নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোকরেখার আঁকিবুকি

ধরে নিও, স্বপ্নরাজ্য থেকে টুপ করে তোমাদের পৃথিবীতে নেমে বিভ্রান্ত এক লেখক...

জ্যোতিষ্কের আলোকরেখা

কল্পনার জগতে বিচরণকারী বাস্তবতার মূর্ত প্রতীক

জ্যোতিষ্কের আলোকরেখা › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতি

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

জানালার কপাট দুটোই খোলা। পরদা গায়ে ঢেউ খেলিয়ে খোলা বাতাসে উড়ছে। বৃষ্টির ছাঁট আসছে অল্প। জানালার পাশের তাকটায় রাখা পুরানো খাতাটা ভিজে যাচ্ছে।

রিতী জানালা লাগাতে এসে খাতাটা পেল। রিতী কলেজ থেকে ফিরে গোসলে গিয়েছিল। এমন সময় বৃষ্টিটা নামল। মা গেছে খালার বাড়ি। খাতাটা উলটে দেখল রিতী। মা এর পুরোন ডাইরি মনে হচ্ছে।

"তারপর সে বেলি ফুলের মালা জড়িয়ে দিল আমার চুলে। আমি তো লজ্জায় লাল। বেলি ফুল জড়িয়ে দিয়ে কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিসিয়ে বলল 'ভালবাসি' 'ভালবাসি' 'ভালবাসি'।"

পড়তে পড়তে হাসল রিতী। লজ্জা ও পেল অবশ্য। সে জানে তার বাবা মা আসিফ আর মনিরার প্রেম করে বিয়ে। পুরোটা পড়তে ঠিক ইচ্ছা করল না। সব গোপন কথা জেনে ফেললে কি করে হবে। তাও উলটে পালটে একটু একটু দেখল।

"আজকে এভাবে ভয় না দেখালেও পারতো সে। ঢং করে বলছিল, চোখ বন্ধ করে রাস্তা পার হতে নাকি খুব মজা। আমি বিশ্বাস করি নি বলে চোখে রুমাল বেঁধে সে ... উফ! আমার এখনো বুক ধরফর করছে।"

"তারপর সে ঠুস করে আমার লিপস্টিকটা নিয়ে কপালে ঘষে দিল। আজ থেকে তুমি আমার বউ, সিঁদুর পড়িয়ে দিলাম। ইশ। তুমি কি জানোনা? আমি আরো আগে থেকেই তোমার বউ?"

রিতী আর বেশি পড়ল না। কিন্তু একবারে শেষের পৃষ্ঠায় চোখ আটকে গেল রিতীর।

"এভাবে আমাকে ফেলে গেলে রাহাত। এখন আমি কি নিয়ে বাঁচব? কিভাবে বাঁচব? আমি আজকেই আমার নিজেকে শেষ করে দিব। এ জীবনের আর কোন মূল্য নেই।"


কিছুক্ষণ স্তম্ভিত হয়ে তাকিয়ে ছিল রিতী। খোলা জানালা দিয়ে টুপ করে ফেলে দিল খাতাটা। রাহাতের স্মৃতি মনিরা আসিফের পরিবারে থাকবার কোন অধিকার নেই।

শুধু সে জানতে পারল না, রাহাতের সবচেয়ে বড় স্মৃতি হয়ে বেঁচে আছে সে নিজে। মনিরা সেদিন নিজেকে মেরে ফেলতে পারে নি। রাহাতের সন্তানকে নিজের সাথে শেষ করে দিতে পারেনি। ৩ বছর পর মনিরা নতুন করে ভালবাসতে শিখে আসিফকে।


[ গল্পকারের কথাঃ There will always be more than what your eyes meet. and you will constantly struggle in the midst of all the unknown and all the hidden truth. May all the happiness shower upon us with not knowing the whole truth. ]


মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গল্পটা অসাধারণ একটা অনুগল্প হতে পারতো। হতে হতেই হয়নি।
গল্পটা যদি-
" জানালার কপাট দুটোই খোলা। পরদা গায়ে ঢেউ খেলিয়ে খোলা বাতাসে উড়ছে। বৃষ্টির ছাঁট আসছে অল্প। জানালার পাশের তাকটায় রাখা পুরানো খাতাটা ভিজে যাচ্ছে।

রিতী জানালা লাগাতে এসে খাতাটা পেল। রিতী কলেজ থেকে ফিরে গোসলে গিয়েছিল। এমন সময় বৃষ্টিটা নামল। মা গেছে খালার বাড়ি। খাতাটা উলটে দেখল রিতী। মা এর পুরোন ডাইরি মনে হচ্ছে।

"তারপর সে বেলি ফুলের মালা জড়িয়ে দিল আমার চুলে। আমি তো লজ্জায় লাল। বেলি ফুল জড়িয়ে দিয়ে কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিসিয়ে বলল 'ভালবাসি' 'ভালবাসি' 'ভালবাসি'।"

পড়তে পড়তে হাসল রিতী। লজ্জা ও পেল অবশ্য। সে জানে তার বাবা মা আসিফ আর মনিরার প্রেম করে বিয়ে। পুরোটা পড়তে ঠিক ইচ্ছা করল না। সব গোপন কথা জেনে ফেললে কি করে হবে। তাও উলটে পালটে একটু একটু দেখল।

"আজকে এভাবে ভয় না দেখালেও পারতো সে। ঢং করে বলছিল, চোখ বন্ধ করে রাস্তা পার হতে নাকি খুব মজা। আমি বিশ্বাস করি নি বলে চোখে রুমাল বেঁধে সে ... উফ! আমার এখনো বুক ধরফর করছে।"

"তারপর সে ঠুস করে আমার লিপস্টিকটা নিয়ে কপালে ঘষে দিল। আজ থেকে তুমি আমার বউ, সিঁদুর পড়িয়ে দিলাম। ইশ। তুমি কি জানোনা? আমি আরো আগে থেকেই তোমার বউ?"

রিতী আর বেশি পড়ল না। কিন্তু একবারে শেষের পৃষ্ঠায় চোখ আটকে গেল রিতীর।

"এভাবে আমাকে ফেলে গেলে রাহাত। এখন আমি কি নিয়ে বাঁচব? কিভাবে বাঁচব? আমি আজকেই আমার নিজেকে শেষ করে দিব। এ জীবনের আর কোন মূল্য নেই।"


কিছুক্ষণ স্তম্ভিত হয়ে তাকিয়ে ছিল রিতী। খোলা জানালা দিয়ে টুপ করে ফেলে দিল খাতাটা। রাহাতের স্মৃতি মনিরা আসিফের পরিবারে থাকবার কোন অধিকার নেই।"
এখানেই শেষ হতো, তাহলে বেশ হতো।
বাকিটা লেখকের ব্যাপার। আমরা আদার ব্যাপারী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.