নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিরনবীনের যদি ঘটে জয়--সাজিভরা হয় ধনে ধনে।নিয়ো না, \nনিয়ো না মোর ঠিকানা এ ছায়ার আবরণে |||

ব্লগার রিয়াজ

আপনার একটা সুহৃদয় আছে অনেক দামী, সেটাকে পচতে দিবেন না কেননা পচে গেলে সেটাকে নোঙর ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে।তাই আপনার হৃদয় কে মানবের জন্য ব্যবহার করুন

ব্লগার রিয়াজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ল্যাংগুয়েজ ইন লাভ♥♥♥

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫২


বাংলাদেশী এক বালকের সাথে
ব্রাজিলিয়ান এক বালিকার ফেসবুকে
পরিচয়।
এই ঢাকাচিত্র প্রিয়সখা শহরের
ব্যাস্ততার রোষানলেই, সভ্যতা
গড়ছে নিজেই,

সেই বালকটা তখন অলস মস্তিস্কের
শয়তানের
কারখানার কেবলমাত্র একনিষ্ঠ
মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র। তারপর হঠাত
তার লাইফে প্রথম বেনামি চিঠি হয়ে
প্রেম এলো।
প্রেম থেকে গভীর প্রেম সন্ধি করল।
ছেলেটা ব্রাজিলীয় ফুটবল খেলা খুবি
পছন্দ করতো। ছেলেটা তখন খুবই
আবেগপরায়ণ আর লজ্জাবতী লতা হয়ে
আছিল।ব্রাজিলীয় ঘড়ির সাথে
বাংলাদেশের সময় ব্যবধান ছিল
৬ঘন্টার।
দুজনেই দুই দেশের দুই বাড়ির দুই কক্ষে
বসে ডুবে ডুবে প্রেম মদিরা পানে
ব্যস্ত ছিল। এবং প্রিয় মধুর
ব্যাপারস্যাপার। বাধ
সাধলো তাদের ভাষা ছন্দেবন্ধে ।
বাংলাদেশী বালকটির বাংলা
জ্ঞান মোটামুটি মানের হলেও,
ইংরেজী জ্ঞান যাচ্ছেতাই।
ব্রাজিল বালিকারও নিজের
মাতৃভাষায় ভালো দখল ছিল,

তার ভাষা ছিল পর্তুগিজদেরই। কিন্তু
ইংরেজী ছিল সেখানে তথৈবচ। বিরাট
সমস্যায় আটক চ্যাটিংয়ে কোন সুখ নেই
তাদের মাঝে।তারা দুজনে তাদের
মনের কথা বলতে ব্যাকুল। মনের কথা
মনেই মাথা কুটে মরে সারাদিন ।
পৃথিবীর একমাত্রিক অন্যতম প্রিয়
আন্তর্জাতিক ভাষা হচ্ছে ইংরাজি।
সেই আন্তর্জাতিক
ভাষাটি দুই বিপরীত দেশীয় বালক-
বালিকাকে কোনভাবেই সাহায্য
করতে পারছেনা।
দুজন শুধু দুজনের
পাঠানো ফটো দেখেই রাত পার করে
দেয়। ছেলেটা নিজেকে একদম উজাড়
করে দিতে চাইছিল ভালবাসায়।
ছেলেটা শিগ্রই তার প্রিয় কাব্যিক
নাম দিল মিঃ স্বপ্ন(Mr. DREAM) মনের
ভাব আর প্রকাশ করা হয়না কখনো ।
এতঃপর কিছুদিন পর বাংলাদেশী সেই
বালকটি ব্রাজিল বালিকাটির সাথে
নিজের স্বল্পমাত্রাতীত ইংরেজী
জ্ঞান নিয়েই ইমো/ হোয়াটস এ্যাপে)
ভিডিও চ্যাটে কথা বলতে মনস্থির
করলো। বালিকাটিও এতে যথাযোগ্য
সাড়া দিলো বেশ সাহসিকতার সাথে।
Tanvir Fahim- Hi, How are you?
বালিকা - Fine. you?
বালক - I love you.
বালিকা - I love you too. Mio Mio. Te
Amo.
মিও মিও জাতীয় শব্দ শুনে বালক
চিন্তায় পড়ে গেলো।
এই মিও মিওটা
কি? সে কি পরোক্ষভাবে তাকে
বিড়াল বলছে নাকি? ভ্যাবাচ্যাকা
খেয়ে
বালক নিজের মাতৃভাষা তখনি চালু
করলো।
বালিকা যদি মিও মিও করে, সেও
ঘ্যাঁয়াও ঘ্যাঁয়াও করতে পারে। দোষ
কোথায় এতে!
মিঃ ড্রিম- তুমি কি বললা আমাকে?
What is 'Mio Mio'?
বালিকা - You are my....

বালিকার মুখে সন্তোষজনক উত্তর
শোনার পর বালক খুব শান্ত হলো।
তারিপর প্রতি গভীরতর রাতেই
পাঁচমিশালি ভাষায় তাদের ভিডি-
এডিও চ্যাটিং অব্যাহত রইলো। দুজনেই
উড়ছে মধুর প্রেমের
আকাশে-বাতাশে। ভদ্র মেয়েটি
সবসময় বিধাতার কাছে প্রার্থনা করে
যে,আমি শুধুমাত্র এমন ভালোবাসা
চাই, যে
ভালোবাসা কেবল 'স্পর্শকাতর' কিন্তু
কখনো
'স্পর্শের জন্য কাতর' নই।
হঠাৎ বজ্রপাত ঘটলো হৃদয়ে। ব্রাজিল
বালিকার
সাথে বাংলাদেশী বালকের ব্যাপক
বিবাদ লাগলো কোন প্রেক্ষাপট বা
বিষয়ে নিয়ে।
মনোমালিন্য হলো তাদের মধ্যকার
এতেও বিপদ। ক্ষুদেবার্তায় কিছু
কথোপকথন বালক বলতে চায়, কিন্তু
সেগুলো এতদূর
ইংরেজীতে ট্রান্সলেশন ব্যাখ্যাদান
করতে
পারছেনা। অগত্যা বাংলাতেই
চেষ্টা করলো। বালিকা পারলে
বুঝে নিও ।
মিঃ ড্রিম-Hi,
বালিকা -Hello,
মিঃ ড্রিম -এই তুমি ছোট ছোট ড্রেস
পরো
কেন? I not feeling good you.
বালিকা - You sick?
মিঃ ড্রিম - আরে না না! তুমি ছোট
ড্রেস পরা
বাদ দিবা।
বালিকা - I know, you like my dress. Mio
Mio.
মিঃ ড্রিম- ধুর... You are not understanding.
বালিকা - I understand your love.
(ummah!) Love you so Much....
মিঃ ড্রিম - তুমি আর আমাকে
ভালোবাসোনা।
বালিকা - Yah yah!
মিঃ ড্রিম - Fuck! (সংকোচহীন ভাবে)
বালিকা - What? You are bad. I not love
you. Mamma Mia!
ছেলেটা মেয়েটির পোশাক আশাক
একদম প্রিয় ছিলনা, মেয়েটি ছিল কেবল
তাদের অভিশপ্ত এতিহ্য ও সংস্কৃতি
নিয়ে যে-নিয়মে আজ সে বড় হয়েছে।
অতঃপর, বালিকা আউট অফ নেটওয়ার্ক
হয়ে
গেলো বালকের মুখে একটি নির্দিষ্ট
কাজের বহুল প্রচারিত ইংরেজী শব্দ
শুনে। বালক নিজেও বুঝতে পারেনি,
এমনটা ঘটবে তখন । ছেলেটার কাছে
এখন কিছুই ভালো লাগেনা রুচিবোধ
নেই। সে হলিউডি নায়কদের স্বপ্নের
মতো শুধু নিজের বিরক্তিটা প্রকাশ
করতে চেয়েছিলো, এই যা।
পরিশিষ্ট...
এখন বালকটি দিনরাত সারাক্ষণ একটি
ডেভের ডিকশনারি নিয়ে পড়ে থাকে।
ইংরেজীই ভালো করে আয়ত্ব আগে,
পরে বাকি সব। নানা রকম নতুন বা
পুরাতনী কমিউনিকেটিভ ইংলিশ বই
দিয়ে
তার ঘর ও বেড ভর্তি করা। গভীর রাতে
শখের ল্যাপটপের স্ক্রিণের সামনে
তাকে
তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা
করতে দেখা যায় প্রতিদিন । এবং
চোখেরজলে বিজে যায় তার বিলাসিত
প্রিয় বালিশটি,, হঠাত প্রিয়তম
রাজকুমারী যদি
ফেরে!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭

ক্ষুদ্রমানব বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

নকীব কম্পিউটার বলেছেন: হায়রে প্রেম!

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

ব্লগার রিয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ ♥ আপনি আমার লেখাটি পড়ার জন্য।
#ক্ষুদ্রমানব

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

ব্লগার রিয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে,,
(নকীব কম্পিউটার) ভাই রে
প্রেমের মোরা জলে ডোবেনা!

৫| ১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:১৪

মোবারক হোসেন ফেনী বলেছেন: নাইচ হয়েছে

৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪০

ব্লগার রিয়াজ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.