নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন নিষ্ঠাবান দেশপ্রেমিক

আমি কেউ না, আমি একজন নিষ্ঠাবান দেশপ্রেমিক।।

অজানা পথের দিশারি

ফেইসবুক প্রোফাইলঃ https://www.facebook.com/deshpremikr3turns

অজানা পথের দিশারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অতীত ভুলে যাবো? ??? কিভাবে???? :|

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৭





একাত্তরে পুরো ৯ মাস পাকিস্তানি সৈন্যরা অতর্কিত

হামলা চালিয়ে ঘটনাস্থলে, কনসেনট্রেশন

ক্যাম্পে বাঙালি নারীদের ধরে নিয়ে গিয়ে দিনের

পর দিন আটকে রেখে ধর্ষণের

যে ঘটনা ঘটিয়েছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই

তা গণধর্ষণ। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে বাড়ির পুরুষ

সদস্য, স্বামীদের হত্যা করার পর নারীদের উপর

ধর্ষণ নির্যাতন চালাতো পাকিস্তানী সৈন্যরা।

সুসান ব্রাউনি মিলার তার গ্রন্থের ৮৩ পাতায়

উল্লেখ করেছেন,

কোনো কোনো মেয়েকে পাকসেনারা এক রাতে ৮০

বারও ধর্ষণ করেছে। ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস

ফাইন্ডিং কমিটির “যুদ্ধ ও নারী” গ্রন্থ

থেকে জানা যায়, এক একটি গণধর্ষণে ৮/১০

থেকে শুরু করে ১০০ জন পাকসেনাও অংশ নিয়েছে।

একাত্তরের ভয়াবহ ধর্ষণ সম্পর্কে একমাত্র

জবানবন্দিদানকারী সাহসিক

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী তার

সাক্ষাৎকারে (একাত্তরের দুঃসহ স্মৃতি,

সম্পাদনা শাহরিয়ার কবির) জানান, “রাতে ফিদাইর

(উচ্চ পদস্থ পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা)

চিঠি নিয়ে ক্যাপ্টেন সুলতান, লে. কোরবান আর

বেঙ্গল ট্রেডার্সও অবাঙালি মালিক ইউসুফ

এরা আমাকে যশোরে নিয়ে যেত। যাওয়ার

পথে গাড়ির ভেতরে তারা আমাকে ধর্ষণ করেছে।

নির্মম, নৃশংস নির্যাতনের পর এক পর্যায়ে আমার

বোধশক্তি লোপ পায়। ২৮ ঘন্টা সঙ্গাহীন ছিলাম”।



পাকিস্তানি সৈন্যদের ধর্ষণের বীভৎসতার ধরন

সম্পর্কে পুনর্বাসন সংস্থায় ধর্ষিতাদের

নিবন্ধীকরণ ও দেখাশোনার সঙ্গে যুক্ত

সমাজকর্মী মালেকা খান জানান, সংস্থায়

আসা ধর্ষিত নারীদের প্রায় সবারই ছিল ক্ষত-

বিক্ষত যৌনাঙ্গ। বেয়োনেট

দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ছিড়ে ফেলা রক্তাক্ত যোনিপথ,

দাঁত দিয়ে ছিড়ে ফেলা স্তন, বেয়োনেট

দিয়ে কেটে ফেলা স্তন-উরু এবং পশ্চাৎদেশে ছুরির

আঘাত নিয়ে নারীরা পুনর্বাসন কেন্দ্রে আসতো।



পাকিস্তানি সৈন্যরা আমাদের নারীদের

একাত্তরে কতো বীভৎসভাবে ধর্ষণসহ যৌন নির্যাতন

করেছে তার ভয়াবহতা সবচেয়ে বেশী ধরা পড়ে ১৮

ফেব্রুয়ারী ৭৪ সালে নেয়া রাজারবাগ পুলিশ

লাইনে একাত্তরে সুইপার হিসেবে কাজ

করা রাবেয়া খাতুনের বর্ণনা থেকে। প্রামান্যকরন

প্রকল্পের অষ্টম খন্ডে গ্রন্থিত ঐ বর্ণনায়

তিনি জানান, "উন্মত্ত পান্জাবি সেনারা নিরীহ

বাঙালী মেয়েদের শুধুমাত্র ধর্ষণ করেই ছেড়ে দেয়

নাই অনেক পশু ছোট ছোট বালিকাদের ওপর পাশবিক

অত্যাচার করে ওদের অসার রক্তাক্ত দেহ

বাইরে এনে দুজনে দুপা দুদিকে টেনে ধরে চড়াচড়িয়ে ছিড়ে ফেলে ছিল।

পদস্থ সামরিক অফিসাররা সেই সকল মেয়েদের ওপর

সম্মিলিত ধর্ষণ করতে করতে হঠাৎ একদিন

তাকে ধরে ছুরি দিয়ে তার স্তন কেটে, পাছার মাংস

কেটে, যোনি ও গুহ্যদ্বারের মধ্যে সম্পূর্ণ

ছুরি চালিয়ে দিয়ে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে ওরা আদন্দ

উপভোগ করতো । প্রতিদিন রাজারবাগ পুলিশলাইনের

ব্যারাক থেকে এবং হেডকোয়ার্টার অফিসে ওপর

তলা থেকে বহু ধর্ষিত মেয়ের ক্ষত-বিক্ষত বিকৃত লাশ

ওরা পায়ে রশি বেধে নিয়ে যায় এবং সেই জায়গায়

রাজধানী থেকে ধরে আনা নতুন মেয়েদের চুলের

সঙ্গে বেধে ধর্ষণ আরম্ভ করে দেয়। "



মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত লিখিত সূত্র, সমাজকর্মীদের

সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৫ মার্চ

থেকে পাকিস্তানিদের ধারাবাহিক ধর্ষণ

উন্মত্ততার সঙ্গে মধ্য এপ্রিল থেকে যুক্ত হতে শুরু

করে এদেশীয় দোসর রাজাকার, শান্তি কমিটি, আল

বদর ও আল শামস্ বাহিনীর সদস্যরা। এরা বিভিন্ন

স্থান থেকে নারীদের ধরে আনার

পাশাপাশি ধর্ষণে অংশ নিয়েছে।



তাই তো আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি এদের ফাঁশির দাবি নিয়ে।। আমাদের একটাই মাত্র দাবি রাজাকারদের ফাঁশি।।



রাজাকার তোদের ফাঁশি চাই।। ফাঁশি ছাড়া তোদের রেহাই নাই।।



জয়য়য়য়য়য়য়য়য়য়য়য়য় বাংলা.। ।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.