![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দোস্ত এই নে ধর একটান দে! নারে দোস্ত তোরা দে! এসব আমাকে দিয়ে হবে না। আমার পক্ষে এসব করা মানায় না। আরে রাখ তোর লেকচার ধর একটান দিয়ে দে, কিচ্ছু হবে না... এভাবে শুরু একটান, দুইটান সুখ টানের অতঃপর... একটি পুরান জীবনের যাএা নতুন দুনিয়ার পথে,, সখি সুখ টান কারে কয়, মিথ্যা-প্রতারণার যাতনায় জীবন যাএা শুরু হয় ..
নাম তরুণ পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষে, গ্রামের বাড়ি উওরবঙ্গের কোন এক নির্ভেজাল শান্ত গ্রামে, বাবা একজন সহজ-সরল সাদামনের গ্রামের নিরিহ কৃষক। যার একটি মাএ স্বপ্ন ছেলে তার একদিন পড়াশোনা শেষ করে সরকারি কর্মকর্তা হবে, সমগ্র দেশের সামনে উচু করবে তার গ্রামের নাম ।বাবার স্বপ্ন পুরণে ছেলে তরুন ও কম না।
স্কুল,কলেজের গন্ডি পেরিয়েছে সে জিপিএ-৫ নিয়ে, অতঃপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্বে জয়ী হয়ে তরুণ ভর্তি হয় সেই স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাবার গর্বের শেষ নাই, সন্তান তার দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে.
গ্রামের পরিচিত সবাইকে তার বাবা গর্বের সাথে সেই সুখবর বলে বেড়াচ্ছে.তরুনেরও ও আজ অনেক খুশি বাবার চোখে খুশি দেখে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে প্রথম স্থান দখল করে তরুন বিশ্ববিদ্যালয়েও তার মেধার চাপ রাখতে শুরু করলো।
তরুনের দিনে দিনে বন্ধুর তালিকা বড় হতে লাগলো.. কিছূসময় পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জুনিয়ের প্রেমে হাবুডুবু খেতে লাগলো তরুন,, আস্তে আস্তে তাদের সখ্যাতা গড়ে উটলো, সর্বশেষ প্রেমে রুপ নিলো তাদের সেই বন্ধুত্বত।
তরুনের এখন অনেক বন্ধু সাথে আছে অতিব সুন্দরী প্রেমিকা, তরুনের এখন গ্রামে কম যাওয়া হয়, কেননা সময় পাওয়া যায় না, বাবা কষ্টে থেকেও খুশী এই ভেবে যে সন্তান তার মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে লাগলো. তরুনের হাত খরচ দিনে দিনে বৃদ্বি পেতে লাগলো কিন্তু আয় বাড়তে লাগলো না..
এ্রর মাঝে তার কিছূ বন্ধু হলো যারা সরকার দলীয় ছাএ সংগঠনের বিপদগামি সুবিধাবোগি নেতা-কর্মী। তারা তরুনকে নানা রকম কর্মকান্ডের দিকে জড়াতে প্রভাবিত করতে লাগলো.. বন্ধুর ১০টা কথার ১টা কথা তো হলে ও রাখতে হয় তা নহলে কি বন্ধুত্ব হয়.. সেই হিসাবে তরুন মাঝে মাঝে তাদের সাথে কিছূ অনৈতিক অপরাধমুলক কাজে যায় এমনে বন্ধুর খাতিরে ,,
কিন্তু এতে করে তার হাতে কিছূ অতিরিক্ত টাকা আসে যার ধরুন, সে এখন আর বাবাকে ফোন দিয়ে টাকা পাটাতে বলে না এতে করে তার মনে খুশি হতে লাগলো,, এই ভেবে যে এইবার মনে হয়ে বাবার উপর প্রেসার মনে হয় একটু কমলো..
একটু আধটু সময় দিয়ে বন্ধুদের সাথে এসব কাজ করে ভালো আয় করা যাচ্ছে.. আস্তে আস্তে এই স্বল্প সময় টা বেশি সময়ে রুপ নিলো..
সেই হিসাবে আয়ও বেশি হতে লাগলো, খারাফ কি এসকল ভালো বন্ধুরা সবসময় থাকে অপারেশন(তাদের ভালো কাজগুলোর ) শেষে সুখ টানের কথা বলতো কিন্তু তরুণ কখনোওই সেই দিকে যেত না.. সময় পরিবর্তন হলো তরুনের প্রেমে ভেঙ্গে গেল.. তরুণ এখন বন্ধুদের উপদেশ শুনে একটু আধটু সুখ টান দিতে শুরু করলো,,
আস্তে আস্তে সেই টান বৃ্দ্বি পেতে লাগলো.. এখন সেই টান নেশায় পরিণত হলো.. এখন আর ফ্রিতে সেই টান কেও দিতে আর বলে না। আস্তে আস্তে তরুণও নেশায় পরিপুর্ণভাবে আসক্ত হয়ে গেলো।
তৃতীয় বর্ষে এ্সে তরুণ এখন ক্যাম্পাসের সেই সকল ছাএদের একজন যারা আজীবনের জন্য ঢাবির ছাএ মানে ফেইল করা ছাএ,, এসব কিছূ আস্তে আস্তে তরুণের বাবার কানের কাছে যেতে লাগলো .. বাবার সাথে তরুণের একপর্যায়ে কথাকাটাখাটি হলো... পরিবার থেকেও সে দুরে সরে গেলো, অপরাধ মুলক কাজ উওোরতর বৃদ্বি পেতে লাগলো...
এর মধ্যাই হঠাৎ করে সরকার পরিবর্তন হলো তার সেই বিপদগামি সুবিধাভোগি নেতারা দেশে ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাদ্য হলো,, কিন্তূ তুরুণ রয়ে গেলো তরুনের জায়গায়,, আজ তার ক্যাম্পাসে থাকাটাও কঠিন থেকে কঠিনওতর হয়ে পড়েছে ।
নেই আয়ের কোনো বৈধ পথ, নেই পরিবারে ফিরে যাবার সেইমূখ.. নেই পড়াশোনা করা সেই আগের ভালো মেধাবি তরুণ,, দিনে দিনে হতাশা আরো বেশি গ্রাস করতে লাগলো থাকে,, অর্থের যোগান দিতে তরুণ এখন ছিনতাই কারি... নেশার অর্থ যোগাড় করতে সেই এখন পুরোদমে অপরাধ জগতের বন্ধু...
তরুনের জীবন চলছে.... এটি থামবের কোথায় গিয়ে??
একটি সূখ টানের সাথে আমাদের দেশ জাতি.. কি হারলো?
একটি মেধাবি তরুণ,, একটি তরুণের স্বপ্ন,,
সর্বশেষ একটি পরিবারে এবং একটি শান্ত ছোট গ্রামের স্বপ্নের মৃত্যু.... সর্বউর্ধ্বে দেশ জাতি হারালো একটা মেধাকে
আমরা চাই না এমন স্বপ্নের মৃত্যু,,
দুরে থাকুন সুখ টান থেকে,, বেচে থাকুন পরিবার সমাজের সাথে.....
(চলমান..............................................
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২১
আলী৮৮৪ বলেছেন: সচেতনতা আর ধর্মীয় নৈতিকতা কারো মধ্য জাগ্রত না হলে কোনো আইন দিয়েও মাদকের ছোবল থেকে কাওকে রক্ষা করা সম্ভব না।
২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বোতল বুলডুজারে গুড়িয়ে লাভ কি?
সেই গডফাদারদের গুড়াতে হবে! বন্যার পানি সরিয়ে যেমন লাভ হয়না- বাধ দিতে হয় সঠিক স্থানে..
মাদকের প্লাবনে রাজনৈতিক প্রভাবশালী, আইন প্রশাসনের যেসব রাঘব বোয়ালরা এর পিছনে কলকাঠি নাড়ে তাদের দমনই পারবে দেশ সমাজ আর গল্পের তরুনদের বাঁচাতে!
+++
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৬
আলী৮৮৪ বলেছেন: আপনার কথার সাথে আমিও একমত। কিন্তু ভাই সবকিছূ চাইলেই তো সম্ভব না। কে ধরবে রাগব বোয়ালদের? কেন ধরবে? সবাই চাই প্রমোশন? চাকরি? অর্থ বিও. তাই এর থেকে বাচার একটা মাএ উপাই আছে,, যা হলো পারিবারিক বন্ধন আর ধর্মীয় নৈতিকতার জাগরণ.। নতুনবা কোনো আইন দিয়েও এটা রুকতে পারবে না কেও. পাশচ্যাতে পারে নাই,, আমরা কি পারবো?? আইন দিয়ে..
৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩১
এ.এ.এম বিপ্লব বলেছেন: যেখানে পুরো জাতিই নেশাগ্রস্থ সেখানে এইগুলো আর এমন কি ... তবে আপনি খুব মজা করে সিরিয়াসলি লিখেচেন মশাই। দেখে ভালো লাগলো ।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৫
আলী৮৮৪ বলেছেন: আপনাদের ভালো লাগাই আমাদের অনুপ্রেরণা । নেশাগ্রস্ত জাতিই একসময় জাগ্রত হতে. তখন কি পারবে? এই ছেলে গুলোর মেধার মুল্য দিতে রাষ্ট্র? সেই প্রশ্ন না হয় আগামি প্রজন্মের জন্যই তোলা রইলো,,,,
৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৯
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বানানগুলো ঠিক করুন| ভুল বানানে লেখা কোন কিছুই পড়তে ইচ্ছে করে না|
খারাপ, বেঁচে ইত্যাদি ইত্যাদি
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৩
আলী৮৮৪ বলেছেন: এডিট করতে সময় পাই নাই ধন্যবাদ.। এডিট করে দিচ্ছি
৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৭
পিচ্চি হুজুর বলেছেন: ধর্মীয় নৈতিকতার জাগরণ - ধর্ম আবার কি জিনিস খায় না মাথায় দেয়? খালি বিয়া, মৃত্যু আর মাদক থেকে বাচার সময় যে সমাজ ধর্ম খুজে, সেই সমাজ হইল ভন্ডের সেরা। ধর্ম তাদের জন্য থাকার চেয়ে না থাকাই ভাল।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৩
আলী৮৮৪ বলেছেন: শুনেন ধর্মেকে কে কিভাবে ব্যবহার করবে সেটা একান্ত তার ব্যাক্তিগত ব্যপার। এখানে শুধু মাএ আমি আমার মতামতটুকু তুলে ধরেছি আর সমাজ এর কথা বলছেন? এই সমাজেই আমাদের বাপ-দাদার বড় হয়েছিলেন ভালো কাজ করেছিলেন. শুধু আমরাই ,,,,,,,
৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৬
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: প্রথমে সখ(সখে) টান পরে সুখ (টেকে) টান
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০
আলী৮৮৪ বলেছেন: হুম ভালো বলেছেন
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৩
বর্নিল বলেছেন: মাদক নির্মূলে সবার একাত্বতা চাই।