নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নকে বাচাঁনোর জন্যই স্বপ্ন দেখেছিলাম।আজো আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখছি। আবার কাছে একেকটা স্বপ্ন একেকটা লড়াই।হারলাম নাকি জিতেছি?সেটা পরে ভাবনার বিষয়।মূল কথাটা হলো আমি লড়াইটা করতে ভালবাসি।।রক্তে মিশে গেছে নেশাটা................

অরূপ চৌহান

মৃত্যু!সে তো জীবনের অপর নাম!

অরূপ চৌহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমাজ কথন-০১

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

অদ্ভূত এক সমাজে বাস করছি আমরা।
কোন কিছুরই হিসাব স্বাভাবিক ভাবে মিলবে না।
অস্বাভাবিক ভাবে সহজেই মিলবে।

০১।বিয়ে .......
২৫-২৬ বয়স্ক একজন মেয়ে যৌবনের সবচেয়ে উত্তম সময় গুলো পার করতে চলেছে তখনও যদি সে বলে আমার একটা পছন্দ আছে বা আমি এমনটা পছন্দ করি।
তখন সাথে সাথেই একটা নিষেধের দেয়াল তুলে দেয়া হয়।
বাবা-মার অবাধ্য হলে জীবনে সুখ পাবি না।
বিষয়টা কি সত্যিই এমনি?
যে মেয়েটাকে আপনি তার জৈবিক চাহিদার অবমূল্যায়ন করে করে এক মোহের মধ্যে অবস্থান করছিলেন
পথভ্রষ্ট লক্ষ্যপানে পরিচালিত করেছেন।
ভবিষ্যত নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।
চাকরি তাকে পেতেই হবে।
না হলে কম করে ফার্ষ্ট ক্লাস পেয়ে মার্ষ্টাস ডিগ্রী পেতেই হবে।
স্বাভাবিকভাবেই জৈবিক তাড়নার বৈধ সমাধান না হওয়ায়
অবৈধ পথ তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকবে।
সময়ের পরিক্রমায় সে পথ থেকে ছিটকে পড়বে।
পা পিছলাবে তার।
চোখ বন্ধ করলেই মনে হয় আর কেউ দেখতে পাচ্ছে না এমন একটা ভাব নিয়ে
প্রায়ই নসিহত করবেন সোনা মা আমার প্রেম করবি না।সেগুলো খারাপ কাজ।
কিন্তু বিয়ের উপযুক্ততার পর দশ বছর ধরে চলে আসা আপনাদের উচ্চাভিলাষী জুলুম
তাকে নেহাতই খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।
মেয়ের ভালোর জন্য সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের খোজ করেন।
তবুও কি রক্ষা হয়?
ওসুখ -বিসুখ,রোড এক্সিডেন্ট ,খারাপ চরিত্র আপনার সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের খায়েশ পূরণ হতে দেয় না।
পরকাল শুধু মেয়ের ধ্বংস করেননি
নিজের নামটা দায়ূস এর খাতাই লেখিয়েছেন।
যে সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের স্বপ্ন আপনি দেখেছেন
আপনার অজান্তেই সুনিশ্চিত কষ্টের দ্বার উন্মোচন করেছে।
কেন অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেননা?
যখনো শয়তান তার জাল তাকে আষ্টে পৃষ্টে জড়াতে পারেনি।
কেন চরিত্রবান ছেলেকে ভালো বললেও আপনার মেয়ের জন্য কবুল করেন না।
রিযকের ভয় করেন?
‘ইয়া রাজ্জাকু’
নামের সাথে শিরক করছেন না তো?
জানেন তো নিশ্চয় শিরকের গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করেন না।
আল্লাহর রাসূলের একটা হাদিস দিয়েই শেষ করি।

কুতায়বা (রহঃ) ... সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একজন মহিলা রাসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আমার জীবনকে আপনার হাতে সমর্পণ করতে এসেছি। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে তাকালেন এবং সতর্ক দৃষ্টিতে তার আপাদমস্তক লক্ষ্য করলেন। তারপর তিনি মাথা নিচু করলেন। যখন মহিলাটি দেখলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সম্পর্কে কোন ফয়সালা দিচ্ছে না, তখন সে বসে পড়ল। এরপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের মধ্যে একজন দাঁড়ালেন এবং বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি আপনার শাদীর কোন প্রয়োজন না থাকে, তবে আমার সাথে একে শাদী দিয়ে দিন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কাছে কি আছে? সে উত্তর করলো- না, আল্লাহর কসম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার কাছে কিছুই নেই। রাসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি তোমার পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে গিয়ে দেখ। কিছু পাও কিনা।

এরপর লোকটি চলে গেল। ফিরে এসে বলল, আল্লাহর কসম! আমি কিছুই পাইনি। এরপর রাসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আবার দেখ, লোহার একটি আংটিও যদি পাও। তারপর লোকটি আবার ফিরে গেল। এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাও পেলাম না, কিন্তু এই যে আমার তহবন্দ (শুধু আছে)।

(রাবী) সাহল (রাঃ) বলেন, তার কাছে কোন চাঁদর ছিল না। লোকটি এর অর্ধেক তাকে দিতে চাইলেন। তখন রাসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে তোমার তহবন্দ দিয়ে কি করবে? তুমি যদি পরিধান কর, তাহলে তার কোন কাজে আসবে না আর সে যদি পরিধান করে, তবে তোমার কোন কাজে আসবে না। তারপর বেশ কিছুক্ষণ লোকটি নীরবে বসে থাকল। তারপর উঠে দাঁড়াল। সে যেতে উদ্যত হলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ডেকে আনলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কি পরিমাণ কুরআন শরীফ মুখস্থ আছে? সে বলল, আমার অমুক অমুক সূরা মুখস্থ আছে এবং সে হিসাব করল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এগুলো কি তোমার মুখস্থ আছে? সে বলল, হাঁ। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে পরিমাণ কুরআন তোমার মুখস্থ আছে তার বিনিময়ে তোমার কাছে এই মহিলাটিকে (শাদী) দিলাম।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৫

প্রথম বাংলা বলেছেন: মোটামুটি রাইট

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৬

অরূপ চৌহান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৮

শামচুল হক বলেছেন: দারুণ ঘটনা।

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫১

অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: এরকম একটা লেখা আমারও লেখার ইচ্ছা ছিলো।কিন্তু হাদিসখানা খুঁজে পাই নি। যা হোক লিখে ফেলেছেন।ধন্যবাদ।।

৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৪৯

কানিজ রিনা বলেছেন: আগের দিনে বিয়ে হত ছোট ছোট ছেলে
মেয়ে, মেয়েকে শসুর বাড়ি বড় হতে হয়েছে।
ছেলে যতদিন সক্ষম না হয় ততো দিন
বাবা মা নির্ভরশীল থেকেছে। তখন মুসলিম
বিবাহ হত মেয়ের বাবা মাকে খুশি করে
পোন দিয়ে। আমার বড় চাচার বিয়ে এমনি
হয়েছিল। মেয়েরা বড়জোর কোরান শিক্ষা
বা ঘড়ে শিক্ষক রেখে বাংলায় নাম ঠিকানা
লিখতে পড়তে শিখত। অথচ শিক্ষিত মা
শিক্ষিত জাতি অনেক আলেমেদিনকে বলতে
শুনি। যুগ বদলেছে ইসলামীক আইনে
মেয়েদের বিয়ের নিয়ম মোহরানা দেওয়া
কিন্তু মেয়েরা যৌতুক দিয়ে বাসরে ঢোকে
বেকার ছেলের বিয়ে বাবা মা মেনে নেয়না।
শিক্ষিত মেয়ে চাকরী করে ভবিষ্যৎ ভাল
ইত্যাদী নিয়ম কানন। কে দেখে প্রাচীন নিয়ম।
তখন ছোট ছোট মেয়ে বিয়ে হত দৈহিক
গঠন না হতেই মেয়েরা মা হত সেই মায়েদের
কোনও চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিলনা। মা হতে
কত কিশোরী মেয়ে মাড়া যেত।
এখনও প্রত্যন্ত গ্রামে কিশোরী মেয়ে বিয়ে
হয়। তবে যুগ বদলেছে সাথে সাথে নিয়মও
বদলেছে। হাদীস মানুষের জন্য, হাদীসের জন্য
মানুষ না। ধন্যবাদ।

৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


দুনিয়ার ম্যাঁও প্যাঁও কাহিনী লিখে বেড়াচ্ছেন, এগুলো লেখার সময় ছিল ২০০০ বছর আগে।

৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:০০

নতুন বলেছেন: আপনি কি আপনার মেয়েকে সে যখন স্কুলে পড়বে তখন তার সহপাঠীর সাথে বিয়ে দেবেন?

মনে হয় দেবেন না। হাদিসের কাহিনি ভাল কিন্তু বাস্তবতা সেই রকমের নাই।

৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



লেখাটা ভাল লাগলো।

ধন্যবাদ।

৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২২

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.