![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১.
১৭৫৭ সাল।পলাশীর আম্রকানন।
আর কিছু না বললেও আপনারা বুঝছেন অামি বাংলার শেষ
স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌলার কথা বলছি।
পলাশীর সেই লড়াইয়ে ক্ষমতালোভী মীরজাফরদের বিশ্বাসঘাতকতায়
পলায়ন রত নবাব ধৃত।
লর্ড ক্লাইভের সৈন্যরা নবাব কে নিয়ে যাচ্ছে।হাতে বন্দী শেকল।
সেদিন হাজার হাজার জনতা শঙ্কিত নাকি প্রশান্ত চিত্তে রাস্তায়
দাড়িয়েছিল সে আমার জানা নেই।
হয়ত এই ভেবে ছিলো যাক শেষবারের মত নবাবকে একবার দেখলাম তো!!!!!!!!!
অথচ সেদিন জনতার চপোটাঘাত করার শক্তি থাকলেই নবাব মুক্ত
জীবনের স্বাদ পেতেন হয়তো।
ইতিহাস আমার কথার দলিল।
২.
আসরের নামাজের সময়।
মসজিদে কিছু মুসল্লি উপস্থিত।
বয়োজ্যেষ্ঠ থেকে শুরু করে বালক কয়েকজন।
সবাই একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করছে।
কারন কি?
ইমাম নামাযে আসেনি।
কয়েকজনের মুখরোচক কথা ইমামরা এরকমই দায়িত্বহীন।
অবশেষে নামায পড়ালাম আমি।
গ্রামের মোড়ল আমার পেছনে নামায পড়লেন না।
কারন দাড়ি নাই,...........সর্বোপরি আমার গায়ে সিল মারা আমি .....।
৩.
আমরা সবাই ওমর,আলি,আবু বক্কর আর হামযা ,সুমাইয়া(রা)দের কথা কাহিনী শুনে পুলকিত হয়।উজ্জিীবিত হয় এ হৃদয়।
কিন্তু ওমর ,আলি,আবু বকর হতে চাই না।
যদি চাইতাম তাহলে হাজার হাজার মাদ্রাসা আর নৈতিকতা শিক্ষার লড়াইয়ে
যারা বা যে প্রতিষ্ঠানগুলো অগ্রগামী তাদের এ দুরাবাস্থা যেতো না।
ত্যাগ,সাদকা র কথা শুনে হৃদয়বাতি জ্বলে উঠে হাতেম তাই হতে মন চাই,,
বাড়ির নরম বিছানায় শুলে কি জানি হয়............কারুনের আত্মা ভর করে।
গ্রামের শালিসে যখন অসহায় এতিম রইসকে অন্যায় ভাবে শাস্তি দিলো যে
গ্রাম প্রধান আপনার যুবক ছেলে প্রতিবাদ করলো।
কি করলেন আপনি?
বাড়িতে এসে শাসালেন আর খবরদার মোড়লের বিরুদ্ধে....কথা বলবি না।
তারা ক্ষমতাধর!!!যা ইচ্ছা করুক তোর কি?
হয়তো আগামী প্রজন্মের ওমর কে আটকালেন আপনি?
৪.
আপনি আপনার ছেলেকে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক বানাতে চান?
কিন্তু তাকে প্রতিভাটা বিকশিত করতে দেননি?
ডুবে যাবে এই ভয়ে সাতার শেখাননি।
কালবৈশাখীর ঝড়ে যখন ছেলেটা নদীতে ডুবলো তখন বাচাতে পারেননি।
আফসোস করে কি লাভ!!!!!!!!
ম্যাচ বাক্স নিয়ে খেলতে খেলতে যে ছেলেটা আপনাকে একটা স্থাপনার প্রতিকৃতি
বানিয়ে দেখাল,,,,,বিপরীতে আপনি ম্যাচ বাক্স গুলো কেড়ে নিলেন।
এসব নিয়ে খেলতে নেই,,,,,,,,,,,আগুন ধরে যাবে।
আপনি প্রতিভাটা বুঝতেই পারেননি।
আগামীর লুই আই কানদের পথচলার গলা চেপে ধরেছেন অজান্তেই?
৫.
প্রতিদিনের মত আজ ও স্কুলে গেছে রাহাত।
অস্টম শ্রেণীর ছাত্র সে।
বর্ষাকাল।
বড় রাস্তার পাশ দিয়ে যাবার সময় একটা ট্রাক এসে জামাটা ভিজিয়ে দিল সাথে নস্ট ও।
ছেলেকে বুঝাতে পারতেন বাবা ড্রাইভারের দোষ না,গালি দিয়ে লাভ নেই।বরং
ভাল করে পড়.........তুমি একদিন এ দেশের সড়ক মন্ত্রী হয়ে রাস্তা এমন ভাবে
ভাল করবে যাতে আর কোন স্কুল ছাত্র বা পথচারীর জামা নস্ট না হয়।
হয়তো কে জানে সেই হয়তো একদিন মন্ত্রী হয়েও যেত।
কিন্তু আপনি কি করলেন
বাড়ির পেছনের বাগানের মধ্যে দিয়ে স্কুলের রাস্তাটা চিনিয়ে দিলেন।
হুইল কেনার টাকা বেচেছে আপনার??????
কচু দাগে নস্ট হওয়া সাদা শার্টটাতো আর পরতেই পারেনি।
এমনি প্রাত্যহিক জীবনের হাজারো ঘটনায় বিশ্লেষণ করতে পারবেন
এ বাঙালি জাতির মানসিক বন্ধ্যতা আর চিন্তার সীমাবদ্ধতা।
তবুও নিরন্তন কাগজ কলমে পরিবর্তনের হিসেব কষছি আমরা।
করবোও হয়তো একদিন...........................
ইনশাআল্লাহ।
কিন্তু তার আগে এরকম হাজারো চিন্তার বন্ধ্যাত্বকে
একটা একটা করে উপড়িয়ে
পরিশুদ্ধ চিন্তার বীজ বপণ করে দিতে হবে..............
তবেই হয়ত কোন একদিনের সূর্যোদয়কে আপনার
কাঙ্খিত সুর্যোদয় মনে হবে।।।।।।।।।।।
©somewhere in net ltd.