![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজনীতিবিদদের ভাষা শুনে আমরা লজ্জা পাই2৮ Jan, 2014 বাংলাদেশের রাজনীতিতে অরাজনৈতিক ভাষা ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে শীর্ষ পর্যায়ের নেতা-নেত্রীরা রাজনৈতিক সমালোচনার চেয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণেই বেশি দক্ষ। আর এই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ অব্যাহত থাকে। তার সঙ্গে যোগ দেন অনুগতরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিউল আলম বলেন, তাদের ভাষা আমাদের লজ্জা দেয়। আর শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিউটের অধ্যাপক মজিবর রহমান মনে করেন, অরাজনৈতিক ভাষা রাজনীতিকে আরো অসহিষ্ণু করে তোলে।
বাংলাদেশে রাজনীতিবিদদের মুখ থেকে বের হওয়া দুটি শব্দ 'গোলাপি' এবং 'ঘোমটা পড়া বুবুজান'- এই দুটি শব্দ দিয়ে কোন দুজন রাজনীতিবিদকে ইঙ্গিত করা হয় তা সবার জানা। তাদের একজন আরেকজনকে কথায় কথায় পাকিস্তান অথবা ভারতে পাঠিয়ে দেন। একজনকে বলা হয় জামায়াতের আমির। তার জবাবে আরেকজনকে বলা হয় জাতীয় পার্টির আমির।
নবম জাতীয় সংসদে এরকম আরো অনেক শব্দের ব্যবহারে একবার চরম বিরক্ত হয়েছিলেন সাবেক স্পিকার এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। তিনি এতোই বিরক্ত হয়েছিলেন যে, সংসদের বাইরে গিয়ে কোনো কোনো সংসদ সদস্যকে গায়ে তেল মেখে কুস্তি লড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
সাভারে রানা প্লাজা ধসে পড়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ২৪ এপ্রিল বলেন, 'কিছু হরতাল সমর্থক ভবনটির ফাটল ধরা দেয়ালের বিভিন্ন স্তম্ভ এবং গেট ধরে নাড়াচাড়া করেছে বলে জানতে পেরেছি। ভবনটি ধসে পড়ার পেছনে সেটাও একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।' রানা প্লাজা ধসে প্রাণ হারিয়েছেন এক হাজারের বেশি মানুষ।
নাম, উপনাম এবং বিশেষণ ব্যবহার ছাড়াও নেতা-নেত্রীরা কখনো কখনো অতীত আলোচনায় এতোই নির্মম হয়ে ওঠেন যে, তারা পরস্পরের দেশপ্রেম নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। কেউ হয়ে যান রাজাকার। আবার কেউ নব্য বাকশাল। একজন আরেকজনকে খুনি, হত্যাকারী বলতেও দ্বিধা করেন না।
তবে রাজনীতিবিদদের এই ভাষাকে মোটেই রাজনৈতিক মনে করেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শফিউল আলম। তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দল আরেকটি রাজনৈতিক দলের কাজের সমালোচনা করবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তা না করে নেতারা ব্যক্তিগত আক্রমণ, নিন্দা এবং অপপ্রচারে লিপ্ত। আর তাতে যেসব ভাষা ব্যবহার করা হয় তাতে আমরা লজ্জা পাই।
'পরস্পরকে অরাজনৈতিক ভাষা ব্যবহার করে ঘায়েল করার এই কৌশল বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক দিন ধরেই চলে আসছে। আর এই সময় এর মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। এটা কোনো সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি নয়। এই ভাষা দিয়েই বাংলাদেশের রাজনীতির মান সম্পর্কে ধারণা করা যায়।
ড. শফিউল আলম মনে করেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতিতেও এই ধরনের নিন্দা বা ব্যক্তিগত কুৎসা রটানোর রেওয়াজ আছে। তবে দুঃখ হলো, রাজনীতিবিদরা এর উর্ধ্বে উঠতে পারছেন না। তাদের ভাষা থেকে দেশের সাধারণ মানুষ কোনো ইতিবাচক শিক্ষা পাচ্ছে না। আর রাজনীতিবিদদের সমর্থকরা তাদের এ জাতীয় কথাবার্তায় হাততালি দিয়ে আরো উৎসাহ দেন।
তিনি বলেন, দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল যেনো রাজনীতি নয়, ঝগড়ায় লিপ্ত।
শফিউল আলম বলেন, হয়তো সময়ের পরিবর্তনে রাজনীতি যখন আরো পরিশীলিত হবে, তখন হয়ত রাজনীতিবিদদের ভাষায়ও পরিবর্তন আসবে।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিউটের অধ্যাপক মজিবর রহমান বলেন, রাজনীতিবিদদের এই ভাষা রাজনীতিকে আরো অসহিষ্ণু এবং সংঘাতময় করে তুলছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ব্যক্তি ও পরিবারকেন্দ্রিক। তাই তাদের সমালোচনা এবং আক্রমণও ব্যক্তি ও পরিবারকে কেন্দ্র করে। তারা মনে করেন ব্যক্তিগত আক্রমণের মাধ্যমে ব্যক্তিকে ঘায়েল করা গেলে দলও ঘায়েল হয়। তাই তারা রাজনৈতিক সমালোচনার পরিবর্তে ব্যক্তিগত কুৎসা বা সমালোচনায়ই বেশি উৎসাহী।
অধ্যাপক মজিবর আরো বলেন, তাদের ভাষা থেকে নতুন প্রজন্মের কিছু শেখার নেই। বরং নতুন প্রজন্ম তাদের এই আচরণে বিরক্ত।
রাজনীতিবিদদের ভাষা শুনে আমরা লজ্জা পাই26 Jan, 2014 বাংলাদেশের রাজনীতিতে অরাজনৈতিক ভাষা ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে শীর্ষ পর্যায়ের নেতা-নেত্রীরা রাজনৈতিক সমালোচনার চেয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণেই বেশি দক্ষ। আর এই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ অব্যাহত থাকে। তার সঙ্গে যোগ দেন অনুগতরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিউল আলম বলেন, তাদের ভাষা আমাদের লজ্জা দেয়। আর শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিউটের অধ্যাপক মজিবর রহমান মনে করেন, অরাজনৈতিক ভাষা রাজনীতিকে আরো অসহিষ্ণু করে তোলে।
বাংলাদেশে রাজনীতিবিদদের মুখ থেকে বের হওয়া দুটি শব্দ 'গোলাপি' এবং 'ঘোমটা পড়া বুবুজান'- এই দুটি শব্দ দিয়ে কোন দুজন রাজনীতিবিদকে ইঙ্গিত করা হয় তা সবার জানা। তাদের একজন আরেকজনকে কথায় কথায় পাকিস্তান অথবা ভারতে পাঠিয়ে দেন। একজনকে বলা হয় জামায়াতের আমির। তার জবাবে আরেকজনকে বলা হয় জাতীয় পার্টির আমির।
নবম জাতীয় সংসদে এরকম আরো অনেক শব্দের ব্যবহারে একবার চরম বিরক্ত হয়েছিলেন সাবেক স্পিকার এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। তিনি এতোই বিরক্ত হয়েছিলেন যে, সংসদের বাইরে গিয়ে কোনো কোনো সংসদ সদস্যকে গায়ে তেল মেখে কুস্তি লড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
সাভারে রানা প্লাজা ধসে পড়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ২৪ এপ্রিল বলেন, 'কিছু হরতাল সমর্থক ভবনটির ফাটল ধরা দেয়ালের বিভিন্ন স্তম্ভ এবং গেট ধরে নাড়াচাড়া করেছে বলে জানতে পেরেছি। ভবনটি ধসে পড়ার পেছনে সেটাও একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।' রানা প্লাজা ধসে প্রাণ হারিয়েছেন এক হাজারের বেশি মানুষ।
নাম, উপনাম এবং বিশেষণ ব্যবহার ছাড়াও নেতা-নেত্রীরা কখনো কখনো অতীত আলোচনায় এতোই নির্মম হয়ে ওঠেন যে, তারা পরস্পরের দেশপ্রেম নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। কেউ হয়ে যান রাজাকার। আবার কেউ নব্য বাকশাল। একজন আরেকজনকে খুনি, হত্যাকারী বলতেও দ্বিধা করেন না।
তবে রাজনীতিবিদদের এই ভাষাকে মোটেই রাজনৈতিক মনে করেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শফিউল আলম। তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দল আরেকটি রাজনৈতিক দলের কাজের সমালোচনা করবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তা না করে নেতারা ব্যক্তিগত আক্রমণ, নিন্দা এবং অপপ্রচারে লিপ্ত। আর তাতে যেসব ভাষা ব্যবহার করা হয় তাতে আমরা লজ্জা পাই।
'পরস্পরকে অরাজনৈতিক ভাষা ব্যবহার করে ঘায়েল করার এই কৌশল বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক দিন ধরেই চলে আসছে। আর এই সময় এর মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। এটা কোনো সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি নয়। এই ভাষা দিয়েই বাংলাদেশের রাজনীতির মান সম্পর্কে ধারণা করা যায়।
ড. শফিউল আলম মনে করেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতিতেও এই ধরনের নিন্দা বা ব্যক্তিগত কুৎসা রটানোর রেওয়াজ আছে। তবে দুঃখ হলো, রাজনীতিবিদরা এর উর্ধ্বে উঠতে পারছেন না। তাদের ভাষা থেকে দেশের সাধারণ মানুষ কোনো ইতিবাচক শিক্ষা পাচ্ছে না। আর রাজনীতিবিদদের সমর্থকরা তাদের এ জাতীয় কথাবার্তায় হাততালি দিয়ে আরো উৎসাহ দেন।
তিনি বলেন, দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল যেনো রাজনীতি নয়, ঝগড়ায় লিপ্ত।
শফিউল আলম বলেন, হয়তো সময়ের পরিবর্তনে রাজনীতি যখন আরো পরিশীলিত হবে, তখন হয়ত রাজনীতিবিদদের ভাষায়ও পরিবর্তন আসবে।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিউটের অধ্যাপক মজিবর রহমান বলেন, রাজনীতিবিদদের এই ভাষা রাজনীতিকে আরো অসহিষ্ণু এবং সংঘাতময় করে তুলছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ব্যক্তি ও পরিবারকেন্দ্রিক। তাই তাদের সমালোচনা এবং আক্রমণও ব্যক্তি ও পরিবারকে কেন্দ্র করে। তারা মনে করেন ব্যক্তিগত আক্রমণের মাধ্যমে ব্যক্তিকে ঘায়েল করা গেলে দলও ঘায়েল হয়। তাই তারা রাজনৈতিক সমালোচনার পরিবর্তে ব্যক্তিগত কুৎসা বা সমালোচনায়ই বেশি উৎসাহী।
অধ্যাপক মজিবর আরো বলেন, তাদের ভাষা থেকে নতুন প্রজন্মের কিছু শেখার নেই। বরং নতুন প্রজন্ম তাদের এই আচরণে বিরক্ত।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫
এন ইউ এমিল বলেছেন: আগে মনে হইতো দুইজনে কাদা ছোড়া ছোড়ি করে, এখন মনে হয় কাদা না গু ছোড়া ছোড়ি করে