নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ না।

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাম থাপ্পড়

২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬

"পাসপোর্ট কেড়ে নেবার পর যখন বুঝলাম সে ফ্রড, আমি অসুস্থ্য হয়ে পড়ি" এই কথা শুনে আমার মাথায় আগুন ধরে গিয়েছিলো। প্রতিজ্ঞা করলাম, বিষয়টা আজীবন মনে রাখবো।

নেকদিন আগের কথা। চট্টগ্রামে এক বাসায় সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছি। সেখানে মধ্যবয়েসী এক ভদ্রলোক ছিলেন, সম্প্রতি কলকাতা ঘুরে এসেছেন বাই রোডে। তিন বলছিলেন এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। সে আমলে সরাসরি ঢাকা-কলকাতা বাস চলতোনা। বর্ডারে নেমে ওপারে গিয়ে আবার ট্রান্সপোর্ট ধরা লাগতো। সুতরাং দুই পাশের ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ইত্যাদি ফরমালিটিজ সেরে ওপারে গিয়ে যে যার যার মত কলকাতায় রওনা হত। বেশীরভাগই কলকাতার বিখ্যাত এ্যাম্বাসেডর ট্যাক্সী ক্যাবে করে সরাসরি শহরে চলে যেতো।

ভদ্রলোক বলছিলেন, তিনি সব ফরমালিটিজ শেষ করে হেঁটে অনেকখানি এগিয়ে গেলেন ট্যাক্সী ধরার জন্য হঠাৎ সামনে এক লোক এলো। সাদা হাফ শার্ট প্যান্টে গোঁজা। কালো ফরমাল জুতো। বুক পকেট থেকে কি জানি একটা খানিকটা তুলে আবার পকেটে রাখলো। তারপর বললো সে ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে, পাসপোর্ট দেখাতে বললো। পাসপোর্ট হাতে নিয়ে জানতে চাইলো এই ভিসা জেনুইন কিনা চেক করবে, ফলো করতে বলে হাটা শুরু করলো। এর মধ্যে পাসপোর্ট সে তার প্যান্টের পকেটে ভরে রেখেছে। ভদ্রলোক পেছন পেছন হাটছেন আর বলছেন জেনুইন না হলে ইমিগ্রশনই বলতো। এখন কেন এসব প্রশ্ন আসছে। তিনি বারবার বলছিলেন পাসপোর্ট ফেরত দিতে। বেশ খানিকটা হাটিয়ে খানিকটা নিরিবিলিতে গিয়ে সে বললো দশ হাজার (তখন প্রায় ২৫০ ডলার) টাকা দিলে পাসপোর্ট ফেরত পাবে। এর পর ওর সাথে চিল্লাচিল্লি আর হাতাহাতি অবস্থা। কিছুতেই কিছু হচ্ছেনা, অনেকখন ধরে ঝগড়া, হাত পা ধরাধরি এসবের পর চার হাজার টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট ফেরত পেলো। যত সংক্ষেপে লেখলাম মূল ঘটনা তত সংক্ষিপ্ত নয়। বিমূঢ়, ভুক্তভোগী ভদ্রলোক অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। সীমান্তে ওই একই রকম বদমায়েসীর কথা পরে পত্রিকায়ও পড়েছি।

* * * * * * * * * * * *

ওই ঘটনার অনেকদিন পরের কথা। আমরা তিন বন্ধু মিলে বাসে করে বেনাপোল হয়ে কলকাতা যাচ্ছি। আগেই বলে রাখি আমরা তিনজন মেরীন অফিসারস। দুনিয়ার বহুত দেশের কাস্টমস, ইমিগ্রেশন করে অভ্যস্থ। এপারে এবং পরে ওপারে সব ফরমালিটিজ সেরে আমরাও পায়ে হেঁটে ট্যাক্সীর দিকে যাচ্ছি। আমি ঢিমে তালে চারপাশ দেখতে দেখতে স্লো হাঁটছিলাম, কারন আমি গোঁ ধরেছি আগে মাড়ির ভাঁড়ে চা খাবো তারপর অন্য কথা। তাই খানিকটা পিছিয়ে পড়লাম, ওরা সামনে। এর মধ্যেই দেখি আমার সামনে এক লোক দাঁড়ালো অনেকটা পথ রোধ করার ভঙ্গিতে। ফুলপ্যান্টে সাদা হাফশার্ট গোঁজা, বুক পকেট থেকে একটা কিছু অর্ধেকটা বের করে আবার রেখে দিতে দিতে বললো সে আমার পাসপোর্ট দেখতে চায়। সেকেণ্ডের মধ্যে আমার ব্রেনে ফ্ল্যাশ করতে লাগলো অনেকগুলো ঘটনা; বেনাপোল বর্ডার পেরিয়ে ভারত, পাসপোর্ট দেখতে চাওয়া, কায়দা করে হাতিয়ে নেওয়া, অনেক টাকা দাবী করা নয়তো পাসপোর্ট দেবে না, সেই ভদ্রলোকের অসুস্থ্য হয়ে পড়া....

বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন, প্রচন্ড খুশী লাগছিলো। সারা রাস্তায় দোয়া করতে করতে আসছিলাম যেন এমন কিছু হয়। নিজের মুখটায় যতখানি সম্ভব আনন্দিত ভাব এনে তাকে উদ্ভাসিত হাসি উপহার দিলাম। তারপর বিশুদ্ধ ফেণী অরিজিন ভাষায় প্রশ্ন করলাম,
“তুই কন?” (Who are you?)

প্রথমে হতভম্ব পরে বদরাগী হয়ে বললো, “শুনতে পাননি, আমি ইমিগ্রেশনের লোক। পাশ-পোর্ট বের করুন, পাশ-পোর্ট।”
সবগুলো দাঁত বের আমি হাসছি তবে নিঃশব্দে। কাঁধ ঘুরিয়ে পেছনে তাকালাম। ঝুপড়ি-ঝাপড়ি দোকান, রাস্তার পাশের প্রাচীন বৃক্ষগুলোর ওপাশে হলুদ রংয়ের দালান, খানিক আগে যেখানে আমার সব ফরমালিটিজ সেরে এসেছি, মুহুর্তখানেক ওটা দেখলাম। তারপর আবার তার দিকে তাকালাম, আমার নিঃশব্দ হাসি থামছেই না। কটমট করে চেয়ে হাত পেতে দিয়েছে সে। আমার পিঠে ব্যাকপ্যাক আর বাঁ হাতে ধরা মিডিয়াম সাইজ লাগেজ।
“তোর বাফের নাম কিয়া রে?” খাঁটি মাতৃভাষায় জিজ্ঞেস করলাম।
“হোয়াট? আপনি… “ কথা আটকে গেলো ওখানেই। এত জোরে থাপ্পড় মারলাম আমার ডানহাত জ্বলে উঠলো। মনে হল ওর বাঁ গলে আমার হাতের ছাপ দেখতে পাচ্ছি। লাগেজ ছেড়ে দুহাতে তার শার্টের কলার ধরে চীৎকার করে বন্ধুদের ডাকলাম। বেশ খানিকটা এগিয়ে গেলেও শুনতে পেলো। আমাকে এই অবস্থায় দেখে হুমমুড় করে এদিকে আসছে ওরা। আশপাশে লোকজন খুব একটা নেই তবে কয়েকটা ছোকরা আমাদের দিকে চেয়ে বোঝার চেষ্টা করছে কি হচ্ছে।

লোকটা আমার হাত ওর দুহাত দিয়ে ধরে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে আর হাফাতে হাফাতে বলছে, “আপনি অনেক বড় বিপদে পড়েছেন। আপনাকে এরেস্ট করা হবে, থানায় নিয়ে চালান দেয়া হবে। অফিশারের গায়ে হাত তুলেছেন…. “
খুব বাজে একটা গাল দিলাম, এসব গালি বস্তির পোলাপানও মুখে আনতে লজ্জা পাবে। তারপর বললাম,
“তোর বাফের নাম কিল্লাই জিংগাইছি জানছ? কারন তোর আব্বারা বেগগুন ওই বিল্ডিংয়ে আঁর কাগজপত্র চেক কইচ্ছে। এইবার তোর আব্বাগোরে কমু তোরে চেক কইরবাললাই। মা****, চল তোর আব্বাগো কাছে চল।” এখন আর হাসছিনা।

এরমধ্যে বন্ধুরা চলে এসেছে। একজন আমার লাগেজটা ধরলো। আমি ওর কলার ধরে হুড়মুড় করে কাস্টমস ইমিগ্রেশন ইত্যাদি যেখানে হয়েছে সেদিকে নিয়ে যাচ্ছি, আর ওই বেটা ধস্তাধস্তি করছে ছাড়া পাবার জন্য, আর বলছে পুলিশ ষ্টেশন ওই দিকে ওই দিকে।
“চোপ! তোর পুলিশ স্টেশনের ক্ষ্যাঁতা পুড়ি। আগে তোর আব্বাগো কাছে চল। ইমিগ্রেশন আব্বা। তুই বলে ইমিগ্রশনের পূত?”

আমার বন্ধুরা এতক্ষনে যা বোঝার বুঝে নিয়েছে। বেটার ঘাড়ের পেছনের কলার বজ্রমুষ্ঠিতে ধরে কুঁজো করে হাটিয়ে তাকে আস্তে আস্তে নিয়ে যাচ্ছি। বেটা ছাড়া পাবার প্রানপন চেষ্টা করছে। লোকজন এগিয়ে এসে জানতে চাচ্ছে কি হয়েছে। কোনো কথা না বলে ওকে নিয়ে যাচ্ছি বিল্ডংয়ের দিকে। পাশ-পোর্ট তার দেখবার চায়। পাশ-পোর্ট হেতের হোগা দিয়া হন্দানো হবে। স্থানীয়দের মধ্যে কেউ না কেউ তার দলের থাকতে পারে তবে এটা নিয়ে টেনশন করছিনা। তিনজন গ্রেটার নোয়াখাইল্লা আমরা, রায়ট বাধিয়ে দিতে পারবো তার মায়েরে বাপ।

হঠাৎ বেটা মাটিতে বসে পড়লো। কৌশলে পায়ের গোড়ালির উপর ঘুরতে আমার হাত লুজ হয়ে গেলো। তারপর দে-ছুট। পিছুতাড়া করতে গিয়ে আমিই মানা করলাম বন্ধুদের। আমরা দেখতে পাচ্ছি ছিঁচকে চোর বা পকেটমারের মত কোনো দিকে না তাকিয়ে প্রানপনে পালাচ্ছে সে। অনেক খানি এগিয়ে রাস্তার পাশের বড় নর্দমা লাফ দিয়ে পেরুতে গিয়ে কাদায় পড়ে গেলো, নোংরা সব গায়ে মাখামাখি। এরপর একটা দেয়াল পেরিয় দৃষ্টির আড়াল হয়ে গেলো। এবার তাকালাম উৎসুক জনতার দিকে। ওদের মধ্যে এক চিকনা পোলার দিকে এগিয়ে গেলাম,
“তোর ভাই হয় হেতে, ক্যান?”
“কি বলচেন আপনি? আমি ওকে চিনি নে। জীবনে দেকিইনি কখনও!”
“এতক্ষন এত দরদ দেখাইলি কিল্লাই? চোরে চোরে খালতো ভাই?”
চেংড়া আর কথা বাড়ালো না। লম্বা লম্বা পা ফেলে চলে গেলো।

বন্ধুরা তাড়া দিচ্ছিলো। আমার জেদ চেপে গেছে। ট্যাক্সী নিতে গিয়েও বারবার চারিদিকে তাকাচ্ছিলাম। আবার আসে নাকি, বেটাকে পেলে আরেক ছ্যাঁচা দিয়ে ইমিগ্রেশন অফিসের ভেতরে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করতাম কোন অফিসার সে।

ট্যাক্সীওয়ালাকে বললাম আমরা চা খেয়ে তারপর যাবো, ইচ্ছে করলে সে ও আমাদের সাথে চা খেতে পারে। ভাঁড়ের চা আমি খাবোই। বিহারী ট্যাক্সী ড্রাইভার চা খেতে আপত্তি করলো না। সব শুনলো। চা দোকানদার, ড্রাইভার এবং উপস্থিত কিছু কাস্টমার বলছিলো ওদের একটা চেইন আছে, ওদের লোকজন সুযোগ পেলেই যে কোনো অজুহাতে পাসপোর্ট হাতে নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের হয়রানি করে আর মোটা টাকা খসিয়ে নেয়।

মাটির চায়ের ভাঁড়ে কোন হাতল থাকেনা। এই ভাঁড়ের চায়ের কথা সেই ছেলেবেলা থেকে দুনিয়ার সব উপন্যাসে পড়েছি। খুব লোভ হত, খেতে ইচ্ছে করতো। তখন থেকেই ভেবে রেখেছিলাম যেদিন প্রথম পশ্চিমবঙ্গে পা রাখবো, আগে ভাঁড়ের চা খাবো তারপর অন্য কথা।

গেলাসের মত করে ধরে চা খেতে হয়। কিন্তু হাত জ্বলছে। হালারপূতেরে এত জোরে থাপ্পড় মেরেছি হাতের তালু জ্বলে যাচ্ছে। গরম চায়ের ভাঁড় ধরতে গিয়ে হাতের আঙ্গুল, তালু যেন জ্বলে যাচ্ছে। ইচ্ছে করলে বাঁ হাত চা খেতে পারি সেটাও করছিনা।

হাত জ্বলুক, আরো জ্বলুক। যত জ্বলবে তত সুখ। আহ্! আমার দেশের মানুষকে বহুত হয়রানি করেছিস হারামী, ফইন্নির পূত। আরেকবার করতে গেলে আমার থাপ্পড়ের কথা মনে পড়বে, এই সুখ।

আরো শক্ত করে আঁকড়ে ধরে মজা করে চা খাচ্ছি। ওহ্ না চা পান করছি। চা খায় বাংলাদেশে, ভারতে নয়।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:১১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: পড়ে মজা পেলাম। একখান কাজের কাজ করেছেন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। কাজের কাজ সত্যি কথা বলতে, কারো গায়ে হাত তোলার অভ্যাস আমার নেই। অল্পে রেগে যাওয়াও আমার স্বভাব না। সেদিনের কথা মনে হলে এখনও মনে হয় এমন কেন হল?

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



ভালো লাগলো।
আপনাকে সাধুবাদ জানাই।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এমন মজার অভিজ্ঞতা জীবনে থাকন বালা হাহাহাহা
সাহস আছে বটে

২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৬

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: বইন, বিষয়টা সাহসের না।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: দারুন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৬

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: দারুন?
কেন?

৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: বহুত আচ্ছা - কামের কাম করছেন। বন্ধুদের গ্রুপে যাবার এইটাই মজা। সিঙ্গে্ল আর ফ্যামিলি দুটোতেই ঝামেলা ব্যাপক।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: কামের কাম করসি কিনা জানি না। কিন্তু সিঙ্গেল বা ফ্যামিলী থাকলেও মনে হয় এমনই ঘটতো। এই ধরনের ফ্রডরা এ্যাটিচিউড সর্বস্ব। বাস্তবে ভীতু। তাছাড়া কাস্টম/ইমিগ্রেশন বিল্ডিং এই পাশেই, সেখানেও পুলিশ থাকার কথা। সুতরাং একা হলেও ভয়ের কিছু নেই। সব চেয়ে ভালো হয় কোন অবস্থায় রাস্তা ঘাটে পাসপোর্ট কাউকে পাসপোর্ট দেখতে না দেওয়া।

৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫২

জিকোব্লগ বলেছেন:



সব ব্লগারদের এই রাম থাপ্পড়-টা ব্লগে কলকাতা থেকে আগত
উগ্র-সাম্প্রদায়িক গেছো দাদা ওরফে মাংকি পোলাকেও দেওয়া উচিত।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৫১

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: ভাই, আমি একমত হতে পারছি না।

৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ফ্রড-চোর-বাটপার-ছ্যাঁচড়া সব দেশে সব স্থানেই আছে। আপনার ভাগ্য ভালো যে, এরকম একটা গল্প আপনি আগেই শুনেছিলেন এবং সে অনুযাইয়ী মানসিক প্রস্তুতিও আপনার ছিল। তবে, ঐ লোকের প্রশংসাও একটু করতে হচ্ছে- তার 'আপনি বড়ো বিপদে পড়েছেন, অফিসারের গায়ে হাত তুলেছেন' শুনে আমি ভড়কে গিয়েছিলাম, হয়ত সত্যিই গোয়েন্দা অফিসারের গায়ে হাত দিয়েছেন। সর্বোপরি আপনার আত্মবিশ্বাস ও দুর্দান্ত সাহসই আপনাকে বাঁচিয়েছে ও বিজয়ী করেছে।

আমি চিকিৎসার জন্য কলকাতায় ছিলাম মাস চারেক। আমার এরকম কোনো বাজে অভিজ্ঞতা হয় নি, তবে, স্থানীয়দের আতিথেয়তা পেয়েছি প্রচুর, আচরণও ভালো ছিল।

আপনার পোস্ট পড়ে বিমল আনন্দ পেয়েছি, বলাই বাহুল্য।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: সত্যি কথা বলতে স্থানীয়দের আতিথেয়তা সত্যি অসাধারণ। মাত্র পনের দিনের জন্য গিয়ে দু মাসেরও বেশী সময় ছিলাম কারন অনেক অনেক ভালোবাসা পেয়েছি স্থানীয়দের কাছ থেকে। গুরুজনেরা সন্তানের মত স্নেহ করেছেন।

৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১০

মিরোরডডল বলেছেন:




একদম উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।
আরেকটু ধোলাই দিলেও হতো।


২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৫

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: সত্যি কথা বলতে ধোলাই দেবার ইচ্ছা ছিলোনা মোটেও, কিন্তু কিভাবে যে কি হয়ে গেল!
আমার উদ্দেশ্য ছিল তাকে ঘাড় ধরে ইমিগ্রেশনে নিয়ে যাওয়া।

৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: =p~ =p~ অনেকের উপকারের লাগবে আপনার এই পোস্ট।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: এটা ঠিক, সবার উচিত এসব ক্ষেত্রে সাবধান থাকা। সব ফরমালিটিজ হবার পর বাইরে কেউ এসে পাসপোর্ট দেখতে চাবে, কেন? কোন্‌ ভুতে কিলাইছে যে পাসপোর্টে এ্যারাইভাল সীল পড়ার পর আবার রাস্তায় কেউ পাসপোর্ট দেখতে চাইবে?

১০| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

মিরোরডডল বলেছেন:




হায়দার বাপের ব্যাটা :)
এমনই হতে হয়।
মুখে নয়, কাজেই সাহসের পরিচয়।



২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৯

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: আমি কিন্তু ডরাইল্লা টাইপের। কেমনে কি হয়ে গেল কে জানে?

১১| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক সাহসিকতার কাজ করেছেন। উপরে ৬ নং মন্তব্যের সাথে একমত। ব্লগের মাঙ্কির পোলাকেও একটা রাম থাপ্পড় দেয়া দরকার আছে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:০০

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: ভাই, আমারে মাফ কইরা দেন। আপনার লগে দ্বিমত করলাম। :)

১২| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:০৯

আমি সাজিদ বলেছেন: রাম থাপ্পড় কষে নিশ্চয়ই অনেক আরাম পেয়েছিলেন। ভাগ্যিস, রামবাবু পাশ-পোঁদ দেখতে চায়নি, পাশ- পোর্ট চেয়েছে =p~

২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:০১

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: ভাই, এখন মনে হচ্ছে পাগলামী।

১৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:২৪

আমি সাজিদ বলেছেন: আলফা ভাই, আপনার মেরিন লাইফে সমুদ্রে ভাসার গল্পগুলো পড়তে চাই।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:০৪

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: আলফা??? মজা পাইলাম ভাই :)
সমুদ্রে ভাসার গল্প?
এই লিংক দেখেন :) :- Click This Link

১৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:১৫

বিষাদ সময় বলেছেন: আমাদের দেশে কবে সেই ছেলে হবে
কথায় না বড় হয়ে মারে বড় হবে
মুখে হাসি বুকে বল তেজে ভরা মন
থাপ্পড় মারিতে হবে যেথা প্রয়োজন। :)

২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:০৫

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: সত্যি কথা বলতে এখন মনে হয়ে ছেলেমানুষী।

১৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:২০

বিষাদ সময় বলেছেন: থাপ্পড় মারিতে হবে যেথা প্রয়োজন। :)
"হবে " না "পারে"

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৮

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: :)

১৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:২২

জনারণ্যে একজন বলেছেন: আপনার সেন্স অফ হিউমার অসাধারণ বললেও কম বলা হবে।

কিছু কিছুও লেখা আছে, রস-আস্বাধনের জন্য বার বার পড়তে হয়, আপনার এই লেখাটাও তেমন। কয়েকটা লাইন বার বার পড়েছি।

ধন্যবাদ আপনাকে, বরাবরের মতোই আবারো চমৎকার একটা লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:০৬

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
পজিটিভ কমেন্ট।
ভালো থাকবেন।

১৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৭:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:



নোয়াখালীর লোকজন প্রতিদিন ফেনীতে অনেক বাঘভাল্লুক মারে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:০৭

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: আংকেল বুঝি নাই।
আমার ব্লগে আইসা কার সাথে ঝগড়া করতেছেন?
:)

১৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:২২

বনজোসনা বলেছেন: উচিত কাজ করেছেন‌। দারুণ বুদ্ধিমত্তার সাথে কাজটি আপনাকে করতে হয়েছে।
এইসব হালার পুত দাদারা ব্লগে এসেও উস্কানি হিংসা জাতিবিদ্বেষ সমানে চালিয়ে যাচ্ছে। কয়েকজন আবার নিরপেক্ষতার ভান করে তাদের প্রশয় দিচ্ছে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৩১

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার করা প্রয়োজন। লোকটা দাদা, নাকি ভাইজান, সেটা বোঝর উপায় কি আছে? বর্ডারের ওপারে হলেই দাদা হয়ে যাবে এটা ভাবতে হবে কেন?

ব্লগে কেউ উস্কানি হিংসা জাতিবিদ্বেষ ছড়ালে এ্যামিন/মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা উচিত। সঠিকভাবে অভিযোগ করা হলে আশা করছি তারা ব্যবস্থা নেবেন।

১৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৩

ধুলো মেঘ বলেছেন: দারুণ তো! ভাবছি আমিও একদিন বন্ধু বান্ধব নিয়ে এরকম কোন এক শালাকে ঘাড়াবো। তারপর পেছন দিক দিয়ে পাসপোর্ট ভরে সেটা ভিডিও করে পর্ন সাইটে ছেড়ে দেব।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৭

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: ভাই আমি ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.