নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর ভান্ডার

আলোর ভান্ডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরান শরীফ- হাদীস শরীফ সম্পর্কে অজ্ঞরাই শবে-বরাতের বিরোধীতা করে (একটি দলীলভিত্তিক আর্টিকেল) - ১

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩২





শবে বরাত কি?

শবে বরাত হচ্ছে ইসলামের বিশেষ রাত্রিসমূহের মধ্যে একটি রাত্র। যা শা’বানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত্রিতে হয়ে থাকে। শবে বরাত-এর অর্থ হচ্ছে ‘মুক্তির রাত’ বা ‘নাজাতের রাত।’





শবে বরাত সম্পর্কে কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ বর্ণনা


‘শব’ ফার্সী শব্দ। যার অর্থ হচ্ছে, রাত। আর বরাত আরবী শব্দ যা উর্দূ, ফার্সী, বাংলা ইত্যাদি সব ভাষাতেই ব্যবহার হয়ে থাকে। যার অর্থ ‘মুক্তি’ ও ‘নাজাত’ ইত্যাদি। কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর ভাষা যেহেতু আরবী তাই ফার্সী ‘শব’ শব্দটি কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ না থাকাটাই স্বাভাবিক।

স্মর্তব্য যে, কুরআন শরীফ-এর ভাষায় ‘শবে বরাতকে’ ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ বা বরকতময় রজনী’ এবং হাদীছ শরীফ-এর ভাষায় শবে বরাতকে ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান’ বা শা’বানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

যেমন আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন-



انا انزلنه فى ليلة مبركة انا كنا منذرين. فيها يفرق كل امر حكيم. امرا من عندنا انا كنا مرسلين



অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি বরকতময় রজনীতে (শবে বরাতে) কুরআন শরীফ নাযিল করেছি অর্থাৎ নাযিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর আমিই ভয় প্রদর্শনকারী। উক্ত রাত্রিতে আমার পক্ষ থেকে সমস্ত প্রজ্ঞাময় কাজ গুলো ফায়সালা করা হয়। আর নিশ্চয়ই আমিই প্রেরণকারী।” (সূরা দুখান-৩, ৪, ৫)



আর হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-



عن ام المؤمنين حضرت عائشة عليها السلام قالت فقدت رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة فاذا هو بالبقيع فقال اكنت تخافين ان يحيف الله عليك ورسوله قلت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم انى ظننت انك اتيت بعض نسائك فقال ان الله تعالى ينزل ليلة النصف من شعبان الى السماء الدنيا فيغفر لاكثر من عدد شعر غنم كلب



অর্থ: উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম-উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সাথে কোন এক রাত্রিতে রাত্রিযাপন করছিলাম। এক সময় উনাকে বিছানা মুবারক-এ না পেয়ে আমি মনে করলাম যে, তিনি হয়তো অন্য কোন উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের হুজরা শরীফে তাশরীফ নিয়েছেন। অতঃপর আমি তালাশ করে উনাকে জান্নাতুল বাক্বীতে পেলাম। সেখানে তিনি উম্মতের জন্য আল্লাহ পাক-উনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছেন। এ অবস্থা দেখে আমি স্বীয় হুজরা শরীফে ফিরে আসলে তিনিও ফিরে এসে আমাকে বললেন, আপনি কি মনে করেছেন, আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আপনার সাথে আমানতের খিয়ানত করেছেন! আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি ধারণা করেছিলাম যে, আপনি হয়তো অপর কোন হুজরা শরীফে তাশরীফ নিয়েছেন। অতঃপর হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি শা’বানের ১৫ তারিখ রাত্রিতে পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন। অতঃপর তিনি বনী কালবের মেষের গায়ে যতো পশম রয়েছে তার চেয়ে অধিক সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করে থাকেন।” (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, রযীন, মিশকাত)



অতএব প্রমাণিত হলো যে, কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফেই শবে বরাতের কথা উল্লেখ আছে। তবে কুরআন শরীফে বরাতের রাতকে ‘লাইলাতুম মুবারকাহ’ আর হাদীছ শরীফে ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান’ বলা হয়েছে। অনেকে বলে থাকে যে, সূরা দুখান-এর উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা শবে ক্বদরকে বুঝানো হয়েছে। কেননা উক্ত আয়াত শরীফে স্পষ্টই উল্লেখ আছে যে, “আমি কুরআন শরীফ নাযিল করেছি ....”

আর কুরআন শরীফ যে ক্বদরের রাত্রিতে নাযিল হয়েছে তা ‘সূরায়ে ক্বদরেও’ উল্লেখ আছে। মূলতঃ যারা উপরোক্ত মন্তব্য করে থাকে তারা ‘সূরা দুখান-এর’ উক্ত আয়াত শরীফ-এর সঠিক ব্যাখ্যা না জানা ও না বুঝার কারণেই করে থাকে। মহান আল্লাহ পাক যে ‘সূরা দুখান’-এ বলেছেন, “আমি বরকতময় রজনীতে কুরআন শরীফ নাযিল করেছি।” এর ব্যাখ্যামূলক অর্থ হলো, “আমি বরকতময় রজনীতে কুরআন শরীফ নাযিলের ফায়সালা করেছি।”



আর ‘সূরা ক্বদরে’ যে বলেছেন, “আমি ক্বদরের রাত্রিতে কুরআন শরীফ নাযিল করেছি।” এর ব্যাখ্যামূলক অর্থ হলো, “আমি ক্বদরের রাত্রিতে কুরআন শরীফ নাযিল শুরু করি।” অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক “লাইলাতুম মুবারকাহ বা শবে বরাতে” কুরআন শরীফ নাযিলের সিদ্ধান্ত নেন আর শবে ক্বদরে তা নাযিল করা শুরু করেন। এজন্যে মুফাসসিরীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা শবে বরাতকে ليلة التجويز অর্থাৎ ‘ফায়সালার রাত।’ আর শবে ক্বদরকে ليلة التنفيذ অর্থাৎ ‘জারী করার রাত’ বলে উল্লেখ করেছেন। কেননা শবে বরাতে যে সকল বিষয়ের ফায়সালা করা হয় তা ‘সূরা দুখান-এর’ উক্ত আয়াত শরীফেই উল্লেখ আছে। যেমন ইরশাদ হয়েছে-



فيها يفرق كل امر حكيم



অর্থাৎ- “উক্ত রজনীতে প্রজ্ঞাসম্পন্ন সকল বিষয়ের ফায়সালা করা হয়।”

হাদীছ শরীফেও উক্ত আয়াতাংশের সমর্থন পাওয়া যায়। যেমন ইরশাদ হয়েছে-



فيها ان يكتب كل مولود من بنى ادم فى هذه السنة وفيها ان يكتب كل هالك من بنى ادم فى هذه السنة وفيها ترفع اعمالهم وفيها تنزل ارزاقهم



অর্থাৎ- “বরাতের রাত্রিতে ফায়সালা করা হয় কতজন সন্তান আগামী এক বৎসর জন্ম গ্রহণ করবে এবং কতজন সন্তান মৃত্যু বরণ করবে। এ রাত্রিতে বান্দাদের আমলগুলো উপরে উঠানো হয় অর্থাৎ আল্লাহ পাক-উনার দরবারে পেশ করা হয় এবং এ রাত্রিতে বান্দাদের রিযিকের ফায়সালা করা হয়।” (বায়হাক্বী, মিশকাত)



কাজেই, আল্লাহ পাক তিনি যেহেতু বলেছেন যে, বরকতময় রজনীতে সকল কাজের ফায়সালা করা হয় আর উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও যেহেতু বলেছেন যে, বরাতের রজনীতেই সকল বিষয় যেমন- হায়াত, মউত, রিযিক, আমল ইত্যাদি যা কিছু মানুষের প্রয়োজন হয়ে থাকে তার ফায়সালা করা হয় সেহেতু বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, “সূরা দুখান-এর” উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা শবে বরাতকেই বুঝানো হয়েছে।



[দলীলসমূহ: (১) সূরা দুখান (২) তাফসীরে দুররে মনছূর, (৩) কুরতুবী, (৪) মাযহারী, (৫) তিরমিযী, (৬) ইবনে মাজাহ, (৭) বায়হাক্বী, (৮) মিশকাত, (৯) মিরকাত, (১০) আশয়াতুল লুময়াত, (১১) লুময়াত, (১২) ত্বীবী, (১৩) তালীক্ব, (১৪) মুযাহিরে হক্ব ইত্যাদি।]

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৪৬

মুহামমদল হািবব বলেছেন: আল্লাহু পাক সবাইকে বুঝবার তৌফিক দিন, আমিন। ধন্যবাদ।

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৪৮

আলোর ভান্ডার বলেছেন: আমীন ।
ধন্যবাদ ।

২| ২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:২৫

আতা2010 বলেছেন: আমার রিযিকের প্রয়োজন । আল্লাহ পাক-আপনি আমার মত পাপী বান্দার রিযিকের ফায়সালা করে দিন

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৭

আলোর ভান্ডার বলেছেন: আমীন

৩| ২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১১

টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: আপনি নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে ব্যক্ষা করলে মানুষ বিভ্রান্ত ছাড়া কিছুই হবে না।

এখানে আপনি সুরা দুখানের যে আয়াত দিয়ে বলছেন যে আল্লাহ সেইদিন কুরআন নাযিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অর্থাৎ শবে বরাতের রাত্রিতে আর কুরআন নাজিল শুরু করছেন কদরের রাত্রিতে এটা আপনার মনগড়া অ কুরানের অর্থ বিকৃতির প্রমান

আয়াত টি হচ্ছে
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُّبَارَكَةٍ ۚ إِنَّا كُنَّا مُنذِرِينَ [٤٤:٣] (আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। )



আরবি শব্দ আন জাল না(أَنزَلْنَا) মানে হচ্ছে নাজিল করেছি , নাযিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি এটা ভুল এবং বানোয়াট।


সুরা দুখানে আল্লাহ বরকত ময় রাতের কথা উল্লেখ করেছেন আর সুরা কদর এ আল্লাহ সেটার নাম উল্লেখ করেছেন।এখানে শবে বরাতের কোন প্রাসঙ্গিকতা নেই। এটা বিদআত




তাই সাহিহ আমলের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করুন। যদিও এটা জানি যে এই শবে বরাতের রাত্রিকে কেন্দ্র করে কিছু মানুষের ব্যবসা ভালই চলে। একারনেই মনেয় হয় এটাকে ধরে রাখার আপ্রান চেষ্টা।

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩১

আলোর ভান্ডার বলেছেন: ইহা আমার কথা নয় ।
তাফসীর এর কথা ।

৪| ২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

সামি আদনান বলেছেন: আপনার দেওয়া কোরআন ও হাদীসের আলোকে আমরা আমাদের অফিসে গতকাল এই বিষয়ে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করেছি। সুরা দুখানের আয়াতটি নিয়ে আপনি আপনার মনগড়া তাফসীর করেছেণ। আল্লাহ মাফ করুন।

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

আলোর ভান্ডার বলেছেন: শবে বরাত বা ভাগ্য রজনীকে স্বয়ং আল্লাহ পাক স্বীয় কুরআন শরীফ-এ সূরা ‘আদ দোখান’ এর ৩-৪ নম্বর আয়াত শরীফে ليلة المبارك (বরকত পূর্ণ রাত) হিসেবে উল্লেখ করে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন-

انا انزلناه فى ليلة مباركة انا كنا منذرين. فيها يفرق كل امر حكيم
অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি উহা (কুরআন শরীফ) এক রবকতপূর্ণ রাত্রিতে নাযিল করেছি। অর্থাৎ নাযিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী, ওই রাত্রিতে সমস্ত হিকমতপুর্ণ কাজসমূহের বণ্টন করা হয় তথা বণ্টনের ফায়সালা করা হয়।” (সূরা আদ দোখান-৩-৪)

উক্ত আয়াত শরীফ-এ বর্ণিত ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ দ্বারা অনুসরনীয় মুফাসসিরীনে কিরাম উনারা শবে বরাতকেই বুঝিয়েছেনঃ

ليلة مباركة দ্বারা বিশ্ববিখ্যাত ছাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা এবং হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা বলেন-
দলীলঃ ০১
هى ليلة النصف من شعبان وسمى ليلة الرحمة والليلة المباركة وليلة الصك
অর্থ: “লাইলাতুম মুবারাকা দ্বারা লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান তথা অর্ধ শাবানের রাত (শবে বরাত)কে বুঝানো হয়েছে। এবং উহার নামে নামকরণ করা হয়েছে যেমন ليلة الرحمة (লাইলাতুর রহমত) তথা রহমতের রাত, ليلة المباركة (লাইলাতুল মুবারাকাতু) তথা বরকতের রাত। ليلة الصك (লাইলাতুছ ছেক) ভাগ্য লিপিবদ্ধকরণের রাত তথা ভাগ্য রজনী।”
আর ليلة مبارك (বরকতপূর্ণ রাত) দ্বারা শবে বরাত তথা ভাগ্য রজনীকে বুঝানো হয়েছে তার যথার্থ প্রমাণ বহন করে তার পরবর্তী আয়াত শরীফের يفرق (বণ্টন করা হয়।) শব্দ দ্বারা। কেননা তাফসীর জগতের সকল তাফসীরে সমস্ত মুফাসসীরীনে কিরাম উনারা يفرق শব্দের তাফসীর করেন يكتب (লেখা হয়) يفصل (ফায়ছালা করা হয়) يتجوز (বণ্টন বা নির্ধারণ করা হয়) يبرم (বাজেট করা হয়) “فيصله‘ (নির্দেশনা দেয়া হয় বা ফায়ছালা করা হয়) ইত্যাদি শব্দের মাধ্যমে। কাজেই يفرق শব্দের অর্থ ও তার ব্যাখ্যার দ্বারা আরো স্পষ্টভাবে ফুটে উঠল যে, ليلة المباركة দ্বারা ليلة النصف من شعبان অর্ধ শা’বানের রাত, বা শবে বরাত তথা ভাগ্য রজনীকে বুঝানো হয়েছে। যেই রাতে সমস্ত মাখলুকাতের ভাগ্যগুলো সামনের এক বৎসরের জন্য লিপিবদ্ধ করা হয়, আর সেই ভাগ্য লিপি অনুসারে রমাদ্বান মাসে ليلة القدر বা শবে ক্বদরে তা চালু করা হয়। এ জন্য
ليلة النصف من شعبان
অর্ধ শাবানের রাতকে ليلة التجويز (নির্ধারণের বা বৈধকরণের রাত) এবং ليلة القدر কে ليلة التنفيذ (নির্ধারিত ফয়ছালা কার্যকরী করার রাত বা বৈধকরণ বিষয়ের কার্যকরীকরণের রাত) বলা হয়।
(তাফসীরে মাযহারী, তাফসীর খাযেন, তাফসীরে রুহুল মায়ানী ও রুহুল বায়ান)

৫| ২০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

আলী খান বলেছেন: ভাই দয়া করে ইবনে কাসীরের ১৬ খন্ডের ৬০৯.৬১০ পৃষ্ঠা পড়েন। আর দয়া করে মনগড়া তাফসীর বন্ধ করুন।

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

আলোর ভান্ডার বলেছেন: আমার রেফারেন্স পড়েন ।

৬| ২০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০০

টালটু বলেছেন: Totally bidat.

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

আলোর ভান্ডার বলেছেন: বিদাত কাকে বলে ও কত প্রকার তা জানেন কি ?
যা কোরান-হাদিসে আছে তা বিদাত হয় কি করে ?
ইহা যদি বিদাত হয় তাহলে আদত কি ?

৭| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

নিমতিতা বলেছেন: আপনি অর্থ লিখলেন:
অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি বরকতময় রজনীতে (শবে বরাতে) কুরআন শরীফ নাযিল করেছি অর্থাৎ নাযিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। "

এই ব্রাকেটে কথা যেটা লিখলেন সেটা কি করে লিখলেন?
আপনি দয়া করে সুরা ক্বদর এর প্রথম আয়াতের অর্থ পড়ে আসেন।
সেখানে যেটা স্পষ্ট করে লেখা আছে, আপনি সেটা বদলে আরেক আয়াতে ঢুকালেন। এটা যদি জেনে শুনে করে থাকেন তাহলে কিছুই বলার নাই।

আপনি আবার বলবেন না যে, "আমি অনুবাদ করি নাই। আমি তাফসীর দেখে লিখছি"

ভাই, অনেক বইতেই অনেক কিছু আছে, সাবধানে বুঝে পড়বেন। দেওয়ানবাগী তো বলে যে তার হজ্জ্ব করা লাগবে না, তার সামনে কাবা নিয়া আসা হয়, ইত্যাদি ইত্যাদি। সেগুলাও কি আপনি বিশ্বাস করবেন? (লিংক চায়েন না, সার্চ করেন পাবেন)

ভাল থাকেন, আর নিজের ভুল স্বীকারে কোন লজ্জা নাই।
লজ্জা হল ভুল জেনেও সেটা স্বীকার না করা।

২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০৬

আলোর ভান্ডার বলেছেন:
কুরআন শরীফ-এ সূরা দুখান-এর ৩-৫ নম্বর আয়াত শরীফ-এ বর্ণিত লাইলাতুম মুবারাকাহ ও হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান যা মশহুর শবে বরাত।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আমি বরকতময় রজনীতে (শবে বরাতে) কুরআন শরীফ নাযিল করেছি। আর আমি সতর্ককারী বা ভয় প্রদর্শনকারী। উক্ত রাত্রিতে আমার পক্ষ থেকে সমস্ত প্রজ্ঞাময় কাজগুলো ফায়সালা করা হয়। আর নিশ্চয়ই আমি প্রেরণকারী। (সূরা দুখান : আয়াত শরীফ ৩-৫)
উক্ত আয়াত শরীফ-এ বর্ণিত লাইলাতুম মুবারাকাহ দ্বারা লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান বা লাইলাতুল বরাত (শবে বরাত)কে বুঝানো হয়েছে তা সকল বিশ্বখ্যাত ও নির্ভরযোগ্য তাফসীরগ্রন্থেই বর্ণিত রয়েছে।

যেমন লাইলাতুম মুবারাকাহ এর ব্যাখ্যায় তাফসীরগ্রন্থ তাফসীরে মাযহারী-এর ৮ম খন্ড-এর ৩৬৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, লাইলাতুম মুবারাকাহ হচ্ছে মধ্য শাবানের রাত্রি অর্থাৎ বরাতের রাত্রি। এ রাতে সারা বছরের কাজ-কর্মের ফায়ছালা করা হয়।

অত্র আয়াত শরীফ-এর ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি লাইলাতুম মুবারাকাহ অর্থাৎ বরকতময় রাত্রি বলতে মধ্য শাবানের রাত অর্থাৎ শবে বরাতকে বুঝিয়েছেন। (ছফওয়াতুত তাফাসীর)

এ প্রসঙ্গে মুফাসসিরকুল শিরোমনি, রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি স্বীয় তাফসীরে উল্লেখ করেন, মহান আল্লাহ পাক লাইলাতুম মুবারকাহ অর্থাৎ বরকতময় রাত্রি বলতে মধ্য শাবানের রাত বা শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত অর্থাৎ শবে বরাতকে বুঝিয়েছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি এ রাতে সকল প্রজ্ঞা সম্পন্ন বিষয়ের ফায়ছালা করে থাকেন। (ছফওয়াতুত তাফাসীর, তাফসীরে খাযীন ৪র্থ খণ্ড/১১২ পৃষ্ঠা, তাফসীরে ইবনে আব্বাস, তাফসীরে মাযহারী ৮ম খণ্ড ৩৬৮, তাফসীরে মাযহারী ১০ম খণ্ড, তাফসীরে ইবনে কাছীর, তাফসীরে খাযিন, বাগবী,কুরতুবী, কবীর, ইবনে কাছীর, মাযহারী, রুহুল বয়ান, রুহুল মায়ানী, আবী সউদ, বাইযাবী, দূররে মানছূর, জালালাইন, কামালাইন, তাবারী, লুবাব, নাযমুদ দুরার, গরায়িব, মাদারিক)

৮| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

জেরিসেল বলেছেন: ভাই আপনার আসলেই বোধ হয় ভূল হয়েছে,এবং আপনি নিজের অজান্তে ভূল তাফসির উপস্থাপন করছেন।

"নিশ্চয়ই আমি বরকতময় রজনীতে কুরআন শরীফ নাযিল করেছি"

এখানে উপরোক্ত আয়াত লক্ষ্য করলে আপনি বুঝবেন যে,এখানে শবে বরাতের কথা বলা হয়নি।বলা হয়েছে শবে ক্কদরের কথা।

কারন আমরা জানি যে,কুরআন নাজিল হয়েছিল শবে ক্কদরের রাত্রিতে।
শবে বরাত নামক কোন রাত্রিতে নয়।
আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে থাকার তৌফিক দান করুন।
আমিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.