নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খেয়ালি মন

কল্পনার তুলির আঁচড়ে মনের ক্যানভাসে আঁকা ছবিগুলো দিয়ে জীবন রাঙ্গানোর অপচেষ্টা মাত্র

সপ্নাতুর আহসান

স্বপ্নাতুর আহসান। আমার লেখাগুলোই আমার পরিচয়।

সপ্নাতুর আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ ডুব

০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৮



ঘুম থেকে উঠে দীর্ঘক্ষণ ধরে গোসল করল সানজানা। দুপুরে অনেকক্ষণ ঘুমিয়ে শরীর ম্যাজ ম্যাজ করছিল। এখন বেশ ফ্রেশ লাগছে।



আজ তার ডিপার্টমেন্টের গেট-টুগেদার প্রোগ্রাম। ড্রেস হিসেবে আকাশি কালারের শাড়িটা চুজ করে রেখেছিল সে। কিন্তু এখন কেন যেন শাড়ি পড়তে ভাল লাগছে না। সালোয়ার-কামিজ পড়ে ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে দাঁড়াল। শরীরটা মুটিয়ে যাচ্ছে ইদানিং। সেই সাথে মুখে বলিরেখার ছাপ স্পষ্ট। রাত জাগা, দুশ্চিন্তা, নিঃসঙ্গতা সবগুলোর সমন্বিত ফল। তা না হলে কতই বা বয়স হয়েছে তার! ৩০, সার্টিফিকেট অনুযায়ী ২৮।



মেয়েকে এক পলক দেখে রান্না ঘরের দিকে চলে গেলেন মা, শায়লা বেগম। এইচ,এস,সি পাশ করার সাথে সাথে পরিবারের সকলের মত অনুযায়ী বিয়ে করতে বাধ্য হন ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলামকে। নিজের অপূর্ণ ইচ্ছে গুলো মেয়ের মাধ্যমে পূরণের চেষ্টায় মোটামোটি সফলই বলা যায় তাকে। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ, এম,বি,এ করে একটি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে জব করছে সানজানা। গান, কবিতা আবৃতি, উপস্থিত বক্তৃতা সব ক্ষেত্রেই তাঁর মেয়ের অগাধ বিচরণ।



কিন্তু দিন দিন কেন যেন দূরত্ব বাড়ছে। মা ন্যাওটা মেয়েটা হঠাৎ করে বড় হয়ে গেছে। তাকে নিজের মত করে বেড়ে উঠার যে সুযোগ তিনি দিয়েছেন তার প্রপার ইউজ মেয়ে করতে পারে নি। আধুনিকতার উচ্ছলতায় ভেসে গিয়েছে। হিমেলের সাথে অ্যাফেয়ার মেনে নিয়েছিলেন অবশেষে, কিন্তু সেই ছেলে তাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে। স্কলারশিপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় চলে গিয়েছে হিমেল।



হিমেলের সাথে উথাল পাথাল সম্পর্ক ক্যাম্পাসে ততদিনে কারও অজানা নেই। প্লেটোনিক প্রেম এর সীমারেখা অতিক্রম করে তা অনেক গভীরে চলে গিয়েছে। হিমেল ভাবল মাত্র কিছুদিন হল চেনে আমাকে, এতেই এত কিছু? এই মেয়ে তো চরিত্রহীন । সতীত্ব এর কাছে তেমন কোন ইস্যুই নয়। এই মেয়েকে বিয়ে করলে সর্বনাশ।



প্রেম করার জন্য ছেলেরা খোঁজে ‘লাস্যময়ী নারী’, কিন্তু বিয়ের জন্য ‘সতী-সাধ্বী’।



হিমেল কিছুই বুঝতে দিল না সানজানাকে। ধীরে ধীরে মিশল তার সঙ্গে, অবগাহন করল। তারপর ব্যবহৃত সিগারেটের ফিল্টারের মত ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে সন্তর্পণে উড়াল দিল।



হিমেল থাকা অবস্থায় আবেগে ভাসছিল সানজানা। বাস্তব নিয়ে সে মোটেই চিন্তিত ছিল না। কিন্তু এখন চোখের পাতায় ভেসে উঠে নির্মম বাস্তবতা, যেটা তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে অবিরত। চেনা মানুষগুলো একটু একটু করে অচেনা হতে শুরু করেছে। সবচেয়ে আপন মা-ই ইদানিং কেমন যেন চিরশত্রুর মত আচরণ করছে। কি করবে সে? আহত বোধ নিয়ে অভিমানের চাদরে জড়িয়ে নিজেকে ছুঁড়ে দিবে কয়েকটি ঘুম জাগানিয়া ওষুধের মাঝে?



সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে লাগল। রুমের ভেতর একমনে পায়চারি করতে লাগল। নাহ, এসব সে কেন করবে? কি নেই তার? আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে বেশ কয়েকবার দেখল। আজও সে সুন্দরী, তন্বী । যে কোন পুরুষের চোখে অনন্যা। তাহলে কেন সে ভগ্নাংশ হয়ে জীবন অঙ্কের খাতায় মুখ থুবড়ে পড়ে থাকবে?



নিজের সাহসিকতায় নিজেই চমকে উঠে। এই ত্রিশ বছরের জীবনে এত সাহস সে কোথায় পেল? বাস্তবতাই তাকে সাহসী করেছে। মনে শত শত প্রশ্ন বাসা বাঁধে তার। হাসিখুশি মেয়েটার গতিপথ এলোমেলো করে দিল কে? প্রেমের উন্মত্ততা? জীবনটাকে উপভোগের নেশা? নাকি নিয়মের বেড়াজালকে দুহাত দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা?



নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পড়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে সে। সিনিয়র জুনিয়র মিলে প্রায় শখানেক লোকের উপস্থিতি। উদ্দেশ্য একাকীত্বের যন্ত্রণা লাঘব। সেই সাথে সময়ের চোরাবালিতে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের সাথে পুনর্মিলন।



সানজানা জানে সামনে যতই সুন্দর সুন্দর কথা বলুক, পিছনে অনেকেই সমালোচনা করে তাকে নিয়ে। কিন্তু কি করবে সে? এখন সে অনেক সাবধানী। সব কিছুতেই ভয় হয় তার। ভয়টা এখন যেন মজ্জাগত, যেমন ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়। হিমেলের পরে অনেক পুরুষই আসতে চেয়েছে তার জীবনে। কিন্তু তাদের চোখের লোলুপ দৃষ্টি দেখে পিছিয়ে এসেছে সে। এখন তার দরকার দৃঢ় অবলম্বন, আবেগে ভাসার মত বয়স কিংবা সময় কোনটিই তার নেই।



তার ব্যাচমেট মায়া এসেছে হাজবেন্ডকে সাথে নিয়ে। সেই সাথে ফুটফুটে একটি শিশু। শিশুটিকে নিয়ে অনেকেই ব্যস্ত। সেকেন্ড ইয়ারে থাকতে মায়ার বিয়ে হয়ে যায়। স্টাডি কন্টিনিউ করতে পারবে না বলে মায়ার সে কি কান্না। এই সব লোয়ার ক্লাস ম্যাটার(ফেচফেচানি) সানজানা সহ্য করতে পারে না। তাই সে অ্যাভয়েড করেছিল। এসব কি মনে রেখেছে মায়া? মায়ার চোখেমুখে শান্তির স্নিগ্ধ একটা ছাপ। মুখ জুড়ে প্রসন্ন হাসি, যে হাসি লেগে থাকে শুধুমাত্র একজন ছেলে সন্তানের মায়ের মুখে। অথচ সানজানার দুচোখের কোলে কেমন যেন একটা শূন্যতার আকাশ। মায়াকে দেখে এখন কেন যেন কিছুই ভাল লাগছে না তার। কেবলই মনে হচ্ছে জীবন যুদ্ধে সে এক পরাজিত পলাতক সৈনিক। মায়া নামক লোয়ার মিডল ক্লাস মেয়েটি তাকে হারিয়ে দিয়েছে।



শরীর খারাপের এক্সকিউজ দেখিয়ে গাড়িতে উঠল। শরীর খারাপের কথা সহজেই প্রকাশ করা যায়। কিন্তু মন খারাপটা মনেরই অতল গহ্বরে চাপা পড়ে থাকে। ঘুনপোকার মত কুঁড়ে কুঁড়ে খায় হৃদয়।



কিছুদূর এসে জানালার কাঁচ নামিয়ে দিল। ড্রাইভারকে লো ভলিউমে রবীন্দ্রসঙ্গীত চালিয়ে দিতে বলল।



চোখের আলোয় দেখেছিলেম চোখের বাহিরে।

অন্তরে আজ দেখব, যখন আলোক নাহি রে।।

ধরায় যখন দাও না ধরা

হৃদয় তখন তোমায় ভরা,

এখন তোমার আপন আলোয় তোমায় চাহি রে।।






জানালার কাঁচ বেয়ে নেমে আসছে বৃষ্টি। অসময়ের বৃষ্টিতে কেমন যেন মন খারাপের স্পর্শ আছে। দু এক ফোঁটা জলের ঝাপটা এসে ভিজিয়ে দিচ্ছে তাকে। ইদানিং তার চোখ জুড়ে মেঘ করে না। দু’চোখ জুড়ে এখন শুধুই রিক্ত পথিক শীতের আনাগোনা। মনের আকাশে যতদূর চোখ যায় কেবল ধুসর বিষন্নতা। তবে আজ অনেকদিন পর চোখ ভিজছে নিজস্ব বৃষ্টিতে।





মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লাগলো +++++

০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২২

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৯

সোহাগ সকাল বলেছেন: কমন প্লট হলেও বর্ণনা চমৎকার। "প্রেম করার জন্য ছেলেরা খোঁজে ‘হট কেক’, কিন্তু বিয়ে করার জন্য ‘সতী-সাধ্বী নারী" আসলেই। রবীন্দ্রসঙ্গীতটা সুন্দর।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: হুম, কনভেনশনাল প্লট।
ধন্যবাদ।

৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২০

নামগোত্রহীন বলেছেন: ভালো লাগলো।+++++

০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

অ্যামফিবিয়্যাস বলেছেন: শরীর খারাপের এক্সকিউজ দেখিয়ে গাড়িতে উঠল। শরীর খারাপের কথা সহজেই প্রকাশ করা যায়। কিন্তু মন খারাপটা মনেরই অতল গহ্বরে চাপা পড়ে থাকে। ঘুনপোকার মত কুঁড়ে কুঁড়ে খায় হৃদয়...........ভালো লাগলো

০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমার ব্লগে স্বাগতম।

৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: ভাই, আপনার গল্পটা ভালই লাগল।

তবে গল্পটা পড়ার সাথে সাথে মনে হচ্ছিল আমাদের দুই ব্যাচমেইট এর গল্প শুনছি।

তবে গল্প প্রথম দিকে মিলে গেলেও পরের দিকে পুরাই উলটা।

আমাদের ব্যাচ এর যেই মেয়েটাকে ফাঁকি দিয়ে বিদেশে চলে যায় প্রেমিক, সেই মেয়েটা মানসিক ভাবে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছিল, সে সেখান থেকে কামব্যাক করে ইটালিতে এই মুহূর্তে নিউরো সায়েন্স এ পোস্ট গ্রাজুয়েশন করছে, তার জীবন হয়ত এখনো অনেক অপূর্ণ, কিন্তু তাকে দেখে ভাল লাগে যে সে ফাইটব্যাক করেছে। একটা ছেলের ইচ্ছামত তার জীবন নষ্ট হয় নাই।

আবার আমাদের ব্যাচ এর অন্যতম সুন্দরী মেধাবী যে মেয়েটা ছিল, সে বিয়ে করে ফেলে স্টুডেন্ট অবস্থায়। আপাতত স্বামী সংসার আর দুই বাচ্চা নিয়ে আছে। ক্লিনিকাল লাইফ থেকে অনেক দূরে।

এই দুই ব্যাচমেইট ই এখন অনেক দূরে। বাস্তবজীবনে আমার মনে হয় দুইজনকেই দুইরকম ফাইটব্যাক করতে হচ্ছে। তবে প্রথম যে বান্ধবীর কথা বললাম, তার ফাইটব্যাক দেখে মুগ্ধ ই হয়েছি।

আপনার গল্প টা বেশ ভাল হয়েছে। এতটা ভাল যে আমার দুই ব্যাচ মেইট এর সাথে মিলিয়ে ফেলেছি। তবে গল্পের শেষ টা এখন আর এরকম হয় না। মেয়েরা ফাইট ব্যাক করতে শিখে গেছে। :)

০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: আপনার ব্যাচ-মেটদের গল্পটা জানলে তো ফাইট ব্যাক করায় দিতাম।

হুম, মেয়েরা ফাইট ব্যাক করতে শিখে গেছে। এখানে সানজানাও কিন্তু বসে নেই, জাস্ট উপযুক্ত অবলম্বনের খোঁজে।

ধন্যবাদ। আমার ব্লগে স্বাগতম।

৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭

সাকিব শাহরিয়ার বলেছেন: লেখাটা আমার খুবি ভালও লেগেছে।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: তাই নাকি?
ধন্যবাদ।

৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: ইদানিং তার চোখ জুড়ে মেঘ করে না। দু’চোখ জুড়ে এখন শুধুই রিক্ত পথিক শীতের আনাগোনা। মনের আকাশে যতদূর চোখ যায় কেবল ধুসর বিষন্নতা। তবে আজ অনেকদিন পর চোখ ভিজছে নিজস্ব বৃষ্টিতে।

ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম.......

০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল।
ধন্যবাদ।

৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কেউ একজন সানজানার ভালবাসাটুকু বুঝতে পারে নি বলে নিজেকে ছোট ভাবার কিছু নেই। কেউ না কেউতো আছেই যে তার অনুভূতিকে শ্রদ্ধা করতে পারবে।

ভাল লাগা রইল গল্পে।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: অবশ্যই, কেউ না কেউ তার অনুভূতিকে শ্রদ্ধা করবে।
ধন্যবাদ। ব্লগে স্বাগতম।

৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

নেক্সাস বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে

০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ নেক্সাস ভাই।

১০| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পটা পড়তে পড়তে শুরুর দিকে মনে হচ্ছিলো সানজানার সাথে হিমেলের প্রতারণা নিয়েই বুঝি পুরো গল্প কেটে যাবে । আর যদি তাই হতো সত্যিই সেটা বোরিং লাগতো। শেষ পর্যন্ত যে সেটা হয়নি ভালো লাগলো পুরোটা শেষ করে।

যদিও এরকম ঘটনা অহরহ মানুষের জীবনে ঘটছে, কেউ এই বেদনাকে গতানুগতিক ঠাণ্ডা সর্দির মতোই দেখছে, সপ্তাহ খানেক ভুগেই শেষ। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের মাঝে সেটা আবার গভীরভাবেই দাগ কেটে যায়। প্রেম ভালোবাসার সহজ লভ্যতার যুগে এই ঘটনা গুলো খুব পরিচিত হলেও আপনার গল্পের শেষাংশের অনুভব টা ছুঁয়ে গেছে। ভালো লেগেছে।

এই রবীন্দ্রসঙ্গীতটা আমার খুব প্রিয় ।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: যাক শেষ পর্যন্ত বোরিং লাগে নি জেনে ভাল লাগল। আপনার মন্তব্য অনুপ্রেরণা জাগায়। আপনি এত সুন্দর করে লিখেন কিভাবে?

রবীন্দ্রসঙ্গীতটা অনেকের খুব প্রিয় ।

ধন্যবাদ।

১১| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: সাদামাটা প্লটের সাদামাটা গল্প। বর্ণনার কিছু জায়গায় ইংরেজি মানানসই লাগেনি। যেমন "প্রোপার ইউজ করা" ,লোয়ার ক্লাস ম্যাটার(ফেচফেচানি), প্রভৃতি।

তবে পড়তে ভালোই লাগলো।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ হা মা ভাই। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগল।

কারেকশন মনে থাকবে।

ব্লগে স্বাগতম।

১২| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: ভালই লাগল। চালিয়ে যান।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ। চেষ্টা করব চালিয়ে যেতে।

১৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

আরমিন বলেছেন: সুন্দর!

০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫

টুম্পা মনি বলেছেন: ভালো লাগল।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: জেনে খুশি হলাম।

১৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১০

অচিন তারা বলেছেন: বাস্তবতা...
ভালো লেগেছে ++++ :)

০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ অচিন তারা।
ভাল থাকুন।

১৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০

বটের ফল বলেছেন: একগুচ্ছ প্লাস।
+++++++

হা মা ভাইয়ের সাথে একমত।

ভালো লেগেছে।



ফারিয়াকে মিস করছি ব্রো :#)

০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।

আমিও একমত। দেখি সময় করে ঠিক করে দেব।

ফারিয়াকে মনে রাখার জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের অনুরোধ রাখার চেষ্টা করব। মনে করেছিলাম ওই সিরিজ আর লিখব না। কিন্তু মনে হচ্ছে সেই চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিতে হবে।

১৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮

মাক্স বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন! ++++

০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ মাক্স ভাই।

১৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে ।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই।
আপনাদের অনুপ্রেরনাই তো আমার লেখার চালিকা শক্তি।

১৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম.......

০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ অভি ভাই।

আপনার অনুপ্রেরণা নিয়মিত পেয়ে চলেছি। ভাল লাগে। লেখালেখি কমিয়ে দিয়েছেন নাকি?

ভাল থাকুন।

২০| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

কালোপরী বলেছেন: :)

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৩

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
আফা হাসির ইমো দিয়া কি বুঝাইলেন?

২১| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪০

খেয়া ঘাট বলেছেন: তাহলে কেন সে ভগ্নাংশ হয়ে জীবন অঙ্কের খাতায় মুখ থুবড়ে পড়ে থাকবে? -
প্রতারিত প্রেমিকদের কাটাকুটির খেলায় বোকা মেয়েরা এভাবেই পড়ে থাকে।
যোগ বিয়োগের অনঙক ভালো না বুঝলে প্রেমাঙক না করাই ভালো।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
পোস্টে একগুচ্ছ প্লাস।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৫

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: সহমত।
প্রতারক প্রেমিকদের কাটাকুটির খেলায় বোকা মেয়েরা এভাবেই পড়ে থাকে।
যোগ বিয়োগের অংক ভালো না বুঝলে প্রেমাংক না করাই ভালো। না হলে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকতে হয়।

২২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চোখের আলোয় দেখেছিলেম চোখের বাহিরে।
অন্তরে আজ দেখব, যখন আলোক নাহি রে।।
ধরায় যখন দাও না ধরা
হৃদয় তখন তোমায় ভরা,
এখন তোমার আপন আলোয় তোমায় চাহি রে।।

পোস্টে ++++++++রইল

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৬

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ, কান্ডারী ভাই।

২৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ছিমছাম গল্প। পড়তে ভাল লেগেছে।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৭

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনার লেখাগুলো বেশ ভাল লাগে।

২৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৮

শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:
হটকেক। B-)) B-)) B-))

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৮

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: হটকেক দেইখ্যা এত খুশি ক্যান? :-B

২৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৪

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কই না তো , আমার তো মনে হয় বেড়ে গেছে ! গত ১০ দিনে ৩ টা পোষ্ট দিয়ে দিয়েছি ! আজকেই তো একটা দিলাম !

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৬

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: স্যরি। আমার চোখ এড়িয়ে গেছে।
পড়ে আসব। ধন্যবাদ।

২৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:২৪

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: ++++++++

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ শোভন ভাই।

২৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:০৭

একজন আরমান বলেছেন:
গল্পের বর্ণনা ভালো লাগলো।

অতি আধুনিকতা আসলে ভালো না।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
অতি আধুনিকতা ভালো না।

২৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৫৬

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপ টা শুরুর দিকে কিছুটা আশা জাগিয়ে ছিল - কিন্তু পুরা পড়া শেষে মনে হল গপটা তেমন জমেনি

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: যাক আশা তো জাগাতে পেরেছি !!!
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১১

সোমহেপি বলেছেন: গল্পের চেয়ে এখানে প্রেমের কন্ডিশন নিয়ে বেশি আলোচনা হল।যেটা মোটেই ঠিক না।প্রেমে কোন কন্ডিশন থাকা উচিত নয়।প্রেম বাঁধ ভাঙআ জোয়ারের মত আসবে আর সব ভাসিয়ে নিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক।
তবে পাত্র সঠিক না হলে কপালে খারাপই হয়।
আর প্রেম প্রতারণার ব্যাপরটাতে ক্লাসিফাই করা ঠিক না।এটা সুবিধামত মেয়ে -ছেলে সবাই করে।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: প্রেমে কোন কন্ডিশন থাকা উচিত নয়।প্রেম বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের মত আসবে আর সব ভাসিয়ে নিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। (সহমত)

তবে এখানে আধুনিকতার উচ্ছলতার নেগেটিভ দিকটা দেখানো হয়েছে জাস্ট।

আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভালই লাগলো


০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ বর্ষণ ভাই। আপনার নিয়মিত অনুপ্রেরণা পাচ্ছি।

৩১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: "শরীর খারাপের কথা সহজেই প্রকাশ করা যায়। কিন্তু মন খারাপটা মনেরই অতল গহ্বরে চাপা পড়ে থাকে। ঘুনপোকার মত কুঁড়ে কুঁড়ে খায় হৃদয়।" একমত। :)

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৭

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমার ব্লগে স্বাগতম।
আপনার কথা পুরনো ব্লগারদের মুখে অনেক শুনি। আপনি আর লিখেন না কেন জানি না। আশা করি লিখবেন।

৩২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: ভালো লেগেছে অনেক :)

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:২২

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ রহস্যময়ী কন্যা। :)

৩৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২২

রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: আমার কথা শুনেন!!তাও আবার অনেক!!! কই আমিতো শুনিনা,আপনি কই থেকে শুনেন :P :P
আমিতো বেশিদিন রেগুলার ছিলাম না ব্লগে,কয়েক মাস রেগুলার ছিলাম,এখন তেমন আসা হয় না ব্যস্ততায়,মাঝে মাঝে একটু ঢু মেরে যাই কেবল।

শুভকামনা ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: শত ব্যস্ততার মাঝে ঢু মেরেছেন এই অধমের ব্লগে তাও আবার একবার নয়, দুই বার। সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার একটাই মাত্র পোস্ট রেখেছেন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে, দেখে ভাল লাগল। আপনি যে সময় নিয়মিত ছিলেন তখন আমার ব্লগিং লাইফের জন্মই হয় নি হয়তবা। আর আমি যখন এসেছি আপনি তখন ছুটি নিয়েছেন। তবে পুরনো ব্লগারদের কমেন্ট পড়ে আপনার লেখাগুলো পড়ার লোভ হচ্ছে।

কোন স্বত্বাকে খুন করা কিন্তু ঠিক না-লেখিকা/কবি।

৩৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়তে ভাল লেগেছে।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ। ব্লগে স্বাগতম।

৩৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

শীলা শিপা বলেছেন: ইদানিং তার চোখ জুড়ে মেঘ করে না। দু’চোখ জুড়ে এখন শুধুই রিক্ত পথিক শীতের আনাগোনা। মনের আকাশে যতদূর চোখ যায় কেবল ধুসর বিষন্নতা।

ভাল লাগল পড়তে। ভাল থাকবেন।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন।

৩৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪২

চেনা মুখ, অচেনা ছায়া বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৩

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
ব্লগে স্বাগতম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.