![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদত্ত বাণী
........................................................
বিসমিল্লাহির রহমানের রাহিম [আরবীতে]
[মনোগ্রাফ]
প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
বাণী
চল্লিশতম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহীদকে; স্মরণ করছি দু'লক্ষ মা-বোনকে, যাঁদের অসামান্য আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন দেশ।
স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ৯ মাসের মরণপণ যুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জন করে।
মহান বিজয় দিবসের এই মাহেন্দ্রক্ষণে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতাকে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় নির্বাচিত মুজিবনগর সরকারের এই নেতৃবৃন্দ সমন্বিতভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। বাঙালি জাতির বীরত্ব, দেশাত্মবোধ ও সাহসী নেতৃত্বের কাছে অচিরেই পরাভূত হয় পাক হানাদার এবং তাদের দোসর রাজাকার-আলবদর ও আল-শামস বাহিনী।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাসের কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়। জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালি জাতির দীর্ঘ ২৩ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত ফসল ছিল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ।
স্বাধীনতার দীর্ঘ সংগ্রামে '৫২র ভাষা আন্দোলন, '৫৪র নির্বাচন, '৬২র শিক্ষা আন্দোলন, '৬৬র ছয়-দফা, '৬৯এর গণঅভ্যুত্থান এবং '৭০এর নির্বাচনের পথ পেরিয়ে বাঙালি জাতি উপনীত হয় '৭১এর ৭ই মার্চের মহামিলন মোহনায়। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জনতার সমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাঙালির মুক্তির দিশারি বঙ্গবন্ধু দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা দিয়েছিলেন; এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। মূলত সেদিন থেকেই শুরু হয় স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নবতর অধ্যায়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও পরাজিত শক্তি থেমে থাকেনি। তারা হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। একই বছর ৩রা নভেম্বর জেলখানায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। তারা ধবংস করতে চেয়েছিল সংবিধান, গণতন্ত্র, মানবতা, সংস্কৃতি, ইতিহাসসহ আমাদের মহত্তম অর্জনগুলো।
আজন্ম সংগ্রামী বাঙালি জাতি জীবন দিয়ে, দীর্ঘ অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করেছে, গণতন্ত্র এবং মানুষের অধিকার। ২০০৮ সালে দীর্ঘ অনুষ্ঠিত বহু প্রতীক্ষিত নির্বাচনে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে জনগণ ব্যাপকভাবে সমর্থন দিয়েছে।
বর্তমান সরকার পবিত্র সংবিধানে ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুন:প্রতিষ্ঠা ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকে প্রতিহত করতে এ উদ্যোগ এক মাইলফলক।
ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যার পুনর্বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সকল হত্যাকাণ্ডের বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর।
২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হবে। এ সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে দলমত নির্বিশেষে সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় একটি সুখী, সুন্দর, শান্তিময় ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। যেখানে প্রতিটি নাগরিকের প্রাপ্য অধিকার যথাযথ সংরক্ষিত থাকবে।
আগামী দিনের বাংলাদেশ হোক জাতির পিতার কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের সোনার বাংলা। যেখানে ধনী-দরিদ্র ভেদাভেদ থাকবে না। সকলের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার থাকবে অবারিত। সবাইকে আবারও বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক
[স্বাক্ষর]
শেখ হাসিনা
©somewhere in net ltd.