নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আকতারুর্জ্জামান00

আমি নতুন

আকতারুর্জ্জামান00 › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক হতভাগা পিতার কান্ডু

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫০


ছেলে হত্যার দাবীতে পিতার পোষ্টারিং।
আমার ছেলের লাশ চাই।
নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী ছেলে হত্যা বিচার দাবীতে পিতার পোষ্টারিংয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। আকুল আবেদন ও অভিযোগ শিরোনামে পিতা আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী ছেলে শাহাদাত হত্যার বিচার চেয়ে বিষন্ন মনে আঠা আর ছোট কাগজের এই পোষ্টার দেওয়ালে দেওয়ালে সাটিয়ে যাচ্ছেন। পোষ্টার হাতে আব্দুল মান্নান জানান উপজেলার ১নং জয়াগ ইউনিয়নের আমকি গ্রামের ইব্রাহিম পাটোয়ারী বাড়ীর সফিক উল্যা হঠ্যাৎ করে আমার ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে ফ্রি ভিসায় লিবিয়া রাজমিস্ত্রীর কাজে শাহাদাত কে প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা বেতন দেওয়া হবে। এ ধরনের কথায় আমাকে প্রলুব্ধ করায় আমি দার দেনা করে প্রথমে ৩০ হাজার টাকা দ্বিতীয় বার ৫০ হাজার টাকা সফিক উল্যাকে প্রদান করি। এর পর সফিক উল্যার মেয়ের জামাই শহিদুল এর সাথে শাহাদাত যায় বিমান বন্দরে, সেখানে ছেলেকে বিদায় দিয়ে আসি। পাঁচ দিন পর ছেলের সাথে ফোনে কথা বললে ছেলে কান্না জড়ীত কন্ঠে সুদানে চার দিন চার রাত মাটির নিচে একটি ঘরে কোন খাওয়া দাওয়া না দিয়ে আমাকে রাখা হয়েছে। দ্রুত আমার জন্য ৫০ হাজার টাকা পাঠান। নয়তো রাসেল আর শহিদুল বলছে আমাকে জংলীদের কাছে ৫ লক্ষ টাকা বিক্রি করে দিবে। ছেলের কন্ঠে এমন কথা শুনে আমি রাসেলের সাথে যোগাযোগ করি। সে আমাকে ১ লক্ষ টাকা পাঠাতে বলে। নিরুপায় হয়ে কর্জ করে ১ লক্ষ টাকা পাঠালে ছেলেকে লিবিয়ায় নিয়ে যায়। এর পর শাহাদাতের আর কোন খবর না পেয়ে রাসেলের বাবা সফিক উল্যার বাড়ীর জমিন এর মধ্যে ৪০ দিন আমাকে কাজ করায়। কিন্তু কোন টাকা পয়সা দেয় নি। আমার স্ত্রী তার বাড়ীতে কাজের মহিলার মতো কাজ করেছে। শুধু ছেলে বিদেশে ভালো থাকবে। এই আশায় স্বামী স্ত্রী দু জন দাস দাসীর মতোই গৃহ কর্মে শ্রম দিয়েছি। এরা অসহায় গরীব মানুষ কে জিম্মি করে দাস ব্যাবসা করে। দীর্ঘ ২ মাস পর যোগাযোগ হলে ছেলে জানায় ৫ দিন জেলে রেখেছে। আমি প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা করে আয় করেছি। মোট ৬ মাসে বেতন ১৩ লক্ষ টাকা রাসেলের কাছে রয়েছে। এর কয়েক দিন পরেই রাত ২ টায় রাসেল আমাকে ফোন দিয়ে জানায় শাহাদাত ইতালীর সীমান্ত এলাকায় বোমা হামলায় নিহত হয়েছে। এ কথা বলেই সাংবাদিকের সামনে বাকরুদ্ধ হয়ে যায় শাহাদাতের বাবা। রাসেল শাহাদাতের মায়ের কাছে ফোন দিয়ে বলে নিজ থেকেই জানায় আপনারা আবার মনে কইরেন না আমি শাহাদাত কে মেরে তার কিডনী আমি লাগিয়েছি। শাহাদাত বেনগাজীতে কাজ করতো, সেখান থেকে সীমান্ত অনেক দুর। কিভাবে এক ঘন্টার মধ্যে মধ্যে শাহাদাতের লাশ হাসপাতালে তাদের হেফাজতে আসলো। এ ব্যাপারে সমাজের বিশিষ্ট জনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.