![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনার একটা সুহৃদয় আছে অনেক দামী, সেটাকে পচতে দিবেন না কেননা পচে গেলে সেটাকে নোঙর ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে।তাই আপনার হৃদয় কে মানবের জন্য ব্যবহার করুন
...একটি পতাকার আত্মকথা
একদিন বিশ্ব সম্মেলনে, জাপানের
পতাকা আমার দিকে তাকিয়ে বলে,
“তোরে আর আমারে যে বানাইসে সে
হলো আইলসার আইলসা”
সেদিন নড়তে নড়তে বলেছিলাম, এর
জন্যই তোদের গড় উচ্চতা ৫ ফিটের
নিচে... ২০ ফিট লাঠিতে লাগানো
আমাকে ঠিক মতো তাকিয়ে দেখতে
গেলে তো তোরা উল্টে পড়ে যাবি
ঠিক মতো তাকিয়ে দেখ আমাকে...
তোদের গোল্লা মাঝখানে... কিন্তু
আমারটা একপাশে একটু চাপানো
হয়েছে, পতাকা যখন উড়বে তখন যেন
এটি মাঝখানে দেখা যায়
এই বৃত্তের রঙ বে-নি-আ-স-হ-ক-লা’র
সেই লাল না... এই বৃত্তের রঙ ডিফাইন
করার মতো কোনও শিল্পী, আজও
জন্মায়নি
৩০ লাখ শহীদের শরীরের প্রতি ফোঁটা
আছে এখানে...
এখানে বে-নি-আ-স-হ-ক-লা’র সেই
সবুজ নেই... আছে, ১৬ কোটি
বাংলাদেশীর হাসি
... সেদিন ওকে বলেছিলাম; সব দেশে
ট্রাফিক সিগন্যালে, আমাদের
কাছাকাছি রঙ সবুজ কেন ব্যবহার করে
জানিস? কারণ সবুজ মানে, “go a head...
no danger infront”
আমরা সেই জাতি
কিন্তু আজকে দুঃখ লাগে যখন দেখি
আমি, দেশপ্রেমের শো অফ করার
প্রতীক হয়ে যাই
‘আমি দেশপ্রেমী’ বুঝাতে, আমাকে
মাথায় বেঁধে লাঠি হাতে নেমে পরে
ভালো লাগতো, যখন দেখতাম বীথির
বাবা প্রতি ১৬ই ডিসেম্বরে আর ২৬শে
মার্চে, ড্রয়ার থেকে পতাকা বের করে
মেয়েদের নিয়ে ছাদে যেয়ে পতাকা
বেঁধে রাখত
আবার বিকেলের পর পরই, সুন্দর করে
খুলে ভাঁজ করে রেখে দিত ড্রয়ারে
সামনের বছরের জন্য...
ভালো লাগতো, যখন দেখতাম বীথিও
তার মেয়েদের নিয়ে এমনটিই করে
আসছে
কিন্তু আজ, সবার হাতে পতাকা...
আমার চারকোণা বুদ্ধিতে আমি যা
বুঝি তা হলো; “যুদ্ধাপরাধী আর
স্বৈরাচার”, এই দুটোই তো সেটেল্ড
ইস্যু
... তবে দেশের দুই বড় দল, এই দুই সেটেল্ড
ইস্যুকে নিয়েই কেনও আগাচ্ছে? ... কেনও
ছাড়তে পারছে না
আর তাদেরই কার গাড়িতে, ‘আমি
পতাকা উঠবো’ সেটা নিয়ে ১৬ কোটি
আজ উৎকণ্ঠায়
...তাই, ভালো মতো দেখবেন, আজকাল
বাতাসে আমি উড়ি না;
কাঁপি
২| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২২
ব্লগার রিয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মতামত প্রকাশ করার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৮
অগ্নি কল্লোল বলেছেন: সবার হাতে পতাকা।
চমৎকার পতাকা।