নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর ভান্ডার

আলোর ভান্ডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিলবোর্ড : অশ্লীলতা প্রচারণার সহজ মাধ্যম

২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

পবিত্র দ্বীন ইসলামে বেপর্দা-বেহায়াপনা, অশ্লীলতা ও প্রাণীর ছবিকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে আজ থেকে প্রায় পনেরশ বছর পূর্বে। যা আজও অবিকৃত, অবিকল ও সর্বজন মান্য। পবিত্র কুরআন শরীফে পবিত্র সূরা নূর, পবিত্র সূরা আহযাব, পবিত্র সূরা মায়িদা, পবিত্র সূরা নিসায় পর্দার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা মুবারক রয়েছে। এ বিষয়ে পবিত্র হাদীছ শরীফ রয়েছে বিস্তর।

তবু রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এবং ৯৭ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত এ দেশে ধর্মীয় মূল্যবোধকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে হারাম ছবি আর বেপর্দার মতো ভয়াবহ পাপাচারের অপসংস্কৃতি। আর মাথা নুয়ে মেনে নিয়েছে দেশের শাসকগোষ্ঠী। সম্ভ্রমহরণ, নারী টিজিং, পরকীয়া, এসিড নিক্ষেপ এসব অপরাধ যখন মাথা চাড়া দিয়ে উঠে তখন শাসকগোষ্ঠীর মুখে শোনা যায় ধর্মীয় শিক্ষা ও মূল্যবোধের কথা।



প্রসঙ্গত গত ১২ জুন ২০১৩ ঈসায়ী তারিখে দৈনিক আল ইহসানসহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে অশ্লীল বিলবোর্ড সংক্রান্ত যোগাযোগমন্ত্রীর বক্তব্য। তিনি বলেছেন, ‘সুন্দরী নারীদের বিলবোর্ড দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।’ কিন্তু তার এ বক্তব্য শুধুই বক্তব্য। অনেকে বলে থাকে, সরকারি লোকদের বক্তৃতা ক্যানভাসারদের মতো। কারণ বক্তৃতা দিয়ে তাদের যে ফায়দা সেটা তাদের হাসিল হয় কিন্তু দেশ ও জনগণের কোনো ফায়দা হাসিল হয়না।

বিজ্ঞাপন-বিলবোর্ডের মাধ্যমে এসব অশ্লীলতা, নষ্টামীর প্রচারণা, তরুণ-যুবকদের চরিত্র ধ্বংস, সর্বোপরি দেশ থেকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও ৯৭ ভাগ মুসলমানদের পবিত্র মন-মগজে, চিন্তা-চেতনায় বেপর্দা-বেহায়াপনাটাকে স্বাভাবিক করে দেয়ার যে চক্রান্ত সেটা আদৌ বন্ধ হবে কি?

‘নারীকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম সম্মান করতে শিক্ষা দেয়। যে কোনো ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে স্থান দেয়া ও অগ্রাধিকার দেয়ার শিক্ষা দেয়।’ কিন্তু এসব কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীলতার কারণে নারীরা সে সম্মান থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.