![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনার একটা সুহৃদয় আছে অনেক দামী, সেটাকে পচতে দিবেন না কেননা পচে গেলে সেটাকে নোঙর ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে।তাই আপনার হৃদয় কে মানবের জন্য ব্যবহার করুন
যখন ঘুমের ভিতর ভয়/বিপদের স্বপ্ন দেখা
হয়, তখন স্বপ্নকে খুব দীর্ঘ মনে হয়।
আবার
যখন আনন্দ/সুখের স্বপ্ন দেখা হয়, তখন ঘুম
ভাঙ্গার পর মনে হয়— স্বপ্নটা যদি আরও
কিছুক্ষণ দেখতে পারতাম!
আমাদের বাস্তব জীবনেও ভয়-বিপদ
কিংবা আনন্দ-সুখের সময় ঐ স্বপ্ন দেখার
মতোই অনুভূতি হয়। যখন আমাদের ভিতর ভয়/
আতংক বিরাজ করে, তখন মনে হয়— সময়ের
চাকা যেন ঘুরছেই না। আবার সুখের
মুহূর্তগুলো কত দ্রুত যে শেষ হয়ে যায়— তা
বুঝতেই পারি না।
স্বপ্ন ও বাস্তবতা দুটি ভিন্ন জিনিস। কিন্তু
বাস্তবতাকে বাস্তব জীবনে প্রতিফলিত
করতে আপনাকে স্বপ্ন দেখতেই হবে।
তবে এ স্বপ্ন রাতের বেলা ঘুমিয়ে
ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্নের মতো নয়। এ স্বপ্ন
দেখতে হবে কঠোর পরিশ্রম করার মধ্য
দিয়ে, এ স্বপ্ন দেখতে হবে হৃদয়ে
আত্মবিশ্বাস আনার মধ্য দিয়ে। ভারতের
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম
বলেছেন,
“স্বপ্ন সেটা নয় যা মানুষ ঘুমিয়ে
ঘুমিয়ে দেখে, স্বপ্ন সেটাই যা পূরণের
প্রত্যাশা মানুষকে ঘুমোতে দেয় না”।
হৃদয়ে আত্মবিশ্বাস এনে পরিশ্রম করতে
থাকুন— তাহলে সেটাই হবে আপনার স্বপ্ন
দেখা। এ স্বপ্নই আপনাকে নিয়ে যাবে
লক্ষ মাইল দূরের গন্তব্যে। ব্যর্থ হোন,
একবার নয় বহুবার। যত ব্যর্থ হবেন, আপনার
সাফল্যের ভিত্তি তত মজবুত হবে। যদি অল্প
পরিশ্রমে খুব সহজেই সফল হয়ে যান,
তাহলে ভাববেন আপনার সফলতা
দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কিন্তু
যদি মাটির তৈরী ইটের মতো জ্বলে-
পুড়ে প্রস্তুত হতে পারেন, তাহলে
নিশ্চিত থাকুন— আপনার সফলতা হবে
শান্তিময় ও দীর্ঘস্থায়ী।
স্থায়ীত্বের দিক দিয়ে সফলতাকে
মোটামুটি তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
ক্ষণস্থায়ী, দীর্ঘস্থায়ী ও চিরস্থায়ী।
ভাগ্যবান হবেন সেই ব্যক্তি, যিনি
চিরস্থায়ী সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
তবে এই পৃথিবী এমন এক জায়গা, যেখানে
ক্ষণস্থায়ী ও দীর্ঘস্থায়ী সফলতার স্বাদ
পাওয়া গেলেও চিরস্থায়ী সফলতার স্বাদ
গ্রহণ করা সম্ভব নয়।
চিরস্থায়ী সফলতার অন্য
অর্থ পরকালীন সফলতা। পরকালীন সফলতা
পাওয়ার প্রধান উপায়—আল্লাহর ইবাদত করা,
সবরকম মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকা এবং
স্রষ্টার সৃষ্ট মানুষ ও অন্য জীবের প্রতি সদয়
হওয়া।
এই নশ্বর পৃথিবীতে নিজেকে এমনভাবে
গড়ে তোলার চেষ্টা করুন, যেন সবরকমের
সফলতাই আপনি অর্জন করতে পারেন।
জীবনে চলার পথে যখনই কোনো বিপদ
কিংবা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন, তখনই
নিজেকে বলবেন—“আল্লাহপাক যা কিছু
করেন, তা মানুষের মঙ্গলের জন্যই করেন”।
©somewhere in net ltd.