নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ জগতে নতুন পা রেখেছি কিছু জানবার জানাবার শিখবার শেখাবার সর্বোপরি ইসলামী খেদমতের উদ্দেশ্যে! কবুল করার মালিক উপরওয়ালা ়়়়়়়

Ahmad Faiz

তালিবুল ইলম!

Ahmad Faiz › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে বেশি সুন্দর চাঁদ না মানুষ !?

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৩


গত দুইদিন ফেইসবুক ছিল চন্দ্রময়!!জোছনা স্নান
বলেন আর জোছনা বিলাশ বলেন ফেইসবুককে
চন্দ্রালোকিত করে তুলেছেন অনেকেই।
কেউ চাঁদ এর রুপ নিয়ে,কেউ সেই চাঁদের মহান
স্রষ্টাকে নিয়ে কেউ আবার এমন রোমান্টিক
মূহুর্তে একান্ত কাছের কাউকে মিস করে
কবিতা,ছোটগল্প ইত্যাদি রচনা করেছেন!!
আর আমি এখন আপনাদের চাঁদ নিয়ে একটা গল্প
বলব........
ইমাম আবু হানিফা (র)এর সময় ইরাকের খলিফা
তার প্রিয়তমা স্ত্রী কে নিয়ে বাগানে পূর্ণিমা
চাঁদের রুপ দেখছিলেন। খলিফা তার স্ত্রীকে
প্রাণের চেয়ে বেশি ভালবাসতেন। চাঁদের
সৌন্দর্য নিয়ে কথা হচ্ছিল খলিফা ও বেগমের
মাঝে।কথা প্রসংগে খলিফা মজা করতে গিয়ে
বলে উঠলেন, বেগম তুমি যদি এই চাঁদের চেয়ে
সুন্দরী না হও তাহলে তুমি তালাক্ব!!!
বেগম খলিফার কথায় স্থব্দ হয়ে গেলেন, তিনি
তার জিলবাব (বড় ওড়না) দিয়ে মাথাসহ মুখের
উপর ঢেকে দিলেন এবং বাগান থেকে মহলে ফিরে
গেলেন। খলিফাও কথাচ্ছলে কথা বলে চুপ হয়ে
গেলেন।
পরদিন, রাজ্যের সমস্ত মুফতি দের একত্রিত করে
এর ফতওয়া জানতে চাইলেন। মুফতিগণ প্রায়
সবাই একমত হলেন যে বিবির তালাক্ব কার্যকর
হয়ে গেছে কারণ, মানুষ কখনওই চাঁদের মত সুন্দর
হতে পারবেনা।
ইমাম আবু হানিফা (র) ও ঘটনা শুনলেন। তিনি
রাজপ্রাসাদে গিয়ে তালাক্ব হয়নি বলে মত
প্রকাশ করলেন। এতে রাজ্যের অন্যান্য মুফতিগণ
দ্বীমত পোষন করলে ইমাম আবু হানিফা জানান যে
আমি দলিল আগামী জুময়ার দিনে দিব।তবে শর্ত
হল,খলিফা সহ রাজ্যের সমস্ত মুফতিগণ তার
ইমামতিতে নামাজ পড়ার পর তিনি ফতওয়া
দিবেন।সবাই এতে একমত হলেন এই সিদ্ধান্তে।
জুময়ার দিনে সবাই সারিবদ্ধ হয়ে আবু হানিফার
পিছনে নামাজের জন্য দাঁড়ালেন।
আবু হানিফা নামাজে প্রথম রাকাতেই সূরা
ফাতিহার পর সূরা ত্বীন তিলাওয়াত করলেন,
কিন্তু তিনি "লাক্বাদ খালাক্বনাল ইনসানা ফি
আহসানি তাক্বঈম "এর জায়গায় "লাক্বাদ
খালাক্বনাল ক্বামারা ফি আহসানি
তাক্বঈম"পড়েন। পিছন থেকে মুক্তাদিগণ লোকমা
দিলে তিনি ২য় বারও একইভাবে পড়েন।আবার
লোকমা দেয়া হলে তিনি ঠিক করে তিলাওয়াত
করে নামাজ শেষ করান।
কথামত, এখন খলিফার জন্য ফতওয়া দেয়ার
পালা।কিন্তু, মুফতিগণ প্রচন্ডভাবে ক্ষেপে
আছেন আবু হানিফার উপর। উনারা বললেন,
ফতওয়া পরে হবে আগে আবু হানিফা জবাবদিহি
করুক কেন সে নামাজে ইচ্ছাকৃত এমন করল?!!
আবু হানিফা মুচকি হেসে উত্তর দিলেন, আমিত
আপনাদের মত অনুযায়ীই তিলাওয়াত করেছিলাম।
আপনারা মতপ্রকাশ করেছেন যে,মানুষ কখনওই
চাঁদের মত সুন্দর হতে পারবে না।তাই আপনারা
খলিফার স্ত্রীর উপর তালাক্ব পতিত হয়েছে বলে
মত দিয়েছেন ।
আর,আমি কুরান অনুযায়ী বলেছিলাম এই তালাক্ব
হয়নি। কারণ, আল্লাহ ঘোষনা করে দিয়েছেন,
"লাক্বাদ খালাক্বনাল ইনসানা ফি আহসানি
তাক্বঈম, অর্থাৎ, আর আমি মানুষকে গঠন করেছি
সর্বোত্তম আকৃতিতে"।
অতঃপর, সব আলেমগণ ইমাম আবু হানিফার
মতকেই মেনে নিলেন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৪

Ahmad Faiz বলেছেন: আজব প্রশ্নের আজীব সমাধান ়়়়়৷

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.