![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কল্পনার জগতে বিচরণকারী বাস্তবতার মূর্ত প্রতীক
মীরার লম্বা চুল। সে চুল ছেড়ে ক্লাসে আসে। চুলের আড়ালে লুকিয়ে থাকে হেডফোন। সবসময় যেয়ে জানালার পাশের চেয়ারটায় বসে, আর পুরো ক্লাস মন জানালায়। প্রথম প্রথম টিচাররা বকাঝকা করতেন। এখন হাল ছেড়ে দিয়েছেন।
কি দেখিস এত?
এই তো, যা দেখা যায় সব ই দেখি।
দেখার মতন কি আছে? সেই তো একি সিনারি প্রতিদিন...।
মীরা হাসে উত্তরে। সে যে কি দেখে সে নিজেই জানে না। কিন্তু তার দেখতে খুব ভাল লাগে। ওই খানে ছোট ছোট ফুলগাছের উপর দিয়ে হলুদ আর সাদা দুটো প্রজাপতি উড়ে যায়। তার পাশের গাছের ডালে বাবুই পাখির সংসার। আকাশের রংটা কেমন মিনিটে মিনিটে বদলায়। ছায়া কেমন নাচে...। ল্যাম্পপোস্টের পাশে একটা ছেলে প্রায় দাঁড়িয়ে থাকে। একটা মেয়ে ছুটতে ছুটতে আসে তার কাছে প্রতিদিন। হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে কিজানি বলে মেয়েটা। ছেলেটা হাসে; তারা হাঁটতে হাঁটতে চলে যায়। একটা ছেলে সকাল ১০টার দিকে সাইকেল চালিয়ে যায় এই পথ দিয়ে। একটা মেয়ে ৯.৫০ থেকে দাঁড়িয়ে থাকে ছেলেটাকে দেখার জন্যে। আরো কত্ত রঙের খেলা। সেদিন মৌমাছি উড়ছিল জানালার পাশ দিয়ে... এত কাছ থেকে মধুকরের রঙ্গটাও মোহনীয় লাগছিল মীরার।
অথচ কতগুলো বছর সে এসব দেখেনি। অন্ধকার ছিল তার দুনিয়া। রঙ ছিল না কোন। এমনকি বিবর্ণ ধুসর ও না। নিকট কালো অন্ধকার ছিল।
হাসতে হাসতেই কান্না আসে তার। চোখ ফেটে কান্না আসে। গরম দু’ফোটা জল ঝরে পড়ে। ততক্ষণে সে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে জানালার দিকে। চোখ মুছে আবার পৃথিবী দেখতে বসে। মীরার বাবা তাকে দুটো চোখ দিয়ে গেছেন।
চোখ ভরে পৃথিবীটা দেখতে হবে যে।
২| ০১ লা মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫
জ্যোতিষ্কের আলোকরেখা বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মে, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভাল লেগেছে