নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্ট্যাচু ক্রুজ লাইন। লিবার্টি আইল্যান্ড এবং এলিস আইল্যান্ড এর জন্য ক্রুজ সার্ভিস
Manhattan - Battery Park - Castle Clinton - The ticket booth
অগাস্ট মাস। নিউ ইয়র্ক সিটি। কড়া গ্রীষ্ম, আগুন ঝরাচ্ছে যেন সূর্য্য।
দুপুর ১২টায় বাইরে বিশাল কিউতে দাঁড়িয়ে আছি, স্ট্যাচু অফ লিবার্টি আর এলিস আইল্যান্ড যাবার জন্য টিকেট কাটতে হবে। ফোর্ট ক্লিনটন ম্যানহাটানের একদম দক্ষিনের সী-বিচের ব্যাটারী পার্কে। সবাই এটাকে ব্যাটারী পার্ক বললেও এর অফিসিয়াল নাম “দ্য ব্যাটারী।”
ফোর্ট ক্লিন্টনের বাইরে লিবার্টি আর এলিস আইল্যান্ডে যাবার টিকেট কাউন্টার থেকে অনেক দুরে কিউতে অপেক্ষায়
আঠারো শতকের নব্য স্বাধীন আমেরিকান মিলিটারী বৃটিশদের হামলা থেকে বাঁচার জন্য প্রচুর কামান আর গোলাবারুদ (Batteries) দিয়ে পুরো এলাকা সুরক্ষিত করে রাখতো তাই এর নাম হয়ে যায় ব্যাটারী পর্ক। ১৮২০ সাল থেকে ব্যাটারী পার্ক দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ১৮৯০ সাল পর্যন্ত “The Battery” মূলতঃ আমেরিকার নিউ ইয়র্কে আগত ইমিগ্র্যান্টদের ল্যান্ডিং পয়েন্ট হিসেবে পরিচিত ছিলো। ব্যাটারী পার্কের ঐতিহাসিক ফোর্ট ক্লিন্টন ব্যাবহার হত ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস সেন্টার হিসেবে। ফোর্ট ক্লিন্টন বা ক্যাসল ক্লিন্টন বেলে পাথর দিয়ে বানানো অত্যন্ত সুরক্ষিত ভবন যার দেয়ালগুলো ক্যানন বল প্রুফ (কামানের গোলা প্রুফ)। এ ধরনের দেওয়াল ইউরোপের প্রাচীন স্থাপনাগুলোতে দেখা যায়।কামানের গোলা প্রতিরধক দেওয়াল
ঐতিহাসিক ফোর্ট ক্লিন্টন এখন টিকেটের দোকান (Ticket Hall লেখলে মনে হয় স্মার্ট হত)। লিবার্টি আইল্যান্ড, স্ট্যাচু অফ লিবার্টি আর এলিস আইল্যান্ডে বেড়াতে যেতে হলে এখান থেকে টিকেট কেটে ক্রুজ শিপে উঠতে হবে। প্রায় আধা মাইল লম্বা কিউ। টিকেট হল তো দুরে থাক আমরা এখনো ফোর্ট ক্লিনটনের সদর দরজারও নাগাল পাইনি। ধীরে ধীরে কিউ ধরে এগিয়ে যাচ্ছি। শত শত মানুষ লাইনে, অথচ কি যে সুশৃংখল সবাই। রং বেরংয়ের পোশাকে নানান জাতের নানান বর্ণের সব মানুষ, শিশু থেকে বয়স্ক। পরিবার, কপোত-কপোতি কিংবা একা, দল বেঁধে বা গাইডেড ট্যূরিষ্ট গ্রুপ হয়ে। প্রতিটি মুখ কি যে উজ্জ্বল, কত সুন্দর! ভালো গরম পড়েছে তবে গা ঝলসানো গরম নয়। মাঝে মাঝে আটলান্টিকের মৃদু মিষ্টি বাতাস গায়ে শান্তির পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে।
এর মধ্যে আমরা ফোর্টে ঢুকে গেছি। চারটা উইন্ডো থেকে টিকেট কিনছে ট্যূরিষ্টরা সেজন্য সবাই দ্রুত সার্ভিস পাচ্ছে। টিকেট কেনার পর আরেকটা আধা মাইল লম্বা কিউ ধরে ক্রমে এগিয়ে গেলাম ক্রুজ শিপের কাছে। স্ট্যাচ্যূ ক্রুজ লাইনের বোটগুলো প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত পঁচিশ মিনিট পর পর নিউ ইয়র্ক এবং নিউ জার্সি থেকে ছেড়ে যায়। ম্যানহাটানের দ্যা ব্যাটারী পিয়ার (Pier) থেকে যে জাহাজে আমরা উঠেছি তার নাম “লেডি লিবার্টি”। জাহাজে উঠে প্রথমেই বার থেকে সবার জন্য সফট ড্রিংকস কিনে নিলাম। যে গরম পড়ছে, না জানি ডিহাইড্রেশান হয়ে যায়। রমরমা ট্যূরিষ্ট সীজন, জাহাজ ভর্তি ট্যূরিষ্টস্ তবে ওভারলোডেড নয়। সঙ্গত কারনে টপ ডেকে ভীড় সবচেয়ে বেশী। রোদের প্রচন্ড উত্তাপ উপেক্ষা করে আমরাও টপ ডেকে উঠেছি।
জেটি থেকে বেরিয়ে আটলান্টিকের বুক চিরে ঝিরঝির শব্দে এগিয়ে যাচ্ছে লেডি লিবার্টি, গন্তব্য লিবার্টি আইল্যান্ড। পেছনে একটু একটু করে দুরে সরে যাচ্ছে অপরূপ ম্যাহাটান, সামনে ক্রমশঃ বড় হতে হতে এগিয়ে আসছে লিবার্টি আইল্যান্ড যেখানে গর্বিত ভঙ্গিতে বেদীর উপর দাঁড়ানো স্ট্যাচু অফ লিবার্টি।এগিয়ে যাচ্ছি লেডি লিবার্টির দিকে
১৬৬৪ সালে ডাচ্-রা ইংরেজদের কাছে সারেন্ডার করলে ফোর্ট আমস্টার্ডামের পতন হয়। ইংলিশ গভর্ণর রিচার্ড নিকোলস ক্যাপ্টেন রব নীডহ্যামকে হাডসন নদীর মোহনায় নিউ জার্সি সংলগ্ন এই দ্বীপটি দান করেন। ১৬৬৭ সালে আইজ্যাক বেডলো দ্বীপটি কিনে নেন। তখন থেকে দ্বীপটির নাম হয়ে যায় বেডলোজ (Bedloe’s) আইল্যান্ড। ১৮০০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে স্বাধীন আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক রাজ্য সরকার বেডলোজ, এলিস এবং গভর্ণরস আইল্যান্ড ফেডারেল সরকারের সম্পত্তি হিসেবে নিউ ইয়র্কের সাথে একিভূত করে নেয় (যদিও এগুলোর আসল মালিক নিউ জার্সি রাজ্য সরকার, সে আরেক গল্প)। ১৯৫৬ সালে বেডলোজ আইল্যান্ডের নাম পাল্টে রাখা হয় লিবার্টি আইল্যান্ড। যথার্থ এবং সার্থক নামকরণ।
বৃটিশদের উপর্যুপরি হামলা থেকে বাঁচার জন্য এবং পাল্টা হামলার জন্য আমেরিকানরা বেডলোজ আইল্যান্ডে একটা দূর্গ বানিয়েছিলো যার নাম ফোর্ট উড। এই Star shaped বা তারা আকৃতির দূর্গের প্রাচীরগুলোই স্ট্যাচ্যূ অফ লিবার্টির মূল বেদী। লেডী লিবার্টি এখন আমেরিকানদের জাতীয় সম্পদ, স্মৃতিসৌধ এবং বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ট্যূরিষ্ট স্পট।
ধীরে ধীরে কাছে আসছে লেডি লিবার্টি . . . আহা রোমাঞ্চ . . .
লিবার্টি আইল্যান্ড, নিউ জার্সী এবং নিউ ইয়র্ক সিটি
বাইশ মিনিট পর ক্রুজ শিপ “লেডি লিবার্টি” লিবার্টি আইল্যান্ডের ঘাটে ভীড়লো, আবার শুরু হল পায়ের উপর জনস্রোতে ভাসা। জেটি থেকে নামতেই মনুমেন্টের পেছনের অংশ চোখে পড়ে। একটু এগুতে চোখে পড়লো ইটের দেওয়ালে তাম্রলিপিঃ-
Statue of Liberty National Monument
United States Department of the Interior
National Park Service
আরেকটু এগিয়ে গেলে বড়সড় অথচ অর্ধনমিত স্টারস এন্ড স্ট্রাইপস্ (আমেরিকান পতাকার ডাকনাম)। এ মাসের (অগাস্ট ২০১৯) শুরুর দিকে টেক্সাস আর কানেক্টিকাটে দুটো শ্যূটিং হয়েছে যেখানে প্রায় পঞ্চাশজনের মত প্রান হারিয়েছে। ভয়াবহ এই হত্যাকান্ডের কারনে গোটা আমেরিকা শোকে বিমূঢ়। সাত দিন আমেরিকার পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। কিন্তু ট্যূরিষ্টদের কারো ভ্রুক্ষেপ নেই এ নিয়ে, কিছু জানেইনা হয়তো। প্রচুর এশিয়ান আর ইউরোপিয়ান ট্যুরিষ্ট সমাগম হয়েছে, স্থানীয়রাও কম নয়। বৃটেনে এশিয়ান বলতে দক্ষিন এশিয়ান বা আমাদের বোঝায় কিন্তু নর্থ আমেরিকানদের কাছে এশিয়ান মানে বোঁচা নাকওয়ালারা (চায়নীজ, জাপানীজ কোরিয়ান ইত্যাদি)। লিবার্টির বেদীর নীচে বিশাল লাইব্রেরী আর রেস্ট্যুরেন্ট। আর বাঁ দিক থেকে নীচের দিকে আছে লিবার্টির ভেতরে ঢোকার ব্যাবস্থা, সিঁড়ি বা লিফটে করে একেবারে মশাল পর্যন্ত ওঠা যায়। দুর্ভাগ্য, কমপক্ষে দু সপ্তাহ আগে থেকে বুকিং না করলে টিকেট পাওয়া সম্ভব না, তার উপর এখন সামার, পিক সিজন। হয়তো তিন মাস আগেই টিকেট সব শেষ, কে জানে?
যতই দেখি ততই অবাক হই, হারিয়ে যাই ইতিহাসে। আব্বুর কথা মনে পড়লো, আমার বাবা ছিলেন জীবন্ত ইতিহাসের বই। আব্বু বেঁচে থাকলে অনেক খুশী হতেন, তখন তিনি দেখতেন লিবার্টিকে, আমি প্রানভরে দেখতাম আব্বুকে। উপভোগ করতাম তাঁর আনন্দ।
১৮৮৬ সালের ২৮ অক্টোবর তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লীভল্যান্ড আনুষ্ঠানিক ভাবে স্ট্যাচু অফ লিবার্টিকে এই দ্বীপে উৎসর্গ করেন যদিও এর আগমন হয়েছিলো আরো আগে। ৩৫০ টি আলাদা আলাদা খন্ড ২১৪টি ক্রেটে ভরে ফরাসী জাহাজ ইসেরেতে করে অতল অতলান্তিক (আটলান্টিক) পেরিয়ে ফ্রান্স থেকে আমেরিকার হাডসন নদীর মোহনায় এসে পৌঁছে ১৮৮৫ সারের ১৭ জুন।
রোমান মূক্তির দেবী লিবেরতাস্ এর নাম এবং চেহারার মিল রেখে বানানো বিশাল মূর্তি ‘লিবার্টি’ তৎকালীন ফ্রান্স সরকার আমেরিকানদের জন্য বিশেষ উপহার হিসেবে পাঠিয়েছিলো আমেরিকার গৃহযুদ্ধ শেষে দাস প্রথা বিলুপ্তির পর অপার সম্ভাবনাময় এবং সুন্দর ভবিষ্যতের স্মারক হিসেবে। লোহা, ইস্পাত এবং বাইরের অংশ পেটানো তামা দিয়ে তৈরীএই অতিকায় মূর্তিটি যুক্তরাষ্ট্রের শতবর্ষপূর্তিতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ফ্রান্সের বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে উৎসর্গ করা হয়েছিল ২৮ অক্টোবর ১৮৮৬ সালে। লিবার্টির পা থেকে মশাল পর্যন্ত উচ্চতা ১১১ফুট (৩৪ মিটার) আর ফাউন্ডেশন থেকে মশালের উপরিভাগ পর্যন্ত মাপলে হবে ৩০৫ফুট (৯৩) মিটার। মাথার মুকুটে সাতটি পয়েন্ট যা পৃথিবীর সাত সাগর এবং সাত মহাদেশের প্রতীক। লিবার্টির ডান হাতের মশালের আলোর উপরিভাগ ২৪ ক্যারেট স্বর্ণ দিয়ে খচিত। উদ্ধত ডান হাতের উচ্চতা প্রায় ১৩ মিটার (৪২ফুট), তর্জনীর দৈর্ঘ আট ফুট, তর্জনীর নখের উপরিভাগ ১২ ইঞ্চি। লিবার্টির বাঁ হাতে ধরা ট্যাবলেটকে সবাই বই মনে করে। ট্যাবলেটের উপর তাম্রলিপিতে রোমান হরফে আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণার তারিখ খচিত রয়েছেঃ-
JULY IV MDCCLXXVI.
লিবার্টির পায়ের ভাঙ্গা শেকল আমেরিকার কলংকিত দাস প্রথা থেকে মুক্তি এবং নারী স্বাধীনতার প্রতীক। লিবার্টির শরীরের সামুদ্রীক সবুজ রং তামার উপর মরচের প্রভাব যা এই বিশাল মুর্তি বা কলোসাস (Colossus) কে বিশেষ সৌন্দর্য এনে দিয়েছে।
বেদীর উপর দাঁড়ানো স্ট্যাচু অফ লিবার্টির ওজন ২০৪ টন।প্রায় এক কোটি ইমিগ্র্যান্টদের নীরবে স্বাগত জানিয়ে এসেছে লেডি লিবার্টি
স্ট্যাচু অফ লিবার্টির স্থপতিরা হচ্ছেন, ফ্রেডেরিক অগাস্টে বার্থোল্ডি এবং গুস্তাভ আইফেল (Frédéric Auguste Bartholdi & Gustave Eiffel) - গুস্তাভ প্যারিসের আইফেল টাওয়ারেরও স্থপতি যিনি স্ট্যাচু অফ লিবার্টির আভ্যন্তরীন স্ট্রাকচার করার সময় পুরোপুরি জ্যামিতির উপর নির্ভরশীল ছিলেন এবং সফল হয়েছেন)। তৎকালীন ফ্রান্স সরকার লিবার্টি নির্মানের সকল খরচ বহন করেন যার বর্তমান মূল্য সাড়ে ছয় মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ষাট কোটি টাকা।
ভালো করে দেখতে দেখতে স্ট্যাচূর পেছনদিক থেকে ঘুরে বাঁ দিক হয়ে সামনের অংশে এসে দাঁড়ালাম। লিবার্টির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কেমন অনুভূতি হল ভাষায় প্রকাশ করতে পারবোনা। প্রথমতঃ আমি লেডি লিবার্টির সামনে দাঁড়িয়ে, এটা আমার জানা ছিলো একদিন ঠিক এখানে, এভাবে দাঁড়াবো। ছবি তুলবো, প্রানভরে নিশ্বাস নেব। স্বপ্নের সাথে বাস্তবের মিল খুব কমই হয়, আমার হয়েছে। দ্বিতীয়তঃ আবহাওয়া আর জলবায়ু, দুটোই পক্ষে, সোনায় সোহাগা। এত গভীর নীল আকাশ আর শান্ত নীল আটলান্টিক পাবো আশা করিনি। বৃটেনের এই বৃষ্টি এই মেঘ দেখতে দেখতে তিতা মন নিউ ইয়র্কের ঝকঝকে নীল আকাশ আর উজ্জ্বল রোদের কাছে ঋণী হয়ে গেলো।
লেডি লিবার্টির পায়ের কাছের বাঁধানো ঘাটে যখন আটলান্টিকের আছড়ে পড়া হঠাৎ ঢেউয়ের মিহি শীতল স্প্রে মুখে, গলায় আর হাতে লাগে, এমন তপ্ত দিনে ভালোলাগায় বুকটা হু হু করে।
স্ট্যাচু অফ লিবার্টি. . . মূক্ত পৃথিবীর প্রতীক। জাহাজে করে আসা ইমিগ্র্যান্টদের সবার আগে চোখে পড়ত লিবার্টি। ডেকে দাঁড়িয়ে চোখের জল ভিজিয়ে আবেগে চীৎকার করতো, লিবার্টি! লিবার্টি! আমেরিকা… স্বপ্নের আমেরিকা!! উনবিংশ শতাব্দীতে জাহাজে করে আসা প্রায় এক কোটি ইমিগ্র্যান্টদের নীরবে স্বাগত জানিয়ে এসেছে লেডি লিবার্টি। লেবারেতাস্। আজও একই ভাবে স্বাগত জানায় ইমিগ্র্যান্টদের, আবার ট্যুরিষ্টদেরও।
স্ট্যাচূ অফ লিবার্টি দেখতে প্রতি বছর গড়ে পঁয়ত্রিশ লক্ষ পর্যটকের সমাগম হয়।
এখান থেকে আমরা যাবো এলিস আইল্যান্ডে। এলিস আইল্যান্ড নিয়েও বিস্তারিত লিখবো. . .
© ছবি: আফলাতুন হায়দার চৌধুরী
০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:১১
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ। পড়ার পর কেমন লাগলো জানালে বাধিত থাকবো।
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০২
রাজীব নুর বলেছেন: আমেরিকা আমার পছন্দের দেশ।
এই দেশের সুব কিছুই আমার ভালো লাগে।
০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:১৩
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আরো লেখার ইচ্ছে করে কিন্তু সময় করতে পারিনা। ভালো থাকবেন।
৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ সময় পেলেই লিখবেন। এবং লেখার সাথে অবশ্যই অনেক গুলো ছবি দিবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১২
করুণাধারা বলেছেন: সময় নিয়ে পড়তে হবে।