নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ওয়েষ্টার্ণ সাংবাদিকের মুখোমুখি হলেন ভ্লাদিমির পুতিন। সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আমেরিকান সাংবাদিক টাকার কার্লসন। পুরো নাম Tucker Swanson McNear Carlson.
গুগল বা ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিনে ইংরেজি t অক্ষর লিখতেই সবার আগে আসবে tucker carlson. কারন এই সেদিন, বৃহষ্পতিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তিনি ভ্লাদিমির পুতিনের সাক্ষাতকার নিয়েছেন যা প্রচারিত হয়েছে সারা বিশ্বব্যাপী। এই সাক্ষাৎকার প্রচারিত হবার পর হুলুস্থুল পড়ে গেছে আমেরিকা আর ব্রিটেনে সেই সাথে আমেরিকান ঘরানার প্রতিটি রাষ্ট্রে। হঠাৎ করেই ভ্লাদিমির পুতিনকে আর সুপার ভিলেন বলে চালানো যাচ্ছেনা।
কে এই টাকার কার্লসন যাকে স্বয়ং ভ্লাদিমির পুতিন মুখোমুখি ক্যামেরায় সাক্ষাৎকার দিয়েছেন দুই ঘন্টা সাত মিনিট উনিশ সেকেন্ড?
তিনি একজন আমেরিকান সাংবাদিক যিনি আমেরিকান ন্যাশণালিস্ট এবং ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত এবং মনে করা হয়ে থাকে আমেরিকান রাজনীতিতে রিপাবলিকান সমর্থন করেন কারন ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রতিটি শো খুব মনযোগ দেখতেন। আমেরিকার বিখ্যাত এবং প্রভাবশালি ফক্স টেলিভিশনের তুখোড় টক-শো এংকর, সাংবাদিক টাকার কার্লসন সমগ্র আমেরিকা এবং সারা বিশ্বের অতি পরিচিত মুখ এবং জনপ্রিয় কারন তিনি সব সময় নিজেকে খাঁটি আমেরিকান হিসেবে দেখিয়ে এসেছেন এবং সেই সাথে আমেরিকান সরকারের কঠোর সমালোচনা করে এসেছেন এই বলে, আমেরিকান সরকার মানবাধিকার নিয়ে বড় বড় কথা বলে কিন্তু সারা বিশ্বের (প্রায়) প্রতিটি মানবিক বিপর্যয়ের হোতা খোদ আমেরিকানরাই। টাকার কার্লসন আমেরিকার নাগরিকদের জন্মগত অধিকার “ফ্রীডম অপ স্পীচ” বিষয়ে সোচ্চার, তিনি মনে করেন আমেরিকান সরকার, পলিটিশিয়ানরা এবং সিআইএ তার দেশের নাগরিকদের এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আসছে বছরের পর বছর। আমেরিকার হাইয়েস্ট রেটেড সাংবাদিক, ফক্স টেলিভিশনের সবচেয়ে জনপ্রিয় এংকর টাকার কার্লসনকে গত বছর এপ্রিলে স্যাক করা হয় এবং এর কারন যে কেউই সহজে অনুমান করতে পারে। এর পর থেকে টাকার ফক্স নিয়মিত টুইটারে (বর্তমানে ইলোন মাস্ক এর ‘এক্স’) সরব এবং বিশ্বব্যপী জনপ্রিয়।
ভ্লাদিমির পুতিনের সাক্ষাৎকার শুরুর আগে তিনি একটা স্পীচ দেন। সেখানে তিনি খোলাখুলি কিছু কথা বলেন যা সকলের জানা উচিত:-
আমরা এখন মস্কোতে, কিছুক্ষনের মধ্যে সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু হবে। অবশ্যই এরকম একটি সাক্ষাতকার নেয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকি রয়েছে। আমরা এটি সম্পর্কে অনেক মাস ধরে সাবধানতার সাথে চিন্তা করেছি যে কেন আমরা এই কাজটি করছি?
প্রথমতঃ এটাই আমাদের কাজ, আমরা সাংবাদিক, আমাদের কাজ হল জনসাধারণকে তথ্য সরবরাহ করা। ২ বছর ধরে এমন একটি যুদ্ধ চলছে যা সারা দুনিয়ার চেহারা পাল্টে দিয়েছে, অথচ আমেরিকার নাগরিকদের বলা হচ্ছেনা আদতে কি হচ্ছে এখানে। ঠিক এখানে এবং এখান থেকে ৬০০ মাইল দুরে ইউক্রেনে কি ঘটছে সেই বিষয়ে আমাদের (আমেরিকান নাগরিকদের) কোন ধারনাই নেই! আমেরিকান সরকারের উচিত আমাদের সব জানানো। অথচ দেশের মানুষ উপলব্দি করতেই পারছেনা এইখানে কি পরিমান ব্যয় হচ্ছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ একটি ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয। হাজার হাজার মানুষ হত্যা করা হয়েছে। তরুন ইউক্রেনীয়দের পুরো প্রজন্ম এবং ইউরোপের বৃহত্তম দেশটি জনশূন্য হয়ে পড়েছে। কিন্তু এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবগুলো আরো গভীর, এই যুদ্ধ সারা দুনিয়ার চেহারা পাল্টে দিয়েছে এবং সামগ্রীকভাবে গোটা দুনিয়ার অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী গত ৮০ বছর ধরে পশ্চিমারা নিশ্চিন্তে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি উপভোগ করে আসছিলো, তা এখন শেষ হতে চলেছে। সেই সাথে মার্কিন ডলারের আধিপত্য। এগুলো (শ্রেফ) ছোটখাট পরিবর্তন নয়, এটা ইতিহাসের পরিবর্তন। এই ইতিহাস পরিবর্তনকারী ঘটনা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের (নাতি-নাতনীদের) জীবনযাপনকে সংজ্ঞায়িত করবে।
পৃথিবীর বেশীরভাগ মানুষ এসব ভালভাবে বুঝতে পারে; তারা দিব্যদৃষ্টিতে দেখতে পায়। মধ্যপ্রাচ্য কিংবা এশিয়ার কাউকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন যে ভবিষ্যতের চেহারা কেমন হবে! এতদসত্বেও, ইংরেজীভাষী দেশগুলোর জনসাধারণ বেশীরভাগই অসচেতন, এই সকল বিষয়ে একেবারেই অজ্ঞ। তারা মনে করে কিছুই হয় নি, সব ঠিক আছে।
কারন কেউ তাদের সত্যিটা বলেনি। ইংরেজীভাষী দেশগুলোর মিডিয়া করাপ্ট, দুর্নীতিগ্রস্থ, নীতিবর্জিত। তারা তাদের পাঠক আর দর্শকদের সাথে মিথ্যাচার করে আসছে এবং বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তারা তা করে। উদাহরনস্বরূপ, যেদিন থেকে ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হয় আমেরিকান মিডিয়া অসংখ্য লোকের সাথে কথা বলেছে এবং তারা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাথে অসংখ্যবার দেখা করেছে, অসংখ্য সাক্ষাৎকার নিয়েছে। আমরাও যেলেনস্কির (ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট) সাথে দেখা করার চেষ্টা করেছি, আশা করছি উনি সাক্ষাৎকার দেবেন। কিন্তু যেলেনস্কি আমেরিকাতে যতগুলো ইন্টারভিউ দিয়েছেন সেগুলো গতানুগতিক সাক্ষাৎকার ছিলনা। এগুলো ছিলো স্পেশালি ডিজাইনড পেপ-সেশন যেগুলো বিশেষতঃ যেলেনস্কির উস্কানিমূলক দাবী সৃষ্টি যার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব ইউরোপের যুদ্ধে নিজেকে সরাসরি জড়াবে এবং যুদ্ধের জন্য অর্থ যোগাবে। এগুলোকে সাংবাদিকতা বলেনা, এটা আমেরিকান সরকারের প্রপাগাণ্ডা - কুৎসিৎ ধরনের মার্কিন রাষ্ট্রীয় প্রপাগাণ্ডা যা নরহত্যা করে, মারা যায় নিরপরাধ মানুষ।
শুধু তাই নয়, আমাদের (আমেরিকান ও তাদের মিত্র) পলিটিশিয়ান আর সকল মিডিয়া মিলে এই বিদেশী নেতা যেলেনস্কিকে এমন ভাবে প্রমোট করেছে যেন সে একটা নতুন ভোগ্যপণ্য, কনজ্যূমার ব্রাণ্ড। অথচ একটা পশ্চিমা মিডিয়া একটিবারের জন্যেও অন্য পক্ষের সাথে কথা বলার প্রয়োজন মনে করেনি। (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কি ভাষ্য তা জানতার দরকার মনে করেনি, তার ধারও ধারে নি।) বেশীরভাগ আমেরিকানদের কোন ধারণা নেই যে পুতিন কেন ইউক্রেন আক্রমণ করেছিলো বা তার লক্ষ্যগুলি কি। আমেরিকানরা পুতিনের ভাষ্য কি, তা কোনও দিন শোনেও নি।
এগুলা ঠিক না। আমেরিকানরা যে যুদ্ধে জড়িয়েছে সে সম্পর্কে জানার সম্পূর্ণ অধিকার তাদের রয়েছে। Freedom of speech is our birthright , বাক স্বাধীনতা, এটা আমাদের জন্মগত অধিকার। আমরা যা বিশ্বাস করি তা বলার অধিকার নিয়ে জন্মেছি, যে অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না, হোয়াইট হাউসে কে বসে আছে তাতে কিচ্ছু আসে যায় না। অথচ যেভাবেই হোক তারা সেটা করার চেষ্টা করছে।
প্রায় তিন বছর আগে, বাইডেন প্রশাসন অবৈধভাবে গোয়ান্দাগিরি করে আমাদের টেক্সট মেসেজগুলো তাদের চাকর মিডিয়াদের দিয়ে দেয়। তারা এসব করেছিলো যাতে পুতিনের ইন্টার্ভিউ আমরা না নিতে পারি। আমি নিশ্চিত একই কাজ তারা এবারও করেছে। কিন্তু যেভাবেই হোক এবার আমরা মস্কো চলে এসেছি।
ভ্লাদিমির পুতিনকে ভালোবেসে আমরা এখানে আসিনি। আমরা এখানে এসেছি কারন আমরা আমেরিকাকে ভালোবাসি, এবং আমরা চাই আমাদের দেশ সব সময় থাকুক সমৃদ্ধ এবং উম্মুক্ত। এখানে আসার সকল খরচ, ব্যয় আমরা বহন করছি। কোন সরকার বা দলের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে এখানে আসিনি। আমাদের সাক্ষাৎকার দেখার জন্য কাউকে পয়সাও খরচ করতে পারবে না। যে কেউ এই সাক্ষাৎকারের সম্পূর্ণ ভিডিও (unedited) বিনামূল্যে দেখতে পারবেন আমাদের ওয়েবসাইটে: tuckercarlson.com.
ইলন মাস্ক কথা দিয়েছে যে সে তার প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এই সাক্ষাৎকার আপলোড করার এটাকে দমন কিংবা ব্লক করবেনা। আমরা সেজন্য তার কাছে কৃতজ্ঞ।
অন্যদিকে, পশ্চিমা সকল মিডিয়া তাদের সবটুকু দিয়ে আমার এই ভিডিও সেন্সর করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে কারন এটাই তাদের কাজ। এসব তথ্য তারা নিয়ন্ত্রন করতে পারেনা তাই তারা ভয় পায়।
কিন্তু আপনাদের এতে ভয় পাবার কোনও কারন নেই। এই সাক্ষাৎকারে পুতিন যা বলেছে, আপনাকে তার সাথে একমত হতে আমরা বলছিনা।
তবে আমরা আপনাকে এই সাক্ষাৎকারটি দেখার জন্য অনুরোধ করছি। আপনার পক্ষে যতটুকু সম্ভব জানা উচিত। এতে করে একজন মুক্ত নাগরিক হিসেবে, দাস হিসেবে নয়, আপনার নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারবেন।
- ধন্যবাদ।
আমি দক্ষ অনুবাদক নই। অনুবাদে যদি ভুল ভ্রান্তি থাকে অনুগ্রহ করে ক্ষমা করবেন এবং আমাকে কমেন্টে শুধ্রে দেবেন। যত দ্রুত সম্ভব এডিট করে দেব।
সাক্ষাৎকারের সম্পু্র্ণ ভিডিও এখানে দেখুন:-টাকার কার্লসনের সাথে ভ্লাদিমির পুতিনের সাক্ষাতকার
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: আসসালামুআলাইকুম,
আপনাকে ধন্যবাদ।
যুদ্ধ বন্ধ হবে কিনা ঠিক বলা যাচ্ছেনা। যুদ্ধ শুরু হবার কিছুদিন পর বরিস জনসন ইউক্রেন গিয়ে যেলেনস্কি কে বাধ্য করেছে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে। আমেরিকা-ব্রিটেন নিজের পাছার চামড়া তুলে সেখানে লবন-মরিচ মেখে হলেও রাশানদের সাথে ইউক্রেনিয়ানদের পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা করছে। ভিডিওতে নিশ্চই দেখেছেন(শুনেছেন) প্রতি তিন জন ইউক্রেনিয়ানের একজন সরাসরি রাশানদের আত্মীয়। কিন্তু ব্রিটিশ-আমেরিকানরা সেই পুরোনো ডিভাইড এন্ড রুল খেলায় মত্ব। এই মাসেই নতুন ডিক্রী এসেছে ব্রিটেনে প্রতি পরিবার থেকে আর্মিতে যেতে হবে। আর্মির সংখ্যা বাড়াতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। ভ্লাদিমির পুতিনকে এরা নিজেদের মত বলদ ভাবে। আর নিজেদের ট্যাক্সপেয়ারদের অন্ধকারে রাখে চাকর মিডিয়ার মাধ্যমে।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: টাকারের বক্তব্যটা খুব ভালো লাগলো। ইন্টারভিউ'র গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ শেয়ার করলে ভালো হতো।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: আসসালামুআলাইকুম,
লেখার শেষে সম্পূর্ণ ভিডিওর লিংক দিয়েছি।
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩০
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি শিরোনামে "ইউক্রেন যুদ্ধের পর" বলাতে আমি মনে করেছিলাম যে, যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার পর ইন্টারভিউটা হয়েছে,
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: *ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হবার পর। ধন্যবাদ, আমি এডিট করে দিচ্ছি।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪১
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: সত্যি কথা বলতে এখন আর যুদ্ধ হচ্ছে না। যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা চলছে। এমনিতেই আমেরিকান সরকার যেলেনস্কির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছে, এক বিলিয়নেরও বেশী ডলার নাকি মেরে দিয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
রাশানরা যেসব এলাকা দখল করেছে সেগুলো আর ছাড়বেনা। ২০১৪তে ক্রিমিয়া, ২০২২-এ দোনেৎস্ক, খেরসন, লুহানস্ক, মিকোলাইভ এবং যাপোরিয্ঝিয়া ওব্লাস্ৎস। - এগুলা ফেরত পেতে হলে ইউক্রেনিয়ানদের পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে লিপ্ত হতে হবে কিন্তু আমজনতা অর্থাৎ সাধারণ ইউক্রেনিয়ানরা রাশিয়ানদের সাথে সংঘাতের বিরূদ্ধে কারন ওদের প্রায় সবার পারিবারিক যোগাযোগ রাশিয়ার সাথে।
৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
যুদ্ধ নয় শান্তি চাই এই হোক আমাদের সবার স্লোগান এবং ব্রত ।
যুদ্ধে যেই অর্থগুলো খরচ করা হয় সেগুলো সাধারণ মানুষের কল্যাণে ব্যয় করা হোক ।
চিকিৎসা শিক্ষা ও কৃষি খাতে ব্যয় করা হোক।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৬
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: এই যুদ্ধে ইউক্রেনের পর সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ওয়েষ্টার্ণ ইউরোপের অর্থনীতি।
৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৯
আরইউ বলেছেন:
টাকার ১০ টা বাক্য বললে বুঝে নেবেন সে কম করে হলেও ৫ টা মিথ্যে বলেছে, ২/৩ টায় সত্য গোপন করেছে।
ফিলিপ ডিফ্রান্কো শো-র লিংক দিচ্ছি যেখানে উনি উদাহরণ দিয়েছেন যে টাকার মিথ্যা দাবী করেছেন তার প্রমো ভিডিওতে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় টাকার যে দাবী করেছেন ইউএস মিডিয়া পুতিনের বক্তব্য জানতে চায়নি এটা ঠাহা মিথ্যা—ইউএস এবং ওয়েস্টার্ন মিডিয়া পুতিনের সাক্ষাতকার নেয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। পুতিনের অফিস থেকে কোন ইতিবাচক সাড়া পায়নি তারা।
যাহোক, টাকারের সাক্ষাতকারে পুতিন ছিলেন খুবই ওয়েল স্পোকেন, বেশ সাবলীল; তার বক্তব্যগুলো ভাবার মত।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৭
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৩
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এই Tucker হচ্ছে একজন প্রোপাগন্ডা ম্যাশিন, যত্তসব অন্ধ ট্রাম সমর্থকরাই তার ভক্ত। এই Tucker এর বিরুদ্ধে, মানিল্যন্ডারিং, বর্ণবাদ উস্কে দেয়া, গুজব ছড়ানো, ব্ল্যাক মেইল ইত্যাদি সব অভিযোগ রয়েছে।
এখানে আসার সকল খরচ, ব্যয় আমরা বহন করছি। কোন সরকার বা দলের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে এখানে আসিনি। - বাহ!! খুবই মানবতা দরদী এক সম্বাদিক মনে হচ্ছে, তিনি যে কলা খান না তা আমরা জানি । তবে তিনি শুধু ট্রাম্পের কলা খান আর এখন পুতিন আর ট্রাম্প দুজনের কাছ থেকেই বড় বড় কলা পাচ্ছেন, ইহা বুঝতে মোটেও অসুবিধা হচ্ছে না।
এই সব প্রপোগন্ডা ছড়িয়ে Tucker কখনো ট্রাম্পকে ক্ষমতায় আপনাতে পারবে না।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৫৫
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: মুল্যবান বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমি নিজেও জানিনা আসলে কে প্রপাগাণ্ডা মেশিন, কে নয়। ভ্লাদিমির পুতিন, যার জন্মানোরই কথা ছিলো না (এ বিষয়ে লিখবো), সে কিনা ৮০ বছরের হোয়াইট সুপ্রিমেসী লেজে গোবর করে ছেড়েছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ আমরা আম জনতা। সহ্য করে যাওয়া ছাড়া আমাদের আর কিছু করার নেই। তারপরও, এসব নাটক যখন দেখি, মজাই পাই। দেখা যাক, কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়।
ভালো থাকবেন।
৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: যুদ্ধে যুদ্ধেই পৃথিবীটা একদিন শেষ হবে।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:২০
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ড্রাগসের পর দুনিয়ার সবচেয়ে লাভজনক ব্যাবসা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা।
৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৬
আরইউ বলেছেন:
@জ্যাক,
এবিসি নিউজ মিডিয়া ওয়াচের এই ভিডিওটা দেখবেন সময় পেলেঃ Media Watch
৯| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০৬
নীল আকাশ বলেছেন: শেষ পর্যন্ত ইউরোপকে এই যুদ্ধে জড়িয়ে সবচেয়ে বেশি লাভ করবে আমেরিকা।
রাশিয়া সাথে যুদ্ধে গেলে সারা ইউরোপ ধংস হয়ে যাবে। একমাত্র পোলান্ড ছাড়া এদের কারো বড় সেনাবাহিনি নেই।
পুতিন অনেক বড় রাজনীতিবিদ। ইউরোপে বাকি সব নেতাদের পতন হবে নির্বাচনে এটা নিশ্চিত।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: পুতিন নিঃসন্দেহে মাল্টি ট্যালেন্টেড। সে একজন স্কলার। অনেকের এটা পছন্দ হয় না, তবে এটাই সত্যি।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০১
সোনাগাজী বলেছেন:
যাক, যুদ্ধটা তা'হলে বন্ধ হলো, বাঁচা গেলো!