![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেইসবুক প্রোফাইলঃ https://www.facebook.com/deshpremikr3turns
ভাগীরথী সাহা কোনো সাধারণ নারী ছিলেন না,
তাঁর মৃত্যুও কোনো সাধারণ ঘটনা ছিল না।
মুক্তিযুদ্ধের সময় অসম সাহসী এই নারী পিরোজপুর
এলাকার এক পাকিস্তানী সেনা ক্যাম্পে থালা বাসন
ধোয়ার কাজ করতেন। কিন্তু সেটাই তাঁর একমাত্র
পরিচয় ছিল না। পাকিস্তানী সৈন্যদের
সামনে মাথা নীচু করে চুপচাপ কাজ করে যাওয়া এই
নারী সে এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে একজন
তুখোড় গুপ্তচরও ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের
আগে ভাগে জানিয়ে দিতেন পাক
বাহিনী এবং তাদের দোসরদের নানা পরিকল্পনা,
গতিবিধি এবং কর্মতৎপরতার কথা। স্টেনগান
হাতে যুদ্ধ হয়তো করেননি, কিন্তু
স্টেনগানধারী মুক্তিযোদ্ধাদের বহু অপারেশনের
সাফল্যের পেছনে তাঁর অমূল্য অবদান ছিল। এক সময়
স্থানীয় রাজাকারদের কাছে ভাগীরথীর
ভূমিকা প্রকাশ হয়ে পড়ে। ভাগীরথী আখ্যানের পরের
ভাগ এখন ইতিহাসের অংশ। ধরা পড়বার পর
অমানুষিক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়
ভাগীরথীকে, এর পর গুলি করে বলেশ্বর
নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয় তার মৃতদেহ।
নদী যদি কথা বলতে পারতো, তাহলে আজ
সে বলতো শহীদ ভাগীরথীর কথা, তাঁর জীবনের শেষ
মুহুর্তগুলোর কথা, জলের বুকে নিথর দেহ সবার কাছ
থেকে আগলে নিয়ে না-ফেরার
দেশে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা। নীরব বলেশ্বর
নদী ঘটনার সাক্ষী হয়ে বয়ে চলছে ৪২ বছর ধরে . . .
প্রসঙ্গত:, ভাগীরথীকে ধরিয়ে দেয়া সেই
রাজাকারদেরই একজন হল বর্তমানে আন্তর্জাতিক
অপরাধ ট্রাইবুনাল-১ এ বিচারাধীন
আসামী মাওলানা দেলওয়ার হোসেন সাঈদী। আর
মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে তার মামলার রায়
ঘোষণা হবে;
আজ আমরা জানতে পারবো ভাগীরথী সাহা সুবিচার
পেলো কি না। বাংলাদেশ জেগে আছে। আমিও,
আমরাও . . .
জয়য়য়য়য়য়য়য়য়য়য় বাংলা.
©somewhere in net ltd.