![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসুন! সব ধর্মের অনুসারীকে ভালোবাসি
ইসলাম সুন্দর, আর যা কিছু সুন্দর, ইসলাম সেটাই পছন্দ করে। কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা করার অনুমতি ইসলামে নেই। সমাজ ও দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে শান্তির ধর্ম ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করা যায় না। সমগ্র বিশ্বে ধর্মের নামে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা পবিত্র কোরআনের শিক্ষার সম্পূর্ণ বিপরীত। নৈরাজ্যের মাধ্যমে কেবল বিশৃঙ্খলাই দেখা দিতে পারে, শান্তি নয়। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য চাই শান্তিময় পরিবেশ। নৈরাজ্য সৃষ্টি করে কাউকে ইসলামের সুশীতল ছায়ার বেহেশতি বাতাসের স্বাধ উপভোগ করানো যায় না। বর্তমানে সারা বিশ্বে ধর্মের নামে যে নজিরবিহীন সহিংসতা শুরু হয়েছে, তা ইসলাম কেন বরং কোনো ধর্মই সমর্থন করে না।
সমগ্র বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই ইসলাম নামক ধর্মকে মহান আল্লাহ্ তা’লা এ পৃথিবীতে তার প্রিয় নবী, বিশ্ব নবী, সর্ব জাতির নবী এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হজরত রাসুল কারম (সা.)-কে পাঠিয়েছিলেন। বিশ্বনিয়ন্ত্রণকর্তা সব সময়ই মানুষকে শান্তির পথে আহবান করে থাকে। প্রকৃত-শান্তির ধারক ও বাহক ইসলাম ধর্মের নিষ্ঠাবান, শান্তিপ্রিয়-অনুসারী মুসলমান কখনো সমাজের ও দেশের অশান্তির কারণ হতে পারে না। আল্লাহতাআলা ইসলামকে পূর্ণাঙ্গীন-দ্বীন হিসেবে মনোনীত করেছেন, আর হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বানিয়েছেন সকলের জন্য অনুসরণীয়-আদর্শ। মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তির জীবন শান্তিময় হতে পারে, হোক সে ইহুদী, খ্রিষ্টান বা যে-কোনো ধর্মের অনুসারী।
শান্তির ধর্ম ইসলাম কোন ভাবেই দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অনুমতি দেয় না, বরং যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, তাদের জন্য ভয়াবহ শাস্তির কথাও রয়েছে। যেমন পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ‘যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায়, নিশ্চয় তাদের সমুচিত শাস্তি হলো নৃশংসভাবে তাদেরকে হত্যা করা বা ক্রুশে দিয়ে মারা অথবা তাদের হাত পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলা কিংবা তাদেরকে নির্বাসিত করা। এটা হলো তাদের জন্য ইহকালের লাঞ্ছনা এবং পরকালেও রয়েছে তাদের জন্য এক মহা আযাব’ (সুরা আল মায়েদা, আয়াত: ৩৩)।
রাষ্ট্রের বা সমাজের সামগ্রিক স্বার্থেও প্রয়োজনে বিপজ্জনক সর্বনাশা দৃষ্কৃতকারীকে কঠোরতম শাস্তি প্রদানে ইসলাম ইতস্তত করে না। স্বপ্নবিলাসীদের আবেগ-উচ্ছাস ইত্যাদির তোয়াক্কা না করে যুক্তি ও বিচারের মাপকাঠি অনুসরণ করে ইসলাম রাষ্ট্রের বা জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধকারীর শাস্তি নির্ধারণ করে। এই আয়াতে যে নির্বাসিত করার কথা বলা হয়েছে, হজরত ইমাম আবু হানিফার (রহ.) মতে এর তাৎপর্য হলো কারাদ-। যারা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো ব্যবস্থা নিলে তা কখনো ইসলাম পরিপন্থি হবে না। কেননা, ইসলাম-ই দেশে নৈরাজ্যকারীদের শাস্তি নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
আমাদের এই দেশ একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। এদেশে বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা একত্রে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছে। এখানে যারা অশান্তি সৃষ্টি করবে, তাদেরকে সবাই ঐকবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করতে হবে। বিগত কয়েক মাস ধরে দেশের সর্বত্রে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। যারা সমাজে নাশকতা সৃষ্টি করে তারা কখনো শান্তির ধর্ম ইসলামের অনুসারী হতে পারে না। নি:সন্দেহে এরা ধর্মান্ধ এবং জঙ্গিগোষ্ঠি।
পৃথিবীর সর্বত্র যেন আজ অশান্তি বিরাজ করছে। ইসলামের অনুসারী হবার দাবি করে করা হচ্ছে অনৈসলামিক কাজ। দিনের পর দিন যারা দেশের শান্তি নষ্ট করছে, তাদের কাছে জানতে চাই, আপনাদের হৃদয়ে কী আল্লাহপাকের ভয় নেই? আল্লাহ যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তা কেন আমরা ভুলে যাই। আমরা যদি আল্লাহতাআলার শিক্ষার পরিপন্থি কাজ করি, তাহলে কি তার শ্রেষ্ঠ-উম্মতের দাবিদার হতে পারি? আমার দাবি হচ্ছে শ্রেষ্ঠ-উম্মত হবার, আর কার্যক্রম প্রমাণ করছে আমি নিকৃষ্ট, এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হচ্ছে, আমি শ্রেষ্ঠ নবীর উম্মত হবার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছি।
এই শান্তির ধর্মে কোনো ধরণের বল প্রয়োগ এবং নৈরাজ্যের শিক্ষা নেই। ইসলাম কাউকে হত্যা করার শিক্ষাও দেয় না।
আমরা যারা ইসলামের অনুসারী আমাদেরও কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে, আমাদেরকে ইসলামের প্রকৃত-সৌন্দর্য, কোরআনের শিক্ষা এবং বিশ্ব-নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শ সারা বিশ্বের মাঝে ফুটিয়ে তুলতে হবে। আমরা যদি ইসলামের প্রকৃত আদর্শ ভুলে, হত্যা, জুলুম, নির্যাতনের রাস্তা অবলম্বন করি, তাহলে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরা এটা বলতে সাহস পাবে যে, মুসলমানরা সন্ত্রাসী, আর এরাই পৃথিবীতে সন্ত্রাসী-কার্যক্রম চালাচ্ছে। অথচ ইসলাম শান্তির ধর্ম, একজন মুসলমান শান্তিকামী মানুষ, যে প্রকৃত মুসলমান তার মাধ্যমে কারো কোনো ধরণের ক্ষতি হতে পারে না। তাই তাদেরকে কোনো ভাবেই অভিযোগের সুযোগ দেয়া আমাদের মোটেও ঠিক হবে না। মুখে আল্লাহ ও রাসুলের নাম নিয়ে মানুষকে জিম্মি এবং হত্যা করা তা নিশ্চয় শ্রেষ্ঠ-নবীর আদর্শের পরিপন্থি।
তাই আসুন, এ দেশ আমাদের সবার, আমরা সবাই এদেশকে ভালোবাসি, সকল ধর্মের অনুসারীকে ভালোবাসি, দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিবর্তে সবাই সবার জন্য শান্তি কামনা করি।
১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩৬
আবু আফিয়া বলেছেন: মূল্যবান সময় ব্যয় করে পড়ার ও ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ
২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২৬
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: মন দিয়ে পড়লাম। ভাল লাগল।
মানুষ সেরা জীব। কর্মেই তার আসল পরিচয়।
আমার শুভেচ্ছা নিন।
১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩৯
আবু আফিয়া বলেছেন: মন দিয়ে পড়েছেন শুনে বেশ ভাল লাগল, ধন্যবাদ
৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জন্মো হোক যেথা,কর্ম হোক ভাল।কিন্তু আজ সারা বিশ্বে যেভাবে মানবিকতা বিপন্ন,তাতে আমরা বড় শঙ্কিত।শুভ বুদ্ধির জয় হোক।অবসান হোক অশুভ শক্তির।
রইল অনন্ত শুভেচ্ছা।
১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩
আবু আফিয়া বলেছেন: আসলেই তাই, আমরা চাই সবার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। লেখাটি পড়ার জন্য আর সেই সাথে সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:২৬
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: প্রতিটি ধর্ম মানুষকে ভাল কিছু শেখায়....
ভালো লিখেছেন ।
১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫
আবু আফিয়া বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ!
ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ
৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
টাকা ও ক্ষমতার জন্য নীতি-নৈতিকতা বির্জন দিচ্ছে মানুষ অবলীলায়।
সুন্দর লিখেছেন।
এরকম সবাই মেনে চললছে শান্তির ধর্ম আসলেই প্রমাণ হত।
++++
১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৮
আবু আফিয়া বলেছেন: লেখাটি পড়া ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩১
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: সহমত
সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপর নাই।
মুখে আল্লাহ ও রাসুলের নাম নিয়ে মানুষকে জিম্মি এবং হত্যা করাতা নিশ্চয় শ্রেষ্ঠ-নবীর আদর্শের পরিপন্থি।
ভাল বলেছেন।