![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেইসবুক প্রোফাইলঃ https://www.facebook.com/deshpremikr3turns
৬টি আলটিমেটাম:
১) ঘাতক জামাত শিবিরের হামলায় শহীদ রাজীব
হায়দার, জাফর মুন্সী, বাহাদুর মিয়া, কিশোর রাসেল
মাহমুদ হত্যাকান্ডে জড়িতদের আগামী ৭দিনের
মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।
২) ২৬ শে মার্চের পূর্বে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক
সন্ত্রাসী জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার
লক্ষ্যে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যায়
নেতৃত্বদানকারী জামায়াতে ইসলামীর
বিরুদ্ধে সুশোধনী আইনের অধীনে অভিযোগ গঠন
এবং নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
৩) অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধী সংগঠনগুলোর আর্থিক উৎস,
যেসব উৎস থেকে সকল প্রকার জঙ্গিবাদী,
এবং দেশবিরোধী তৎপরতার আর্থিক জোগান দেয়া হয়,
সেগুলো চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার
জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
৪) যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া গতিশীল ও
অব্যহত রাখতে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইবুন্যালকে স্থায়ী রূপ দিতে হবে।
৫) গণমানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে জামায়াত-
শিবিরের সন্ত্রাস ও তান্ডব বন্ধে অবিলম্বে আইন
শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ অভিযান
পরিচালনা করে সকল সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অবৈধ
অস্ত্র উদ্ধারসহ গোপন আস্তানা সমূহ উৎখাত
করতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এদের
ভয়ংকর রূপ প্রকাশ করে দিতে হবে।
৬) যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষক এবং হত্যা ও
সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতা গণমাধ্যমগুলির
বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এই দাবী আদায়ের লক্ষ্যে নিচের ১১
কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছেঃ
১) ২২ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার মহান
স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধী জামাত-
শিবির চক্রের হাতে নিহত শহীদের আত্মার
মাগফেরাত কামনা করে বাদ জুম্মাহ
প্রতিটি মসজিদে বিশেষ দোআ অনুষ্ঠিত হবে । একই
সাথে প্রতিটি মন্দির, গীর্জা,
প্যাগোডা এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের নিজ নিজ
উপাসনালয়ে নিজ নিজ ধর্মীয়
রীতিতে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
২) ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ই মার্চ, ২০১৩ পর্যন্ত দেশ
ও দেশের বাইরে ছয় দফা দাবির
প্রতি একাত্মতা জানানো মানুষের গণস্বাক্ষর সংগ্রহ
অভিযান চলবে।
প্রত্যেকে যে যার যার অবস্থানে থেকে নিজ
দায়িত্বে নিজ নিজ পরিবার, প্রতিবেশী,
কর্মক্ষেত্র, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকলের স্বাক্ষর সংগ্রহ
করে পাঠিয়ে দিবেন প্রজন্ম চত্বরের গণজারণ
মঞ্চের ঠিকানায়। এছাড়া অনলাইনে গণস্বাক্ষর
সংগ্রহের জন্য গণ জাগরণ মঞ্চের পক্ষ
থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দেশব্যাপী সংগৃহীতত গণস্বাক্ষরগুলো সংগ্রহের জন্য
শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে আমাদের
একটি সংগ্রহশালা থাকবে। আমরা এই গণস্বাক্ষর
নিয়ে মাননীয় স্পিকারের মাধ্যমে মহান জাতীয়
সংসদের কাছে গণমানুষের রায় পৌঁছে দিবে।
৩) ১লা মার্চ থেকে ২০ মার্চ, ২০১৩
প্রতিটি বিভাগীয় শহরে স্থানীয় জনসাধারণের
সুবিধাজনক সময়ে গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ
থেকে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। যার তারিখ
পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে।
৪) ২৩শে ফেব্রুয়ারি রায়েরবাজর বধ্যভূমিতে বিকাল
তিনটায় সমাবেশ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত
সর্বস্তরের জনগণকে উক্ত সমাবেশে উপস্থিত থাকার
উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
৫) ২৫ ফেব্রুয়ারি মিরপুর ১০ নং গোল চত্বরে বিকাল
তিনটায় আমাদের দাবিসমূহ আদায়ের লক্ষ্যে সমাবেশ
অনুষ্ঠিত হবে।
৬) ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকাল তিনটায় রাজধানীর
বাণিজ্যিক কেন্দ্র মতিঝিল শাপলা চত্বরে সমাবেশ।
উক্ত সমাবেশে উপস্থিত থেকে আমাদের
দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চলমান সংগ্রামে শামিল
হওয়ার জন্য সবাইকে আহবান জানাচ্ছি।
৭) ১লা মার্চ স্বাধীনতার মাসে সূচনা দিনে ঢাকার
প্রজন্ম চত্বরের গণ জাগরন মঞ্চসহ সারাদেশের সকল
গন জাগরণ মঞ্চে প্রতিবাদী গান পরিবেশিত হবে।
কর্মসূচী শুরু হবে যথারীতি বিকাল তিনটায়।
৮) ৩রা মার্চ বাহাদুর শাহ পার্ক এবং ৫ই মার্চ
যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বিকাল তিনটায় ঐ সমাবেশে উপস্থিত হয়ে দীপ্ত
শপথ গ্রহনের আহবান রইলো সবার প্রতি।
৯) ৭ই মার্চ সোহরাওয়াদী উদ্যানের
শিখা চিরন্তনে শ্রদ্ধা নিবেদন সমাবেশ ও
প্রতিবাদী গান।
১০) পাশাপাশি শাহবাগে প্রজন্ম চত্বরসহ
সারা দেশের সকল গণজাগরণ মঞ্চে সাংস্কৃতিক
কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে এবং প্রতি শুক্রবার
প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
১১) এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের
প্রতিটি রায় ঘোষণার আগের দিন জামায়াত
শিবিরের তান্ডব প্রতিহত করতে বিকাল
তিনটা থেকে প্রজন্ম চত্বরের গণ জাগরণ
মঞ্চে জমায়েত হবো।
গণ জাগরণ মঞ্চ থেকে এগুলি ঘোষণা করেন ড. ইমরান
এইচ সরকার।
ইনশাল্লাহ আমাদের দাবি পূরণ হবেই হবে।।জয়য়য়য়য়য় বাংলা।।
©somewhere in net ltd.