চেষ্টা ছিল ৯৫কোটি ডলার চুরির! প্রতিরোধ ব্যবস্হা কি ছিলো?!! ৯৫কোটি ডলার মানে কত টাকা ??

১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

রিজার্ভে ছিলো ৭৫হাজার কোটি টাকা! প্রথমে ৮০০কোটি টাকা লুট পরে আরো ৬হাজার ৯৬০ কোটি টাকা লুটের চেষ্টা!!!!! তাও আবার
৩৫টি নির্দেশনা সুইফটের মাধ্যমে,যার মধ্য(সুইফট-অর্থ স্হানন্তরের সাংকেতিকলিপি-কোড)থেকে ৫টি কার্যকর হয়! বাকি ৩০টি লেনদেনও হয়ে গেলে কি হতো? চিন্তুা করতে ও ভয় লাগে ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৯৫ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়ার তথ্য জানতেনই না অর্থমন্ত্রী!এই যুগে এটাও সম্ভব??
নাকি জেনেও না জানার অভিনয় মাননীয় অর্থমন্ত্রীর! ব্যপার না হলমার্ক,সোনালী ব্যাংক!বেসিক ব্যাংকের টাকাও তো উনার কাছে সামন্য টাকাই !!!!!
বাংলাদেশ ব্যাংক’কে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক হ্যাকিংয়ের(বাংলাদেশ ব্যাংকের ভাষাই-কিন্তু পাচার আমার মতে) এই তথ্য জানাই ৫ ফেব্রুয়ারি। ঘটনাটি ঘটেছে এরও কয়েক দিন আগে....
তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি! ম্যানেজমেন্ট! অর্থ বিভাগ কি তার অর্থ হাওয়া হয়ে যাওয়ার কথা নিজেরা জানতেনই না? এই কি ধরণের অর্থের নিরপওা ব্যবস্হা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের?
ফিলিপাইনের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০কোটি (সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ আছে )মার্কিন ডলার হাওয়া হয়ে যাওয়ার সংবাদ সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় ২৯ ফেব্রুয়ারী!
প্রশ্ন হলো?
বাংলাদেশ ব্যাংক তাইলে মাঝেৱ ২৪ দিন বাংলাদেশের মানুষকে এই অর্থ হাওয়া হয়ে যাওয়ার ব্যপারে কিছূ জানালো না কেন? অর্থমন্ত্রণালয়’কে জানালো না কেন?
তাইলে এটা কি হ্যাকিং না পরিকল্পিত অর্থ পাচার? যার কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ ব্যাংকই! আইটি বিভাগের কেও ছাড়া তো এটা সম্ভব না!
অর্থ সুইফট ব্যবহার করে হয়েছে! বাহ! আর একটা কথা হলো ৩৫টি থেকে ৫টি লেনদেন সম্পন্ন হওয়ার পরেই সন্দেহজনক লেনদেনের কারণে ফেডারেল ব্যাংক লেনদেন বন্ধ করে দেয়.. এবং সেই সংবাদ বাংলদেশ ব্যাংকে জানাই!

প্রশ্ন টা এখানেই? চিলে কান নিয়ে গেছে !!!
টাকা গেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের,কার কাছ থেকে? ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অভ নিউওয়র্ক থেকে! আচ্ছা
একটু ভাবুন তো এটিএম কার্ড জালিয়াতির অর্থ আপনাকে কে ফেরত দিয়েছে ? যে ব্যাংকে আপনার একাউন্ট সেই ব্যাংক না?
তা্হলে বাংলাদেশ বাংকের অর্থ রাখা ছিলো ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অভ নিউওয়র্কে!

টাকা ফেরত দিবে কে? ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অভ নিউওয়র্ক অবশ্যই।
না! কারণ এখানে বড় ধরণের ঘটনা লুকাইয়া আছে! বাংলাদেশ ব্যাংক যখনই হ্যাকারের পিছনে ছুটা শুরু করছে তখন্‌ই মনে খটকা লাগা শুরু হয়ে ছিলো!
এই অর্থ লুটের সংবাদ কেন বাংলাদেশ ব্যাংক গোপণ করে গেলো জনগণের কাছে?
অর্থমন্ত্রীর কাছে? আর দায়িত্বই বা তারা কেন নিতে চাইবে না?
অর্থমন্ত্রী যেখানে গতকা্লই বলে দিলেন এর দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের না ! তখন থেকেই মনে সন্দেহ শুরু এটাও কি তাহলে হলমার্ক!সোনালি ব্যাংক!বেসিক ব্যাংকের মতো কোনো ব্যাপার(অর্থমন্ত্রীর ভাষায় কোটি টাকা ব্যাপরা না) না হতে যাচ্ছে....
এই হ্যাকিংয়ের(চুরির/পাচারের) আধ্যেপান্তো লিখবো,,, পরবর্তি লেখায় .......

৬ টি +০/-০