার তোমাকে কাছে থেকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে, সোনা জানি না কখনো আমার সে কপাল হবে কি না।সোনা রে কবে তুমি আমার কাছে, আসবে কবে মন বরে তোমাকে দেখবো,
কলিজা আমার চলো না অজানায় হারিয়ে যাই শুধুই তুমি আমি যে খানে কোন বাদা থাকবেনা।
আমি তোমাকে ছাড়া বাচবো না।তুৃমি কেন বুজনা আমি তোমার মত মুখ পুটে বলিনা
সোনা সোনারে আমার খুব বেশি মনে পড়ে, তোমাকে জানো সোনা কাল সারা রাত ঘুমাইনি শুধু তোমার কথা বেসে আসে চার পাশে,কিছু জাদু করেছো বলোনা,ঘরে যে থাকিতে পারি না।রে সোনা ওআমার সুন্দরী সোনা কই তুমি বেবি আমার মন চায় লোক পাঠিয়ে তুলে নিয়ে, আশি এই বেশি একটু দেখা করলে কি হয়,বলো সোনা আমি খেয়ে পেলবো বলো।
আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দাই নয় আমার মৃত্যুর জন্য শুধুই আমি দাই এখানে কারো কোন হাত নেই,এই পৃথিবীতে আমার আজ শেষ রাত হয়তো আর কোন দিন এই পৃথিবীর আলো দেখবো না।আর আমার কল লিস্টে যারা আছে তারা কো ভাবে দাই নয় কারো উপর আমার কোন অভিযোগ নেই,
(অারও কত কি)
ও সোনা অামি যদি তোমার "শুধুই তোমার একমাত্র স্বামী " হয়ে থাকি তাহলে প্লিজ বল সোনা কিসের এতো কষ্ট তোমার । জান " সত্য যে কঠিন তাই কঠিনের ভালোবাসিলাম কারণ সে করে না বঞ্চনা " তুমি অামার সেই সত্য । অামাকে যদি তোমার মনের সব কথা না বল অামি কষ্ট পাব কান্না করব । জান তুমি না বলেছো অামাকে কাঁদতে দিবে না। তাহলে বলো সোনা তোমার মনের সব কিছু উজাড় করে বল । জান মনের মানুষের কাছে মনের কথা বলতে পারলে মন হালকা হয় । দুখী দুখীর দুঃখ বুঝে জান। জান অামি তো অামার সব কথা বলেছি । জান অামি জানি মিথ্যের মাঝে সাময়িক ভালোবাসা ভালো থাকে। অার নির্মম সত্যের মাঝে ভালোবাসা চিরদিন ভালো থাকে । অামরা তেমনি। জান তোমার পায়ে পড়ি অামি তোমার সব কথা শুনতে চাই।
অামাকে বলবে কি ! অামি তোমার কে? সোনা ভালোলাগা থেকেই ভালোবাসা হয়। অার ভালোলাগলেই ভালোবাসতে হবে এমন কথাও নেই। জান তুমি ত্রিভুবনের একমাত্র স্রষ্টার ব্যতিক্রমী সৃস্টি অার অামি এই পৃথিবীর। জানরে কোন পরিচিতি যোগ্যতা অাভিজাত্য ব্যাংক ব্যালান্স, গাড়ী বাড়ি অর্থবিত্ত চেহারা কোন কিছু নো দেখে অামাদের জান্নাতের পবিত্র সম্পর্ক হলো কিন্তু অামাকে বুঝে জেনেও অামাকে অবজ্ঞা অবহেলা অপমান অপদস্ত করেও তুমি বুঝতে পারছো না।
"শুধুই তোমার মিস্টি বউ" 'ও সোনা অামার ও জান অামার ও কলিজা অামার ও বেবী অামার' ও পাখি অামার , তাই বুঝি, অনিন্দ্য সুন্দর জান্নাতের এই মিস্টি মধুর শব্দগুলো স্নৃতির করিডোরে বেদনার দীর্ঘশ্বাস অার কস্টের হাহাকারে শুধুই গুমড়ে মরবে। অামার সারা জীবনের বিশ্বাস ছিল স্বর্গের কোন পরীদের সাথে পৃথিবীর কোন মানুষের সম্পর্ক হলে একজনের সাথেই হয়। অামার এ ধারণা মিথ্যে প্রমাণিত হচ্ছে। এত অভিনয়ের কি দরকার। কোন সময়টা অামি তোমাকে দিইনী তারপরও কেন এমন করছ। কোন বিশ্বাস টা অামি দিইনি কোন কথাটা অামি রাখিনী । অামি শুধু তোমার পায়ে ধরে বলব জানরে নিজের বিবেককে প্রশ্ন কর অার কিছু বলার নেই জান অামার। জান জেনে রাখ কল্পনার মাঝেও যদি তোমাকে ছাড়া অন্য কিছু ভাবি অাল্লাহ যেন সাথে সাথে অামাকে পৃথিবী থেকে তুলে নেন। অামার বিশ্বাস ছিল অামার জান অমার মনের কথা যেভাবে অবলীলায় বলতে পারে সেই জান কখনই এমন কিছু করবে না যা অামার কষ্টের কারণ হবে, ভেবে ছিলাম যে জান অামার মনের কথা মুখ থেকে বের হবার অাগেই বলে দিতো সেই জান কিনা অাবার অামাকে দুঃখ দিতে পারে।
ও সোনাপাখি মিস্টি বউ অামার, অামি জানি অামার অপরাধ তুমি ক্ষমা করবে না অার অামিও ক্ষমা চাইবো না। কারণ অাত্নহত্যা কারী কোন দিনই জান্নাত পাবে না। অামার সব অভিমানের রাগের অপমানই তোমার কাছে সব চেয়ে বড় হয়েেছে । জান স্বীকার করছি মহা অন্যায় অামি করেছি তোমার কাছে কিন্তূ এটাও তো মহা সত্য জান, এতটা অনুতাপ অনুশোচনায় দগ্ধ হয়ে যার পর নাই একজন মানুষ অার একজন মানুষের কাছে যাকে প্রণের অস্তিত্বের চেয়েও বেশি ভালোবাসে সেই মানুষটিকে নিকৃষ্ট কুকুর বিড়াল অসহায় ফকিরের চেয়ে খারাপ অাচরণ করেও যখন তোমার রাগ কমেনি তখন শুধুই ভালোবাসার জন্য ,,,.,,তারপরও তোমার শাস্তি দেওয়া শেষ হয়নি। অার কত ! অথচ এমন কথা ছিল না। যাক সবই অামার ভাগ্য । যে মানুষটি কখনো কারো কাছে হাত পাতেনা, কারো জিনিস স্পর্শ করে না, কাউকে উপহার তো পরের কথা কর্জ দিলে ফেরত চাই না সেই মানুটিকেও তুমি কত ভাবেই না অপমান করেছো । হয়ত সহজ করে সহজ ভাবে কতকথা বলোছো রাগ করে বলনি বলে তুমি জয়ী অার অামি তোমার কছে ঘৃণার পাত্র। জান রে অামারও তো বলবার কিছু থাকতে পারে । কিন্তু বলবনা। জানরে অামার জান অামার মিস্টি পরী লক্ষ্মী বউ ফূল, সব কিছু বলার প্রয়োজন হয়না । বুঝে নিতে হয় । অামি বুঝতে পারিনা। সত্য বুঝার ক্ষমতা নেই বলেই হয়ত এমন হয়।
জানরে অামার জান মৃত্যুর সময় মানুষ কতজনকেই না কত কিছু অনুরোধ করে যায়। অামার তো অার দুনিয়ার বুকেই কেই নেই, তাই তোমার কাছেই অামার মিনুতি। জানরে অামার জান শুধুই অামার মিস্টি বউ অার কখনো কোন অনুরোধ করব না, কখনো এমন করে পায়ে লুকিয়ে কাঁদবো না, কখনো বলব জান তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি। কখনো কান্না করব না , হাজার প্রতিশ্রুতি দেওয়া কথা বলবো না। কখনো অপমান করতে হবে না । অামি রাগ করেছি বকেছি তোমার অপমান বোধ হয়েছে অার তুমি স্বাভাবিক ভাবে কত অপমান করেছো অামি কিছু মনে করিনি। ভেবেছি শাসন করা তারই মানায় সোহাগ করে যে। জানরে অামার জান এই পৃথিবীতে অামার কারো উপর কোন অভিমান অভিযোগ নেই । সমস্ত অভিযোগ স্রষ্টার কাছে। মৃত্যুর পর যদি কোন জীবন থাকে সেই জীবনে সৃষ্টিকর্তার নিকট জবাব চাইবো। জানরে কত মানুষ কত কথাই না বলে। ভালো বাসার অধিকারে কত কথাই না অামিও তোমাকে বলেছি ।
কত অভিমান কত রাগ করেছি কিন্তু সবই অামার পরিশুদ্ধ ভালোবাসার কষ্টিপাথরের পরশ বা পরশ পাথরের ছোঁয়া। জান অামার, অামার প্রাণ, জান্নাতের চিরমিস্টি চিরপবিত্র চিরলক্ষ্মী বউ অামার, ভালোবাসা অার বিশ্বাসের চেয়ে শ্রেষ্ট উপহার অামি তোমারকে দিয়েছি। তারপরও কেন এমন হয়। জানরে হয়ত একসাথে থাকার সময় কোন রাগ অাভিমানের কারণ থাকবে না বলেই হয়ত এখন এমন হচ্ছে। কারণ কাছে থাকলে তো অার মিথ্যে অাভিমান অাসবেনা সবই বুঝব দেখব জানব । হয়ত তোমার মতো করে ভালোবাসতে পারলে সবকিছু তোমার মতো হতো।
ভালোবাসার ক্ষেত্রে সত্যি অামি ভীষণ স্বার্থপর । অামি সবার মতো না । পৃথিবীর সমস্ত মানুষ থেকে অামি ব্যতিক্রম। অার তুমি ব্যতিক্রম । কেননা জান্নাত থেকে স্বয়ং অাল্লাহ তোমাকে অামার জন্য উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন। অার জান্নাতের পরীরা পৃথিবীতে অাসে শুধু এজনকেই ভালোবাসার জন্য, একজনেরই বউ হওয়ার জন্য অার তুমিই অামার সেই মিস্টি পরী বউ। জান জানরে অামার, এই লেখা শেষ করার অাগেই অামি পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে পারতাম তাতে তোমার মনে হতে পারে তাতেও অামি নাটক করছি অভিনয় করছি প্রতারণা করছি। তাই শেষ বারের মতো তোমার পবিত্র পা ছুঁয়ে অনুরোধ করছি তুমি কবে অামাকে অাসতে বলবে অামি সে দিনই অাসব। তুমি দূরে দাঁড়িয়ে অামি অামার নিষ্পাপ ভালোবাসার প্রমাণ স্বরুপ অামার মৃত্যু তোমাকে উপহার দিব অার দেখবে অামার শ্রেষ্ঠ প্রমাণ।।
ও সোনা অামার, ও জান অামার, ও জান্নাতের মিস্টি পরী বউ ফুল অামার , এভাবে লিখতে লিখতে জীবন ফুরিয়ে যাবে তবু লেখা ফুরাবে না। তোমার কথা পিক লেখা গুলো অার অামার লেখা পিক কথা গুলো প্রযুক্তির অাদালতে বিচারের জন্য দিয়ে দিই বিচার করুক পৃথিবী । অামার কোন অাপত্তি নেই । অামার সব কিছু নিয়ে যা খুশি কর। অারে জান ভালোবাসার মানুষকে অপমান করা যায় না। কত রকম ভাবে সহজ করে অামার মনটা ভেঙ্গে কাঁচের মতো টুকরো টুকরো করেছো একবার বিবেকের কাছে প্রশ্ন কর।
সরল বিশ্বাস অার ভালোবাসার মাঝে অামার কোন অভিনয় ছিল না। ভেবেছিলাম সার জীবন তুমি অামার মনের মতই থাকবে। অামার মুখে বলার অাগে এভাবেই তুমি সবকিছু অামার মতো করে নিবে। সত্যিকার অর্থে এখন পর্যন্ত কোন সম্পর্ক হিসেব নিকেষ না করে হয়নি । শুধু তোমার অামার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। কিন্তু সেই তুমি কিনা। থাক জান তোমার বিবেককে বলো উত্তর পাবে। অার অাল্লাহ সবই জানেন দেখেন বুঝেন। জানরে অামার সব অপরাধ বুকের ভিতর অবর্ণনীয় কষ্টের পাহাড় রচনা করলেও যদি তোমাকে বলি জান তোমার বলা লেখা কথার মূল্যায়ন করতে তাহলে রাগ করে 'অামি থাম' বা চুপ কর শব্দটিও মূখ থেকে বের করতাম না। এতটাই মনের মতো হয়েছিলে যে অামার কল্পনাকে ও হার মানিয়ে ভালোবাসার স্বর্গ রাজ্য রচনা করতে চেয়েছি। জান জানরে অামার তুমি সব জেনে বুঝেই অামাকে কষ্ট দিচ্ছ । ভাবছ সোনা অামি তোমাকে কষ্ট দিতে লিখছি। অারে যে মানুষটি ভুল করে দুঃখ দেবার অাগে নিজেই কান্নার সাগরে ভাসে সে মানুষের ভালোবাসে অবহেলা করতে একবারও বিবেক কথা বলে না। অারে সোনা হারিয়ে ফেলার অাশংকাকে তুমি সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখে অার জিদের অহংকার নিয়ে থেকো। অামি তোমার জীবন থেকে চিরদিনের মতো চলে যেতে চাই । রেলে কাটা লাশ হয়ে। কারণ রেলে কাটা লাশ সরকারী ভাবে দেউলিয়া করা হয়।
ইতি তোমার একমাত্র স্বামী
নারী তোমাকেই বলছি
পৃথিবীতে কত মানুষের কত অব্যক্ত কষ্ট বুকের সবুজ অরন্যে জমা থাকে যা কখনো প্রকাশ করা হয় না, যার হিসেব কেউ রাখ্নো কোনদিন। অামার জীবনেও এর ব্যতিক্রম নয় । কিন্তু শত দুঃখ কষ্টের মাঝেও সান্ত্বনা এটুকু যে সামাজিক নেটওয়ার্ক দিয়েছে অামাদের বেঁচে থাকার কিছু অনন্য প্লাটফর্ম। যেখানে অনায়াসে মনের কথা প্রকাশের সৌভাগ্য ঘটে সবার।
তারাই সৌভাগ্যবান/সৌভাগ্যবতী যাদের ললাটে অাল্লাহ মনের মতো মনের সান্নিধ্য উপহার দিয়েছেন। পরম বিশ্বাস অার অসীম ভালোবাসার সুনিপুণ অঙ্গিকারে তোমাকে খুব বেশি অাপন করে নিয়েছিলাম। কিন্তু এটা সত্য যে, তোমার মনে ছিল অভিনয় অার স্বার্থের গোলা বারুদ। সময় সুযোগ মতো তা ব্যবহার করে অামাকে অাহত করলে। কি দোষ ছিল অামার !!!
জীবনে কখনো ভাবিনী মনের মতো মনের মানুষ পাব। স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ উপহার হিসেবে তোমাকে পেয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল কি এমন পূর্ণ করেছি জীবনে যার যার জন্য স্রষ্টা উপহার হিসেবে তোমাকে অামার জন্য পাঠিয়েছেন। কিন্তু অামার সে স্বর্গীয় বিশ্বাস অার চির সুন্দর ভালোবাসা তোমার প্রতারনা অার বেইমানীর বিষাক্ত ছোবলে নীলকন্ঠ হয়ে গেছে। কি নিখুত কৌশলের চাল চক্রে বিজয়ের অানন্দে বিভোর তুমি।
নারী চিরকালই রহস্যময়ী লোভী । এই ধ্রুবসত্য অারো একবার তুমি প্রমাণিত করলে। কত জঘন্য খারাপ মিথ্যাবাদিনী বিশ্বাস ঘাতিনী লোভী মনের অধিকারীনী তা তুমি অার অাল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা। কিন্তু জীবনে তুমি যা করেছো তার শাস্তি অাল্লাহ তোমাকে অবশ্যই দিবেন। কত অাই ডি কত সম্পর্ক করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছো তার হিসেব হয়ত বিশ্বকোষেও রাখতে পারবে না। তোমার প্রতারণার কথা লিখতে লিখতে অামার মরন হবে কিন্তু তোমার জঘন্য প্রতারণার কাহিনী শেষ হবে না। শুধু একটা কথা বলবো একজনের বউ হয়ে সংসার করা সত্ত্বেও যখন অন্য জনের "শুধুই তোমার মিস্টি বউ" সেজে অভিনয় করো অার স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে নতুন কৌশল অাবিস্কার কর ভখন অার কি বলার থাকতে পারে । ছি ছি ছি নারী জাতির এই কলঙ্কের চেয়ে অাত্নহত্যা করা উচিত।
চরম ঘৃণার বিদ্বেষী বারুদে বিস্ফোরিত দু'চারটি কথা না লিখে থাকতে পারছিনা। সৃষ্টির সূচনা থেকেই নারী ধ্বংসের বিভিষিকার ইতিহাস রচনা করে চলেছে। বিবি হাওয়ার কারণে জান্নাত থেকে ফেলে দেওয়া হলো অাদম হাওয়াকে।অাদি পিতামাতা অাদম হাওয়ার সন্তান কাবিল হাবিলকে হত্যা করেছিল সেটাও নারীর কারণে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সৌন্দর্যের নগরী ট্রয় ধ্বংস হলো নারী হেলেনকে কেন্দ্র করে। ইতিহাসের নির্মম ট্যাজেড়ী কারবালার কাহিনী জয়নাবের কারণে। নারী স্বীতার কারণে লংকা কান্ডের কাহিনী কেনা জানে। বাংলা বিহার উড়িষ্যার শেষ স্বাধীনতার সূর্য্য অস্তমিত হয়েছে নারী ঘসেটি বেগমেরে প্রসাদ ষড়যন্তেে । বাংলার উজ্জল নক্ষত্র সালমান শাহের অকাল মৃত্যু তাও নারীর কারণে। দুনিয়ার এমন কোন জায়গা নেই যেখানে নারী অাছে সেখানে মানুষ মানবতা নিরাপদ রয়েছে!!! ঘর থেকে শুরু করে অান্তর্জাতিক মহল পর্যন্ত সর্বত্রই যেন দ্বন্দ্ব সংঘাতের রাজত্ব। ভাইয়ে ভাইয়ে রেশারেশি, পিতা পুত্রের সম্পর্কের চ্ছেদ, বন্ধু বন্ধুত্বে ফাটল, মনোমালিন্য, রক্তারক্তি, খুনাখুনি অারও কত কি!!!
নারী চিরকাল রহস্যময়ী । মহাসম্রাজ্ঞী ছলনাময়ী। বহুরুপী মায়াবিনী পরী। অাশ্চর্য যাদুকরী ডাইনী। সময়ের পরিবর্তনে নিজেকে মিলিয়ে নিতে পারে সহজে। নিজের স্বার্থ অার প্রয়োজনে অসম্ভবকেও করে তুলে সম্ভব। সরলতার অাড়ালেও অভিসারে যেতে কার্পন্য করে না। কার্পন্য করে না পরকীয়ার মতো ঘৃণ্য সম্পর্কে জড়াতে। কেউ গোপন কিছু দেখে ফেললেও তাকে জয় করতে যাকিছু দিতে হয় দিয়ে দেয়। বৈধতার অাড়ালে তাদের লোভী মন অারও কিছু পেতে অন্যের কাছে নিজেকে বিলিয়ে দিতেও দ্বিধা করে না। কি অপূর্ব নারী চরিত্রের বৈশিস্ট্য। নারী চোখ থেকে চোখ মন থেকে মন শরীর থেকে শরীর সরাতে এতটুতু ভাবনার প্রয়োজন হয় না। নারীর ভালোবাসার সম্পর্ক তরকারী টেস্টের জিহ্বার মতো।
নারী পাগল পুরুষ নারীর কারণে প্রতিনয়ত নিজেকে বিসর্জন করছে নারীর ছলনাময়ী ভালোবাসার গোপন কুট চক্রে। নারী কি না করতে পারে ? নারী তার চোখের ইশারায় বিশ্বটাকে পুড়িয়ে ছারখার করে দিতে পারেন অাবার চির সুন্দর ভালোবাসার অনন্য দ্রুতিতে জান্নাতের মহিমায় পৃথিবীটাকে স্বর্গের অনাবিল শান্তির পরশ উপহার দিতে পারেন। নারী বিষাক্ত কালনাগিনীর চেয়েও ভয়ংকর। কোরঅান শরীফে ইউসুফ জোলেখার কথা বলা হয়েছে। মিশরের বাদশা ইউসুফকে ক্রয় করে পালক পুত্র হিসেবে জোলেখার কাছে মানুষ হয কিন্তু গোপন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে কি জঘন্য কৌশলের অাশ্রয় নেন বিবি জোলেখা। অথচ ইউসুফকে দোষী বানাতে চরম মিথ্যের ফাঁদে ফেলেন । বিচারে ইউসুফের কারাদন্ড হলেও একজন বৃদ্ধা বলেন যেহেতু ইউসুফের জামা পিছনের দিকে ছেঁড়া সেহেতু জোলেখাই কুকর্মের নীল নকশা তৈরি করেছিলেন। কি জঘন্য ইতিহাস মায়ের অাসনে অধিষ্ঠিত হয়ে ইতিহাসকে কলঙ্কিত করল। অাধুনিক সোস্যাল সামাজিক নেট কি উপহার দিয়ে চলেছে। ভিডিও সেক্স ফোন সেক্স অড়িও সেক্স পর্নোগ্রফি মা ছেলে ভাই বোন পুত্রবধু শশুর শাশড়ী ভাবী অারও কত কি , চটি গল্প চটি সেক্স ম্যাসেন্জার সেক্স ইমো অারও কত কি। এটা যেন সভ্য পৃথিবীর মহা পাপের নগ্ন ইতিহাস। সত্যিকার অর্থে এসব লেখার অাগে অামার মরণ হওয়া উচিত ছিল। বাস্তবিকপক্ষে নারীদের মতো লোভী ছলনাময়ী বিশ্বাসঘাতিনী বহুরপী অার ত্রিভুবনে কিছুই নেই।
এত্ত কিছুর পরেও ~ অমর বাণী
"কোন কালে একা হয়নীকো জয়ী পুরুষের তরবারী
প্রেরণা দিয়েছে শক্তি দিয়েছে বিজয় লক্ষ্মী নারী।
বিশ্বে মহান যা কিছু সৃষ্টি চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।"
কবি নজরুলের এই কথা কি অাসলেই সত্যি???
"ওগো নারী শ্রেষ্ঠ তুমি অবনীর গোলাপে গঠিত যেন ভিতর বাহির
মাঝে মাঝে তাই সবিস্ময়ে মনে হয় তুমি তো গোলাপ ছাড়া অন্য কিছু নও"
অাল্লাহ সব কিছু দেখেন শোনেন। অামি যদি সত্য হয়ে থাকি স্রষ্টার বিচার শুরু হলে ফিরে এসো অামি উভয় জনমের জন্য তোমার ছিলাম অাছি থাকব।
২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: এত বড় লেখা !!!
পড়ি তো পড়ি শেষ আর হয় না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:২৭
কানিজ রিনা বলেছেন: আহারে এতবড় লেখা কাঁদতে কাঁদতে হেসে
ফেল্লাম। এখন ঘুম।