![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লাইগারদের বিশাল আকৃতি দেখে অনেক মানুষই অবাক হয়। অন্যরা গুরুতর একটি ভুল বলে মনে করেন। লাইগার পুরুষ সিংহ (লায়ন) এবং স্ত্রী বাঘের (টাইগার) সংকরায়নে উৎপন্ন প্রাণী। লাইগার দেখতে বিশাল আকৃতির সিংহের মতো, যার শরীরে বাঘের গায়ের ডোরাকাটা দাগগুলো হালকাভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। লাইগার হচ্ছে সবচেয়ে বড় আকারের বিড়াল প্রজাতির প্রাণী। যদিও সাইবেরিয়ান বাঘকে বিশুদ্ধ প্রজাতি হিসেবে সবচেয়ে বড় প্রজাতির বাঘ ধরা হয়। সিংহ সাঁতার কাটতে না জানলেও লাইগার কিন্তু বাঘের মতো সাঁতার কাটতে পারে।
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Chordata
শ্রেণী: Mammalia
বর্গ: Carnivora
পরিবার: Felidae
গণ: Panthera
প্রজাতি: Panthera leo♂ × Panthera tigris♀
খাদ্যঃ
লাইগার বিশালদেহী প্রাণী। একদিনে ৩০ পাউন্ডের মত কাঁচা মাংস খেতে পারে। একটি বাঘ আর সিংহের ওজনের সমান একটি পূর্ণবয়স্ক লাইগারের ওজন।
আকারঃ
বিড়াল প্রজাতির মধ্যে লাইগারের আকার সবচাইতে দীর্ঘ।পুরুষ লাইগার ৩ থেকে ৩.৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। পূর্ণবয়স্ক পুরুষ লাইগার এর ওজন ৩০০-৪৫০ কেজি পর্যন্তও হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, পুরুষ সিংহের শরীরে এক বিশেষ গ্রোথ প্রোমোটিং জিন থাকে যা বাঘ দের থাকে না, ফলে লাইগার বাড়তেই থাকে।
স্বভাবঃ
সাধারণ সিংহ বা সিংহীর চেয়ে লাইগার অনেক বেশি খেলাপ্রিয়। লাইগার সামাজিক প্রাণী। এই গুণটা তারা পুরুষ সিংহের কাছ থেকে পেয়েছে। মানুষের সান্নিধ্য পেতে এবং খেলতে পছন্দ করে।
সংকর প্রাণীঃ
পৃথিবীতে এ মুহূর্তে তিরিশটিরও কম লাইগার আছে। জীববিদ ও অন্য বিজ্ঞানীরা লাইগারকে সংকর প্রজাতিতে আখ্যায়িত করেছেন। তাই বলে ওরা কিন্তু বিপন্ন প্রাণী নয়। কারণ, জীববিদ ও অন্য বিজ্ঞানীরা লাইগারকে এমনকি আলাদা একটা প্রজাতি ভাবতেও রাজি নন। ‘এরা আসলে দুই প্রজাতির একটি সংকর।’ বলেন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা চিড়িয়াখানার সংরক্ষণ পরিচালক রনটিলসন। ‘বুনো পরিবেশে সিংহ আর বাঘ একসঙ্গে থাকে না।’লাইগারদের বিশাল আকৃতি আর বিস্তৃত চেহারা দেখে অনেক মানুষই অবাক হয়। অন্যরা আবার এর অস্তিত্বকে গুরুতর একটি ভুল বলে মনে করেন। লাইগার কি আসলেই বিস্ময়কর এক প্রাণী, নাকি উদ্ভট এক সৃষ্টি? জানতে চাইলে উভয়পক্ষের বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন, তা পড়ো; তারপর নিজেই সিদ্ধান্ত নাও।
প্রজননঃ
লাইগার হাইব্রিড প্রানী বিধায় এরা ব্রিড করে না। তবে, পুরুষ লাইগার অনুর্বর হলেও স্ত্রী লাইগার কিন্তু পুরুষ বাঘ বা পুরুষ সিংহের সাথে ব্রিড করতে পারে। বাঘের সাথে ব্রিডে টিলিগার আর সিংহের সাথে ব্রিডে লিলিগার উৎপন্ন হয়।
তথ্য সূত্র
১.উইকিপিডিয়া
২.প্রথম আলো
৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:০৯
আশীষ মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫
নীল আশরাফ বলেছেন: আপনি যে ছবিটা দিয়েছেন, সেটা টাইগন (পুরুষ বাঘ আর স্ত্রী সিংহের প্রজননে উৎপাদিত), লেইগার নয়। আপনি যে ছবিটা দিয়েছেন, সেটা টাইগন (পুরুষ বাঘ আর স্ত্রী সিংহের প্রজননে উৎপাদিত), লেইগার নয়। আপনার বোঝার সুবিধার্থে একটা লেইগারের ছবি আপলোড করে দিলাম, পার্থক্যটা যাচাই করে নিন।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:১০
আশীষ মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ সংশোধন করে নিলাম
৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বিজ্ঞান অনেক এগিয়েছে...আরো এগুবে...
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:১০
গোফরান চ.বি বলেছেন: ভালো লাগলো ।