![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
___
অন্ধকার রাতে পথ ভুলে একজন হাফেযে কুরআন
তরুণ মুজাহিদ সোভিয়েত সৈন্যদের ক্যাম্পে গিয়ে
উঠলো। লম্বা জামা গায়ে, মাথায় টুপী-একজন
লোককে দেখেই ক্যাম্পের সেন্ট্রিরা তাকে ধরে
নিয়ে গেলো এক কর্ণেলের তাঁবুতে। মুজাহিদদের
গুপ্তচর ভেবে হাফেয ছেলেটিকে তারা অনেক
জিজ্ঞাসাবাদ করলো, কিন্তু পথহারা এই তরুণের
কাছে তারা উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য না পেয়ে
তার উপর নির্যাতন শুরু করলো। এক পর্যায়ে
ক্যাম্পটির ইন-চার্জ রুশ কর্ণেল এসে বললো, এই
ছোকরা শোন্ ! তোরা নাকি বালি বা কংকরে ফুঁ
দিয়ে নিক্ষেপ করলে তা বিস্ফোরিত হয়ে
কমিউনিষ্ট সৈন্যদের ট্যাংক, সাঁজোয়া গাড়ী,
কামান ইত্যাদি পুড়ে যায়? যদি তা সত্যি হয় তাহলে
তোকে ছেড়ে দেবো। না হয় তোর মৃত্যু।
:
হাফেয ছেলেটি বহুবার এমন অলৌকিক ঘটনা
শুনেছে, তবে কোনোদিন সে নিজে এমন করেনি।
সীমাহীন শঙ্কা ও দ্বিধা নিয়ে সে বললো, আমাকে
একটু ওজুর পানি দিন। নামাযে দাঁড়িয়ে হাফেয
কেঁদে-কেটে কাকুতি-মিনতি করে আল্লাহর কাছে
দোয়া করলে, আয় আল্লাহ ! তোমার দুশমনেরা
কুরআনের শক্তি দেখতে চায়। দেখতে চায়
ইসলামের সত্যতা। তোমার পথের সৈনিকদের
কারামত নাস্তিকরা মানে না। তোমার কুদরত,
কুরআনের শক্তি এবং ইসলামের সত্যতা তুমি
প্রমাণ করো। আল্লাহ ! আমার প্রাণ নিয়ে আমি
মোটেও চিন্তিত নই। তোমার দ্বীনের হুরমত,
ইসলামের সৈনিকদের ইজ্জত নিয়ে আমি চিন্তা
করছি। আয় খোদা ! তুমি তোমার কুদরত দেখাও।
ইসলামকে-জিহাদকে-আফগান জাতিকে, আমার
বুকে লুকানো ত্রিশ পারা কালামকে তুমি শরমিন্দা
করো না।
:
সিজদা থেকে মাথা তুললো হাফেয তরুণটি। চোখে
তার অশ্রুর বন্যা। মুখে একটি প্রভাময় বিশ্বাসের
জান্নাতী দ্বীপ্তি। ঠোঁটে উচ্চারিত হলো,
“ওয়ামা রমাইতা......ওয়ালা কিন্নাল্লহা রমা।”
বড়ো বড়ো রুশ সামরিক অফিসার, শত শত
কমিউনিষ্ট আর্মি উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে চেয়ে আছে
এই মর্দে ফকিরের দিকে। সামনের খোলা মাঠে
আঠারোটি ট্যাংক সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো। হাতে
একমুঠো বালি নিয়ে আল্লাহর নামে ছুঁড়ে মারলো
অসহায় হাফেয। বিস্ফোরিত হলো প্রতিটি
বালিকণা। চুরমার হয়ে গেলো সবগুলো ট্যাংক। দাউ
দাউ করে জ্বলতে লাগলো রুশ সৈন্যবাহিনীর
ক্যাম্প। ভয়াল শব্দে কেঁপে উঠলো পাহাড়ী
উপত্যকার পাথুরে মাটি। পরিস্থিতি দেখে দুই হাত
তুলে আত্মসমর্পণ করলো কর্ণেলসহ সমস্ত
ব্যাটেলিয়ন। নাস্তিক সৈন্যরা আল্লাহর জাজ্বল্য
সাহায্য ও শক্তি দেখে সোভিয়েতপক্ষ ত্যাগ করে
যোগ দিলো মুজাহিদ দলে। এক বিরাট সৈন্যবাহিনী
সাথে নিয়ে মুজাহিদ ক্যাম্পে ফিরে এলো পথহারা
এই বন্দি হাফেয।
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৯
বিপরীত বাক বলেছেন: এই গল্পকথার রচয়িতা কে আপনি? নাকি সিআইএ?? নাকি মাদ্রাসার হুজুর! "
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪৫
নিয়েল হিমু বলেছেন: এই গল্প পৈড়া জাদের ঈমান জাগবে তাদের আসলেই ঈমান জাগার দরকার আছে ।
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১৩
কমরেড নীল বলেছেন: ???্
৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৪৪
নতুন বলেছেন: নিয়েল হিমু বলেছেন: এই গল্প পৈড়া জাদের ঈমান জাগবে তাদের আসলেই ঈমান জাগার দরকার আছে
মিথ্যা গল্প সাজিয়ে কিভাবে ধমের পথে মানুষকে ডাকে??
রাসুল সা: কখনো এমনটি করেছেন?
তোরা নাকি বালি বা কংকরে ফুঁ
দিয়ে নিক্ষেপ করলে তা বিস্ফোরিত হয়ে
কমিউনিষ্ট সৈন্যদের ট্যাংক, সাঁজোয়া গাড়ী,
কামান ইত্যাদি পুড়ে যায়?
গল্প যে বানিয়েছে তিনি গাজা খেতে পারেন কিন্তু রাশিয়ান সেনাবাহিনির অফিসারেরা গাজা খায় না। যে তারা এই সব গল্পে বিশ্বাস করবে এবং এমন কাউকে পেলে তাকে বললে যে বালি ফুদিয়ে দেখাও
আর যদি মুজাহিদরা বালি ফু দিয়েই সৈন্যদের ট্যাংক, সাঁজোয়া গাড়ী, কামান ইত্যাদি পুড়ে যায়? তবে বাকি মুজাহিদেরা ফু দেওয়া না শিখে অস্র দিয়ে যুদ্ধ করে কেন??
৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮
সহীদুল হক মানিক বলেছেন: এই গল্পকথার রচয়িতা কে আপনি? নাকি সিআইএ??
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৪
মানুষ বলেছেন: গল্প সুন্দর হইছে।