নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন নিষ্ঠাবান দেশপ্রেমিক

আমি কেউ না, আমি একজন নিষ্ঠাবান দেশপ্রেমিক।।

অজানা পথের দিশারি

ফেইসবুক প্রোফাইলঃ https://www.facebook.com/deshpremikr3turns

অজানা পথের দিশারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র।। বন বাঁচুক, মানুষ বাঁচুক

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৮

বিদ্যুত উত্‍পাদনের জন্যে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হল কয়লা বিদ্যুত । কোয়াল পাওয়ার প্লান্ট একটা সময় পর্যন্ত বিদ্যুত উত্পাদনের একমাত্র উপায় ছিলো । হাওয়া বিদ্যুত বা জল বিদ্যুত অথবা গ্যাস বিদ্যুত কেন্দ্রের মাধ্যমে যতটুকু বিদ্যুত উত্পাদন সম্ভব , কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্রের মাধ্যমে তার চেয়ে কয়েকগুন বেশী শক্তি পাওয়া যায় । তবে কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র পরিবেশের জন্য যথেষ্টই ক্ষতিকর । এজন্যে উন্নত বিশ্বে বিদ্যুত উত্পাদনে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবহৃত হচ্ছে পারমানবিক শক্তি ।



বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য ক্রমাগত বেড়ে চলা বিদ্যুত চাহিদার সাথে পাল্লা দেওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র । পরমানু বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের বিলাসিতাও সম্ভব না , অন্যান্য উপায়ে বিদ্যুত্ উত্পাদন করে ঘাটতি মেটানো সম্ভব না ।



ঠিক যে কারণে ঢাকা শহরের মাঝখানে একটা ইট ভাটা স্থাপন করা যায় না , তেমনই জনবহুল এলাকায় কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা সম্ভব না । এমন জায়গা যেখানে প্রচুর গাছপালা আছে , লোকালয় থেকে দূরে , সেখানেই কয়লা বিদ্যূত কেন্দ্র স্থাপন সম্ভব । এটা বিশ্বব্যাপী কয়লা বিদ্যূত কেন্দ্র স্থাপনের নিয়ম ।



সারা বিশ্বের বিভিন্ন কয়লা বিদ্যূত কেন্দ্রসমূহঃ







তাইচুং পাওয়ার প্লান্ট , চীন



চীনে­র এই বিদ্যুত্ কেন্দ্র থেকে বার্ষিক 42,000 GW·h বিদ্যূত উত্পন্ন হয় । সাউথ আফ্রিকা , আমেরিকা ইন্দোনেশিয়া থেকে বিটুমিনাস কয়লা কিনে এটা চালানো হয়।







বেলশাতো ইলেকত্রোনিয়া পাওয়ার স্টেশন , পোল্যান্ড



বার্­ষিক 27-28 TWh বিদ্যুত উত্পাদনক্ষম পোল্যান্ডের এই বিদ্যুতকেন্দ্র এগারোতম দূষণকারী কারখানা রুপে গন্য করা হয় ২০০৭ সালে । বেলশাতো পাওয়ার প্লান্ট ১৯৮২ থেকে পোল্যান্ডের মূল বিদ্যূত কেন্দ্রের একটি।







রাটক্লিফ পাওয়ার প্লান্ট , ইংল্যান্ড



ইংল্­যান্ডের নটিংহ্যামশায়ারের এই কয়লা বিদ্যূত কেন্দ ট্রেন্ট নদীর তীরে অবস্থিত । বাত্সরিক দশ মিলিয়ন টন কার্বন ইমিশনকারী এই কারখানায় ব্যবহৃত হয় FGD পদ্ধতি । এতে উদ্ভিতের উপর সালফারের ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাস পায়।



এরকম অসংখ্য উদাহরণ দেয়া যায় ।







ওয়ারডল এলভারলিং পাওয়ার স্টেশন , জার্মানী







শলভেন পাওয়ার স্টেশন , জার্মানী







ল্যাম্বটন কোয়াল প্লান্ট , কানাডা







সাতপুর কয়লা বিদ্যূত কেন্দ্র । ভারত







থাই বিন কোয়াল প্লান্ট । ভিয়েতনাম



সুন্দরবনসহ যেকোনো বনাঞ্চলই আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ । কিন্তু কয়লা বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের জন্যে এর আশেপাশেই স্থান নির্বাচন করতে হবে । যাতে করে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড কার্বন মনোক্সাইড শোষিত হয় । সেই সাথে FGD এর মতো উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বৃক্ষরাজীকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থেকে বাঁচাতে হবে ।



বন বাচুক । মানুষ বাচুক ।



পোস্টটি লিখেছেনঃ অর্ফিয়াস রিবর্ন

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সুন্দরবনের একটা গাছও মরবেনা, বাঘও মরবে না।
বাংলাদেশ এখনো বিদ্যুত ঘাটতির দেশ। দেশটির ৪০ ভাগ লোক এখনো বিদ্যুতহিন। গত৫ বছরে ৩ হাজার মেঃওয়াট থেকে ৮ হাজার মেঃওয়াট বৃদ্ধির পরও ঘাটতি ২ হাজার, দিন দিন চাহিদা বাড়ছে ঘাটতিও বাড়ছে। কারন ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের ও নতুন সংযোগের সাথে বিদ্যুত উৎপাদন বাড়িয়েও ঘাটতি কমানো যাচ্ছে না। ৬৩টি নতুন বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পরও বিদ্যুত ঘাটতি মেটানো যাচ্ছেনা।
২১ শতকের মধ্যে দরকার ৩০ হাজার মেঃওয়াট বিদ্যুত। এই জন্য ১হাজার মেঃওয়াটের দুটি পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের চুক্তি হয়েছে রাশিয়ার সাথে। ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে রামপালে।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ প্রথম আলো তে লিখেছেন সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংরক্ষিত বনভূমি ও বসতির ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয় না। ভারতের ‘ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশন অ্যাক্ট, ১৯৭২’ অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয় না।
তিনি ও দুজন ভিআইপি ব্লগার দাবি করছেন আলোচিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুরত্ব ১০-১৫ কিমি। অতচ একুরেট দুরত্ব 21.25 km. গুগল ম্যাপের নিখুত স্যাটেলাইট ম্যাপ অনুযায়ী। যা ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের চেয়ে অনেক নিরাপদ দুরত্বে আছে

ভারতের 60% বিদ্যুত কয়লা চালিত,
চীনের 70% ভাগ,
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 44.9% ,
বাংলাদেশ মাত্র .02 % যা বড়পুকুরিয়ায়, রামপাল চালু হলে 3% হবে মাত্র।

একটা পোষ্ট লিখেছি, তার কিছু অংশ দিলাম
Click This Link

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪

অজানা পথের দিশারি বলেছেন: আপনার লেখাটা অনেক ভালো হয়েছে ++++++++++ দিলাম।। :)

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

আরজু পনি বলেছেন:

:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.