নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Ami Abir

পরে সময় করে কিছু লিখব

Ami Abir › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক্যবাদীতা নিয়ে কিছু কথা।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৬

নাস্তিকদের অদ্ভুত যুক্তি শুনলে আর কথা বলতে মন চায় না। আমি তর্ক করি জানার জন্য মানার জন্য কিন্তু আপনারা তর্ক করেন তার উল্টো।

নাস্তিক্য মানসিকতায় যারা ভুগছেন তাদের বলছি।কোন কিছু স্বীকার করার চেয়ে অস্বীকার করা সহজ কারন অস্বীকার করতে কোন যুক্তি লাগেনা আমি অস্বীকার করলে তোমার কি বলে পার পাওয়া যায় কিন্তু স্বীকার করতে যুক্তি লাগে কেন তুমি স্বীকার করছ, এখানে এটা বললে পার পাওয়া যাবেনা যুক্তি দিতে হবে। তাই আমি খুবই সাধারণ কিছু যুক্তি দিচ্ছি তবে বুঝতে চাইলে এটুকুনই যথেষ্ঠ আর না বুঝতে চাইলে হাজার যুক্তিতেও লাভ হবেনা।

একটা জিনিষ কিভাবে নিজ থেকে হতে পারে এটা কি কখনো ভেবেছেন? আচ্ছা আপনি কিভাবে হয়েছেন? নিশ্চই বলবেন প্রকৃতির নিয়মানুযায়ী পিতামাতার মিলনের মাধ্যমে হয়েছেন। তাহলে সর্ব প্রথম যে মানুষটা হয়েছিল সে কিভাবে হয়েছে? তখন তো আর কেউ ছিলনা যে তাদের মিলনের মাধ্যমে হয়েছে। এখন আপনি যদি বলেন প্রকৃতিগত ভাবেই হয়েছে তাহলে আমার প্রশ্ন সব মানুষ তাহলে এভাবে প্রকৃতিগত ভাবেই হচ্ছেনা কেন পিতামাতার মিলনের মাধ্যমে কেন হচ্ছে?

আর আপনারা বলেন ধর্ম হল অলীক কল্পনা মাত্র তাছাড়া কিছুই নয়, যারা ধর্মানুসারী তারা সসকলেই মূর্খ তাহলে আমি বলব আপনারা কি পৃথীবির অধিকাংশ মানুষকেই মূর্খ বলছেন? আর আপনারা সংখ্যায় গুটি কয়েকজনই জ্ঞানি? আচ্ছা মানলাম আপনারাই জ্ঞানি তাহলে আপনারা তখন কোথায় ছিলেন যখন মানুষ ধর্মের অনুসারি ছিল আপনারা তখন তাদের কেন বুঝাননি যে তারা ভুল পথে চলছে। আর আপনারা বুঝাবেনই বা কি করে আপনারাতো তখন ছিলেনই না। আপনাদের ইতিহাসতো কয়েক শতাব্দি বা তার কিছু বেশি থেকে শুরু।

আপনারা আরেকটা কথা বলেন যে বিজ্ঞান যত প্রসারিত হচ্ছে ততো মানুষ বুঝতে শিখেছে এবং ধীরে ধীরে নাস্তিক হচ্ছে, আচ্ছা এই বিজ্ঞানের শুরু জানেন কোথা থেকে? এই বিজ্ঞানের শুরু হল সব আস্তিকদের থেকে পরবর্তিতে আপনারা তার ভুল ব্যাখ্যা বুঝে নাস্তিক্য মানসিকতায় ভুগছেন।

পরিশেষে বলছি কথার নাম লতা যতই বলবেন ততোই বাড়বে তাই আর কিছু বলতে চাচ্ছিনা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৫

মোস্তাক খসরু বলেছেন: আপনার কাছে আমার একটা প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করছে। আমি আস্তিক কিন্তু কোন ধর্মে আমার বিশ্বাস নেই বা চর্চা করি না। বিশ্বাস করি মানুষের কল্যানেই মানুষে মুক্তি। আমি নিজেকে কোন ব্রেকেটে আবদ্ধ করতে চাই না। এই অধিকার কি আমার নেই।

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৮

কিশোর হালদার বলেছেন: আপনি যেহেতু একজন আস্তিক তাই আপনি বোধহয় বিবর্তনবাদে বিশ্বাসী নন।তাই আপনাকে বলব আপনী বিবর্তনবাদ সম্পর্কে জেনে নিবেন।আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আছে।

৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪১

দরবেশমুসাফির বলেছেন: আপনি যে আস্তিক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাকি পড়াশোনা করে নিয়েছেন নাকি আপনার বাপ দাদারা আস্তিক ছিল দেখে আপনিও আস্তিক হয়ে গেছেন।

যদি ২য় তাই সত্যি হয় তাহলে বলব পড়াশোনা করেই সিদ্ধান্ত নিন।

বি দ্রঃ আমি একজন আস্তিক

৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৯

নতুন বলেছেন: বিশ্বাস আর যুক্তি/প্রমান দুইটা এক সাথে চালাতে সমস্যা। ধম` যেহেতু বিশ্বাস তাই সেটা সত্য তা বিশ্বাস নিয়ে থাকাই ভাল।

যদি যুক্তি/প্রমান নিয়ে ভাবেন তবে ভ্যাজালে পড়তে হবে।



যারা ধর্মানুসারী তারা সসকলেই মূর্খ তাহলে আমি বলব আপনারা কি পৃথীবির অধিকাংশ মানুষকেই মূর্খ বলছেন?


আপনার কথায় বিশ্বের ২১% মানুষ ইসলামে বিশ্বাসী... খৃস্টান ধমের অনুসারী ইসলামের চেয়ে বেশি<< তাহলে কি খৃস্টানদের বিশ্বাসই ঠিক?

একটা জিনিষ কিভাবে নিজ থেকে হতে পারে এটা কি কখনো ভেবেছেন? আচ্ছা আপনি কিভাবে হয়েছেন? নিশ্চই বলবেন প্রকৃতির নিয়মানুযায়ী পিতামাতার মিলনের মাধ্যমে হয়েছেন। তাহলে সর্ব প্রথম যে মানুষটা হয়েছিল সে কিভাবে হয়েছে? তখন তো আর কেউ ছিলনা যে তাদের মিলনের মাধ্যমে হয়েছে। এখন আপনি যদি বলেন প্রকৃতিগত ভাবেই হয়েছে তাহলে আমার প্রশ্ন সব মানুষ তাহলে এভাবে প্রকৃতিগত ভাবেই হচ্ছেনা কেন পিতামাতার মিলনের মাধ্যমে কেন হচ্ছে?


বিবত`নের পেছনে অনেক প্রমান আছে যার জন্য এখন পযন্ত বিবত`নই সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য থিউরি। অনেক ফসিল রেকড আছে যাকে একের পরে এক সাজালে এটা প‌্যাটা`ন পাওয়া যায় যা বিবত`নকেই সমথ`ন করে।

বিবত`ন নিয়ে আরো একটু পড়ে দেখবেন তখন আপনার উপরের মতন আপনি আর ভাববেন না।

আরেকটা কথা... যদি সৃস্টি কতাই মানুষ হাতে তৌরি করলেন তবে সেই ভাবে কেন মানুষ পাঠানো চালু রাখলেন না? কেন মিলনের মতন একটা জটিল পদ্বতীর মধ্যে দিয়ে মানুষ পাঠালেন?? যেটা প্রায় সব প্রানীই করে থাকে?

মোস্তাক খসরু যেমন উপরে বলেছেন যে তিনি আস্তিক কিন্তু ধমের উপরে বিশ্বাস নেই তার। কারন হইলো বত`মানের বিজ্ঞান যত অগ্রসর হচ্ছে তত মানুষের চিন্তার প্রসার হচ্ছে এবং তার ফলে ধমের উপরে বিশ্বাস কমে যাচ্ছে।

তার একটা প্রমান হইলো << এবাবের হজের হাজীর মৃত্যুর জন্য সবাই সরব এবং সৌদিকে দোষ দিচ্ছে এবং বিচারের জন্যও বলছে।

কিন্তু ধমের বিশ্বাস হইলো হায়াত/মওত সব আল্লাহের হুকুমে হয়। এখন যদি এই সব হাজীদের মৃত্যু লিখাই থাকে তবে সৌদি সরকারের কি সাধ্য আছে তাদের বাচায়?? << আপনার কি মনে হয় এই ব্যাপারে?

৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৩

নক্‌শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: "আপনারা আরেকটা কথা বলেন যে বিজ্ঞান যত প্রসারিত হচ্ছে ততো মানুষ বুঝতে শিখেছে এবং ধীরে ধীরে নাস্তিক হচ্ছে, আচ্ছা এই বিজ্ঞানের শুরু জানেন কোথা থেকে? এই বিজ্ঞানের শুরু হল সব আস্তিকদের থেকে পরবর্তিতে আপনারা তার ভুল ব্যাখ্যা বুঝে নাস্তিক্য মানসিকতায় ভুগছেন।"

- বিজ্ঞানের শুরু আস্তিকদের থেকে হয়ে থাকলেতো আপনার সব ধর্মেই বিশ্বাস করার কথা। হিন্দু, ইহুদি, খ্রিস্টান, মুসলমান, সব ধর্মাবলম্বী বিজ্ঞানীইতো ছিলেন, আছেন। বিজ্ঞানের শুরু আস্তিক-নাস্তিক দিয়ে বিচারের বিষয় না। সেই আদিম যুগে যখন মানুষ শিকারের জন্য বুমেরাং বানিয়েছিলো, সেটাও কিন্তু বিজ্ঞান। তখন হয়তো মানুষের ভাষা জ্ঞানও ছিলোনা, বিজ্ঞান ছিলো।

একটা সময় মানুষ মনে করতো মগজের কাজ হলো রক্ত ঠান্ডা করা, আর মানুষ চিন্তা করে হৃৎপিন্ড দিয়ে। কারন কাটা লাশের মগজে সুক্ষ শিরা দেখে তাদের সেরকম ধারনা করাটাই স্বাভাবিক। সেই লাশ কাটাটাও একটা গবেষনা ছিলো, সেটাওতো বিজ্ঞান। সেটা ছিলো একটা ধাপ, যার পরবর্তি ধাপ গুলোতে পর্যায়ক্রমে মানুষ শরীর সম্পর্কে জানতে জানতে আজ এই পর্যায়ে এসেছে। কোন ধাপই কিন্তু গুরত্বহীন না। এখনও বলা যায় মানুষ কিছুই জানেনা শরীর সম্পর্কে, পরবর্তী ধাপ গুলোতে গিয়ে জানবে; এখনকার অনেক ধারনাই তখন ভুল প্রমানিত হবে, হাস্যকর মনে হবে।

বিবর্তন শুধু শরীরে হয়না, চিন্তা-ভাবনাতেও হয়। ধর্ম গুলোও মানুষের চিন্তা-ভাবনার বিবর্তনেরই একটা অংশ... বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রানীদের মধ্যে একে অপরের সাথে যেমন প্রচুর মিল, সব ধর্মগুলো দেখলেও প্রচুর মিল দেখতে পাওয়া যায় পরস্পরের মধ্যে। আজকে মুসলমানদের মধ্যে আমরা শিয়া এবং সুন্নি টাইপের গ্রুপ দেখতে পাই, বিবর্তনের একটা ধাপে গিয়ে দেখা যাবে এরা স্বতন্ত্র ধর্মে পরিনত হয়েছে, সেই ধর্মগুলোও আবার পর্যায়ক্রমে ভাংতে থাকবে। সেই সাথে চলবে প্রযুক্তির উন্নতি, বিজ্ঞান যত এগিয়ে যাবে, ততো বেশি অজানা রহস্য উদঘাটিত হতে থাকবে, স্বাভাবিক ভাবেই নাস্তিকও বাড়তে থাকবে। মগজ হলো রক্ত ঠান্ডা করার যন্ত্র, এটা সেই সময়ে যত সহজে যত বেশি মানুষ বিশ্বাস করেছিলো, এখন তা করবেনা। অবিশ্বাস করবে, কারন মানুষ এখন শরীর সম্পর্কে সেই সময়ের চেয়ে অনেক বেশি জানে। তবে আস্তিক থাকবে চিরকালই। নাস্তিকও চিরকালই ছিলো, ভবিষ্যতেও থাকবে। সংখ্যায় শুধু কম-বেশি হবে।

আমাদের দেওয়ানবাগী পীর নিজেকে মহানবীর সাথে তুলনা করতে শুরু করেছে, ইউটিউবে তার বক্তব্যের ভিডিও কয়েকটা দেখলেই বুঝতে পারবেন। মহানবীর চেহারা নাকি তার মতো ছিলো, আল্লাহর সাথে তার নাকি সরাসরি কথা হয়। এই যুগে এসেও তারতো ভক্তের কোন অভাব দেখা যাচ্ছেনা। অনেক নাস্তিক ব্লগারের কল্লাতো ফালায় দিলো, কই দেওয়ানবাগীর কল্লাতো কেউ ফেললো না! কারন ধর্ম হলো ব্যাবসা, পরিবহন ব্যাবসায়ীদের মতো ধর্ম ব্যবসায়ীরাও একজোট, নাস্তিক্যবাদ হলো তাদের জন্য হুমকি, সেজন্য তাদের কল্লা ফেলে দেয়ার দরকার হয়, দেওয়ানবাগীদের হয়না।

এই দেওয়ানবাগীকে দেখে বোঝা যায়, সেই প্রাচীন যুগে এই ধরনের লোকদের পক্ষে নতুন ধর্ম প্রবর্তন করা কতোটা সহজ কাজ ছিলো। একটা ডাক দিলেই লাইন দিয়ে অনুসারী। কেউ হয়তো নিজে ভালো থাকার স্বার্থে নতুন ধর্ম প্রবর্তন করেছিলো, কেউ হয়তো হ্যালুসিনেশন টাইপ সমস্যায় ভুগে নতুন ধর্ম প্রবর্তন করেছিলো, এই যুগে যাদের কোনভাবে নিয়ে আসা গেলে সরাসরি মানসিক রোগীর ডাক্তারের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হতো অথবা পাগলা গারদে।

৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৭

নতুন বলেছেন: নক্‌শী কাঁথার মাঠ চমতকার বলেছেন আর এই জন্যই গত ১৫০০ বছরে নতুন কোন ধম` তৌরি হয়নাই। আর মনে হয় হবেও না।

দেওয়ানবাগীর মতন ভন্ডপীরের অনুসারীদের দেখলে আসলেই বোঝা যায় যে মানুষকে মোটিভেট করা খুব একটা জটিল কাজ না কারন অঙ্গতায় বিশ্বাসের ফলন ভাল হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.