![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ড. ইউনুস বেশ কিছুদিন যাবত সামাজিক ব্যবসা নামে একটি নতুন ধারনার কথা দেশে বিদেশে বলছেন এবং এই নিয়ে একটি বইও লিখেছেন। ইউনুস সেন্টার ডট অর্গ নামে তার একটি ওয়েবসাইটে এই নিয়ে বিস্তারিত লিখে তিনি সাড়া ফেলে দিয়েছেন। তিনি অতি সম্প্রতি তার কানাডাতে ভ্রমনকালে তাদের সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন যে তারা যেন বাংলাদেশে দেয়া তাদের দানের অর্থ হতে একটি অংশ সামাজিক ব্যবসা তৈরীতে দিয়ে দেন । শুধু তাই নয়, জানা গেছে তিনি জাপানেও একই কথা বলেছেন।
নিজে একজন বিনিয়োগকারী হিসেবে আমি এই বিষয়টি নিয়ে আমার মতামত, সবার চিন্তার জন্য এখানে লিখছি। এটি একটি মডারেটেড সাইট, তাই মতামত মডারেট করা হবে, তবে মতামত কেবল অশ্রীল অথবা ব্যাক্তিগত আক্রমন জনিত কারনে মডারেটেড হয়, যুক্তির বিপরীতে দেয়া যুক্তিপুর্ন মত মডারেট করা হয় না।
ড. ইউনুস বলেছেন সামাজিক ব্যবসা অন্য আর দশটি ব্যবসার মতোই হবে, তবে পার্থ্ক্য হলো
১. এতে বিনিয়োগকারীরা কোন লাভ নিতে পারবেন না। কেবল তাদের প্রাথমিক বিনিয়োগ ফেরত পাবেন।
২. সামাজিক ব্যবসার সাফল্য বিচার করা হবে সামাজিক উন্নয়নের সূচক দিয়ে। যেমন তারা কতজনকে পুষ্টি সরবরাহ করতে পারলো বা কতজনকে দারিদ্রমুক্ত করতে পারলো অথবা কতজনকে বিশুদ্ধ পানি দিতে পারলো ইত্যাদি।
৩. এই ব্যবসাতে যারা বিনিয়োগ করবেন তারা আত্মতৃপ্তি পাবেন, কোন ভালো কাজ করছেন এটা ভেবে।
৪. যারা এই ব্যবসাতে বিনিয়োগ করলেন তারা এটির মালিক থাকবেন কিন্তু লাভ নিতে পারবেন না। তবে ব্যবসার পরিচালনার সিদ্ধান্ত তারাই নেবেন এবং এতে যারা চাকুরী করবেন তারা বাজার দরে বেতন ভাতা ও সুবিধাদি পাবেন।
৫. সামাজিক ব্যবসা চাইলে মালিকেরা কিছুদিন পরে স্বাভাবিক ব্যবসায় রুপান্তরীত করতে পারবেন। অর্থাৎ তারা লাভ নিতে পারবেন, যদি চান। এটা তাদের মর্জীর উপর নির্ভরশীল।
এই সবই আমি তার ওয়েবসাইট থেকে পেলাম।
আমার প্রশ্ন হলো সকল ব্যবসাই কি কোন না কোন উদ্দেশ্য সামনে নিয়ে তৈরী হয় না? কে লাভ নিল কিংবা নিল না সেটা কি ধর্তব্য? কারন যদি সামাজিক সূচক দিয়েই ব্যবসার ভালোমন্দ নির্ধারিত হয় তবে আমেরিকাতে রেল রাস্তা তৈরী হওয়াতে বিরাট সামাজিক উপকার হয়েছিল। গরীবদের যাতায়াত ও মাল পরিবহন সহজ হয়েছিল। তাই সামাজিক লক্ষ্য বিচারে সেই ব্যবসা তো দারুন এক উপকারী ব্যবসা। লাভ মালিকেরা নিয়ে কোটিপতি হবার পরও সমাজে বিরাট পরিবর্তন এসেছিল। ড. ইউনুসের গ্রামীণ ফোনও একই দাবী করে যে তারা বাংলাদেশের বিরাট ক্ষমতায়ন করেছে। যদি তাই হয় তবে এটা তো সামাজিক ব্যবসা না হয়েও বিরাট সামাজিক লক্ষ্য অর্জন করলো। আবার গ্রামীন ব্যাংক ধার দেয়। তাতে দারিদ্র দুর হয়। যদি তাই হয় তবে এটাও তো সামাজিক ব্যবসা। ধার নিয়ে যখন সে আর দরিদ্র থাকে না তখন সে কেনাকাটা করতে পারে। তাহলে আলাদা করে তার জন্য সামাজিক ব্যবসা কেন দরকার? দরকার এইজন্য যে ধার করে তার যে ক্রয়ক্ষমতা অর্জিত হল, সেই অতিরিক্ত টাকাটি আবার পূঁজিপতিদের পকেটে ফেরত নিয়ে যাওয়া। প্রথমে আমরা ধার দিয়ে সুদ নিলাম।তারপর তার কাছে যেটুকু টাকা জমল সেটি তাকে পূষ্টিকর দই কিংবা বিশুদ্ধ পানি বেচে আবার নিজের কাছে নিয়ে এলাম। যার টাকা আবার তার কাছেই ফিরে এল। লাভ সহ।
তিনি বলেছেন যে সামাজিক ব্যবসা লাভ করবে নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য তবে তার আসল লক্ষ্য হবে সামাজিক। সেটা দিয়েই বিচার হবে তার সাফল্য ও ব্যর্থতা।
যখন একটি কোম্পানী মুক্তবাজারে কাজ করে তখন তাকে বাজার এর রীতি অনুযায়ী চলতে হয়। যেখানে লাভ আর ক্ষতি তাকে হিসাব করতেই হবে। তাহলে শুধু তার লক্ষ্য অর্জিত হলো কিনা সেটি কেবল সামাজিক সূচকের বিচারে হিসাব করা কি সম্ভব? যথেষ্ট লাভ না করলে কোম্পানিটি টেকসই কবে না এবং বাজার দরে বেতন ভাতা দিতেও পারবে না। তাই তাকে নিশ্চয়ই লাভ করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ তাকে ফেরত দিতে হবে, লাভ না দিলেও। শুধু তাই নয়, কোম্পানীর ভবিষ্যত উন্নয়নের জন্য তাকে সঞ্চয়ও করতে হবে। ফলে লাভ ক্ষতি প্রতিযোগিতা সবই হবে বাজারের আর যেকোন কোম্পানীর মতই। তাকে বিজ্ঞাপন করতে হবে। এমনকি দুষ্ট প্রতিপক্ষ যদি দাম কমিয়ে বা ভর্তুকী দিয়ে তাকে বাজার থেকে হটাতে চায় তখন তাকেও নানা রকম বাজারী কৌশল নিতে হবে। তার মানে লাভ এর চিন্তা তাকে করতে হবে আর সবার মতোই। এবার উদাহরন হিসাবে গ্রামীন ডানোন শক্তি দই এর কথা ভাবি। ধরা যাক আমিও ঠিক একই রকম দই এর কারখানা দিয়ে একই দামে দই বেচলাম এবং একই পরিমান মানুষের বা বেশী পরিমান মানুষের জন্য পুষ্টি চাহিদা মেটালাম। তার মানে আমি একই পরিমান বা বেশী সামাজিক লক্ষ্য অর্জন করলাম। এবার যদি আমি লাভ ঘরে নেই তাহলে কি ক্ষতি? লাভ কে নিল বা নিল না তার চেয়ে বড় কথা হলো সামাজিক লক্ষ্য অর্জন। তাহলে সামাজিক ব্যবসার চেয়ে বেশী সামাজিক লক্ষ্য অর্জন করার পর যদি কেউ লাভ ঘরে নেয় তাতে কি বা আসে যায়? এবার মনে করেন আমি যদি ডানোনের চেয়ে কম দামে দই বেচি এবং সমান সংখ্যক বা বেশী সংখ্যক লোককে দই খাইয়ে টাকা ঘরে নেই? তখন কিন্তু আমি সামাজিক ব্যবসার চাইতে বেশী সামাজিক লক্ষ্য অর্জন করলাম। অর্থাৎ সামাজিক লক্ষ্য অর্জনই যদি আসল কথা হয় তবে লাভ কে নিল, সেটা কি আর কোন প্রভাবক থাকে?
ড. ইউনুস বলেছেন যে তিনি লাভের বিপক্ষে না। লাভ হবে তবে মালিকেরা লাভ নেবেন না কেবল বিনিয়োগ ফেরত নেবেন। এতে করে ব্যবসাতে নতুন মাত্রা সংযুক্ত হবে। এই ব্যবসা বাজারে মনোপলি করবে না বরং প্রতিযোগিতা বাড়াবে। তাতে করে ব্যবসায়ীরা নতুন উৎসাহ পাবেন।
পুরো বিষয়টিতে একটি ফ্যালাসি আছে। লাভ নেন বা না নেন, লাভ তো করতেই হবে। আর যে কোন কোম্পানী চায় প্রবৃদ্ধি। বাজার বাড়াতে চায়। সেটাই তো প্রতিযোগিতা। তাই সব ব্যবসারই ভেতরে ভেতরে একধরনের মনোপলি তৈরীর বাসনা থাকে কিন্তু প্রতিযোগী থাকলে সেটা পুরোপুরি হয় না। যেমন ক্লোজ আপ বাংলাদেশের জেল টুথপেষ্ট এর বাজার ৮০% দখল করে আছে। এখন যদি একটি বাজারে স্থির জনসংখ্যা ও ক্রয়ক্ষমতায় ক্লোজআপের বিক্রি বাড়ে তবে অন্য পেস্টের বিক্রি কমতে বাধ্য। বাস্তবে এটা হয় না কারন মানুষ বাড়ে, তাদের আয় বাড়ে ফলে বাজার বাড়লেও অন্য জন টিকেও থাকতে পারে। তাই কোম্পানীগুলো বিক্রি বাড়ায় এবং প্রবৃদ্ধি করে এবং নতুন নতুন বাজারের সন্ধানও করে। তারা নতুন পণ্য বাজারে আনে, গবেষণা করে ।
এবার যদি পেস্টের বাজারে একটি সোশাল বিজনেস আসে এবং দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষার উদ্দেশ্য নিয়ে বাজারে আসে তবে কি হবে? তাকে যেহেতু একই বাজারে থাকতে হবে তাই ক্লোজ আপের সাথেই তাকে প্রতিদ্বন্দিতা করতে হবে। আমরা যদি ভাবি ব্যবসায়ীরা তাকে ছাড় দেবে সেটা ভুল হবে।
তাহলে কি হবে? ব্যবসায়ীরা যেহেতু এই সোশাল বিজনেসে বিনিয়োগ করবেন তাই এটা ভাবা ঠিক হবে না যে তারা নিজের আসল ব্যবসা যেটি সেখানে সামাজিক ব্যবসা করবেন। যেমন স্কয়্যার নিশ্চয়ই আরেকটি সামাজিক হাসপাতাল খুলবে না। তাহলে তো তার আসল ব্যবসা ক্ষতির মুখোমুখি হবে। ধরা যাক তারা একটি জুতার ফ্যাকটরি দিল যেখানে সস্তায় স্যান্ডেল, জুতা বানানো হবে। আর বাটা কোম্পানী একটি হাসপাতাল দিল যেখানে সস্তায় চিকিৎসা হবে। এবার বাটার হাসপাতালের কারনে স্কয়্যার এর হাসপাতাল লস করতে থাকল আর স্কয়্যারের জুতার কারনে বাটার লস হতে থাকল। এভাবে তাদের আসল ব্যবসার লাভ নেই হয়ে গেল আবার তারা কিন্তু তাদের সামাজিক ব্যবসা থেকেও লাভ পান না। বিনিয়োগকারী কি তখন লাভ না নিয়ে বসে থাকবে? স্যামসন সাহেব কিংবা বাটা কি তখন একে অন্যের সামাজিক ব্যবসার হাতে নিজেদের আসল ব্যবসার ধ্বংস বসে বসে দেখবেন?
ব্যবসা দুটি পরিচালনা করছেন যারা তারা কিন্তু ঠিকই বাজার দরে বেতন নিচ্ছেন। ফলে যা যাবে, যাবে বিনিয়োগকারীর, সি ই ও সাহেব যেমন ছিলেন তেমন থাকবেন। মনে করেন ব্যবসা দুটির সামাজিক অংশীদার বা পরিচালনা করছে গ্রামীন ব্যাংক। তাহলে কার লাভ?
বিনিয়োগকারীরা লাভ নেবে না কিন্তু তারা মালিক থাকবে। এখানেই শুভংকরের ফাঁকি। আগে যখন তারা দান করতেন, সি এস আর করতেন তখন সেই টাকাটি তাদের হিসাবে খরচ হিসেবে লিখে রাখা হতো। ফলে ব্যালান্স শিটে সেটি বিয়োগ হয়ে যেত। কোম্পানীর অ্যাসেট কমতো। এখন তারা সোশাল বিজনেসে বিনিয়োগ করবেন এবং সেই ব্যবসার মালিকও থাকবেন। ফলে তাদের টাকা আর বিয়োগ হবে না কারন তারা এই টাকা আবার ফেরত পাবেন।শুধু তাই নয় যে কোম্পানীটি তারা বানালেন সেটির যতো সম্পদ সেটি বাড়ীতে না নিলেও সেটিকে তাদের সম্পদ হিসেবে দেখাতে পারবেন। ফলে দান না করেও দানের মতো বাহবা নিয়ে, পুরষ্কার নিয়ে, বুক ফুলিয়ে চলবে সেই সব বিনিয়োগকারী যারা সোশাল বিজনেস করছেন আবার তাদের সম্পদ কমবে না একটুও বরং বাড়তেই থাকবে। একজন চটপটিওয়ালার লাভ প্রতিদিন ঘরে না নিলে তার সংসার চলে না। কিন্তু যার ১০০০ কোটি টাকা আছে তিনি ১০০ কোটি টাকা দিয়ে যদি সামাজিক ব্যবসা করেন এবং সেই ১০০ কোটি টাকা ফেরত পেয়ে যান, আবার সোশাল কোম্পানীটিরও মালিক থাকেন এবং সেটির সম্পদ যদি ২০০ কোটি টাকা হয় তবে তার মোট সম্পদ ১২০০ কোটি টাকা হলো। তিনি সেই টাকা ঘরে না নিলে কি কিছু আসে যায়? তিনি তো আর চটপটিওয়ালা না যে একটি ব্যবসার টাকা ঘরে না নিলে তার সংসার চলবে না। তারই তো সব টাকা। তার সম্পদ তো বাড়তেই থাকল। বিল গেটস কি সব টাকা বাসায় নিয়ে যান? তার সম্পদ বাড়ে। এটাই তার আয়।
তার মানে দান না করেও দানের ফিলিংস পেলেন আবার টাকা আপনার বাড়তেই থাকল। এটাকেই ড. ইউনুস বলেছেন স্যাটিসফ্যাকশণ। যার জন্য নাকি দলে দলে কোটিপতিরা সোশাল বিজনেস করবে। অবশ্যই করবে। দান করবে না আর, সোশ্যাল করবে।
চলবে....(প্রথম পর্ব সমাপ্ত)
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:৪২
বিডি আইডল বলেছেন: ইউনুস সাহেব একটা রোল মডেল...কিসের সেটা সবাই জানেন!
৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:৪৪
তানজিলা হক বলেছেন: উপর তালার কথা।
নিচ পর্যন্ত আসার আগেই হওয়ায় মিলিয়ে যায় ।
আমার এক আংকেল বলে ছিলেন।তার আগে আমিও তাকে ভাল জানতাম।তিনি আমায় বললে,
গ্রামে খুদ্র রিন দেয়ার নামে তাদের সম্পদ বন্ধ রাখে।
উদাহরন সরুপ,
এক জন রিক্সাচালক কে ১০০০০ টাকা দেয়া হয়।আমাদের রিক্সাচালক ভাই সেই টাকা দিয়ে বড় মাছ আর ভাল বাজার নিয়ে যাসায় যায়।বাকি টাকা দিয়ে রিক্সা কিনে।কিন্তু সেই টাকা আর শোধ করতে পারে।ফলে
৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:১৭
জহুরুল ইসলাম স্ট্রীম বলেছেন: আবার গ্রামীন ব্যাংক ধার দেয়। তাতে দারিদ্র দুর হয়।.............
গ্রামীন ব্যাংকসহ যে সকল তথাকথিত ক্ষুদ্র ধার দেয়া প্রতিষ্ঠােনর দেয়া ধরা দিয়ে দারিদ্র দুর হয় বা হয়েছে-এই বিষয়টি মতপার্থক্য আছে বলে আমার মনে হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে হাতে গোনা দুএকজেনর কিছুটা উন্নতি হয়তো হয়েছে কিন্ত সামগ্রীক বিচারে আমাদের দেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠির সামষ্ঠিক দারিদ্র দূর হয়েছে কি?
গ্রামীণ জনগোষ্ঠির যে উন্নতি আজ আমরা বলছি তার প্রধান নিয়ামক হয়ে কাজ করেছে টাউট শ্রেনীর ব্যাপক উত্থানের মাধ্যমে যারা আবার রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার ফলে সোপান অতিক্রমের সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষেই প্রান্তিক শ্রেণী যে তিমিরে ছিলো সেই তিমিরেই রয়ে গেছে।.
ডঃ ইউনুস আমাদের নতুন নতুন আইডিয়া দিয়েছেন আগে থেকেই। যা শুনতে ভালই লাগে। কিন্ত তিনিতো পুজিপতি শ্রেণীর প্রতিভু। পুজিবাদ তার আইডিয়াগুলোও পুজিবাদকে লালন করার জন্যই। আমার জানি পুজিবাদ মানুষকে কৌশলে শোষণ করে থাকে এই জন্য নতুন নতুন কৌশল আবিস্কারের প্রয়োজন হয়।
৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৫৯
মোঃ শরিফুল আলম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
ভাই ২য় পর্ব কবে দিবেন?
৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:২৩
রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: ড. ইউনুস
:-< :-< :-< :-< :-<
৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪৪
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ডঃ ইউনুসের social business theory, আর এর প্রজেক্ট হিসেবে গ্রামীন-ড্যানোনের উদ্যোগটি চমৎকার। ডঃ ইউনুসের সাথে অন্য অর্থনীতিবিদদের পার্থক্যটি হচ্ছে- তিনি শুধু তাত্ত্বিকই নন, একজন এন্টারপ্রেনোরও। ফলে, ডঃ ইউনুসের মডেলগুলো সেলফ এক্সপ্লানেটরি। যাক, ইউনুস বন্দনা থাক; আপনার লেখাটির বদনাম করি।
কর্পোরেট সিটিজেনশিপ বা এই জাতীয় কঠিন-কঠিন-কথায় বড়-বড় কোম্পানিগুলো দান-খয়রাত করে। তো এই খয়রাতদাতারা, ডঃ ইউনুসের ভাষায়, সামাজিক ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে পারে, যা হবে- রিনিউয়েবল সোর্স অব ইনভেস্টমেন্ট।
আপনি খুব বুদ্ধিমান বলে- ডঃ ইউনুসের ১০০০ কোটি টাকাকে ১২০০ কোটি টাকা বানানোর চালাকি চট করে বুঝতে পেরেছেন। মজার ব্যাপার, আপনি বোঝার আগেই তিনি কিন্তু বিষয়টা ফয়সালা করেছেন। ডঃ ইউনুস বলছেন, সামাজিক ব্যবসা ভর্তুকী বা লোকাসানী ব্যবসা নয়; তাই এটি টিকে থাকার জন্য লাভ করবে। তবে এই লাভের টার্গেট, আন্দাজ করা যেতে পারে- স্বাভাবিকের চেয়ে কমই হবে।
আর কম্পিটিশন? ইউনুস সাহেবের মতে- এই বিষয়টি খুব সহজ; প্রথমে খুঁজতে হবে, 'টেকসই' কোন উপকার করা যায়। আমি ধারনা করছি, তিনি এই উপকার করার ব্যাপারটিতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে হয়ত প্রাধান্য দেবেন। আপনার কোলগেটের উদাহরণটিই ধরা যাক। বাঙ্গালী জাতির দাঁতের সেবায় কাতারে কাতারে কোম্পানি টুথপেস্ট নিয়ে আসলে বড়ই মুশকিল তৈরী হবে। আমি অনুমান করছি, কাতারে কাতারে ডিস্কাউন্টেট ব্রান্ডের টুথপেস্ট যুদ্ধ শুরু হওয়ার কারন নেই। এই কথাটি বলছি, কারন, ডঃ ইউনুসের তত্ত্ব অনুযায়ী, সোশাল ইনভেস্টররা সমাজের সত্যিকারের নিড আইডেন্টিফাই করেই এই ব্যবসা করবে। যেহেতু এই ব্রান্ড কম লাভ করবে, তাই এর প্রোডাক্ট পজিশনিং একটু 'নিশে' হবে। আর কঠিন কম্পিটিশন হলেও ক্ষতি কী! এর মার্কেট আর মার্কেটিংয়ের ধারণাটিই আলাদা।
প্রথমে আমরা ধার দিয়ে সুদ নিলাম।তারপর তার কাছে যেটুকু টাকা জমল সেটি তাকে পূষ্টিকর দই কিংবা বিশুদ্ধ পানি বেচে আবার নিজের কাছে নিয়ে এলাম। যার টাকা আবার তার কাছেই ফিরে এল। লাভ সহ। আপনার এই কথাগুলো আমোদ দিয়েছে। নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের বিতর্ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এই ধরনের কথা বলে হাততালি পাওয়া যায়। কিন্তু 'একজন বিনিয়োগকারী' হিসেবে আপনি তো জানেন- এইটি কথার কথা, তাইনা?
০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৫৬
আব্দুন নূর তুষার বলেছেন: মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ডঃ ইউনুসের social business theory, আর এর প্রজেক্ট হিসেবে গ্রামীন-ড্যানোনের উদ্যোগটি চমৎকার। ডঃ ইউনুসের সাথে অন্য অর্থনীতিবিদদের পার্থক্যটি হচ্ছে- তিনি শুধু তাত্ত্বিকই নন, একজন এন্টারপ্রেনোরও। ফলে, ডঃ ইউনুসের মডেলগুলো সেলফ এক্সপ্লানেটরি। যাক, ইউনুস বন্দনা থাক; আপনার লেখাটির বদনাম করি।
***তার কোন ব্যবসা মডেল সেলফ এক্সপ্লানেটরী না। যদি হতো তাহলে তাকে বই লিখে সেটা এক্সপ্লেইন করতে হতো না।
কর্পোরেট সিটিজেনশিপ বা এই জাতীয় কঠিন-কঠিন-কথায় বড়-বড় কোম্পানিগুলো দান-খয়রাত করে। তো এই খয়রাতদাতারা, ডঃ ইউনুসের ভাষায়, সামাজিক ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে পারে, যা হবে- রিনিউয়েবল সোর্স অব ইনভেস্টমেন্ট।
***দান খয়রাত করা কি ভালো নাকি খারাপ সে বিবেচনায় না যাই। কিন্ত দান না করে দানবীর সেজে স্যাটিসফ্যাকশন নেয়াটা নিশ্চয়ই খারাপ?সোশাল বিজনেস যারা করবেন তারা কেউ নতুন ব্যবসায়ী না। তারা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তাদের টাকা আছে। তারা আগে দান করতেন। এখন দান না করে নিজের টাকা নিজের কাছে রেখেই কেবল নতুন নতুন ব্যবসা করবেন। আর পরে বগল বাজাবেন যে তারা মহান হয়েছেন। কেন? কারন তারা নতুন ব্যবসার লাভের টাকা নিজে নিচ্ছেন না। যারা ব্যবসা বোঝেন তারা নিশ্চয়ই বোঝেন লাভ না নিয়েও যদি আপনি সকল লাভ সহ কোম্পানীটির মালিক থাকেন তবে টাকাটা আপনারই থাকে। যাদের অনেক আছে তারা এরকম দুয়েকটা ব্যবসা পুষতে পারেন।
আবার সকল ব্যবসাই কিন্ত লাভের একটা অংশ বিনিয়োগ করে। তাই রিনিউয়েবল ইনভেস্টমেন্ট বলে আলাদা কিছু নেই। লাভ এর গুড় এর গন্ধ না থাকেলে সেই কাতে বিনিয়োগ করে না কেউ। সোশাল বিজনেসও লাভ করবে। তাই যে খাতে লাভ নেই সেখাতে সেও বিনিয়োগ করবে না। আর বারবার কম লাভ করবে এটা বলছেন কেন? কোথাও ড. ইউনুস বলেন নাই যে এরা কম লাভ করবে। যন্ত্রপাতির অবচয় আছে, আছে বাজার দরে বেতন বাতা দেয়া এবং বিনিয়োগ ফেরত দেয়ার চাপ, লাগবে ভবিষ্যতের উন্নয়নের জন্য সঞ্চয় এবং মার্কেটিং এর জন্য বিজ্ঞাপন সহ নানা খাতে অর্থ। কম লাভ করে বেশী বেতন দেয়া যায় নাকি?
আপনি খুব বুদ্ধিমান বলে- ডঃ ইউনুসের ১০০০ কোটি টাকাকে ১২০০ কোটি টাকা বানানোর চালাকি চট করে বুঝতে পেরেছেন। মজার ব্যাপার, আপনি বোঝার আগেই তিনি কিন্তু বিষয়টা ফয়সালা করেছেন। ডঃ ইউনুস বলছেন, সামাজিক ব্যবসা ভর্তুকী বা লোকাসানী ব্যবসা নয়; তাই এটি টিকে থাকার জন্য লাভ করবে। তবে এই লাভের টার্গেট, আন্দাজ করা যেতে পারে- স্বাভাবিকের চেয়ে কমই হবে।
****চালাক হতে হয় নাকি এটা বুঝতে? সামাজিক ব্যবসার লাভের টার্গেট কম হবে কে বলল? আন্দাজ করে কথা না বলে ড. ইউনুস যা বলেছেন সেটা নিয়ে কথা বলেন? গ্রামীন ব্যাংক কি কম লাভ করে? ২০% সূদ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। গ্রামীন ফোন কি কম লাভ করে? কিন্তু তারা কি সমাজের উপকার করে না? বরং এই প্রতিষ্ঠানগুলি বেশী লাভ করেও সমাজের দোহাই দিয়ে পার পেয়ে যাবে কারন সামাজিক ব্যবসার প্রধান সূচক তো লাভ না, সেবার বিস্তার ও জনগোষ্ঠীর সামাজিক চাহিদা পূরন।
আর কম্পিটিশন? ইউনুস সাহেবের মতে- এই বিষয়টি খুব সহজ; প্রথমে খুঁজতে হবে, 'টেকসই' কোন উপকার করা যায়। আমি ধারনা করছি, তিনি এই উপকার করার ব্যাপারটিতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে হয়ত প্রাধান্য দেবেন। আপনার কোলগেটের উদাহরণটিই ধরা যাক। বাঙ্গালী জাতির দাঁতের সেবায় কাতারে কাতারে কোম্পানি টুথপেস্ট নিয়ে আসলে বড়ই মুশকিল তৈরী হবে। আমি অনুমান করছি, কাতারে কাতারে ডিস্কাউন্টেট ব্রান্ডের টুথপেস্ট যুদ্ধ শুরু হওয়ার কারন নেই। এই কথাটি বলছি, কারন, ডঃ ইউনুসের তত্ত্ব অনুযায়ী, সোশাল ইনভেস্টররা সমাজের সত্যিকারের নিড আইডেন্টিফাই করেই এই ব্যবসা করবে। যেহেতু এই ব্রান্ড কম লাভ করবে, তাই এর প্রোডাক্ট পজিশনিং একটু 'নিশে' হবে। আর কঠিন কম্পিটিশন হলেও ক্ষতি কী! এর মার্কেট আর মার্কেটিংয়ের ধারণাটিই আলাদা।
**** আবারো সেই নিজে বানানো কথা। ইউনুস সাহেব কোথাও বলেন নাই যে এর মার্কেটিং আলাদা হবে বরং তিনি বলেছেন বাজারের আর দশটা কোম্পানীর মতোই এরা চলবে। কেবল লাভ বিনিয়োগকারীদের পকেটে সরাসরি যাবে না।
প্রথমে আমরা ধার দিয়ে সুদ নিলাম।তারপর তার কাছে যেটুকু টাকা জমল সেটি তাকে পূষ্টিকর দই কিংবা বিশুদ্ধ পানি বেচে আবার নিজের কাছে নিয়ে এলাম। যার টাকা আবার তার কাছেই ফিরে এল। লাভ সহ। আপনার এই কথাগুলো আমোদ দিয়েছে। নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের বিতর্ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এই ধরনের কথা বলে হাততালি পাওয়া যায়। কিন্তু 'একজন বিনিয়োগকারী' হিসেবে আপনি তো জানেন- এইটি কথার কথা, তাইনা?
*** এটা যে কথার কথা না , সেটা গ্রামীণ ফোন ও গ্রামীণ ড্যানোন এর মডেল দেখলেই বোঝা যায়। গ্রামীণ ফোন গ্রামের মহিলাদের ফোন দিল। তারপর সেটা থেকে অনেক টাকা আয় করল কিভাবে? সবাই এই ফোন থেকে ফোন করত। তারপর এই ব্যবসা শেষ কারন তারা ফোনের দাম কমাতে কমাতে নিয়ে এল এমন জায়গায় যে সেই মহিলাদের আর ফোন থেকে লাভ হয় না। এবার তাদের আগের চাইতে কম লাভে ফ্লেক্সি করার ব্যবসা ধরিয়ে দেয়া হল। বগুড়াতে গ্রামীণ ড্যানোনের দই বেচাতেও এদের একটি বিরাট অংশকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো ড্যানোন ১% লাভ ঘরে নিয়ে যায় এবং এই কোম্পানীটিকে ফ্রান্সের শেয়ারবাজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সারা বছর একই দামে দুধ পাওয়া না গেলে দই এর দাম বাড়ে তাই একারনেই গ্রামীন ব্যাংক সেখানে কিছু লোককে এই শর্তে ধার দিয়েছে যে দুধের বাজার দর যাই হোক না কেন, তাদের অবশ্যই একই দামে সারা বছর দুধ বেচতে হবে ড্যানোনের কাছে।
আমার কথা আপনাকে আমোদ দিয়েছে কারন আপনি নবম শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীর মতোই না বুঝে কেবল বিরোধীতার জন্য আমার লেখাটি পড়েছেন। বিনিয়োগ করি বলেই আমি জানি এগুলো কথার কথা না। কারন ড্যানোনের ব্যবসা মডেলের মধ্যেই আছে যে তারা দই শহরে বেচবে না। কেবল গ্রামীনের মহিলাদের মাধ্যমে গ্রামে এই দইটি বেচবে। কেন ভাই? বগুড়াতে যখন আপনি দিনে ২২০০০০ পাউন্ড দই বানিয়ে বেচেন আশে পাশেই তখন সেখানে যারা দিনে ২০ পাউন্ড দই বানিয়ে বেচতেন, সেই দইওয়ালারা কি করবে এখন? দইএর আসল জায়গাতে কারখানা বসিয়ে দই বেচতে লাগলেন। আর একটা কথা বাংলাদেশে দই খেয়ে পুষ্টি দিতে হবে একথা কোথায় লোখা আছে? ডিম না, দুধ না, দই। বাহ বাহ। সারাজীবন পুষ্টিকর খাবারের তালিকা যা পড়েছেন সেখানে দই কবে লেখা ছিল? দই বানানো হচ্ছে কারন তারা সারা ইউরোপ এ দই বেচে। এটাই তাদের বিশেষত্ত্ব। সামাজিক নাম দিয়ে এরা আমাদের বাজারে ঢুকল।
ড. ইউনুস বলেছেন যে কোন সময় সামাজিক ব্যবসা সাধারন ব্যবসায় পরিনত হতে পারবে যদি মালিক চায়। ১০ বছর পর দেশের পুরো দই বাজার দখল করে যদি তারা নিজেদের ব্যবসার ধরন পাল্টায় তখন কি হবে?
আপনি অহেতুক বিতর্ক কর্মশালা বিষয়টি টেনে এনেছেন আমাকে খোঁচানোর জন্য। তবে আপনি একটা কর্মশালায় এলে মন্দ হতো না। কিছু কিছু ব্যাপারে আপনার ধারনা নবম শ্রেনীর চেয়েও কম।
৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:১২
ডাইনোসর বলেছেন:
ধুর্ততার জন্য সে অার একটি নোবেল পেতে পারে।
৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৬
মোহাম্মদ আনোয়ার বলেছেন: তুষার সাহেব,
আপনাকে ব্লগে পেয়ে খুব ভাল লাগলো। আপনার আরও সুন্দর সুন্দর পোস্ট পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। উল্লেখ্য, আমি ব্লগে গত কয়েক মাস ধরে লিখছি। খুব সাধারণ একজন মানুষ এবং সাধারণ মানের লেখা। আমার লেখাগুলো পড়া এবং গঠনমূলক মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৯
তীর জোক বলেছেন: ধন্যবাদ, সবাই ভাল কিংবা থারাপ বলে, প্রকৃত বিষয়টা জানতে এ পোস্টটি কাজে আসবে আশা করি।।
প্রিয়তে খাকলো আপাতত।।
১১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫২
মিটুলঅনুসন্ধানি বলেছেন: বিডি আইডল বলেছেন: ইউনুস সাহেব একটা রোল মডেল...কিসের সেটা সবাই জানেন!
১২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:০৩
আগডুম বাগডুম বলেছেন: সামাজিক ব্যবসার বিনিয়োগ থেকে জনগণ কিভাবে লাভবান হতে পারে তা বুঝলাম না। ব্যাপারটা যেহেতু ব্যবসা, তাই এর ক্ষেত্র নির্ধারণে জনগণের চাহিদা বা সামাজিক উন্নয়নের চেয়ে মুনাফার ব্যাপারটিই আগে বিবেচিত হবে। সামাজিক ব্যবসায়ীরা নিশ্চয়ই ব্যবসার ক্ষতি করে জনহিতকর পণ্য বা সেবা বাজারে নিয়ে আসবে না। বরং প্রচলিত মুনাফা অর্জনকারী পণ্য বা সেবাকেই সামাজিক ব্যবসার ব্র্যান্ড লাগিয়ে আরো আকর্ষণীয় ও নির্ভরযোগ্য প্রমাণ করে ছাড়বে (যেমন অর্গানিক সবজি বা খাঁটি দুধের দই)। এটা একটা বাণিজ্যিক কৌশল ছাড়া আর কিছু তো না। গ্রামীণ বা ব্র্যাকের ব্যবসার একটা ভাল দিক (আপাতদৃষ্টিতে) হচ্ছে তৃণমূল পর্যায়ে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি। কিন্তু এ কাজটা শেষ পর্যন্ত ব্যবসায়ই, আর দশজন ভাল ব্যবসায়ীর মত তারাও চান তাদের কর্মীদের (যারা কিনা তৃণমূলের প্রতিনিধি) সামাজিক ও আর্থিক অবস্থার উন্নতি, ব্যবসায়িক কারণেই। কিন্তু এটাকে জনহিতকর কাজ বলে চালিয়ে দেওয়াটা তো অসাধুতা।
১৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:০৭
আকাশের তারাগুলি বলেছেন: সামজিক ব্যবসায়ীরা আসলে সমাজে দারি্দ্র বিমোচনে কি দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিয়েছেন তা জানা বুঝা যায়না। গ্রামীন ডানোন নামেই সামাজিক ব্যবসা কিন্তু দরিদ্র কি তার ছোয়া পেয়েছে। আসলে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করেন। এরা চায় নির্বিগ্নে সর্বোচ্চ মুনাফা বাগিয়ে নিতে বিভিন্ন কায়দায়। ওরা বিভিন্ন থিয়োরী তৈরী করে চমক দেখানোর জন্য এবং তা দেখিয়ে থাকেন।
কথায় আছে নাথিং ইজ ফ্রী। ব্যবসায়ীরা এটা করেন ওটা করে সব কিছুতেই তার উদ্দেশ্য রিটার্ন পাওয়া। ব্যবসার প্রচার। অমুক ব্যবসায়ী সমাজের জন্য এটা করেন হাসপাতাল করেন, স্কুল করেন, দরিদ্রদের সহায়তা করেন। আসলে কি তাই উনি তার ব্যবসায় এতো মুনাফা করেন যার ছিটে ফোটা চ্যারিটি করেন তাও ব্যবসার প্রচারের জন্যই মুখ্যত।
তার যদি সমাজের বা দরিদ্রের জন্য কিছু করার ইচ্ছে থাকে তার উৎপাদিত পন্য বা সেবায় তিনি করতে পারেন পন্য মুল্য কম রেখে তাতে দরিদ্র বা জনসাধারন সরসরি সুফল পাবেন।
গ্রামীন ডানোনের উৎপাদিত পন্য দরিদ্র জনগনের হাতের নাগালের বাইরে। পাওয়া যায় নামি দামী ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে, শপিংমলে।
অরগানিক ফুড, ফেয়ার ট্রেড এসব ব্যবসার নতুন নতুন ধান্ধা।
সর্বোপরি গ্রামের/শহরের দরিদ্র জনগনের জন্য তাদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য যা দরকার তা হলো সমগ্র জাতিকে অর্থনীতির মুল স্রোতে নিয়ে আসা। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। যা করে আসছে শুধু মাত্র সরকার এবং গার্মেন্টস শিল্প এবং কিছু ক্ষুদ্রও কুটির শিল্প। শত সমালোচনা থাকতে পারে এদের বিপক্ষে, কিন্তু এটাই সত্যি। বাংলাদেশে এমন সব শিল্পকে গুরুত্ব দেয়া দরকার যেখানে প্রচুর শ্রমিক কর্মচারি দরকার পড়ে। তাতে সর্বোচ্চ সংখক মানুষ দারিদ্রতা থেকে বেরিয়ে আসবে।
জনাব আবদুন নুর তুষার আপনাকে নিয়মিত চাই ব্লগে।
আজ লিখে গুম হয়ে গেলে হবেনা কিন্তু।
১৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:৫০
কালা পাহাড় ২০০০ বলেছেন: মোস্তাফিজ রিপন আর আপনার ঝগড়া পরে খারাপ লাগে নি। কালকে অফিস আছে। তাই ঘুমাতে হবে। লেখার সময় নেই। তবে নিরপেক্ষভাবে লেখার উপায় নেই। I hate Eunoos.
১৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪৭
কালা পাহাড় ২০০০ বলেছেন: Click This Link
১৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫৮
রাইসুল সাগর বলেছেন: হুম...২য় এর অপেক্ষায় থাকলাম। শুভকামনা আপনাকে...ভালো থাকুন সব সময়।
১৭| ১৩ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১২:০৫
আব্দুন নূর তুষার বলেছেন: আমি যখন এই লেখাটি লিখেছিলাম তখন অনেকে আমাকে নানা রকম জ্ঞান দিয়েছিলেন.. এখন পত্রপত্রিকাতে আপনারা সেই জ্ঞান বিতরন করছেন না কেন? দ্বিতীয় পর্বটি আমি এখন লিখবো। আমি ২০০৭ সালে তাকে নিয়ে লিখেছিলাম...তাকে আমার ভালো লাগে, কিন্তু ভালো লাগা আর তাত্বিক মতভেদতো এক নয়। আমি তাকে অসম্মান করা সমর্থন করি না, তবে তার তত্ত্ব নিয়ে আমার মতামত ব্যক্ত করতে চাই।
১৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১২:২২
আল-আমিন কবির বলেছেন: উন্নত বিশ্বের দেশগুলো ড. ইউনুসের এই সামাজিক ব্যবসা তত্ব অনেক ইতিবাচকভাবেই নিয়েছে। জাপানে দেখেছি, সাধারণ মানুষও এখন সামাজিক ব্যবসায় সম্পর্কে জানে। যারা বাংলাদেশের নাম জানে কেবল ড. ইউনুসের কারনে! (ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা)।
জাপানের কিউশু বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক ব্যবসায় নিয়ে গবেষনা করার জন্য বিশাল একটি ভবন দিয়ে দিয়েছে যেটি গ্রামীন ক্রিয়েটিভ ল্যাব নামে পরিচালিত হবে। জেনেছি বিশ্বের টপ রেংকিং কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি চালু হয়েছে, গবেষনা চলছে।
এখন কথা হচ্ছে, যারা ইতিবাচকভাবে এটি নিয়েছে তারা আগের ব্যবসায় পদ্ধতি আর সামাজিক ব্যবসার পার্থ্যক্য ধরতে পারছে না। তার মানে তারা একান্তই বোকা। আর আমরা অতি চালাক বলে ড. ইউনুসের হাজারো ভুল ধরে ফেলতে পেরেছি। নিজেদের বুদ্ধির কথা ভেবে খুব ধন্য মনে হচ্ছে বাঙ্গালী হিসাবে। :-) :-)
১৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:২৫
ছোটমির্জা বলেছেন:
লেখার সাথে সহমত।
ওনার মাথার মাঝে শুধুই বিজনেস আর বিজনেস।
গ্রামীন ব্যাংক এমন কোন প্রোডাকটিভ ফার্ম না যেখানে থেকে কোন উপযোগিতা যুক্ত হয়েছে শুধু মাত্র গরীবেরে ১০০ টাকা দিয়ে ১৩৭ টাকা আদায় করা ছাড়া।
নোবেল এখন কারা পায় তা জানা আছে।
আচ্ছা ধরেন, গোলাম আযম যদি নোবেল পেত তবে আমরা কি কর্তাম, আমাদের মাথা বেচা বুদ্ধিজীবিরা কি কর্ত? আমার জানার কোন উপায় নাই, জানতে পারলে ভাল হত।
কোনটা বড়- নোবেল না দেশ?
------------
সামাজিক ব্যবসাটা সবটুকু আমি কিলিয়ার না। তবে এটাও যে নয়া ধান্দাবাজী তা বুজতে পারছি- টাকা আর বিজনেস মিলেই কি সব হয়? বিল-মেলিন্ডা তাইলে কেন ইউনুসের কথা না ভেবে কয়েক কোটির ফাউন্ডেশন করেছেন?
আবার আসব আশা করি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:২০
যে পাথর পাথর নয় সেও তো পাথর বলেছেন: শুনেছি, ইউনুস সাহেব লোক ভালো। কাজও ভালো। কিন্তু আমাদের কোন উপকারে আসে না ...। যে কাজ মানুষের কল্যাণে আসে না, সেটা কতোটা ভালো কাজ, কতোটা শুভ কাজ, এ নিয়ে মতান্তরের অন্ত নেই। তবে আমি চাই মানুষ যেন ভালো থাকে। মানুষ যদি মানুষের কাজে না আসে, কল্যাণের আদান-প্রদান না ঘটে, তবে মানবজাতির দুর্দশা থামানো যাবে না কোনদিন ...।