![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম পর্ব দ্বিতীয় পর্ব তৃতীয় পর্ব চতুর্থ পর্ব
যবনিকাপাত
___________________________________________________________
রাত ১১টা ৪৫। সবাই হলঘরে জমায়েত হয়েছে। পৃথিবীর মোটামুটি প্রায় সব শক্তিশালী হ্যাকারদল তাদের নিজ নিজ জায়গায় বসে অপেক্ষা করছে ১২টা বাজার জন্য। সবাই যে যার নিজস্ব সার্ভার থেকে ভাইরাস আপলোড করে দিয়েছে। ১২ টা বেজে ২৬শে এপ্রিল হলেই হবে দ্বিতীয় চেরনোবিল ভাইরাস সংক্রমণ। অরুপ অসহায়ের মতো মনিটরের কাউন্ট ডাউন দেখছে। হয়তো পৃথিবীর অন্য প্রান্তে পরিচালকসহ পৃথিবীর সকল গণ্যমান্য ব্যক্তি অপেক্ষা করছে কাল সকালের জন্য, প্রজেক্ট এক্স উদ্বোধন করার জন্য। কিন্তু ঘুম থেকে উঠেই দেখবে পৃথিবীটা আর তাদের নেই। সেটা তখন অন্য কারো।
সিলিং মনিটরে কাউন্ট ডাউন দেখতে থাকা অরুপের পিঠে থাবা মেরে ইলিয়াড বলল, এখনো ১০ মিনিট। উফফ। ১০ বছর অপেক্ষা করতে পেরেছি কিন্তু এই ১০ মিনিটের অপেক্ষা যেন তর সইছে না। বুড়ো আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব আসলেই বাজে। হাহ।
-তাঁকে সম্মান করে কথা বল।
-আহা রেগে যাচ্ছ কেন? একটা প্রাচীন কৌতুক শোনাই, দুজন প্রোগ্রামার বন্ধু কিভাবে সহজে ধনী হতে পারবে বলতো দেখি।
অরুপ ভ্রু কুঁচকে বলল, হ্যাক করে?
-নাহ, একজন ভাইরাস তৈরি করে আর আরেকজন সেটার এন্টিভাইরাস তৈরি করে। হা হা হা।
গলার স্বর নামিয়ে ইলিয়াড আবার বলল, জানো ১৩ বছর আগে যে দুই দেশে যুদ্ধ হয়েছিল সেটার কারণ ছিল কিছু ভুয়া বার্তা। আর সেই বার্তাগুলো আমি আর আমার দল তৈরি করেছিলাম।
অরুপ মুখ শক্ত করে বলে, হুম জানি। কারণ ঐ দুইটা দেশের একটা ছিল আমার দেশ।
ইলিয়াড কৌতুক করে বলে, তাহলে এটাও জানো, সেই সময় তোমার দেশের মানুষরা যারা পাশের দেশে আশ্রয় নিয়েছিল তাদের বেশিরভাগ মারা গিয়েছিল যে মহামারীতে সেই মহামারী কার সৃষ্টি?
অরুপ দাঁতে দাঁত ঘষে বলল, হুম। যাদব। ওরফে মৃত্যু দানব ওরাইসিস। যে মানুষকে প্রথমে নিজের তৈরি ভাইরাসে রোগাক্রান্ত করে তারপর তার ভ্যাকসিন আর ওষুধ বেঁচে। যে কারণে আজ তার এত প্রতিপত্তি,যে কারণে সে আজ এত বড়লোক।
- ওটা তো ও করেছিল তোমার বিপক্ষ দেশের নির্দেশে, টাকার বিনিময়ে। অনেক আগে ক্ষমতাশীল দেশগুলো ছোট খাট দেশে কৌশলে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিত। তারপর সেইসব দেশের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে ধুন্দুমার কামাতো। এটা এখন পুরনো কৌশল হয়ে গিয়েছে।হা হা হা।
-তাহলে নতুন কৌশলটা কি?
-এখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুগ। প্রথমে যাদব আমাদের ভাড়া করলো। আমরা দুই দেশের মধ্যে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে আবহাওয়া গরম করে দিলাম। তোমার দেশের আর্মির একটা সাবমেরিনের সিস্টেম হ্যাক করে ডুবিয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষ দেশের কাজ বলে চালিয়ে দিলাম। জানো, এইসব কাজ করতে আমাদের মাত্র এক সপ্তাহ লেগেছে। হা হা হা।
অরুপ দাঁতে দাঁত ঘষে বলে, এক সপ্তাহ না। আট দিন। ঐ আটদিন আমি ছিলাম প্রযুক্তি বর্জিত এক গ্রামে।
-ও। ভালো। বেঁচে গিয়েছ। হা হা হা।
-হুম।
ইলিয়াড উৎসাহী হয়ে বলে উঠল, জানো, তারপর যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। যুদ্ধ শুরু হলে যাদব তার কাজ শুরু করল ওরাইসিস নামে। তোমার দেশের প্রতিপক্ষের কাছে যেয়ে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে তৈরি তার নতুন আবিষ্কৃত ভাইরাসের কথা বলল। যে ভাইরাস প্রতি তিনজনে দুইজন মানুষকে মেরে ফেলে। তোমার প্রতিপক্ষ দেশ তো বিশাল অঙ্কের টাকা বিনিময়ে সেটা কিনে তোমাদের উপর প্রয়োগ করল। মু হা হা হা।
এবার অরুপ বলতে শুরু করল, এদিকে যাদব এল আমাদের দেশে। এসে সেই ভাইরাসের ভ্যাক্সিন এর কথা বলল। আমাদের দেশ মোটা অঙ্কের বিনিময়ে সেই ভ্যাক্সিন কিনে নিতে বাধ্য হল। যাদব ওপারেও লাভ করল, এপারেও লাভ করল। মাঝখান থেকে দুটো দেশ শেষ হয়ে গেল।
-ভালোই জানো দেখছি। তবে এবার যাদব অনেক বড় কাজ হাতে নিয়েছে। পুরো পৃথিবীকে করায়ত্ত করার। বলেই মনিটরের দিকে তাকিয়ে ইলিয়াড বলে উঠল, ওহ আর ৫৫ সেকেন্ড।
অরুপ খুব গম্ভীর স্বরে বলে উঠে,ইলিয়াড।
ইলিয়াড অবাক হয় অরুপের গাম্ভীর্য দেখে। কিন্তু কিছু বলে না।
অরুপ সেই গাম্ভীর্য বজায় রেখে বলে, তোমার খুব শখ মহান গডফাদারকে দেখার, তাই না?
ইলিয়াড অবাক হয়ে বলে, হুম কেন?
-তাহলে...
অরুপ কথা শেষ করতে পারে না। কারণ সবাই সমস্বরে বলছে, ১০...৯...৮...৭...৬...৫...৪...৩...২... এবং এক। সবাই হাততালি দিতে থাকে। তারপর সবাই নজর দেয় খবরের দিকে। এখন তো একটাই ব্রেকিং নিউজ। সরকারের প্রজেক্ট এক্স শেষ হয়ে গিয়েছে, তাদের ব্ল্যাক প্রজেক্ট এক্স সফল হয়েছে । কিন্তু না, সবাই অবাক হয়ে দেখল খবরে দেখাচ্ছে পুলিশ সব হ্যাকারদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এরা সবাই ইলিয়াডের সাথে প্রজেক্ট এক্স এর সাথে ছিল।
ইলিয়াড অস্থির করে প্রাইভেট প্রোটোকলের মাধ্যমে তার এক সহকর্মীকে ফোন দিল। সেই সহকর্মীর থ্রিডি ভিশনে দেখা দিলে দেখা গেল, সে দৌরাচ্ছে, আর ইলিয়াডকে বলছে, আমাকে পুলিশ ধাওয়া করেছে। আমাদের সবাইকে ধরে ফেলেছে। এসব কি করে হল?
খুব বেশি সময় যায় নাই, ইলিয়াড ফোন কেটে না দিতে দিতেই শুনতে পেল পুলিশের সাইরেনের শব্দ। ছাদে স্পেশাল কমান্ড দলের নামার ধুপধাপ আওয়াজ আর তাদের ওয়্যারলেসের শব্দ। ইলিয়াড যা বোঝার বুঝে নিল। সে হাটুঁমুড়ে বসে পড়ল, তার সামনে অরুপ এসে দাঁড়াল। বলল, ইলিয়াড তুমি শেষ। তোমার আর যাদবের ব্লাক প্রজেক্ট এক্স এর যবনিকাপাত হয়েছে। তুমি ধরা পড়ে গিয়েছ।
ইলিয়াড কাঁদতে কাঁদতে বলল, এটা কিভাবে হল? কিভাবে? আমি শেষ হয়ে গিয়েছি।
অরুপ সেই আগের ভঙ্গীতে বলতে লাগলো, তোমার খুব শখ মহান গডফাদারকে দেখার, তাই না?
ইলিয়াড কাঁদতে কাঁদতে বলল, হ্যাঁ। এই সময় তাঁকে খুব দরকার।
অরুপ দরজার দিকে তাকায়। অরুপকে অনুসরণ করে ইলিয়াড। দরজায় একটা কালো ছায়া দেখা যায়।
ছায়াটা আলোতে আসতেই ইলিয়াড অবাক হয়ে অস্পষ্ট স্বরে বলে, পরিচালক!
মহান গডফাদার
___________________________________________________________
পরিচালক ইলিয়াডকে বলল, তোমার খেল খতম, ইলিয়াড। তোমার সঙ্গীরা সবাই পুলিশের হাতে বন্দি হয়ে গিয়েছে।
ইলিয়াড বিস্ময়ের সাথে বলে,আগে বল, তুমিই তাহলে সেই মহান গদফাদার?
-না। আমি নই। ইনি। পরিচালক অরুপের দিকে আঙ্গুলি নির্দেশ করে বললেন।
অরুপ তখন বলে,হুম, আমিই সেই মহান গডফাদার।
ইলিয়াড কাঁদতে কাঁদতে হেসে ফেলে, তুমি, তুমি গডফাদার? তাহলে আমিও গডফাদার। হা হা হা।
অরুপ ইলিয়াডের কথায় ভ্রুক্ষেপ না করে বলতে থাকে,আমি একসময় নিজেকে আবিস্কার করি অপ্রতিরোধ্য হিসেবে। পৃথিবীর এমন কোন প্রতিরক্ষা বুহ্য নেই যা আমি ভাঙতে পারতাম না। কারণ আমি ছিলাম একমাত্র প্রোগ্রামার যে এই সময় পর্যন্ত সকল প্রোগ্রামিং ভাষা জানে এবং ব্যবহার করতে পারে। সেই সাথে নতুন ভাষাও তৈরি করতে পারে। এইসময় আমাকে সবাই গডফাদার নামে চিনতে শুরু করে। পুলিশ আমার কোন তথ্য জমা রাখতে পারতো না। যে তথ্যই রাখতো আমি মুছে ফেলতাম। যে কারণে আমি হয়ে যাই, হ্যাকিং জগতের মহান গডফাদার।
ইলিয়াড মুখ বাঁকা করে বলল, ও।
অরুপ বলতেই থাকলো,এই সময় আকস্মিকভাবে আমি ইশরাক নামের একটা মেয়ের প্রেমে পড়ি।আমার পরিচয় জানার পর সে আমাকে সঠিক পথে আনার অনেক চেষ্টা করে। কিন্তু আনতে ব্যর্থ হয়, কিন্তু তবুও কোন কারণে সে আমাকে ছেড়ে যায় না। আমাদের বিয়ে হয়। একসময় আমাদের সংসারে আসে রাজকন্যা নাদিয়া। এই নাদিয়াও পারে না আমাকে আলোর পথে আনতে। আজ থেকে ১৩ বছর আগে নাদিয়ার বয়স যখন সাড়ে তিন বছর তখন আমরা সপরিবারে বেড়াতে যাই প্রযুক্তি বর্জিত এক গ্রামে। ঠিক সেই সময়টা কাকতালীয়ভাবে তোমরা সুযোগ পেয়ে যাও। যখন আমরা শহরে ফিরি তখন দেশটা জ্বলছিল। প্রাণ নিয়ে সীমান্তে আশ্রয় নেই। সেখানে আঘাত হানে যাদবের প্রাণঘাতী ভাইরাস। সেই ভাইরাসের সংক্রমণে দুই তৃতীয়াংশ মানুষ মারা যায়। আমি হারাই আমার প্রানপ্রিয় স্ত্রী আর আমার রাজকন্যাকে। তাদের চিরকালীন অনুপস্থিতি আমার বোধ ফিরিয়ে দেয়। আমি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করি। কিন্তু তার আগেই জেনে যাই তোমার আর যাদবের কথা। তারপর থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার অপেক্ষা।
-এই তোমার প্রতিশোধ? পৃথিবীকে নিজের তৈরি ভাইরাসে সংক্রমিত করে ধ্বংস করে দিয়ে? হা হা হা।
-না। আসলে কি জানো কে কার খেলার পুতুল ছিল? তুমি আর যাদব ছিলে আমার খেলার পুতুল। প্রথমে আমি সরকারের সাথে কাজ করি। তৈরি করি মানবীয় সুপার কোয়ান্টাম। তারপর তার সুরক্ষার জন্য তৈরি করি ১৫ স্তরের প্রতিরক্ষা বুহ্য। যেটা দিয়ে তোমাদের মতো হ্যাকারদের শায়েস্তা করা যাবে আর যাদবের মতো ওরাইসিসের হাত থেকে জীবন বাঁচানো যাবে। কিন্তু আমি জানতাম পৃথিবীতে যতদিন তুমি আর যাদব থাকবে ততদিন এই কম্পিউটার হুমকির মুখে থাকবে। তাই যাদবের কাছে গডফাদার পরিচয়ে তাকে এই ভাইরাস দেই। সেই সাথে আমাকেই আমি পাঠাই তার কাছে বায়োলজিক্যাল চাবি হিসেবে। পরিচালক যা করেছে সব তোমাদের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য। তোমরা ধুলো দিতে পার নি উল্টো ধুলোয় মাখামাখি হয়েছ। আর তারপরের কাহিনী তো জানা।
-তাহলে এই ভাইরাসের কাজ কি ছিল?
-প্রতিরক্ষা ভেঙ্গে দেওয়া।
-কার?
-তোমার মত নিচু হ্যাকারদের। শুধু তোমাদের প্রতিরক্ষাই ভাঙ্গে নাই। ১২টা বাজার সাথে সাথে স্থানীয় পুলিশদের কাছে কাছে তোমাদের আস্তানার ঠিকানাও পৌঁছে দিয়েছে । পুলিশ আগে থেকেই তৈরি ছিল। অবস্থান জানা মাত্রই যার কাছে যেই জায়গা কাছে হয়েছে সে সেই জায়গায় আক্রমন করেছে। তারপরের কাহিনী তো বুঝতেই পারছো।
-কিন্তু যাদবের তো কিছুই করতে পারলা না।
-ওর সমস্ত কুকীর্তি এখন ব্রেকিং নিউজ। আর ওর মত পিশাচের দেউলিয়া হতে আর বেশিদিন বাকি নেই।
-তোমাকে আমি ছাড়বো না।
বলেই অরুপকে মারতে তেড়ে আসে ইলিয়াড। কিন্তু ততোক্ষণে পুলিশ তার হাতে ইলেকট্রিক্যাল ব্যান্ড তথা হাতকড়া পরিয়ে দিয়েছে। কোন অপরাধ করতে গেলেই তড়িৎ শক খাবে।
হাতে ব্যান্ড দেখে কাঁদতে কাঁদতে বলে, এখন আমি কি করব?
অরুপ মজা করে বলে, কমোডে বসে হাগু করা ছাড়া আর এখন আর কোন কাজ নেই। হা হা হা।
শেষকথা
___________________________________________________________
অরুপ হাটুমুড়ে বসে পড়ল একটা এপিটাফের সামনে। আপনমনে বলতে লাগলো, ইশরাক, আমি প্রতিশোধ নিয়েছি, চরম প্রতিশোধ।
তারপর সে ঘুরল আরেকটা এপিটাফের সামনে। বলতে লাগলো, মা,আমার মা। আমার সোনামণি। আমার রাজকন্যা। আমার নাদিয়া। আমি এসেছি মা। যে দানবটা তোমাকে এই সুন্দর পৃথিবীতে থাকতে দেয় নি আমি তাদের শাস্তি দিয়েছি। কঠিন শাস্তি। এখন থেকে কোন মা-বাবার রাজকন্যা-রাজপুত্রকে কে কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। কক্ষনো না। আমার সোনামণি এবার খুশি তো। সোনামণি...
অরুপ থেমে যায় কারণ কেউ তার ঘাড়ে হাত রেখেছে। সে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে পরিচালককে। পরিচালক বলে উঠে, স্যার, আসুন। দেরি হয়ে যাচ্ছে। সবাই আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।
-হুম। যাচ্ছি।
অরুপ উঠে দাঁড়ায়। কবরটাকে পিছনে ফেলে আসতেই সে যেন শুনতে পায় তার নাদিয়ার কণ্ঠ, “ধন্যবাদ বাবা”।
================*===============
উদ্বোধনের সময় সব দেশের প্রধানরা অরুপকে এগিয়ে দেয় তার তৈরি মানবীয় সুপার কোয়ান্টাম কম্পিউটারের দিকে। তার স্ত্রী ইশরাক আর তার মেয়ে নাদিয়ার স্মৃতি স্মরণ করে, কম্পিউটারটার নাম দিয়েছে নাদিয়া আর ফায়ার ওয়ালের নাম দিয়েছে ইশরাক।
অরুপ এগিয়ে যায় কম্পিউটারের মেইনফ্রেমের দিকে। তারপর কণ্ঠ নির্দেশ দেয়, “নাদিয়া, জেগে উঠো।”
একটা মৃদু যান্ত্রিক গুঞ্জন শুরু হয়। অপটিকেল নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত সারি সারি সাজানো কেবিনেটের গাঢ় নীল বাতিগুলো জ্বলে উঠতে লাগলো। মনিটরে দেখা যেতে লাগলো সুপার কোয়ান্টাম কম্পিউটার সক্রিয় হওয়াকে।
পুরোপুরি সক্রিয় হলে অরুপ ফায়ারওয়ালকে বলল, “ইশরাক নাদিয়াকে নিরাপত্তা দাও।”
নাদিয়াকে মায়ের মমতায় আগলে রাখলো ইশরাক আর দূর থেকে বাবার মতো দাঁড়িয়ে দেখে অরুপ। সবার অজান্তে সে চোখের জল মুছে নেয়।
এক সময়কার হ্যাকিং জগতের মহান গডফাদার মনে মনে বলে সেই প্রাচীন বিখ্যাত উক্তি, “With great power comes great responsibility.”
(সমাপ্ত)
সম্পূর্ণ উপন্যাসিকাটির পিডিএফ ড্রপবক্স লিঙ্ক
যেসব লিঙ্কের কাছে ঋণী তাদের মধ্যে সামান্য কিছু লিঙ্ক
ভাইরাস ১ ভাইরাস ২ ভাইরাস ৩ ভাইরাস ৪ ভাইরাস ৫ কোয়ান্টাম কম্পিউটার ১ কোয়ান্টাম ২ কোয়ান্টাম ৩ কোয়ান্টাম ৪ কোয়ান্টাম ৫ কোয়ান্টাম ৬ কোয়ান্টাম ৭ মিথলজি ১ মিথলজি ২ মিথলজি ৩ মিথলজি ৪ আর আমাদের প্রানপ্রিয় গুগল মামু
আরও যে কত লিঙ্ক বাদ দিলাম তা আল্লাহ মালুম। তবে বইয়ের তালিকা দিয়ে আর বিরক্ত করলাম না। কারণ তার তালিকা আরো বড়।
সবাই যারা কষ্ট করে আমার এই অখাদ্য লেখা পড়লেন এবং বিশেষ করে যারা যারা মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করলেন তাদের কাছে আমি সত্যিই ঋণী। তবে এই ঋণ আমি শোধ করব না।
সবাইকে শুভকামনা।
০২ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫
আমি কাল্পনিক সজল বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো যে লেখাটা আপনার ভালো লেগেছে। সত্যি কথা বলতে আমি যখন লেখা শুরু করি তখন যে টুইস্ট ঠিক করে রেখেছিলাম গল্পের শেষে এসে দেখি অন্য টুইস্ট এসে গিয়েছে। তাই আপনার মতো আমিও কিছু টুইস্ট অনুমান করতে পারিনি।
শুভকামনা রইলো।
২| ০২ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: সিরিজটা ভাল লেগেছে।
পরবর্তী লেখার প্রত্যাশায়।
০২ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪
আমি কাল্পনিক সজল বলেছেন: ধন্যবাদ।
আশা করি খুব শীঘ্রই নতুন কোন সিরিজ নিয়ে আসতে পারব।
৩| ০২ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার! আবারও অপেক্ষায় রইলাম।
০২ রা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১
আমি কাল্পনিক সজল বলেছেন: আশা করছি খুব দ্রুতই অপেক্ষার অবসান ঘটাতে পারব।
শুভকামনা রইলো।
৪| ০২ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সুন্দর একটা সিরিজের সাথে থাকতে পেরে ভাল লেগেছে খুব।
০২ রা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
আমি কাল্পনিক সজল বলেছেন: আপনাকে সাথে পেয়েও অনেক ভালো লেগেছে।আগামীতে সাথে থাকলে আরো ভালো লাগবে
শুভকামনা রইলো
৫| ০২ রা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮
শের শায়রী বলেছেন: বাহ বেশ লাগল তো লেখাটা বাকী গুলোও দেখব নিশ্চয় ই
০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ১০:২৬
আমি কাল্পনিক সজল বলেছেন: শেষটা আগেই পড়ে নিলেন। তাহলে বাকি পর্বগুলো পড়ে আসল মজা পাবেন না।
৬| ০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ৯:১৫
সিকদারভাই বলেছেন: দারুন হয়েছে । তবে লেখায় আরেকটু পরিপক্কতা দরকার। লিখতে থাকুন এসে যাবে। আপনার লেখাটা দিয়ে একশ পৃষ্ঠার বেশি বই লেখা সম্ভব।
০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩০
আমি কাল্পনিক সজল বলেছেন: আমি অল্প লেখায় বেশি কাহিনী রাখার চেষ্টা করি। অযথা পৃষ্ঠা বাড়িয়ে পাঠককে ক্লান্ত করা আমার পছন্দের নয়। তাই এইভাবে লিখি।
লেখা চালিয়ে যাচ্ছি, আশা করি কোন এক সময় পরিপক্কতা এসে যাবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৭| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:০৯
শান্তির দেবদূত বলেছেন: শেষের পর্বটা একটু দেরিতে পড়া হল ব্যস্ততার কারনে। এই পর্বটা মুটামোটি লেগেছে, আগের পর্বগুলোতে সাইন্স বেশি ছিল আর এটাতে ঘটনার মোড় বেশি ছিল।
তবে আমি কেন যে এই পর্বটার কিছু অংশ পড়ার পর ধরনা করেছিলাম অরুপই হয়ত সেই মহান গডফাদার। ইনটুইশনও বলতে পারেন কিংবা খুব বেশি সাইন্স-ফিকশন পড়ার করনেও হতে পারে। যাই হোক আপনার লেখার প্রশংসা করতেই হয়।
বাক্য গঠনে কিছু দূর্বলতা আছে, কিছু শব্দ গল্পেটাকে হালকা করে দিয়েছে, কিছু সংলাপ না থাকলেও চলত যেমন, "অরুপ মজা করে বলে, কমোডে বসে হাগু করা ছাড়া আর এখন আর কোন কাজ নেই। হা হা হা। "
ছোট পরিসরে অনেক বেশি ঘটনা প্রবাহ চলে এসেছে বলে মনে হয়েছে। তবে ঘটনার বাঁকগুলো অপ্রত্যাশিত ছিল যে কারনে একটানে পড়ে যেতে বেগ পেতে হয়নি।
শেষে বলব, আপনার লেখার হাত বেশ সাবলিল; যে কোন ঘটনাকে লিখে প্রকাশ করা এবং পাঠকের পাঠের বোধগোম্য করে উপস্থাপন করা যে কি কঠিন কাজ সেটা লেখক মাত্রই বুঝে। আপনার মধ্যে এই ব্যাপারটা সহজাত ভাবেই আছে বলে মনে হচ্ছে। আরও লিখতে থাকুন, পাঠক হিসাবে আমাকে সব সময় সাথে পাবেন। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:২১
আমি কাল্পনিক সজল বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম।
এই পর্বটা হল আগের সব পর্বের ব্যাখ্যা। তাই এখানে কোন বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রসঙ্গগত কারণেই আসে নি। তবে এই পর্বে সবার শেষ অংশ লেখার জন্য সুপার কম্পিউটার আর সুপার কম্পিউটিং এর উপর একটু ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়েছে, কিন্তু সে বিষয়ে বেশি কিছু লিখি নাই। লিখলে আরো বড় হয়ে যেত কিনা।
অরুপই যে গডফাদার এটা অনেক আগেই পাঠক বুঝে ফেলতে পারতো যদি না আমি এই বিষয়ে তাদের অনেকটা অন্ধ করে রাখতাম। কিন্তু এই পর্বে এসে সেটা আর পারা যায় নি। কারণ, তার জোরালো ভূমিকা গিয়েছিল। তবে আপনার মতো যারা নিয়মিত এই ঘরানার লেখা পড়েন তাদেরকে ফাঁকি দেওয়ার মতো লেখক আমি এখনো হই নাই। সেটা এখনো বহুদূরের পথ।
লাইনটা দিয়েছিলাম রিলাক্সের জন্য। যখন পুরো উপন্যাসিকাটি কেউ পড়বে তখন শেষের দিকে এসে কিছুটা ক্লান্তি অনুভব করবেই। তাছাড়া তাকে অনেক ঘটনার মুখোমুখিও হতে হবে। যে কারণে তাকে খানিকটা শিথিলায়ন করেছি। তবে আপনার যুক্তি ঠিক আছে। প্লটটা ৫মাস মাথায় নিয়ে ঘোরার পর একটু বেশি তাড়াহুড়া করে লিখতে হয়েছে এক ম্যাগাজিনের কারণে। যে কারণে বেশ কিছু ত্রুটি রয়ে গিয়েছে যা অস্বীকার করার উপায় নেই।
আশা করি, আপনাকে শুধু পাঠক নয়, সমালোচক হিসেবেও পাব। কারণ, যে লেখকের লেখায় কেউ সমালোচনা করে না, সে লেখক কখনো লেখায় আত্মউন্নয়ন ঘটাতে পারে না।
আপনার প্রতিও অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইলো।
৮| ০৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ! বেশ! দারুন মুচরা-মুচরি দিয়েছেন
ঋণের দাবী আমরাও ছাড়ব না।
আরো বেশী বেশি লেখাই পারে চক্রবৃদ্ধি ঋণের সুদকে কমাতে বেশী বেশি লিখুন...
০৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭
আমি কাল্পনিক সজল বলেছেন: একটু মুচরা মুচরি না দিলে কি আর অখাদ্য মানুষকে খাওয়ানো যায়?
আমি আবার গুনবান ঋণখেলাপী। তাই সহজে ঋন শোধ করবো না । এই আমি বলে দিলুম
অখাদ্য খেয়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০
বিষন্ন রাত্রি বলেছেন: অনেক অনেক ভাল লেগেছে! প্রথম দুটো পর্ব অনেক আগে পড়েছিলাম..আর অপেক্ষা করছিলাম পরের পর্ব গুলোর কিন্তু এর পর অনেক দিন আর ব্লগে আসা হয়নি.. লেখাটা পড়তে পড়তে শুধু একটা কথাই মাথায় ঘুরছিলো! ‘‘আমি যদি director হোতাম এটা দিয়ে একটা movie বানিয়ে ফেলতাম..!!’’ এমন আরো লেখা পাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম..অনেক শুভ কামনা রইল..
১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১১
আমি কাল্পনিক সজল বলেছেন: এমন সব মন্তব্যের জন্যই হয়তো লিখতে বসা আমাদের মতো হুজুগে লেখকদের। :#>
বেশ কয়েকবছর(২০০৭ সালে শুরু করা) আগের এক অসমাপ্ত উপন্যাস শেষ করার অভিপ্রায়ে হাত দিয়েছি। কিছুদুর টাইপ করা হয়েছে। আশা রাখি সেটাই আগামী সিরিজ হতে যাচ্ছে।
আপনাকেও অনেক অনেক শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩
আম্মানসুরা বলেছেন: ভালো লাগল। টুইস্ট গুলো অনুমান করতে পারিনি তাই আরও বেশি ভালো লেগেছে।