![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই মুহূর্তে আমি বসে আছি সই থ্রি নামক রেস্টুরেন্টে । সন্ধারপর রেস্টুরেন্টে বসার একটাই কারন হল চশমা পরা ছেলেটা কোন কারনে ভীষণ বিরক্ত / ক্ষ্যাপা ( এক কথায় ওর মন ভালো নেই) । টেবিলের অপর প্রান্তে বসা ওর কপাল কুঁচকানো চেহারা দেখতে আমার খারাপ লাগছে। তাই আমি স্বচ্ছ কাঁচের বাইরের ঝিরিঝিরি বৃষ্টি দেখছি আর মেয়োনিজ পাস্তা খাচ্ছি । ওর মন খারাপের কারণ জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে না আমার। অল্প কিছুক্ষণ আগে মুষলধারে বৃষ্টি হয়ে এখন ঝিরিঝিরি রেশ রেখে গেছে । জলরাশির রেশটুকু আমার হৃদয় কে আদ্র করে দিয়েছে ।
বিকেলে শুয়ে শুয়ে মুভি দেখছিলাম । হটাত ছেলেটার ফোন ।
বললাম -হ্যালো ।
“কোন দিকে হেলবো ??” – সাধারণত আমাদের ফোনের শুরুটাই এই ডায়লগ দিয়ে হয়। এই ডায়লগ টা ওর কাছ থেকে শুনতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। তবে আজ গলার স্বর শুনেই বুঝলাম, কোন কারনে ক্ষেপে আছে । আমার আবার কেউ ক্ষেপে থাকলে আরও ক্ষ্যাপাতে ইচ্ছে করে ।
তাই বললাম,
“ডান দিকে হেলো”
“ডান দিকেই কেন হেলতে হবে ?? বাম দিকে হেলে কথা বললে সমস্যা কি ??”
আমি-- “আছে । তবে সেটা বলতে ইচ্ছে করছে না এখন । হটাত এখন ফোন। কাহিনী কি ?”
ছেলেটা – “কিছু না ”। (নিশ্চয়ই ওর এই মুহূর্তে কপাল কুঁচকানো)
আমি – ভালো তো ।
ছেলেটা – “তোমার সাথে দেখা করবো”
“আমি এখন মহা ব্যাস্ত । আজকে দেখা করতে পারবো না”।
ওকে । -- বলে ফোন রেখে দিল ছেলেটা ।
আমি আবার মুভি দেখতে শুরু করলাম । কিন্তু অল্পকিছুক্ষণ পরেই কেন যেন মুভি আর ভালো লাগলো না। ওর জন্য মনটা একটু উদাস হল । তাই ফোন দিলাম ছেলেটাকে । ফোন ধরেই বলল –
আর কতক্ষন লাগবে ?
বললাম- পনেরো মিনিট ।
“সাড়ে পাঁচ মিনিটে তৈরি হয়ে বাসার নীচে আসো । আমি আছি” । বলেই লাইন কেটে দিল ।
আজব ! মেনারলেস ছেলে একটা । আদব-কায়দা জানে না । গিয়েই প্রথমে এই ঝাড়ি দিতে হবে ।
আমি ঝটপট তৈরি হয়ে গলির সামনে যেতেই দেখলাম গাড়ির দরজা খুলে আমার জন্য দাড়িয়ে আছে । এই রকম পরিস্থিতিতে ঝাড়ি দেয়াটা বেমানান । তাই মন খারাপ হয়ে গেলো । এটা কিছু হল । একটা ঝাড়ি দেয়ার চান্স মিস করলাম । যাহ !
কোথাও যেতে চাই কি না এইসব জিজ্ঞেস না করেই নিজের মত করে এই জায়গায় নিয়ে এলো । রেস্টুরেন্ট টা ভালো লেগেছে বলে এবারো কিছু বলতে পারলাম না । আর না বলতে পারার কারনে আমার মন খারাপ আরও বেড়ে গেলো । পাস্তা অর্ডার করলাম কিন্তু ছেলে কিছুই খাবে না । এটা কোন কথা !! ছেলের ঢঙ দেখো। খাওয়া – দাওয়া না করলে রেস্টুরেন্টে আসার মানে কি ? এটা নিয়ে একটা ঝাড়ি দিতে হবে । ইশশ !! ঝাড়িগুলি সব পেন্ডিং হয়ে যাচ্ছে ।
বললাম- চলো বের হই ।
ও জিজ্ঞেস করলো – কোথায় যাবে ?
লেকের ধারে যাবো । ( ওর পাশে আমার সবসময় হাটতে ভালো লাগে। আমার মনেহয় হেটে হেটে আমরা একটি জীবন পার করে দিতে পারবো। ওর হাত ধরে হাটার খুব গোপন ইচ্ছে আছে আমার কিন্তু সেটা বলার সাহস হয় না)
সন্ধ্যার আধো – অন্ধকারে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে পাশাপাশি হাঁটছি আমরা দুজনে । সাধারণত আমরা দুইজনই অনেক কথা শেয়ার করি । আর সুযোগ পেলেই দুইজনের কথার মধ্যে একে অপরকে খোঁচা মার্কা কথা বলে খ্যাপাই । কিন্তু আজ ও কোন কথাই বলছে না । ওর নীরবতা আমাকে ভীষণ কষ্ট দেয়।
ছেলেটা খুব আবেগি কিন্তু নিজের অভিমান / আবেগ/ অনুভূতি কে “বাস্তবিক মানসিকতা”-র আড়ালে লুকিয়ে রাখে সযতনে যাতে কোন অবিশ্বাসী মন ওর অনুভূতিতে আঘাত করতে না পারে। কিন্তু ওর সব কাজেই ওর কোমল অনুভূতি প্রকাশ পায় । ওর আপনজনদের কথা জানি না কিন্তু আমি অনুভব করতে পারি ।
এই মধ্যরাতে আমি কষ্ট কষ্ট সুখের অনুভূতি নিয়ে বারান্দায় বসে আছি । মুঠোফোন হাতে নিয়ে ওর সাড়ার অপেক্ষা করছি । আমি জানি যত রাতই হোক ও আমাকে ফোন দিবে । আজ বাসায় পৌঁছে আমাকে জানায় নি । আমি ফোন দিলাম কিন্তু কোন সাড়া দেয় নি । মাঝে মাঝে এত ঢঙ করে যে খুব ঝাড়ি দিতে ইচ্ছে করে । আবার মাঝে মাঝে আমার সাথে এমন রাগ করে যে সেটাও সহ্য করতে হয় । আমার দোষ থাকলে সে অপমানের গুলি বর্ষণ করতে থাকে, আর আমি ফুলের ঝুড়ি নিয়ে তা কুঁড়াতে থাকি । কিন্তু ওর রাগ কে শান্ত করতে পারি না । আর আমার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ উল্টো। আমি রেগে গেলে ও এমন কিছু বলবে বা করবে যাতে আমি খুব বেশিক্ষণ ওর উপর রেগে থাকতে পারি না ।
তবে এই ছেলের এত ঢঙ আর এত রাগ সহ্য করার ক্ষমতা আমার অপরিসীম । কারন একটাই । অসম্ভব ঢঙী এই মানুষটাকে আমি ভালোবাসি । ওর রাগ, ঘৃণা , করুণা সবকিছু ভালোবাসি ।
কিন্তু এই ছেলেটা তা জানে না । আমি জানাতে চাই না ।
আমি অপেক্ষা করছি ওর সাড়া পাওয়ার .........
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫
আমার মতো আমি বলেছেন: বেশ ! বেশ ! বেশ তো ! ধন্যবাদ ।
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ভালো লাগা। মিষ্টি অনুভব। +
২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:১৭
আমার মতো আমি বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩
সাইলেন্ট পেইন বলেছেন: সব মেয়েরাই ছেলেদের কাছ থেকে প্রথম সাড়া পেতে চায়। হা হা হা।
লেখা ভালো লেগেছে।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৪৫
আমার মতো আমি বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৭
মাহবুবুর রহমান শিমুল বলেছেন: ভালো লেগেছে ।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৪৫
আমার মতো আমি বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩১
কলমের কালি শেষ বলেছেন: আহা প্রেম । সুন্দর অনুভূতি ।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬
আমার মতো আমি বলেছেন: ইহা প্রেম নহে । ভালোবাসার অনুভূতি ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২২
ভবঘুের একজন বলেছেন: বেশ তো।