![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন কসমিক ট্র্যাভেলার, মহাজাগতিক মুসাফির।
প্রায় প্রতি বছর ঈদুল আজহা এলেই আমি লক্ষ্য করি কতিপয় আল্লাহর গোলাম অপেক্ষাকৃত কম দামে কোরবানির গরু কিনতে পেরে আহ্লাদে আটখানা হয়ে যান। অথচ লোকসানে বা একেবারেই কম মূল্যে গরু বিক্রি করে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতা ঠিকই অশ্রুসিক্ত নয়নে বাড়ি ফিরে যান। এই বিষয়টি আমাকে বড্ড পীড়া দেয়।
একজন গোপালক মাসের পর মাস গাধার খাটুনি খেটে গরু হৃষ্টপুষ্ট করে হাটে নিয়ে যান দু’পয়সা লাভে বিক্রি করতে। কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন না হলে তাকে হতাশ হতে হয়। এমন আটকপালে গোপালক গরুর নায্য মূল্য না পেয়ে হরহামেশাই মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
একজন ক্রেতা গরুর দরদাম শেষে নিশ্চয় অনুমান করতে পারেন যে, সংশ্লিষ্ট বিক্রেতা গরুটি লাভে বিক্রি করছেন নাকি লোকসানে। তখন ক্রেতা ইচ্ছা করলেই নায্য মূল্য দিয়ে কিংবা নির্ধারিত মূল্যের বেশি দিয়ে একজন বিক্রেতার মুখে হাসি ফোটাতে পারেন এবং একই সঙ্গে তিনি নিজের কোরবানির প্রথম ধাপকে পরিশুদ্ধ করতে পারেন।
জেনেশুনে কোনো বিক্রেতাকে লোকসানের সম্মুখীন করলে আল্লাহ্ নিশ্চয় সেই বান্দার কোরবানি কস্মিনকালেও কবুল করবেন না। কারণ পশু কোরবানির উদ্দেশ্যই হলো তাকওয়া বা আল্লাহভীতি। তাই কোরবানির প্রতিটি ধাপেই তাকওয়া অবলম্বন করতে হবে। এ জন্যে আল্লাহ্ বলেন, ‘‘এগুলোর (পশু) গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, বরং তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া পৌঁছে।’’ (২২:৩৭)
~জিসান আহমেদ,
মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর।
০৮ জিলহজ্জ, ১৪৪২ হিজরি।
১৯ জুলাই, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ।
সময়ঃ রাত ১০:৫০ মিনিট।
২| ২০ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৪৬
রিফাত হোসেন বলেছেন: এটার দায়বদ্ধতা শুধু ক্রেতার নয়। সবচেয়ে বেশি বিক্রেতার। সে যতটাকা খরচ করেছে তার উপর ভিত্তি করে ন্যায্য লাভ করতে পারে কিন্তু এর বেশি লাভের আশায় বসে থাকে ও ক্রেতাকে হয়রানি করে আকাশ কুসুম দাম চেয়ে বসে কেন? এটার অর্থ কি?
আর আপনার মানে হল ক্রেতারা হল বলদ! তারা বাজারে দাম অতিরিক্ত হলে বেশিতে কিনবে আর দাম পরে গেলে তারা সঠিক দাম দিয়ে নিবে?
যারা সঠিক দাম চাইবে, আমার বিশ্বাস তারা ঠকবে না। তারা অতি মোনাফালোভী নয়। তারা হাশিখুশি বাণিজ্য করে চলে যাবে।
আর অতি মোনাফালোভিদের সাথে জয় হওয়াই উচিত। এতে এদের শিক্ষা হবে, মোহ থেকে মুক্ত হবার সুযোগ হবে। মনের অসন্তুষ্টি নিয়ে অনেকে পশু কিনেন অতিরিক্ত দামে, বাজেটের অতিরিক্ত হয়ে যায়।
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:৫৪
কামাল১৮ বলেছেন: তাকওয়া জিনিসটা কেমন।